Breaking News

শালিকা যখন বউ । পর্ব - ০২


আমি বের হয়ে দেখি নিশি একটা নীল শাড়ি পরে আছে, তার সাথে হালকা সাজ।
এমনিতেই আমার নীল কালার অনেক প্রিয়।
আমি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম যে নিশি ভালো ভাবে শাড়ি পরতে পারে নাই
কোনো রকম শুধু পেচিয়ে রেখেছে।
এটা দেখে আমি জোরে হেসে দিলাম।আর তখন নিশি আমার কাছে এসে বলল।
নিশিঃ একি আপনি পাগলের মত হাসছেন কেন??
আমিঃ কিহ্,, আমি পাগল।
নিশিঃ নয় তো কি। পাগল না হলে কেউ এমন করে হাসে।
আমিঃ তোমার শাড়ি পরা দেখলে যে কেউ পাগল হয়ে যাবে (বলে আবার হাসতে শুরু করলাম)
নিশিঃ দেখুন একদম হাসবেন না।
আমি শাড়ি পরতে পারি না তাই বলে এভাবে হাসতে হবে (মন খারাপ করে)
আমিঃ ঠিক আছে আর হাসবো না।
তার আগে তুমি আমার কাছে আসো তোমায় ভালো করে শাড়ি পরিয়ে দিই।

নিশিঃ আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন (অবাক হয়ে)
আমিঃ হুম পাড়ি দাড়াও তোমাকে পড়িয়ে দিই।
তারপর আমি নিশি কে শাড়ি পড়িয়ে দিই আর নিশি আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে।
শাড়ি পড়ানো শেষে আমি নিশির দিকে তাকিয়ে ওর প্রেমে পড়ে যাই।
কারন শাড়িতে নিশিকে অপরূপ সুন্দর লাগলে।
আর নিশি দেখতে ইশার থেকেও অনেক সুন্দর।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছে এমন সময় নিশি আমাকে বলে।
নিশিঃ বাহ আপনি তো দেখছি অনেক ভালো শাড়ি পড়াতে পারেন।
নিশ্চয় আপুকে পড়ানোর জন্য শিখেছেন (এটা বলেই নিশি নিজের জিহ্বায় কামর দেয়
কারন সে ভুল কথা বলে ফেলেছে)
আর ইশার কথা শুনে আমার মন আবার খারপ হয়ে যাই।
 তাই আমি নিশিকে বলি চল এখন নিচে যাওয়া যাক সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তারপর আমি আর নিশি নিচে যাই।
তখন সবাই আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে কারন আমিও একটা নীল শেরওয়ানী পরেছি।
তারপর আমি আর নিশি খাওয়ার টেবিলে পাশাপাশি বসি।
আর খাওয়ার একপর্যয়ে আমি আব্বু কে বলি।
আমিঃ আব্বু আমি ইয়ামিন এর সাথে সব কথা বলে নিয়েছি।

আর কাল সকালে আমি আর নিশি কয়েক দিনের জন্য ঢাকাই যাবো।
আব্বুঃ হুম বুঝেছি আর আমিও সব কথা বলে রেখেছি।
কালকে সকালে তোদের ঢাকার ফ্লাইট।
আমিঃ আমি যা যা বলেছিলাম সব কিছুর এরেজমেন্ট কি হয়ে গেছে আব্বু??
আব্বুঃ না সব হয় নাই তবে আজকের মধ্যেই সব ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।
তারপর আরো কিছু কথা বলে আমি আর নিশি রুমে আসলাম।
তখন নিশি আমায় জিঙ্গেসা করলো যে আমরা কেন ঢাকায় যাবো।
তাই আমি তাকে বললাম যে এটা আমার তরফ থেকে নিশির জন্য সারপ্রাইজ।
আর আমি নিশি কে ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে বলি।
নিশি আমার কথা মত নিজের ব্যাগ গুছিয়ে রাখে।
অন্য দিকে ইশা আর মেহেদিও বিয়ে করেছে। আর তারাদুজনই অনেক খুশি।
আর তখন মেহেদির ফোনে একটা কল আসে।
মেহেদীঃ হ্যালো কে বলছেন??
অপরপাশেঃ..........
মেহেদীঃ ওহ স্যার আপনি। কিছু দরকার আছে নাকি।
অপরপাশেঃ.............
মেহেদীঃ ওকে স্যার আমি সব ব্যাবস্থা করে দিবো। এখন রাখি।
ইশাঃ কে ফোন করেছিলো??

মেহেদীঃ আমাদের নিউ CEO ফোন করেছিলো।
আর বলল যে কাল তিনি ও তার ওয়াইফ আসবে ঢাকাই।
তাই একটা গ্রান্ড পার্টি এরেজমেন্ট করা হয়ে আর সেখানে আমাকে আমার বউ কে নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
ইশাঃ ওও।
মেহেদীঃহুম,চল এখন ঘুমাতে যাই কাল আবর অনেক কাজ আছে।
তারপরের দিন মেহেদী আর ইশা পার্টিতে যাই।
আর তার পৌছানোর কিছুক্ষন পরে হেলিকপ্টার এ করে মেহেদীর নিউ বস আসে।
আর অফিসের সব স্টাফ তাকে স্বাগতম জানানোর জন্য যাই।
আর যখনি নতুন বস ও তার ওয়াইফ হেলিকপ্টার থেকে নিচে নামে তখুনি ইশা প্রচন্ড রকমের একটা শক খাই।
কারন মেহেদীর কম্পানীর নতুন বস অন্য কেউ না।
তার প্রক্তন প্রেমিক রাজ এই কম্পানীর বস আর তার ওয়াইফ হলো ইশার আপন বোন নিশি।
কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব রাজ তো ইশাকে বলেছিলো যে সে একজন সাধারন ঘরের ছেলে।
কিন্তু সে এত বড় কম্পানীর মালিক হল কিভাবে...

চলবে.......

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com