Breaking News

হিংসুটে ললনা । পর্ব - ০২

তারপর আমি আমার বাসায় এসে পড়লাম,,,
আন্টি খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেল,,,
আমি ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম,,,,,
আমি গিয়ে ইরার সাথে বসতে যাব ঠিক তখনই,,,
ইরাঃ- এই তুই এইখানে বসবি না,,
আমিঃ- কেন??
ইরাঃ- আমার মুখের উপর প্রশ্ন করার সাহস কোথা থেকে পেলি,,,,
আমিঃ- (চুপ)
ইরাঃ- তুই আর কখনো আমাদের সাথে বসে খাবি না,,,তুই তোর রুমে নিয়ে গিল,,,,
আমি কিছু না বলে চুপচাপ আমার খাবার নিয়ে রুমে এসে খেতে লাগলাম,,,
খাবার শেষ করে রুমে সুয়ে সুয়ে মোবাইল টিপছি হঠাৎ রুমে আন্টি আসল,,,,
আমিঃ- আন্টি আপনি এইখানে,??
আন্টিঃ- তোকে একটু বাজারে যেতে হবে,,,,
আমিঃ- ওকে যাব বলেন কি আনতে হবে??

আন্টিঃ- ইরার জন্য কিছু কসমেটিক আর কিছু না,,,
আমিঃ- ওকে কি কি আনব বলেন,,,
তারপর আন্টি আমাকে একটা লিস্ট দিল,, আর আমি খুশি মনে বাজারে চলে আসলাম,,,
সব আইটেম কেনা শেষ বাট একটা আইটেম পাচ্ছি না,,,,
সারা বাজার খুজলাম কিন্তু কিছু তেই পেলাম না
সবই তো নিলাম একটা না নিলে সমস্যা হবে না,,,(মনে মনে)
বাজার থেকে সব কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম,,,
আন্টির হাতে ব্যাগ টা দিয়ে আমি রুমে আসলাম,,,
কিছুক্ষন পর খুব চিৎকার করে আমার নাম ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম,,,,
হয়ত ইরা ডাকছে,,,আমি দ্রুত ইরার কাছে গেলাম,,,
আমিঃ- কিছু লাগবে আপনার?
ইরাঃ- তুই সব কসমেটিক ঠিক মত এনেছিস কিন্তু যেইটা মেইন ওই টা আনিস নি কেন??
আমিঃ- আমি আসলে সারা বাজার খুজেও পাই নাই৷৷,,,,
ইরাঃ- ঠাসসসসস,,,ঠাসসসসস,,এত বড় মিথ্যা কথা??তুই আসলে একটা কাজ চোর,,,,
ইরার মুখে চোর কথা শুনে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল,,,,
চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছি,,

আমিঃ- আমাকে চোর বলবেন না,,
ইরাঃ- ঠাসসস,,,তোর এত বড় সাহস যে তুই আমার মুখের উপর কথা বলিস,,,,
ইরার থাপ্পড়ে হয়ত ঠোঁট কাটা গেছে,,,
ও এত জোরে মেরেছিল যে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল,,,,,
ইরাঃ- যা আমার চোখের সামনে থেকে,,,
চোখের পানি ফেলে নিজের রুমে আসলাম আর মুখের উপর বালিশ রেখে কাঁদতে লাগলাম যাতে আমার কান্না যাতে কেউ শুনতে না পায়,,,,
আজ বাবা মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে,,,,
বাবা মায়ের ছবি টা বের করে কাঁদতে লাগলাম,,,আর বলতে লাগলাম,,,,
(মা গো আমি জানতাম না যে তোমরা আমার উপর থেকে সরে গেলে যে অন্ধকারের ছায়া আমাকে এইভাবে গ্রাস করবে,,,,,,
তোমরা তো আমাকে এত অবহেলা দিয়ে বড় কর নাই,,,
আমি তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি,,,,
আজ নিজের বাড়িতে কেনো চাকরের মত থাকতে হচ্ছে আমায়??
এই নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই,,,
তোমরা আমার কথা ভেবে কষ্ট পেও না,,আমি খুব ভালো আছি,,,,

শুধু আমাকে একটু দোয়া কইর যাতে সব বাধা অনায়েশে পার করে দিতে পারি,,,)
এইভাবে মা বাবার ছবি বুকে নিয়ে কাঁদতে লাগলাম,,,,
এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লাম,,,
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ছাদে গেলাম,,, গিয়ে কতক্ষন প্রকৃতির সাথে প্রেম করে আসলাম,,,,
বাসায় ঢুকে দেখি আঙ্কেল অফিস থেকে চলে আসল,,,,
আঙ্কেলঃ- কিরে তোর ঠোঁট এ কি হয়েছে??
কি বলব কি বলব বুঝতে পারছি না,,ধুর একটা বানিয়ে বলে দিই,,,
আমিঃ- দুপুরে হঠাৎ চলতে গিয়ে একটা দেওয়ালের সাথে ধাক্কা খাই অনেক জোরে,,,,
আঙ্কেলঃ- অনেকখানি কেটে গেছে,,দেখে চলতে পারিস না,,,
আমিঃ- (চুপ).

