শালিকা যখন বউ । পর্ব - ২১
সেদিন কার মতো অফিস করে বাসায় চলে আসলাম তারপর আমি আমার কিছু জিনিস প্যাকিং করে রাখলাম। পরের দিন সকালেই আমি আর নীলা বাংলাদেশ এ চলে আসলাম।
আর আমি ওখান কার যে কম্পানির সাথে মিটিং হবে সেখানে গেলাম।
আর সেখানে যাওয়ার পরে আমি অনেক বেশি অবাক হয়ে যাই কারন...
আমি সেখানে গিয়ে আরো বেশি অবাক হয়ে যাই কারন এটা আর কারো না আমার বাবার কম্পানী।
যার সাথে আমাদের মিটিং হবে।
আমি কি করবো তাই ভাবে পাচ্ছিলাম না।
একবার মনে করলাম যে মিটিং টা এটেন্ট করবো না
কিন্তু পরক্ষনেই কি যেন হলো আমি মিটিং প্লেস এ চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে আমি দেখি আমার বাবা একটা চেয়ার বসা আছে।
আর তার চেহারা টা কেমন যেন শুকিয়ে গেছে।
তো আমি সেখানে গিয়ে সবার সাথে মত বিনিময় করলাম।
আর আমি যখুনি বাবার কাছে গেলাম তখন বাবা আমাকে দেখা মাত্র জড়িয়ে ধরলো,আর বলল।
আব্বুঃ কোথায় ছিলি বাবা এতদিন।
আমাদের কথা কি তোর এতটুকুও মনে পরে নাই(কান্না করে কথা গুলো বলল)
আমিঃ হুম বাবা অনেক মনে পরেছে কিন্তু আমি যে অপারক ছিলাম( আমিও কান্না করেই কথা গুলো বললাম)
আব্বুঃ এখন আমার সাথে তুই বাসাই যাবি। তোকে দেখলে তোর আম্মু অনেক খুশি হবে ( বলে আমাকে নিয়ে যেতে লাগল)
আমিঃ হুম আব্বু আমি যাবো তার আগে এই মিটিং টা শেষ করে নিই।
আব্বুঃ সত্যি বলছিস তো।
আমিঃ হুম সত্যি।
এতক্ষন সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল আর বোঝার চেষ্টা করছিল যে কি হচ্ছে এগুলো।
এমনি নীলাও অবাক হয়ে গিয়েছে কারন সেও আমার বাবা কে চিনে না।
তাই সে আমার কাছে এসে বলল।
নীলাঃ তুমি বিজনেস ম্যান নাজমুল সাহেব এর ছেলে(অবাক হয়ে বলল)
আমিঃ হুম।
নীলাঃ তুমি এতবড় বিজনেস ম্যান এর ছেলে হয়ে আমাদের কম্পানী তে একজন সাধারন স্টাফ হয়ে কাজ কেন করছিলে।
আমিঃ এর একটা কারন আছে যেটা তুমি জানো না।
নীলাঃ কি কারন আছে রাজ।
আমিঃ মিটিং শেষ হোক তারপর না হয় বলি।
নীলাঃ ওকে ঠিক আছে।
নীলার অবাক হওয়াই স্বাভাবিক কারন এই পাচ বছরে আমি নীলা কে এক বার এর জন্যও আমার আসল পরিচয় টা বলি নাই। যদিও সে জানতো আমাদের একটা কম্পানী আছে।
তারপর আমরা মিটিং শেষ করে বাইর হলাম
আর তখুনি আমার চোখ গেল একটা বাচ্চার ওপর বয়স আর কত হবে ৫-৬ বছর হইতো।
কিন্তু ওকে দেখে মনে হচ্ছে কতদিন এর না চেনা। তাই আমি ওর কাছে যাই আর বলি।
আমিঃ বাবা তোমার নাম কি।
কিন্তু ছেলেটা আমাকে অবাক করে দিয়ে পাপা বলে আমাই জড়াই ধরে।
আমিঃ কে তোমার পাপা।
সেঃ তুমিই তো আমার পাপা। আমার মামনি বলছে।
আর জানো পাপা তোমার জন্য আমার মামনি প্রতিদিন কান্না করে।
আমিঃ কে তোমার মামনি বাবা।
তখন ছেলেটি হাত দিয়ে একজন কে দেখিয়ে দেই আর সেটা আর কেউ না সেটা হলো নিশি।
মানে ছেলেটি আমার আর নিশির সন্তান।
তার জন্যই কি ওর জন্য এতটান অনুভব হইতে ছিল।
তখুনি নিশি আমাদের সামনে চলে আসে আর আমাকে দেখে সে খানিক টা স্তব্ধ হয়ে যাই
কিন্তু পরক্ষনেই আমাই জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই।
কিন্তু তখন হঠাৎ নীলা কোথাই থেকে যেন চলে আসে আর নিশি কে আমার বুকে দেখে ও নিশি কে তুলে ওর গালে দুটো চর বসাই দেয় আর বলে।
নীলাঃ এই মেয়ে তোমার লজ্জা করে না অন্যের স্বামি কে জড়াই ধরতে।
নিশিঃ অন্যের স্বামি মানে(অশ্রুসিক্ত চোখে)
নীলাঃ হ্যা তুমি যাকে জড়িয়ে ধরেছো সে আমার হাজবেন্ড হয়।
নিশিঃ ওহ সরি আমার ক্ষমা করে দিয়েন।
আর মিস্টার রাজ আপনার ছেলে কে দেখে রাখবেন ( এই কথা বলেই নিশি বাইরে দৌড় দিল)
আমিও নিশির পিছু পিছু গেলাম
কিন্তু আমি যেতে একটু দেড়ি করে ফেলেছিলাম
কারন নিশি একটা কারের হাতে ধাক্কা খেয়েছে
আর ওর মাথা থেকে প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আর...
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com