হিংসুটে ললনা । পর্ব - ০৪
আমি তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে আমাকে ডাকছে,,,,
আমি সেইদিকে না তাকিয়ে চুপচাপ হেটে যেতে লাগলাম,,,,
কিছুক্ষন পর ছেলেটা আমার সামনে আসল,,,,
ছেলেঃ-তোকে না আমি ডেকেছি??
আমিঃ- শুনতে পাই নাই,,,
ছেলেঃ- যখন বাশ পড়বে পিঠে তখন ঠিকি শুনতে পাবে,,,,
এইভাবে কয়েকটা ছেলে আমার সামনে এসে আমাকে ঘিরে দাঁড়ালো,,,
আমিঃ- পথ আটকে রেখেছেন কেন??
ছেলেঃ- তোর ইরা ভাবিকে বিয়ে করার খুব সখ তাই না??
আমিঃ- কি যাতা বলছেন??
ছেলেঃ- কাল তুই ইরা ভাবিকে বিয়ে করে ভুল করেছিস এখন তার শাস্তি পেতে হবে,,,,
এইবলে ছেলে গুলা আমাকে এলো পাতাড়ি মারতে শুরু করলাম,,,
কেউ জানি আমার মাথায় অনেক জোরে একটা বাড়ি দেয়,,,,
এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হতে লাগল,,,,
সব কিছু অন্ধকার মনে হতে লাগল,,,
এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি,,,,
জ্ঞান ফিরে দেখি আমি নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করি,,,
আমার পাশে আঙ্কেল বসে আছে,,,
আমার জ্ঞান ফিরা দেখে তিনি নিজেকে স্থির করে রাখতে পারলেন না৷ কেঁদে দিলেন তিনি,,,,
আমিঃ- আরে আঙ্কেল আপনি কাঁদছেন কেন??
আঙ্কেলঃ- আগে বল তোকে এউভাবে কে মেরেছে??
আমিঃ- কি করে বলব আমি তো তাদের কাউকে চিনি না,,,,
আঙ্কেলঃ- তা ওরা তার উপর হঠাৎ হামলা করল কেন??
আমিঃ- সেটার উত্তর ও আমার কাছে জানা নেই,,,
আঙ্কেলঃ- আচ্ছা তুই রেষ্ট নে,,,ডাক্তার বলেছে যে তোকে দুই দিন পর রিলিজ দেয়া হবে,,,,
আমিঃ- ওকে,,,,,
আমি চুপচাপ সুয়ে আছি আর ভাবছি,,,
ইরা আমার সাথে এমন টা কিভাবে করতে পারল??
দোষ কি আমার একার ছিল??ওর কোন দোষ ছিল না??
আজ ও আমার এই অবস্থা করেছে,, একদিন আমি ওকে তিলে তিলে কষ্ট দিব,,,তখন ও বুঝবে যে অবহেলা কি জিনিস,,,,,,,,
আর আমি আঙ্কেল কে কিভাবে বলি যে ইরা আমাকে মার খাইয়েছে,,,,,
আজ আমার এই অবস্থার জন্য ইরা দায়ী,,,,,,
এইভাবে দুই দিন আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হল,,,,
আজ আমাকে রিলিজ করে দিল,,,,
আঙ্কেল আমাকে ধরে বাসায় নিয়ে আসল,,,,
আঙ্কেল আর রিয়া ছাড়া কেউই আমাকে দেখতে যায় নাই,,,,
আঙ্কেল আমাকে রুমে খাটের উপর সুয়ে দিল,,,,,
আঙ্কেলঃ- এইখান থেকে নড়বি না,,,,এইখানে সুয়ে থাক,,,
আমিঃ- ওকে,,,,,
আঙ্কেল চলে যাবার সাথে সাথে রিয়া আমার রুমে আসল,,,,
রিয়াঃ- এখন কেমন বোধ করছেন??
আমিঃ- এইত ভালো,, ,
রিয়াঃ- আপনার এই অবস্থা কে করল??
