ফাজিল মেয়ে যখন বউ
এই ছেলে তোমার পেন্টের জিপ খোলা...।
আমি ভার্সিটির মাঠ দিয়ে হেটে হেটে আমার ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম
তখন মেয়ে কন্ঠে এই শব্দ টি আমার কানে আসলো....
আমি ভাবলাম কথা টি অন্য কাউ কে বলেছে তাই আমি নাহ থেমেই সামনের দিকে যেতে থাকলাম...।
আবারো সেই একি কথা আমার কানে আসলো...।
এই ছেলে তোমার পেন্টের জিপ খোলা এটা বলেই হিহিহি করে হেসে দিলো....।
আমি এবার আশেপাশে নাহ তাকিয়ে আমি
আমার পেন্টের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার পেন্টের জিপ খোলা.....।
হায় হায় মান সম্মান সব প্লাস্টিক...
কেন যে তাড়াহুড়ো করে আসতে গেলাম...ভার্সিটি...
নাহলে আজ আমার মান সম্মান প্লাস্টিক হতো নাহহহ...
(আমি আমার পেন্টের জিপ ঠিক করতে করতে মনে মনে বললাম)
দূর এই জিনিস টা আর কারো চোখে পড়তে পারলো নাহ
শেষে কি নাহ একটা মেয়ের চোখেই পড়লো...।
আমি আর সেখানে এক মুহুর্ত নাহ দাঁড়িয়ে আমার ক্লাস খুজে ক্লাসে চলে আসি....।
এবার আপনাদের আমার পরিচয় টা দিয়ে দেই...আমার নাম সাব্বির ইসলাম...
আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী....
আমার পরিবার বলতে শুধু আব্বু আর আম্মু আর কেউ নাই...।
আমি ক্লাসে এসে চুপ করে বসে আছি...
একটু পর আস্তে আস্তে পুরো ক্লাস ছাত্র ছাত্রী দিয়ে ভরে গেলো...
এবং ক্লাসে স্যার প্রবেশ করলো...।
ক্লাসে স্যার এসেই সবার পরিচয় জানতে চাইলেন...
ক্লাসের সবাই পরিচয় দেওয়ার পর...
স্যার নিজের পরিচয় দিয়ে গল্প করা শুরু করে দিলেন...
কারণ আজ কে আমাদের ভার্সিটির প্রথম দিন....।
একে একে সব কয় টা ক্লাস ঠিক এই ভাবেই হলো...।
সব ক্লাস শেষ করে আমি যখন ভার্সিটি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম....।
আমি ভার্সিটির মাঠ দিয়ে হেটে যাচ্ছি তখনি আবার মেয়ে কন্ঠে কেউ বলে উঠলো....।
আমি তাড়াতাড়ি করে নিজের প্যান্ট একবার দেখে নিলাম ঠিক আছে কি নাহ....।
তাকিয়ে দেখি নাহ বাবাহ আমার প্যান্টের জিপ লাগানো....।
জাক বাবাহ সব ঠিক আছে নাহলে তোহ...
আর একটু হইলেই স্টোক করতাম...।
কিন্ত কথা টি কোন মেয়ে বললো তা দেখার জন্য আমি আশেপাশে তাকানো শুরু করে দিলাম...।
আমি তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে দাত বের হাসতেছে....।
আমি মেয়ে টির সামনে গিয়ে বললাম....।
আমিঃ এইই আপনি আমার দিকে তাকিয়ে এই ভাবে হাসতেছেন কেন... হু...।
মেয়েটিঃ এই ছেলে বাড়ি থেকে ঠিক ভাবে প্যান্ট পড়ে ভার্সিটি আসতে পারো নাহহহ....
এত্ত বড় একটা ছেলে অথচ এখনো শরীর থেকে প্রাইমারীর গন্ধ জাই নি....
(এটা বলেই মেয়েটি আবার হেসে দিলো)
আমি মেয়েটির কথা শুনে কিছু টা লজ্জা পেলাম...।
আমিঃ দেখেন আপনি আমাকে আর লজ্জা দিয়েন নাহহ....।
মেয়েটিঃ ওলে বাবালে বাবু টার আবার লজ্জা ও আছে...।
আমিঃ এই এই আপনি বাবু কাকে বলছেন হুম...
আমি এখন অনেক বড় হয়েছি...হু...।
মেয়েটিঃ হিহিহি...তাইতোহ ঠিক করে প্যান্ট টা ও পড়তে পারো নাহ...
