Breaking News

শালিকা যখন বউ । পর্ব - ১৭

 

নিশিঃ একদম আমার বাচ্চা ধরার চেষ্টা করবেন না তাহলে কিন্তু আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।
আমিঃ ও কি শুধুই তোমার বাচ্চা।
নিশিঃ হ্যা ও শুধুই আমার আর কারো না...

নিশিঃ ও শুধু আমার আর কারো না। তাই আপনি ওকে ছোয়ার চেষ্টাও করবেন না।
আমিঃ প্লিজ নিশি আমার বাচ্চাকে একটু কোলে নিতে দাও।
নিশিঃ আপনার বাচ্চা। হাসালেন মিস্টার রাজ।
ও শুধু আমার বাবু আর আমি ওর মা এবং আমিই ওর বাবা।
আমিঃ নিশি প্লিজ (অনুরোধ এর সুরে)
নিশিঃ না আমি ওকে কোনো অপরিচিত লোকের কাছে দিবো না।
আমিঃ তুমি কাকে অপরিচিত বলছো নিশি। তুমি যানো না আমি ওর কে হয়।
নিশিঃ না জানিনা,,আর জানতেও চাইনা।

তাই ভালোই ভালোই বলছি এখান থেকে চলে জান নয়তো আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
আমিঃ তুমি মানো নাকি না মানো আমি ওর বাবা আর এটাই সত্যি।
নিশিঃ বাবা তাই না,,, এই বাবার অর্থ টা মানে আপনি জানেন।
যে নিজের স্ত্রীকে বিলিস না করে অন্য লোকের কথা শুনে নিজের অন্তসত্তা স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বাইর করে দেই তার কোনো বাবা হওয়ার যোগ্যতা নেই বুঝেছেন আপনি।
আমিঃ নিশি আমি মানছি আমি ভুল করেছি তাই বলে কি তুমি আমাকে আমার বাচ্চার থেকে আলাদা করে দেবে( কান্না করতে করতে)
নিশিঃ আপনি আর একবার ও ওকে নিজের বাচ্চা বলবেন না।
এই ১ বছর আমিই ওর বাবা মা দুটোই ছিলাম আর ভবিৎষতেও থাকতে পারবো( অনেক চিল্লাই কথা গুলো বলল)
আমিঃ প্লিজ নিশি আমাকে ক্ষমা করে দাও এরকম ভুল আমি আর কোনোদিন করবো না ( এই বলে আমি ওকে নিজের বুকের মাঝে টেনে নিই)
নিশি কিছুক্ষন আমার বুকের মাঝে থেকে পরক্ষনেই নিজেকে ছাড়িয়ে নেই আর বলে
নিশিঃ ও বুঝেছি আপনি কেন এখানে এসেছেন।
আপনি আমার শরির টা ভোগ করতে চান এই তো। এর আগেও একবার করেছিলেন তাই না।
ওকে আমি নিজেই আমার সব বিলিয়ে দিচ্ছি তবুও আপনি আমার আর আমার সন্তান এর মাঝে আসবেন না ( বলেই নিজের শাড়ির আচল নিচে ফেলে দিলো আর বলল)
নিশিঃ নিন শুরু করুন (কান্নারত অবস্থাই)

আমি এবার নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে না পেরে নিশির গালে জোরে একটা চর মারি আর বলি।
আমিঃ তুমি এমন টা ভাবলে কি করে নিশি।
তুমি আজ প্রযন্ত এই চিনলে ঠিক আছে তুমি যখন বলছো তবে আমি তোমাদের জীবন থেকে অনেক দূরে চলে যাবো।
তার আগে প্লিজ একবার আমার ছেলেকে আমার কোলে দাও।
নিশি কিছুক্ষন কি যেন একটা ভাবল তার পর বলল।
নিশিঃ শুধু একবার তার বেশি না।
তারপর আমি আমার ছেলেকে কোলে তুলে নিলাম আর ওকে কোলে নেওয়ার পর যেন মনে হলো পুরো পৃথিবীর সুখ আমার কোলের মাঝে আবদ্ধ হয়েছে।
কিন্তু এটা বেশি সময় স্থায়ি হলো না নিশি আমার কোল থেকে বাচ্চা কে কেড়ে নিয়ে বলল।
নিশিঃ এবার জান আর কোনো এখানে আসবেন না।
আমি কিছু বললাম না শুধু বললাম নিজের ও বাবুর খেয়াল রেখো তারপর সেখান থেকে চলে আসলাম।
নিশির বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলাম আর ভাবতে লাগলাম নিশি আমাকে এতটুকু ও বিশ্বাস করে না ও কেমন করে ভাবতে পারলো যে আমি ওর শরির কে।
নাহ নিশির সামনে আমি আর কোনো দিন যাবো না। নিশিও তো এটাই তবে তাই হোক।
এমন সময় রবির ফোন আসে আর ও বলে।