আমিঃ- সেটা তো আমি বলতে পারব না(মিথ্যা)
রিয়াঃ- কিন্তু আমি পারব,,,
একি রিয়া কোথায় থেকে জানল যে ইরা আমার এই অবস্থা করেছে??
আমিঃ- তাহলে বলুন কে করেছে??
রিয়াঃ- ইরা করেছে,,,
আমিঃ- আরে ধুর আপনি পাগল নাকি ও করতে যাবে কেন??
রিয়াঃ- ও যখন আপনাকে মারার পর ওই লোক গুলার সাথে কথা বলছিল তখন আমি শুনেছি,,,,
আমিঃ- আপনি দয়া করে কাউকে বলবেন না,,,,
রিয়াঃ- না আমি সব আঙ্কেল কে বলব,,,,ওর উচিৎ শিক্ষা পাওয়া উচিৎ,,,,,,
আমিঃ- আপনাকে আমার কসম দিলাম যদি বলেন তাহলে আমি আর এই বাড়িতে থাকবনা,,,,
রিয়াঃ- কি বললেন আপনি??আপনি ইরার মত বেইমান মেয়ে কে বাঁচাতে চান??
আমিঃ- সে একদিন ঠিকি তার ভুল বুঝতে পারবে তাই আমি চাইনা
আঙ্কেল কে এইসব শুনে ইরার প্রতি ঘৃনা জন্মাক,,,,,
রিয়াঃ- নিজের জন্য কি কোন মায়া নেই আপনার??
আমিঃ- হঠাৎ এই প্রশ্ন??
রিয়াঃ- ইরা যে আপনাকে পরবর্তী তে আঘাত করবে না সেটার মানে কি??
আমিঃ- সেটাও না হয় সহ্য করে নিব,,,,
রিয়াঃ- সত্যি করে একটা কথা বলবেন??
আমিঃ- হুম বলেন,,,
রিয়াঃ- আপনি কি ইরাকে ভালোবাসেন??
আমিঃ- ধুর কি প্রশ্ন করছেন??
রিয়াঃ- দেখুন সত্যি করে বলেন আপনি কি ইরাকে ভালোবাসেন??
আমিঃ- হুম,,,,
রিয়াঃ- ইরাকি আপনাকে মেনে নিবে??
আমিঃ- সেটা হয়ত ভাগ্যের পরিহাস,,,,
রিয়াঃ- আপনি কি পারবেন ইরাকে আপনার ভালোবাসার পরিচয় দিয়ে স্ত্রি হিসেবে কাছে টেনে নিতে??
আমিঃ- হয়ত একদিন সফল হব,,,
চেষ্টা করতে সমস্যা কি??
রিয়াঃ- আমি চাই যে আপনি ইরাকে নিজের করে পান,,,
এইভাবে চলতে থাকলে ইরা আপনাকে আরো দুরে ঠেলে দিবে,,,,
আমিঃ- তাহলে আমাকে কি করতে হবে???
রিয়াঃ- আপনি নিজের অধিকার টা বুঝে নেন,,তাহলে হবে,,,,
আমিঃ- ওকে,,,,,কিন্তু আঙ্কেল,,,,,
রিয়াঃ- আঙ্কেল কে ব্যবস্থা করা যাবে,,,আপনি আপনার কাজে লেগে যাবেন,,,,
আমিঃ- হুম,,,
রিয়াঃ- তাহলে আমি যাই,,, আবার পরে দেখতে আসব,,,,
আমিঃ- ওকে,,,,
রিয়া চলে গেলে আমি ঘুমে তলিয়ে যাই,,,
ঘুম থেকে অনুভব করলাম কেউ একজন আমার নাকের কাছে হাত ধরেছে,,,,
আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি ইরা,,,,
আমিঃ- আপনি হঠাৎ আমার রুমে??
ইরাঃ- আপনাকে দেখতে এলাম বেঁচে আছেন নাকি মরে গেছেন(ব্যঙ্গ করে)
আমিঃ- আমি আপনার কি ক্ষতি করলাম যে আপনি আমার আজ এই অবস্থা করলেন??
ইরাঃ- তুই আমাকে বিয়ে করলি কেন??