আবার বলে কি নাহ আমি বড় হয়েছি....।
আমিঃ আন্টি দেখেন আমার মতো নিরিহ একটা ছেলে কে এই ভাবে বইলেন নাহ....
লজ্জা লাগে তোহ...।
মেয়েটিঃ কিহহহ আন্টি....ওই হারামজাদা আমাকে দেখে কিহহ তোর আন্টি মনে হয়....
কানের নিচে দিলে আন্টি বলার সখ মিঠে যাবে....।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে নানি...।
মেয়েটিঃ নানি মানে....। তোরে কিন্ত আমি গলা টিইপ্পা মাইরা লামু...।
আমিঃ তোহ কি বইলা ডাকমু আপনারে...।
মেয়েটিঃ বউ বলে ডাকতে পারো আমার কোনো সমস্যা নাই....।
আমিঃ বউ মানে...আপনি আমার কোন কালের বউ হ্যা...।
মেয়েটিঃ হিহিহি...তোমার পিচ্চি একটা ছেলের বউ হওয়াই যায়...।
তোমার জন্য নাহ হয় এই কালের বউ হইলাম...ওগো তোমার নাম কি...??
আমিঃ ফাজিল মাইয়া তোর বিয়া হইবো নাহ...থুক্কু আপনার বিয়া হইবো নাহ...।
মেয়েটিঃ বাহ ফাজিল মাইয়া নাম টা তোহ অনেক সুন্দর...
আমি নাহ হয় তোমার জন্য ফাজিল বউ হবো....হিহিহি....।
আমিঃ ধুর আমি গেলাম থাকেন বায়...আইছে আমার বউ হইতে সখ কত..
হু (এটা বলেই আমি মেয়েটির কাছ থেকে চলে জাচ্ছিলাম তখন মেয়েটি বলে উঠলো)
মেয়েটিঃ আরে আরে কই জাও....
তোমার ফাজিল বউয়ের নাম টা তোহ শুনে জাও...
ওগো তোমার বউয়ের নাম হলো...মায়া....।
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম...
তখনি আমার সামনে একটা স্কুটি এসে থামে
আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি আরে এই টা তোহ ওই ফাজিল মেয়ে টা....
মায়া আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানী মার্কা একটা হাসি দিয়ে বলে উঠলো....
মায়াঃ ওগো আমি থাকতে কি নাহ তুমি হেটে বাড়িতে যাবে চালো আসো
আমার স্কুটিতে বসো আমি তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসি...
আর সেই সাথে আমার শশুড় বাড়ি টা চিনে হয়ে যাবে...
মাঝে মাঝে শশুড় বাড়ি গিয়ে তোমাকে চমকে দিবো কি বলো....।
আমিঃ বাবারে বাবাহ এই মাইয়া টা এত কথা কেমনে কয়....।
মায়া...মানে কি হু..তার মানে তুমি আমাকে বাচাল বলছো....।
এখন কথা কম বলে স্কুটি তে এসে বসো আমি তোমাকে তোমার বাড়ি দিয়ে আসি....।
আমিঃ নাহ আমি যাবো নাহ আমি হেটেই বাড়ি যাবো...।
মায়াঃ এই তুই আসবি কি নাহ বল...
নাকি আমি লোক জন ডেকে বলবো তুই আমাকে বিরক্ত করছিস....।
আমিঃ আফাগো আমি আপনি আমার নামে এই মিথ্যা অপবাদ দিতে পারবেন...
এই কাজ কইরেন নাহ আফা...
আমার আব্বা যদি হুনে আমি রাস্তায় মেয়েদের বিরক্ত করি
তাহলে আমারে লাথী দিয়া ঘর থেইকা বাইর কইরা দিবো তখন আমি কই থাকমু....।
মায়াঃ বাহ তাহলে তোহ আরো ভালো তুমি আমার সাথে আমার বাসায় থাকবে....।
আমিঃ এহহহ....নাহ নাহ আমার লাগবো নাহ...আমি এখনি স্কুটিতে বসতেছি....।
মায়াঃ হু...আসো বসো...।
আমি গিয়ে মায়ার স্কুটিতে বসলাম তখন মায়া বলে উঠলো....।
মায়াঃ আমি কিন্ত অনেক জোড়ে স্কুটি চালাই তুমি আমাকে ধরে বসো নয়তো পড়ে যাবে....।
আমিঃ নাহ ঠিক আছে আমি পড়বো নাহ...।
মায়াঃ এই তুই আমাকে ধরে বসবি নাহ কিহ আমি লোক ডাকবো...(মায়া রাগী গলায় বললো)
আমিঃ আরে আরে ধরছিতো হুদাই শিশু পোলাডারে ভয় দেহায়....।
মায়াঃ ওকে.. বাবু টা ভালো করে ধরো...।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু...।
মায়াঃ কুত্তা তুই কিহহ কইলি আমি তোর আম্মু এমন জায়গায় কিক দিমু নাহ
কখনো বাবা ডাক শুনতে পারবি নাহহ....।
আমিঃ আপনিই তোহ আমারে বাবু কইলেন তাই তোহ আমি আম্মু বললাম...আমার কি দোষ হু...।
মায়াঃ বউ বলে ডাকবি...জানু বলে ডাকবি...।
এখন ভালো করে আমাকে ধর...।
আমিঃ ধরলাম তোহ এখন তোহ গাড়ি টা চালান...।
মায়াঃ কাধে হাত দিয়ে ধরেছিস কেন আমি গাড়ি চালাবো নাহ...
