শালিকা যখন বউ । পর্ব - ১৩
নিশিঃ ওহ এতো অনেক খুশির খবর (কান্না জড়িত কন্ঠে)
স্টাফঃ একি নিশি তুমি কান্না করছো নাকি। তোমার চোখে পানি কেন।
নিশিঃ কই কান্না করবো কেন আসলে চোখে কি যেন একটা পরেছে ( চোখ মুছতে মুছতে কথাটি নিশি বলল)...
নিশি ওয়াশরুমে যাওয়ার বাহানাই সেখান থেকে চলে আসে
আর ওয়াশরুমে গিয়ে কান্না শুরু করে আর বলতে থাকে।
নিশিঃ কি এমন অন্যায় করেছিলাম যার জন্য আমি আর আমার ছেলে এত শাস্তি পাচ্ছি।
এখন তো আমার ছেলে বাবা থাকতেও অনাথ।
এমন সময় নিশির ফোন বেজে উঠে আর সে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে বাসা থেকে বুয়া ফোন করেছে।
তখন নিশি তার চোখের পানি মুছে নিয়ে ফোনটা পিক করে তখন বুয়া বলতে শুরু করে।
বুয়াঃ ম্যাডাম মেহমেত বাবুর তো জ্বর আরো বেরেছে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
(মেহমেত রাজ ও নিশির ভালোবাসার অংশ যা রাজ জানে না সে মনে করে নিশি অন্য কাউকে বিয়ে করেছে)
নিশিঃ তুমি বাবুকে একটু ঘুমপাড়ানো চেষ্টা করো আমি কিছুক্ষন পরে আসছি।
নিশি তার বুয়ার সাথে কথা বলছিল এমন সময় আমি নিশি কে ডেকে পাঠাই।
তখন নিশি এসে বলে।
নিশিঃ May i come in sir..
আমিঃ yea come in..
নিশিঃ স্যার আমাকে ডেকেছিলেন।
আমিঃ হুম,, তুমি মনে হয় স্টাফ দের কাছ থেকে শুনেছো তবুও তোমায় বলছি নেক্সট উইক আমার বিয়ে।
নিশিঃ হুম স্যার শুনেছি (কথাটি বলার সময় নিশি গলাটা ধরে আসছিলো আর ওর চোখের কোনায় পানিও জমতে শুরু করেছিল যা আমার চোখ এড়াই নাই)
আমিঃ আমি চাচ্ছি আমার বিয়ের সকল এরেজমেন্ট তুমি। যদি তোমার আপত্তি না থাকে।
নিশিঃ না স্যার আমার কোনো আপত্তি নেই,
আর আমি তো আপনার পিএ এগুলো করা আমার কর্তব্য।( করুন সুরে)
আমিঃ হুম তাহলে কাজে লেগে পরুন(আমাকে যত কষ্ট দিয়েছো তার চেয়ে বেশি কষ্ট আমি তোমায় দিবো নিশি)
হঠাৎ আমার ফোনটি বেজে উঠে দেখি আম্মু ফোন করেছে তারপর আমি ফোন রিসিভ করি আর আম্মুর সাথে কথা বলা শেষ করে নিশি কে বলি।
আমিঃ মিস নিশি আমার সাথে চলুন।
নিশিঃ কোথায় স্যার।
আমিঃ এত প্রশ্ন না করে চলুন তো
তারপর আমি আর নিশি অফিস থেকে বেরিয়ে আমার গাড়িতে গিয়ে বসি আর তখন দেখি নিশি পেছনের সিটে গিয়ে বসছে তাই আমি তাকে বলি।
আমিঃ আমাকে দেখে কি আপনার ড্রাইভার মনে হয় নাকি।
নিশিঃ তা কেন মনে হবে।
আমিঃ তাহলে তুমি পিছনে কেন বসছো??
তারপর নিশি সামনের সিটে এসে বসল আর আমি গাড়ি ড্রাইভ করা শুরু করলাম। কিছক্ষন পরে গাড়ি একটা রেষ্টরেন্ট এর পাশে দার করালাম আর নিশি কে বললাম।
আমিঃ চলো ভেতরে।
নিশিঃ আমরা এখানে কেন আসলাম।
আমি ওর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ভেতরে ডুকে গেলাম আর পেছন ফিরে দেখি নিশিও আসছে।
আমি রেষ্টুরেন্ট এ ঢোকার পরে একটা মেয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
আর আমিও নিশিকে দেখিয়ে মেয়েটি কে জড়িয়ে ধরি।
আর নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও এখুনি কান্না করে দিবে এমন অবস্থা।
তারপর আমি বলি।
আমিঃ নিশি এ হলো মায়া আমার বাগদত্তা। আর মায়া এ হলো নিশি আমার পিএ
আমার মুখে নিশি হইতো পিএ শব্দটা আশা করে নি।
আর মায়ার পরিচয় পাওয়ার পর নিশি এবার আর নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারে নাই।
যার কারনে ওর চোখ থেকে অবাধ ধারাই জল পরতে থাকে।
আর আপনারা হইতো ভাবছেন মায়া এখানে কেমন করে আসল আর আমিই বা ওকে কেমন করে চিনলাম তাহলে শুনুন.....
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com