আঙ্কেলঃ- একটু আমার রুমে আয় তোর সাথে কথা ছিল,,,,
আমিঃ- আগে আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন তারপর না হয় আমি যাব,,,
আঙ্কেলঃ- ওকে,,,,
আমি আমার রুমে এসে বিছানা গুছাতে লাগলাম,,,,,
বিছানা গুছিয়ে আমি আঙ্কেল এর রুমে গেলাম দেখি সেখানে আন্টি আর ইরা আছে,,,
আমি গিয়ে একপাশে দাঁড়ালাম,,,
বাড়ির সবাই আঙ্কেল কে মোটামুটি ভয় পায়,,,,
আঙ্কেলঃ- ইরা কাল তোর ফুফাতো বোন রিয়া আসবে,,,,
ইরাঃ- কিই??সত্যি??(খুশি হয়ে)
আঙ্কেলঃ- ও আজকে আমাকে ফোন করল যে সে কাল দুপুরে এইখানে এসে পৌছাবে,,,,,
ইরাঃ- বাহ তাহলে তো খুব ভালো হয়,,, ওকে অনেকদিন যাবৎ দেখি না,,,
অনেক দিন পর দেখা হবে,,,,

আঙ্কেলঃ- হুম আর ইরা কাল কি তোর ক্লাস খুব গুরুত্বপূর্ণ??
ইরাঃ- হুম আমার প্রত্যেকটা ক্লাস গুরুত্বপূর্ণ। কোনটাই মিস করা যাবে না,,,,,,
আঙ্কেলঃ- ইমন তাহলে তো তোমার ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে??
আমিঃ- তেমন নেই আমার,, আপনি যা বলবেন তা করব,,,বলেন কি করব??
আমি তো জানি যে ইরার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস হল ওই রবির সাথে ঘুরে বেড়ানো,,(মনে মনে)
আঙ্কেলঃ- আমি চাই তুই কাল রিয়া কে রিসিভ করবি,,,,,,
আমিঃ- ওকে বাট তাকে চিনব কীভাবে???
আঙ্কেলঃ- সেটা না হয় আমি বলে দিব,,,এখন তোরা যা আমি একটু রেস্ট নিই,,,,,
আমিঃ- হুম,,,
আমি চলে এলাম আমার রুমে এসে বই পড়তে লাগলাম,,,,,
পড়তে পড়তে রাত একটু গভির হয়ে গেল,,,,
আঙ্কেল খেতে ডেকেছিল তাই পড়া বন্ধ করে খেতে গেলাম,,,,
আঙ্কেলঃ- এই নাও রিয়ার নাম্বার,,,,
আমিঃ- নাম্বার দিয়ে আমি কি করব??
আঙ্কেলঃ- কাল তাকে ফোন করে খুজে নিবে,,,
আমিঃ- ও,,,(নাম্বার টা নিলাম)
খাবার খেয়ে এসে আরো কিছুক্ষন পড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম,,,,
সকালে উঠে নাস্তা করলাম,, করে বই নিয়ে পড়তে লাগলাম,,,,
আন্টিঃ- এই যে বড়লোকের ছেলে সারা দিন পড়লে হবে
আমার সাথে কিছু কাজ করলেইতো পারো,,,,,
আমিঃ- বলেন কি কি করতে হবে,,,,,