তুই আমার কোমড় ধরে বসলে তবেই আমি গাড়ি চালাবো...।
আমিঃ নাহ আমি ওই খানে ধরতে পারবো নাহ...আমার লজ্জা করে...।
মায়াঃ ওরে আমার লজ্জা বতী লতারে.. তুই ধরবি নাকি আমি লোক ডাকবো...।
আমিঃ না.. না... ধরতেছি ধরতেছি...।
এই বলে আমি মায়ার কোমড় ধরে বসলাম...
আর মায়া গাড়ি চালানো শুরু করলো...
বাতাসের কারণে মায়ার চুল গুলো বার বার আমার চেহারায় বাড়ি খাচ্ছে
আর চুল থেকে এক ধরণের নেশা মাখানো সুগন্ধ পাচ্ছি....।
ফলে কখন যে আমি মায়ার কোমড় দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছি বলতেই পারি নাহ...।
মায়াঃ ওরে বাবাহ... বাবু টা তোহ প্রথমে আমার কোমড় ধরতেই চাচ্ছিলো নাহ তার নাকি লজ্জা করে...আর এখন এমন ভাবে ধরেছে যে ছাড়বেই নাহ....।
আমি মায়ার কথা শুনে লজ্জা পেলাম ফলে কোমড় নাহ জড়িয়ে ধরে কোনো রকম করে ধরে বসলাম...।
মায়াঃ ওরে বাবাহ বাবু টা লজ্জা পেয়েছে বুঝি...।
আমি চুপ করে থাকলাম কোনো কথা বললাম নাহ..।
আমি মায়া কে গাড়ি থামাতে বললাম...।
মায়া গাড়ি এক সাইড করে থামিয়ে বললো...
মায়াঃ কি হয়েছে গাড়ি থামাতে বললে কেন...।
আমিঃ এটাই আমার বাড়ি...আর কই জামু...তাই থামাতে বলছি...।
মায়াঃ ওহহ তাইলে এটাই আমার শশুড় বাড়ি...।
আমি গাড়ি থেকে নেমে বললাম...
আমিঃ এই এই শশুড় বাড়ি মানে....অনেক ফাজলামো হয়েছে এখন বাড়ি জান....।
মায়াঃ ওলে বাবালে আমার বর টা দেখি আমাকে জান বলা টা ও শিখে গেছে...লাভ ইউ জান...।
আমিঃ আপনাকে জান বলি নাই মানে আপনাকে যেতে বলেছি....।
মায়াঃ ওই ছেমড়া ভালো কইরা শুন...তোরে আজ ভার্সিটি তে প্রথম দেইখাই ক্রাশ খাইছি...
তোকে একটু ভালো ভাবে দেখতে গিয়ে দেখি তোর প্যান্টের জিপ খোলা....
হিহিহি...ভাগ্যিস ভিতরে একটা প্যান্ট পড়ে ভার্সিটি এসেছিলে....।
ধুর মাইয়া টা খালি লজ্জা দেয়... (আমি মনে মনে বললাম)
মায়াঃ এই শুনো তুমি কোনো মেয়ের দিকে তাকাবে নাহ কেমন...
আর যদি তাকাও তাহলে তোকে আমি খুন করে ফেলবো
এখন জাও বাড়ি গিয়ে সুন্দর করে একটা ঘুম দাও....(এটা বলেই মায়া চলে গেলো)
এই মাইয়ার তার ছেড়া আমি ১০০% নিশ্চিত...(আমি মনে মনে বললাম)
আমি আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাহ থেকে সোজা বাড়িতে প্রবেশ করে
আমার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়েই দিলাম একটা ঘুম...।
ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকেল হয়ে গেছে
তখনি আমার ফোন টা বেজে উঠলো আমি তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু ফোন দিয়েছে...
ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই বন্ধু বললো দোস্ত মাঠে চলে আয় আজ কে ক্রিকেট খেলবো...।
আমি ফোন রেখে হাত মুখ ধুয়ে রেডি হয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য বের হলাম...।
কিন্ত ভাগ্য বসত আজ আমরা খেলায় জিততে পারি নাই
তাই মন খারাপ করে বাড়ির দিকে রওনাহ দিলাম....।
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে বাড়ি ফিরতেছি তখনি আবার কে যেন বলে উঠলো...
ওই প্যান্টের জিপা খোলা...।
আমি থমকে দাঁড়িয়ে আশেপাশে তাকানো শুরু করলাম....
আমি নিশ্চিত ওই ফাজিল মাইয়া ডাই আবার এই কথা আমারেই কইছে....।
আমি আশেপাশে তাকিয়ে মায়া কে খুজে পেলাম নাহ....।
ওই আশেপাশে নাহ তাকিয়ে উপরে তাকিয়ে দেখো আমি এই খানে (মায়া বললো)
আমি উপরে তাকিয়ে দেখি মায়া একটা ফ্লাটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে....।
আমিঃ ওই আপনার কিহ আর কোনো কাজ কাম নাই
যে সারাদিন আমার পিছনেই আঠার মতো লেগে আছেন....।
মায়াঃ আরে স্ত্রীর কাজই তোহ এইটা বরের পিছনে লেগে থাকা....।
আমিঃ এই আপনি আমার স্ত্রী হইলেন কবে হু...।
মায়াঃ আরে একদিন হয়ে যাবো তোহ....
তাই আগে থেকেই একটু ট্রেনিং নিচ্ছি তোমার পিছনে লেগে থাকার....।
ধুর থাকমুই নাহ আর আমি জাইগায়...এই বলেই আমি চলে আসলাম....।
বাড়ি এসে একটু টিভি দেখা শুরু করলাম...
টিভি দেখে একটু বই নিয়ে পড়তে বসলাম...
বই পড়ে রাতের খাবার খেয়ে পারি দিলাম ঘুমের রাজ্যে....।
ওই তুই আমাকে ভালোবাসবি কি নাহ বল (মায়া বললো)
নাহ নাহ নাহ আমি ভালোবাসবো নাহ..(আমি বললাম)
ওকে তুই যেহেতু আমাকে ভালোবাসবি নাহ
তাহলে তোর আর বাবা ডাক শুনা লাগবো নাহ
এটা বলেই মায়া আমার জায়গা মতো দিলো এক টা কিক...
ওমাগো বলে আমি ধর ফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে পড়লাম...।
ওহহ তাহলে এটা একটা সপ্ন ছিলো...এই মাইয়া বাস্তবে শান্তি দেয় নাহ...
এখন আমারে সপ্ন তে ও একটু শান্তি দে নাহ...
শাকচুন্নি পেত্নী একটা....( আমি মনে মনে বললাম)
আমি বিছানা থেকে উঠে রেডি হয়ে খাবার খেয়ে ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম....।
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে ভার্সিটি যাচ্ছিলাম
তখন মায়া তার স্কুটি নিয়ে আমার সামনে এসে ব্রেক করে বলে উঠলো...
মায়াঃ ওই প্যান্টের জিপ খোলা মি. স্কুটি তে উঠেন...।
আমিঃ এই আপনি আর আমাকে এই সব বলবেন নাহ....প্লিজ....।
মায়াঃ তাহলে কি বলবো হু....।
আমিঃ আমার নাম সাব্বির ইসলাম...।
মায়াঃ হু...এখন আমার স্কুটিতে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরো....
দু জন এক সাথে ভার্সিটিতে যাবো...।
আমিঃ নাহ...আমি যাবো নাহ...।
মায়াঃ এই তুই এত না না করিস কেন...মেরে দাত ভেঙে দিমু...।
আমিঃ এহহ দাত ভেঙে দিলে আমি মাংস খামু কেমনে...।
মায়াঃ সমস্যা নাই আমি চিবিয়ে দিবো আর সে টাই তুমি খাবে...।
এখন কথা কম বলে স্কুটিতে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধর....।
আমিঃ স্কুটিতে উঠতে পারি তবে আমি জড়িয়ে ধরতে পারবো নাহ....প্লিজ....