আমিঃ- আমি তো আর ইচ্ছে করে করি নাই,,,আমাদের জোর করা হয়েছে,,,,
রিয়াঃ- তুই সেখান থেকে পালাস নাই কেন??
আমিঃ- পালালে আজ এখানেও থাকতে পারতাম না,,,,
ইরাঃ- মরে গেলেই তো পারতি,,,,
আমিঃ- এত অবহেলা আমার জন্য??
ইরাঃ- শুন তোকে যেই কথা বলার জন্য এসেছি তুই কাল কলেজে যাবি না,,,
তোর সাথে বাসায় কাজ আছে,৷,,,
আমিঃ- কি কাজ???
ইরাঃ- সেটা কাল দেখবি যদি কলেজে যাস তাহলে এই দুনিয়ার আলো তোর জন্য হারাম হয়ে যাবে,,,
আমিঃ- ওকে যাব না,,,,
ইরাঃ- গুড,,,,
এই বলে ইরা চলে গেল,,,
হঠাৎ ইরার সাথে আমার কি কাজ?? যে আমাকে থাকতে বলছে,,,,,,,
নাকি নতুন কোন চাল ওর,,,,
ধুর সেটা কাল দেখা যাবে,,,,,
বিকেলে বাসায় একটু হাটাহাটি করলাম,,, ভালো করে হাটতে পারি না,,,,
খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতে হয়,,,,
রাতে সবার সাথে একসাথে বসে খাবার খেলাম,,,,
এসে সুয়ে সুয়ে একটা বই পড়তে লাগলাম,,,
কখন যে চোখ লেগে এসেছে তা আমি বুঝতেই পারি নাই,,,,
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে খাবার খেলাম,,,,
আঙ্কেল অফিসে চলে গেল,,,,
আমি ইরার কথা মত বাসায় রয়ে গেলাম ইরাও কলেজে গেল না আমাকে যেতে দিল না,,,,,
আমি বাসায় সুয়ে সুয়ে মোবাইল টিপছি,,,,
হঠাৎ ইরা আমার রুমে প্রবেশ করে
কোন কথা না বলে আমার কলার চেপে ধরে সবার সামনে নিয়ে যায়,,,,,,,
আমিঃ- কি হল আমাকে এইভাবে টেনে আনলেন কেন??
ওরা আমার কোন কথা জবাব না দিয়ে,, হঠাৎ আন্টি সামনে এসে,,,,
আন্টিঃ- ঠাসসসসস,,ঠাসসসসসস,,
আন্টি আমার গালে দুইটা থাপ্পড় মারল,, আমি সাথে সাথে হা করে দাঁড়িয়ে রইলাম,,,,
আমিঃ- আন্টি আপনি আমাকে মারলেন??আমার অপরাধ কি ছিল??
আন্টিঃ- তোর সাহস কি করে হয় ইরাকে বিয়ে করার,,,,
আমিঃ- আপনি সম্পুর্ন ঘটনা শুনেছেন???
আন্টিঃ- আমার কিছু শুনা লাগবে না,,,,তুই কোন সাহসে ইরার দিকে হাত বাড়িয়েছিস??
আমিঃ- আন্টি আপনি আমাকে একবার বিশ্বাস করুন,,, এতে আমার একার দোষ নেই,,,,,
রিয়াঃ- জ্বি মামি এইখানে ইমন ভাইয়ার একার দোষ নেই,,,দোষ বেশি হল ইরার,,,,
আন্টিঃ- রিয়া তুমি চুপ থাকো,,,আমি কোন কথা শুনতে চাই না,,,,
আমিঃ- প্লিজ আমার কথা একবার বিশ্বাস করে দেখুন,,,,
আন্টিঃ- এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করবে কে??তুই ওর এত বড় সর্বনাশ কেন করলি??
আমিঃ- আমি করতে চাই নাই,,,
সব টাই পরিস্থিতির স্বিকার,,,,
আন্টিঃ- তুই আমার মেয়ের যে কলংক দিয়েছিস সেটা উঠবে একটা কাজ করলে,,,,,
আর সেটা হল তোকে বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে,,,,,
আন্টির কথা শুনে আমি থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম,,,,
আমার কপাল কি এতই খারাপ যে নিজের বাড়িতে নিজের ঠাই হয় না,,,,,
এই কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি পড়ে গেল,,,,
রিয়াঃ- মামি আপনি এইগুলা কি বলছেন,, ও অসুস্থ তার মধ্যে কই যাবে??