আন্টি একের পর এক আমাকে কাজ দিয়েই চলেছে আজ নাকি কাজের মেয়ে আসে নাই তাই সব আমাকে দিয়ে করাচ্ছে আমিও চুপচাপ করতে লাগলাম,,,,,
কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে গেছে প্রায়,,,,
কোন মতে কাজ শেষ করে রিয়াকে রিসিভ করার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম,,,,,,
স্টেশনে পৌছে রিয়া কে একটা কল দিলাম,,,,
আমিঃ- রিয়া বলছেন??
রিয়াঃ- হুম আপনি ইমন না??
আমিঃ- হুম,, আপনি কি গাড়ি থেকে নেমেছেন??
রিয়াঃ- হুম অনেক আগেই নামলাম বাট আপনি কই??
আমিঃ- আগে বলুন আপনি কোথায়??
রিয়াঃ- আমি ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে আছি,,,,
আমিঃ- ওকে সেইখানে দাঁড়ান আমি আসছি,,,,
আমি ব্রিজের নিচে গেলাম,,,,হঠাৎ দেখলাম একটা মেয়ে কাকে জানি খুজতেছে,,,,
এই মেয়ে টা নয় তো??(মনে মনে)
আমি আবার রিয়াকে কল দিলাম,,,
দেখলাম মেয়ে টা সাইড ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করল,,,,
রিয়া ফোনে যা যা বলছে মেয়েটাও ঠিক তা তা বলছে,,,,
আমিঃ- আচ্ছা আপনি কি নিল কালারের ড্রেস পরেছেন??
রিয়াঃ- হুম ঠিক,,,,আপনি কি আমকে দেখতে পাচ্ছেন??
আমিঃ- হুম পাচ্ছি,,,,
রিয়াঃ- তাহলে সামনে আসুন,,,,
আমিঃ- ওকে,,,

আমি কল কেটে দিয়ে রিয়ার সামনে গিয়ে ওর ব্যাগ টা ধরলাম,,,
রিয়াঃ- এই কে আপনি আর আমার ব্যাগ ধরছেন কেন??
আমিঃ- আমি ইমন,,,আপনি মনে হয় রিয়া,,,,
আমিঃ- হুম আমি রিয়া,, তারমানে আপনি ইমন??
আমিঃ- হুম এইবার চলুন,,,,
রিয়ার ব্যাগ টা গাড়িতে তুলে আমরা দুজন গাড়িতে চেপে বসলাম,,,,
আমি ড্রাইভিং করছি,,,,
আমিঃ- আপনার আসতে কষ্ট হয় নি তো??
রিয়াঃ- একদম না,,,,
তা আপনি কি সেই ইমন যার কথা বলতে বলতে মামা এর মুখ থেকে রক্ত ঝরত??
আমিঃ- আঙ্কেল আমার নামে কি বলত??
রিয়াঃ- অনেক কিছুই বলত,,,,তা আপনি কিসে পড়েন??
আমিঃ- আমি সেটা না হয় পরেই জানবেন,,, আগে বাসায় গিয়ে রেষ্ট নিবেন তারপর,,,,,
রিয়াঃ- ওকে,,,,
তারপর আমি আর রিয়া বাসায় আসলাম,,,,
ইরা রিয়াকে দেখে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরল মনে হয় বি এফ কে ধরেছে,,,,
সবাই রিয়ার খোজ খবর নিতে লাগল,,,,
ইরাঃ- তুই আমাদের এইখানে কি করছিস??যা এইখান থেকে,,,,
রিয়াঃ- এই তুই ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করছিস কেন??
ইরাঃ- বাবা আসতে না আসতে এত দরদ হয়ে গেল,,,,চল রুমে যাই,,,,
রিয়াঃ- ওকে,,চল,,,,,

আমি আমার রুমে আসতে যখনি পা বাড়ালাম
তখন ইরা বলেছে ওদের জন্য যেন শরবত নিয়ে যাই রুমে,,,,,
আমিও ইরার কথা মত শরবত বানিয়ে ইরার রুমে গেলাম,,,,
রিয়া শরবত টা মুখে দিয়ে আমার হাতের প্রশংসা করতে লাগল,,,,
যেই ইরা শরবত টা মুখে দিল ঠিক তখনি ও পুরো গ্লাস শরবত আমার মুখের মধ্যে ঢেলে দিল,,,,,
ইরাঃ- কি বানিয়েছিস এই গুলা??এইগুলা কি খাওয়া যায়??
আমিঃ- (চুপ)

