শালিকা যখন বউ । পর্ব - ১৮
নিশিঃ তুই কিছুই জানিস না ও আমার সাথে কি করেছে।
মীমঃ আমি সব জানি রাজ ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।
তারপর মীম নিশিকে সব সেদিন কার কথা সব খুলে বলে
আর কথা গুলো শুনে নিশিও কান্না শুরু করে দেই আর বলে।
নিশিঃ আমি কিভাবে পারলাম...
নিশিঃ আমি কিভাবে পারলাম ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে
তাহলে কি সেদিন ও এই কথাই বলতে এসেছিল( কান্না করতে করতে বলল)
মীমঃ তুই কি বলছিস আমি কিছুই বুঝতে পারছি না kindly একটু পরিষ্কার করে বলবি যে কার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস?
নিশিঃ হুম বলছি ( এখনও ওর কান্না থামে নাই)
তারপর নিশি সেদিন ঘটে যাওয়া ওর আর রাজের সকল ঘটনা গুলো বলে।
সব কথা শোনার পরে মীম বলে।
মীমঃ যা হওয়ার হয়ে গেছে তুই কালকে গিয়েই রাজ ভাইয়ার কাছে মাফ চাইবি।
নিশিঃ ওকে আমায় মাফ করবে ( জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে)
মীমঃ অবশ্যই করবে। আর এখন বাড়িতে যা কাল দেখা হচ্ছে।
তারপর নিশি ও তার ছেলে বাড়িতে চলে আসে।
বাড়িতে আসার পর থেকেই নিশি অনেকটা খুশি যার মূল কারন ভালোবাসার মানুষ কে ফিরে পাওয়া। নিশি ভাবতে শুরু করে দিয়েছে কালকে কি হবে।
কিন্তু নিশি হয়তো এটা জানে না যে কালকে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
পরের দিন সকালে নিশি একদম রাজের পছন্দ মতো সাজে।
নীল শাড়ি নীল চুরু হাল্কা মেকাপ কিন্তু ঠোটে কোনো প্রকার লিপস্টিক দেয় নি কারন রাজ লিপস্টিক দেওয়া পছন্দ করে না।
সাজ গোজ শেষে নিশি নিজেকে নিজে দেখেই লজ্জা পাই কারন আজ প্রায় ১ বছর পরে ও এরকম ভাবে সাজলো।
কিছুক্ষন নিজেকে আয়নাই দেখার পরে নিশি অফিস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
অফিস এ পৌছে নিশি অবাক হয়ে যাই কারন সবাই নিশি কে সালাম দিচ্ছে কিন্তু এসব নিয়ে নিশির কোনো মাথা ব্যাথা নেই সে শুধু তার প্রিয় মানুষ টির অপেক্ষা করতে থাকলো।
নিশি অফিস এ এসেছে প্রায় ঘন্টা খানেক হলো কিন্তু এখনও রাজ আসে নাই।
তাই এবার নিশির বেশ চিন্তা হচ্ছে তাই সে ম্যানেজার এর কাছে যাই আর বলে।
নিশিঃ আচ্ছা এখনও রাজ অফিস এ আসে নাই কেন।
ম্যানেজারঃ রাজ স্যার তো গত তিন দিন ধরেই অফিস এ আসে না ম্যাম।
নিশিঃ মানে অফিস এ আসে না কেন। আর আপনি আমাকে ম্যাম কেন বলছেন?
ম্যানেজারঃ অফিস এর বস কে ম্যাম বলবো না তো আর কি বলব।
নিশিঃ কি বলছেন এসব আর কে অফিস এর বস।
ম্যানেজারঃ আপনি আমাদের অফিস এর নতুম বস।
আর এই অফিস আপনার ও আপনার ছেলের নামে রাজ স্যার লিখে দিয়ে গেছেন।
নিশিঃ মানে লিখে দিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন উনি ( বেশ বিচলিত হয়ে)
ম্যানেজারঃ সেটা তো আমি জানি না আর গত তিনদিন ধরে ওনার ফোন টাও বন্ধ দেখাচ্ছে।
নিশিঃ কি বলছেন এগুলো ওনার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে মানে (প্রায় কান্না করে দিয়েছে)
ম্যানেজারঃ হুম আমি ঠিক বলছি (তারপর ম্যানেজার চলে যাই)
ম্যানেজার এর কথা শুনে নিশি ধপাস করে চেয়ার এ বসে পড়ে।
আর ভাবতে লাগে তাহলে কে আবার রাজ কে হারিয়ে ফেলল।
না এ হতে পারে না। আমি রাজ কে কিছুতেই হারাতে দিবো না।
তারপর নিশি অফিস থেকে বের হয়ে যাই আর ওর বাসাই চলে যাই বাসাই গিয়ে নিজের ছেলে কে নিয়ে রাজের বাসাই চলে আসে।
আর যেহুতু রাজ এর মা জানে যে নিশি আর রাজ এর একটা ছেলে আছে তাই তিনি নিশিকে দেখা মাত্র কাছে টেনে নেই আর বলে।
রাজের মাঃ কোথাই ছিলি মা এতদিন আমাদের কথা কি এবারও মনে পরে নি।
নিশিঃ মনে তো অনেক পড়েছে কিন্তু আসার অধিকার টা ছিল না।
আম্মুঃ হুম হয়েছে আর বলতে হবে না, আর এটাই কি আমার দাদুভাই।
নিশিঃ হুম আম্মু।
তারপর সবাই মেহমেত কে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে।
কিছুক্ষন পর নিশি বলে।
নিশিঃ আম্মু তোমার ছেলে কোথাই গো
ও আমাকে অনেক জালিয়েছে আজ তার বদলা নিবো ( হাসি মাখা মুখ নিয়ে)
আম্মুঃ মানে রাজ তোর সাথে আসে নাই।
সে তো বলেছিল তোকে নিয়ে গা বাসাই আসবে তাই আমি ওকে কোনো ফোন দিই নাই।
নিশিঃ ও তিনদিন ধরে আমার সাথে দেখাই করে নাই।
আর অফিস এও যাই নি তাই আমি মনে করলাম যে ও বাসাই আছে ( বলেই নিশি আবার কান্না শুরু করলো)
এখন রাজের আম্মুও কান্না করছে। তারা সবাই ভাবছে যে রাজ কোথাই গেল।
অন্যদিকে রাজ লন্ডনে গিয়ে তার বন্ধুর বাসাই উঠেছে
আর আজ তার অফিস এর প্রথম দিন তাই সে অফিস এর জন্য তৈরি হয়ে বের হয়ে আসে তারপর রাজ আর ইব্রাহীম (রাজের বন্ধু) অফিস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
অফিস এ পৌছে রাজ অবাক না হয়ে পারলো না কারন....
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com