আন্টিঃ- যেখানে যাওয়ার যাক,,,আমাদের চোখের সামনে যাতে না আসুক,,,,,
আমিঃ- ওকে আমি চলে যাব,,,,,
রিয়াঃ- নিজের বাড়ি রেখে কই যাবেন আপিনি????
আমিঃ- দুই চোখ যেইদিকে যায় সেইদিকে যাব,,,,
আমি গেলে যদি ইরার ভালো হয় তাহলে আমি চলে যাব,,,,,,,,,
ইরাঃ- তাহলে এখুনি বের হয়ে যা,,,
আমিঃ- আঙ্কেল আসুক তারপর সবাইকে বিদায় করে চলে যাব,,,,,
ইরাঃ- বাবা আসলে তোকে কখনই বের করতে পারব না,,,,
আমিঃ- আজ এই জন্য কি আমাকে কলেজে যেতে দিলেন না??
ইরাঃ- হুম হিসেব বাকি ছিল মিটিয়ে নিয়েছি,,,তুই এখন বের হ এইবাড়ি থেকে,,
রিয়াঃ- বাহ মামি বাহ,,,,সবাই বলত আপনারা নাকি অনেক উদার মনের মানুষ,,,,
তাহলে এইটাই কি সেই উদারতা???
আন্টিঃ- কি বলতে চাও তুমি??
রিয়াঃ- গ্রামে আপনাদের কত প্রশংসা শুনি,,,,
কিন্তু সে সাদা মুখোশের আড়ালে যে কয়েকটা কালো মুখ আছে সেটা আমি আজ জানতে পেরেছি,,,,
আন্টিঃ- রিয়া তুমি কি বলতে চাও??
রিয়াঃ- আমি কিছুই বলতে চাই না,,,
আমি শুধু বলতে চাই আজ যে ক্ষমতার প্রভাবে আপনি ইমন ভাইয়াকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন সেই ক্ষমতা কিন্তু ইমন ভাইয়ার,, আপনার নেই,,,,,,,,,
ইরাঃ- রিয়া তুমি সামান্য অপরিচিত ছেলের জন্য নিজের মামি কে অপমান করছ??
রিয়াঃ- সত্যি বললে যদি অপমান বোধ করে তাহলে আমি সরি,,,,
আমিঃ- প্লিজ বন্ধ করুন আপনাদের ঝগড়া,,,,
আমি চলে গেলে যদি আপনারা ভালো থাকেন তাহলে
আমি এখনি চলে যাচ্ছি,,,
রিয়াঃ- না ভাইয়া আপনি কোথাও যাবেন না,,,আপনি নিজের বাড়িতে থাকবেন,,,
আমিঃ- সেই ভাগ্য আমার নেই,,,
আচ্ছা আমি আমার ব্যাগ গুছিয়ে আনছি,,,,,,
এই বলে আমি আমার রুমে চলে আসলাম ব্যাগ গুছানোর জন্য,,,,
রিয়াঃ- খুশি হয়েছেন আপনার??ভাইয়া চলে যাচ্ছে,,,,,
ইরাঃ- তোর এত মাথা ব্যথা কিসের ইমন এর জন্য??
রিয়াঃ- শুধু ইমন ভাইয়া নয় বরং অন্যকেউ থাকলে আমি এই কাজ করতাম,,,,
আন্টিঃ- ওকে সবাই সবার রুমে যাও,,,,একটু পর আপদ বিদায় হবে,,,
রিয়াঃ- যদি আজ ইমন ভাইয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে সেই সাথে আমিও বেরিয়ে যাব,,,,,
থাকব না তোমাদের মত কাল সাপের সাথে,,,,,,
আন্টিঃ- ইমন এর যাওয়ার সাথে তোমার যাওয়ার সম্পর্ক কি???