রিয়াঃ- আরে শরবত টা ভালো হয়েছে,,,তুই ওর সাথে এত খারাপ ব্যবহার করিস কেন??
ইরাঃ- তুই আসার পর দেখতেছি যে ওর সাইড নিয়ে কথা বলছিস,, কারন টা কি??
রিয়াঃ- তুই এই ভাবে একটা মানুষের উপর অন্যায় করে যাবি সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না,,,,,
দেখলাম ওদের মাঝেও একটা খারাপ পরিবেশ তৈরি হয়ে যাচ্ছে,,,তাই ওদের সামলানোর জন্য,,,,,
আমিঃ- দয়া করে আপনারা চুপ থাকুন,,,,নিজের মাঝে কেন বিবেদ সৃষ্টি করছেন??
ইরাঃ- সব তোর জন্য হয়েছে,,,,তুই এখন আমাদের সামনে থেকে যা,,,,
আমিঃ- ওকে যাচ্ছি তবুও প্লিজ চুপ থাইকেন,,,,,
আমি আর কথা না বলে রুমে চলে আসলাম,,,পুরো শরির টা ভিজে গেছে,,,,
তাই গোসল করে নিলাম,,,
গোসল করার পর আন্টি খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেল,,,,
আমিও গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য,,,,কিন্তু আজ চেয়ারে বসলাম না,,,
খাবার নিয়ে যখনই উঠতে যাব তখনই রিয়ে বলে উঠল,,,,
রিয়াঃ- সে কি আপনি কই যাচ্ছেন??
আমিঃ- এইত রুমে যাচ্ছি,,
রিয়াঃ- রুমে খাবার খাওয়া সোভা পায় না আপনি সবার সাথে বসে খাবার খাবেন,,,,
আমিঃ- না তা কি করে হয়,,,,

রিয়াঃ- আপনি চেয়ারে বসুন,,,
আমিঃ- না না আমি রুমে খেতে পারব,,,,
রিয়াঃ- আপনাকে কিন্তু বসতে বলেছি,,,
আমি আর কোন উপায় নে পেয়ে বসে পড়লাম,,,,,
ইরার দিকে তাকিয়ে দেখি ও রাগে ফুসছে আর খাচ্ছে,,,
আমি আর ওই দিকে না তাকিয়ে আমার খাবার খেতে লাগলাম,,,,
খাবার খাওয়ার পর নিজের রুমে এসে একটা বই পড়তে লাগলাম,,,
কিছুক্ষণ পর দেখি রিয়া আমার রুমে সামনে,,,,,
রিয়াঃ- আসতে পারি???
আমিঃ- আরে আপনি আসুন আসুন,,,,
রিয়া এসে চেয়ারে বসল,,,
আমিঃ- আমার রুমে আসতে অনুমতি লাগবে না,,,
রিয়াঃ- তা আপনি বসে বসে কি করছেন??
আমিঃ- বই পড়ছিলাম,,,
রিয়াঃ- তাহলে তো আপনাকে বিরক্ত করে ফেললাম,,,
আমিঃ- না না বিরক্ত করলেন কই??
আমি তো বিরক্ত বোধ করি নাই,,,,,

আমিঃ- আমি তো আপনার ব্যাপারে কিছুই জানি না,,,পরিচয় টা দিলে ভালো হত,,,,,,,
রিয়া নিজের সম্পুর্ন পরিচয় প্রকাশ করল,,,,,
আমিঃ- এইবার আমার পরিচয় জানতে চাইবেন না??
রিয়াঃ- আপনার কি কোন নতুন পরিচয় আছে??
আমিঃ- নতুন পরিচয় মানে,??
রিয়াঃ- আপনার সম্পর্কে সব শুনেছি আঙ্কেল এর কাছে,,,
যদি এর বাহিরে কোন পরিচয় থাকে তাহলে সেটা বলুন,,,,
আমিঃ- না আমার এর বাহিরে আর পরিচয় নেই,,,,
রিয়াঃ- আপনি বুঝি বই পড়তে ভালোবাসেন,,,
আমিঃ- হুম অনেক,,,,
এইভাবে রিয়ার সাথে কথা বলতে লাগলাম,,,,,
ইরাঃ- এই তুই এইখানে??আর আমি তোকে সারা বাড়ি খুজতে লাগলাম,,,,
রিয়াঃ- হুম ইমন ভাইয়ার সাথে বসে বসে গল্প করছি,,,,
ইরাঃ- তুই আর মানুষ পেলি না গল্প করার জন্য??
রিয়াঃ- তুই তো তোর বি এফ এর জন্য আমার সাথে কথাই বলতে পারিস না,,,,
ইরাঃ- হয়েছে এখন চল,,,

রিয়াঃ- না না আমি এইখানে আরো কতক্ষন থাকব,,,,,
ইরাঃ- চল তো ওর কাছে থাকা লাগবে না,,,,
এই বলে ইরা রিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়,,,
আমি চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম একটা কথাও বলি নাই,,,,
আমি আবার বই পড়তে লাগলাম,,,,,
পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম তা বলতেই পারব না,,,,

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com