তোমাকে জড়িয়ে ধরে ভার্সিটিতে গেলে... অনেকে খারাপ কিছু ভাববে...।
মায়াঃ খারাপ কিছুই ভাববে নাহ...তারা ভাববে তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড...
এখন তুই উঠবি নাকি আমি লোক ডাকবো....।
আমিঃ থাক ডাকা লাগবো নাহ গাড় ত্যাড়া মাইয়া একটা....।
মায়াঃ হু ওই টা ও তোমার বউ...হিহিহি...।
আমি কি আর করমু মায়া কে জড়িয়ে ধরেই স্কুটিতে বসেই ভার্সিটিতে গেলাম....।
ভার্সিটি এসে মায়া আমাকে বললো...
মায়াঃ খবর দার তোকে যদি আমি অন্য মেয়ের দিকে তাকাতে দেখি...তাহলে তোর বারো টা বাজিয়ে দিবো...আর কখনো বাবা ডাক শুনতে পারবি নাহ....।
মায়ার কথা গুলো শুনে আমার সপ্নের কথা মনে পড়ে গেলো....তখন আমি বললাম
আমিঃ না না না...আমি কোনো মেয়ের দিকে তাকাবো নাহ....।
মায়াঃ এইতো গুড বয়...এখন আমার হাত ধরে ক্লাসে চল....।
কি আর করার মায়ার হাত ধরেই ক্লাসে আসলাম...। আর দুই জন এক সাথেই বসলাম...।
একে একে ভার্সিটির সমস্ত ক্লাস শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম...সেই মায়াই আমাকে বাড়িতে দিয়ে চলে গেলো....।
আমি বাড়িতে এসে দেখি আব্বু সোফায় বসে আছে তখন তিনি আমাকে দেখে বলে উঠলেন...।
আব্বুঃ বাহ বাহ আমার গুন ধর ছেলে আজ কাল মেয়েদের জড়িয়ে ধরে ভার্সিটি যাওয়া আসা করে দেখছি....।
আমিঃ আসলে আব্বু...।
আব্বু আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো...
আব্বুঃ থাক এখন আর কিছু বলতে হবে নাহ...বুঝতে পারছি মেয়ে টা তোর গার্লফ্রেন্ড...
এখন বল মেয়ে টা কে আমি আজ কেই মেয়ে টার বাড়ি গিয়ে তোর আর মেয়ে টার বিয়ে ঠিক করবো
এই ভাবে যদি তোরা জড়াজড়ি করে রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়াস তাহলে...
আমার মান সম্মান সব প্লাস্টিক হয়ে যাবে....। এখন মেয়ে টার ঠিকানা দে....।
আমিঃ আসলে আব্বু...।
আব্বুঃ হারামজাদা মেয়ে টার ঠিকানা দে বলছি...(আব্বু ধমক দিয়ে বললো)
আমি ধমক খেয়ে আব্বু কে মেয়ে টার ঠিকানা দিয়ে দিলাম....।
আব্বু ঠিকানা নিয়ে সাথে সাথেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো....।
আম্মু আমাদের পাশেই ছিলো আব্বু চলে যাওয়ার পর আম্মু বলে উঠলো....
আম্মুঃ তা বাবা মেয়ে টা দেখতে কেমন...।
আমিঃ তোমার ছেলের থেকে ও সুন্দর...।
আম্মু মাশাল্লাহ বলে চলে গেলো তার রুমে....।
আব্বু আমার আর মায়ার বিয়ে ঠিক করে বাড়ি এসে আমাকে বললো...
আব্বুঃ আগামীকাল তোর বিয়ে...বিয়েতে এখন তেমন কোনো অনুষ্ঠান করবো নাহ...
পড়ে এক সময় বড় করে অনুষ্ঠান করে দিবো....এই বলে আব্বু চলে গেলো....।
হায় এখন আমার কি হবে শেষে কি নাহ
ওই ফাজিল মেয়ে টা কেই আমায় বিয়ে করতে হবে (আমি মনে মনে বললাম)
পরেরদিন আমার মায়ার সাথেই বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো ঘরোয়া ভাবেই....।
আমি এখন আমার রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি ভিতরে প্রবেশ করতে আমার ভয় করছে...
নাহ জানি ফাজিল মাইয়া ডা এহন আমার সাথে কি করবো....।
এই যে আমার পাঠক বন্ধুরা এখন আমি রুমে প্রবেশ করবো আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন....।
<>সমাপ্ত<>
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com