রিয়াঃ- যেই বাড়িতে মালিকের জায়গা হয় না,,সেইখানে আমার থাকা বেমানান,,,,,
আন্টিঃ- ওই বদমাশ টা তোমার মাথায় ভুত চাপিয়ে দিয়েছে,,,,,
রিয়াঃ- আঙ্কেল আজ আপনাদের মাথায় ভুত চাপাবে,,,,,
ইরাঃ- মানে,,,,
রিয়াঃ- মানেটা একটু পর টের পাবা,,,,
এইদিকে আমি ব্যাগ গুছিয়ে সবার সামনে আসলাম,,,,
আমিঃ- আপনাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি,,,,
আপনাদের চলার পথে হয়ত বাধা হয়ে আমি দাঁড়িয়েছি
তাই আমি চাইনা আপনারা আমার জন্য কষ্ট ভোগ করেন,,,
তাই আমি চলে যাচ্ছি,,,,,,,
রিয়াঃ- আপনি যাবেন কই থাকবেন??
আমিঃ- সেটা নাহয় আল্লাহ ঠিক করে দিবে,,,,।
রিয়াঃ- না প্লিজ আপনি যাবেন না,,
আমিঃ- না আমাকে যেতে হবে,,,,
রিয়াঃ- তাহলে আপনি দাঁড়ান আমি চলে যাব এই বাড়ি থেকে,,,,,
আঙ্কেলঃ- কেউ যাবে না এই বাড়ি থেকে,,,
কথা শুনে তাকিয়ে দেখি দরজায় আঙ্কেল দাঁড়িয়ে আছে,,,,,
সবাই তাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে,,,
কেউ হয়ত আশা করে নি যে উনি অবেলায় আসবেন,,,,
আন্টিঃ- তুতুতুমমিইই এইখানে??.
আঙ্কেলঃ- আমাকে দেখে খুব অবাক হচ্ছ তাই না,??
ইরাঃ- বাবা তুমি তো এই সময় আসো না,,,তাহলে আজকে,,,,,
আঙ্কেলঃ- ভেবেছিলি আজকে আমাকে অফিসে পাঠিয়ে তোরা ইমনকে বাড়ি থেকে বের করে দিবি??
আন্টিঃ- তুমি জানো ও কি করেছে??
আঙ্কেলঃ- আমি সব জানি,,, কাল রিয়া আর ইমন কথা বলার সময় আমি শুনেছি,,,,
ইরাঃ- তারপরো ওকে কিছু বলবা না,?>>
আঙ্কেলঃ- দোষ তো ওর না তোর ছিল,,,,,
ইরাঃ- আমার দোষ??(অবাক হয়ে)
আঙ্কেলঃ- হুম তোর দোষ সব,,,তুই যদি ইমন কে জড়িয়ে না ধরতি তাহলে আজ এই সব হত না,,,,,
ইরাঃ- এখন তুমি কি বলতে চাও,,,
আঙ্কেলঃ- দেখ মা বিয়ে জীবনে একবার ই হয় তাই আমি চাই তুই ইমন কে গ্রহন করে নে,,,,,
ইরাঃ- না আমার এই প্রান থাকতে আমি তাকে কোন দিন মেনে নিব না,,,,
আঙ্কেলঃ- যখন আমার চাকরি ছিল না,,তখন ওর বাবা ওর মায়ের একটা সোনার চেইন আমাকে দিয়েছিল যাতে আমি ভালো কিছু করতে পারি,,,,,
মনে হয় না আমি ওদের ঋন কখনো শোধ করতে পারব,,,,,
ইরাঃ- তাহলে কি তুমি ওর বাবার সাথে লেনা দেনার জন্য আমাকে কুরবানি দিচ্ছ??
আঙ্কেলঃ- বাহ তুই হুবুহু তোর মায়ের মত অকৃতজ্ঞ হয়েছিস,,,,
তুমি তো জানো যে ওর বাবা মা আমাদের জন্য কি কি করেছে(আন্টিকে বলল)
আন্টিঃ- (চুপ)
আঙ্কেলঃ- তোর ইমন কে মেনে নিতে সমস্যা কোথায়??
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com