Breaking News

শালিকা যখন বউ । পর্ব - ০৭


পরের দিন সকাল বেলা নিশির আগেই ঘুম ভেঙ্গে যাই।
আমি ঘুম থেকে উঠে যখন বসতে যাবো তখন দেখি নিশি আমার বুকের মাঝে শুয়ে আছে।
আর নিশির ঘুমন্ত চেহারা টা অনেক সুন্দর লাগছে।
হইতো সব মেয়েদের ঘুমন্ত চেহারা এক রকম হয় কিন্তু নিশির মতো কারো হয় না।
তখন আমি খেয়াল করে দেখি নিশির মুখের উপর কিছুটা চুল এসে পড়েছে যার কারনে তার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে।
তাই আমি নিশির মুখের উপর থেকে চুল গুলা সরিয়ে কানের সাথে গুজে দিই।
তখনি আমার চোখ আটকে যাই নিশির গোলাপি ঠোটের উপর।
আমি নিজের অজান্তেই নিশির ঠোটে চুমু দিয়ে বসি। আর তখুনি নিশি জেগে যাই।
আমাকে ওর এত কাছে দেখে নিশি কিছূটা ঘাবরে যাই।
আর আমি ওকে কিস করেছি এটা বুঝতে পেরে নিশি লজ্জা পেয়ে আমার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেলে। তখন আমি নিশি কে বলি।
আমিঃ এই কি হলো তোমার আর এমন কেন করছো।
নিশিঃ আমার মনে হয় লজ্জা করে না।

আমিঃ বাবা এখনি এত লজ্জা তাহলে রাতে যা হবে তখন কি করবা।
নিশিঃ যাহ ফাজিল কোথাকার মুখে কিছু আটকায় না ( বলে আবার আমার বুকে মুখ গুজলো)
আমিঃ নিশি জানো তোমার ঠোটের স্বাদ কিন্তু সেইরকম( নিশিকে লজ্জা দেওয়ার জন্য)
নিশিঃ যাহ ( এই বলে ওয়াশ রুমে পালালো)
আর আমি বসে বসে ভাবতে লাগলাম পাগলি টা এই কয় দিনে আমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। আর আমিও ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি)
কিছুক্ষন পরে নিশি ওয়াশরুম থেকে বাহির হলো আর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি নিশি চুল মুচছে।
তখন আমি নিশি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরি।
আর নিশির চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিই এতে নিশি কিছূটা কেপে উঠে।
আমি নিশির চুলের গন্ধে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম।
নিশির ডাকে আমার ঘোর ভাঙ্গল। নিশি আমাকে বলল
নিশিঃ এই যে মিস্টার অফিসে যাবেন না নাকি।
আমিঃ এত সুন্দর বউ রেখে কিভাবে অফিস যাই বলতো।
তার চেয়ে বরং চল তুমি আর আমি ঘুরতে যাই।
নিশিঃ সত্যি বলছেন ( অনেক খুশি হয়ে
আমিঃ না মিথ্যা বলছি।

আমার কথা শুনে নিশির হাসি মাখা মুখ নিমিষেয় গায়েব হয়ে গেল।
তখন আমি বললাম,,
আমিঃ থাক আর ঢং করতে হবে না, তারাতারি গিয়ে রেডি হয়ে আসুন।
নিশিঃ আপনি অনেক কিউট ( বলে আমাকে কিস করে এক দৌড়ে পালালো)
আমি তখন মনে মনে বললাম পাগলী একটা।
কিছুক্ষন পরে নিশি নেভি-ব্লু শাড়ি পরে বের হল।
আর সাথে হাল্কা সাজ। এতে নিশিকে আরো বেশি সুন্দরী লাগছিলো।
তারপর নিশি আমার কাছে এসে বলে,,,
নিশিঃ চলুন আমি রেডি।
আমিঃ হুম চলো,,
তারপর আমি ম্যানেজার কে ফোন দিয়ে আসতে বলি (ম্যানেজার মানে ইশার হাজবেন্ড)
কিছুক্ষন পরে ইশা ও তার হাজবেন্ড আসে। আর আমাকে বলে।
মেহেদীঃ স্যার আপনি যা যা বলেছিলেন সব রেডি।
আমিঃ ধন্যবাদ মেহেদী সাহেব।