রবিঃ কিরে রাজ কোথায় আছিস তুই সেই কখন থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি।
আমিঃ হুম,,তুই আমার অফিস এ এখুনি আই আর সাথে করে একজন উকিল কেউ নিয়ে আসিস।
রবিঃ আমি না হয় আসবো তবে উকিল কে কেন নিয়ে আসবো তাই তো বলবি
আমিঃ এত কথা না বলে তোকে যা বলছি তুই তাই কর। (এই বলে আমি ফোন কেটে দিই আর নিজের অফিস এ চলে আসি)
কিছুক্ষন পরে রবি আর উকিল আসে তখন আমি বলি।
আমিঃ উকিল সাহেব আমি একটা উইল করতে চাই।
উকিলঃ হুম বলুন কিসের উইল করবেন।
আমিঃ আমি এই কম্পানীর অর্ধেক আমার ছেলে আর বাকি অর্ধের আমার স্ত্রী নামে করে দিতে চাই আর সেটা আজ রাতের মধ্যেই।
রবিঃ কি বলছিস কি এসব তোর মাথাটা কি ঠিক আছে।
আমিঃ হুম আমি ঠিক বলছি আর আমার মাথাও ঠিক আছে।( যেহুতু আমার আব্বুর আলাদা কম্পানি আছে তাই কোনো প্রবলেম নাই)
উকিলঃ ওকে আপনি যখন বলছেন তখন তাই হোক।
তারপর উকিল সাহেব সকল ফর্মালিটি পূরণ করে দেই। আর আমি ম্যানেজার কে ফোন করে বলে দিই যে নিশি এখন থেকে এই কম্পানীর মালিক।
তারপর আমি রবি কে বলি

আমিঃ রবি আমার জন্য যত তারতারি পারিস একটা লন্ডন এর ফ্লাইট এর টিকিট বুক করে দে আর সেটা আজ রাতের মধ্যে হলেই ভালো হয়।
রবিঃ মানে তুই লন্ডন এর টিকিট কি করবি??
আমিঃ আমি এদেশে আর থাকবো না তাই লন্ডনে যাবো।
রবিঃ কিন্তু...
আমিঃ কোন কিন্তু নই আর হ্যা কেউ যেন জানতে না পারে আমি কোথাই আছি।
তুই কাউকে বলবি এটা আমার কসম।
রবিঃ হুম ঠিক আছে।
তারপর রবি একটা টিকিট এর ব্যাবস্থা করে দেই আর আমাকে এয়ারপোর্ট এ থুতেও যাই আর বলে।
রবিঃ ওখানে পৌছে আমাকে ফোন দিবি।
আর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করবি না কিন্তু ( কান্না করে বলল)
আমিঃ হুম করবো ( এবার আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকি)
কিছুক্ষন পরে আমার ফ্লাইট তাই আমি প্লেনে গিয়ে বসি।
আর প্লেন ও টেক অফ করে।
যেহুতু আমি লন্ডন থেকে লেখা পড়া শেষ করেছি তাই এখানে আমার অনেক ফ্রেন্ড ই আছে
তাই আমি সেখানে পৌছে আমার এক ফ্রেন্ড কে কল দিই আর সে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করে নিয়ে যাই।

আমার ফ্রেন্ড এর লন্ডনে একটা কম্পানি আছে তাই সে আমাকে সেখানে কাজ দেই।
আমি লন্ডনে এসেছি দুদিন হলো এর মধ্যে রবির শুধু রবির সাথেই কথা হয়েছে।
অন্যদিকে নিশি প্রায় দুদিন হলো অফিস এ যাই না।
আর সে একদিন বিকেলে তার ছেলে কে নিয়ে বাইরে ঘুর‍তে বের হয় 
আর তখনই তার মীম এর সাথে দেখা হয় আর মীম নিশিকে দেখা মাত্র জড়িয়ে ধরে আর কান্না শুরু করে দেই
এভাবে কিছুক্ষন দুজন কান্না করতে থাকে তারপর মীম নিশির কোলে বাবু দেখে বলে।
মীমঃ এটাই বুঝি আমার পুচকু।
নিশিঃ হুম রে।
মীমঃ দেখতে তো একেবারে ওর বাবার মতো হয়েছে।
নিশিঃ প্লিজ মীম ওর নাম টা আর বলবি না।
মীমঃ কেন রে??
নিশিঃ তুই কিছুই জানিস না ও আমার সাথে কি করেছে।
মীমঃ আমি সব জানি রাজ ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।
তারপর মীম নিশিকে সব সেদিন কার কথা সব খুলে বলে আর কথা গুলো শুনে নিশিও কান্না শুরু করে দেই আর বলে।
নিশিঃ আমি কিভাবে পারলাম...

চলবে..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com