মেহেদীঃ আরে এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে।
আমিঃ মেহেদী সাহেব আমি আপনাকে একটা জিনিস আনতে বলেছিলাম সেটা কি এনেছেন।
মেহেদীঃ হ্যা স্যার এনেছি,, এই নিন ( আমার দিকে একটা পেকেট এগিয়ে দিয়ে)
তখন আমি নিশি কে ডাকি আর জিঙ্গেসা করি এই টা কেমন হয়েছে। আপনাদের তো বলতেই ভুলে গিয়েছি ওই পেকেটের মধ্যে একটা নেকলেস ছিলো। যেটা আমি নিশির জন্য আনতে বলেছিলাম।
নিশিঃ Wow its so Gorgeus..
আমিঃ হুম এবার পড়ুন দেখি।
নিশিঃ এটা আমার জন্য,,
আমিঃ হুম এবার পড়ুন তো।
নিশিঃ না আপনি আমাকে পড়িয়ে দিই।
তো কি আর করার সবার সামনে আমি নিশিকে ণেকলেস টা পড়িয়ে দিলাম।
পড়ানোর পর ইশার দিকে তাকিয়ে দেখি সে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে নিশির দিকে।
হইতো সে এটা ভাবছে যে যা ওর পাওয়ার কথা ছিলো সেটা তার ছোটবোন পাইতেছে।
তারপর আমি আর নিশি ঘুরতে বাহির হলাম।

সারাদিন ঘুরা ঘুরি করে যখন নদীর ধারে গিয়ে বসলাম তখন নিশি বলল যে সে ফুচকা খাবে।
অনেক বোঝানোর পরেও কোনো লাভ হইলো না তাই তাকে ফুচকা খেতে নিয়ে গেলাম।
আর আমি নিশির ফুচকা খাওয়া দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না।
মেয়েরা এত ফুচকা কিভাবে খেতে পারে সেটা আল্লাই ভালো জানে।
প্রায় অনেক রাত হয়ে যাই বাসাই ফিরতে।
তারপর বাসাই ফিরেই আমি ওয়াশ রুমে চলে যাই ফ্রেশ হতে।
আমি বের হওয়ার পরে নিশি ডুকে। কিছুক্ষন পরে নিশি বাহির হয়।
তখন আমি নিশিকে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরি আর বলি।
আমিঃ সকালে কি বলেছিলাম মনে আছে।
নিশি উত্তরে শুধু মাথা নাড়ালো।
আমিঃ তাহলে শুরু করা যাক।
নিশিঃ আমি কি নিষেধ করেছি নাকি।
আমি নিশির সায় পেয়ে ওকে কোলে তুলে নিই আর বিছানায় গিয়ে রাখি।
তারপর আমি নিশির গলায় আস্তে করে কয়েটা কিস করি।
এতে নিশির নিশ্বাস আস্তে আস্তে ঘন হতে থাকে।

তারপর আমরা দুজন হারিয়ে যাই ভালোবাসার অতলে।
(আর কিছু কমু না লজ্জা লাগে)
পরের দিন সকালে নিশির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে।
নিশি মাত্র গোসল করে এসেছে। আর ওকে দেখতেও অসাধারণ লাগছে।
তাই আমি নিশিকে এক টানে আমার বুকের উপর নিয়ে আসি তখন নিশি বলে
নিশিঃ সারারাত দুষ্টুমি করেও হয় নাই। এখন আবার শুরু করেছেন।
তারাতারি রেডি হয়ে অফিস জান।
আমিঃ ওকে বাবা আমি যাইতেছি তার আগে একটা কিস দাও।
নিশিঃ একটা দিলে যাবেন।
আমিঃ হুম যাবো।
তারপর নিশি আমাকে একটা কিস দেয়। আর আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে যাই।
কিছুদিন পরে আমি আর নিশি আমাদের বাসাই চলে আসি আর সেখান থেকেই অফিস শুরু করি।
খুনসুটি ভালোবাসাই আমাদের দিন খুব ভালোই চলছিলো কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাই। যা আমাকে আর নিশি কে....

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com