Breaking News

কেন রাজশাহী বাংলাদেশের গ্রীন সিটি ও ক্লিন সিটি নামে পরিচিত


রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহানগরী। এটি সমস্ত উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শহর। এবং সমগ্র বাংলাদেশে চতুর্থ বৃহত্তম ও জনবহুল শহর। রাজশাহী শহর পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষ্ণৌতি বা লক্ষণাবতী, মহাস্থানগড় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী রেশমীবস্ত্র, আম, লিচু এবং মিষ্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারণে রাজশাহীকে রেশম নগরী নামেও ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজ এ শহরে অবস্থিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয় তথা ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। রাজশাহী বাংলাদেশের শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ।

রাজশাহী সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মণ্ডিত একটি শহর। অনেক আগে থেকে এই শহরটি প্রাচীন বাংলায় পরিচিত ছিল। রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে। এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া।

রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।  ব্রিটিশ রাজত্বের সময়েও রাজশাহী বোয়ালিয়া নামে পরিচিত ছিল। তখন এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম অঞ্চলের অর্ন্তগত রাজশাহী জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র। রাজশাহীকে সে সময়ে রেশম চাষের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। তখন রাজশাহীতে একটি সরকারি কলেজ ও রেশম শিল্পের জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। সেসময় থেকে দেশবিভাগের পূর্ব পর্যন্ত পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী স্টিমার চলাচল করত।

রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার কি কি?

রাজশাহীর বিখ্যাত বা ঐতিহ্যবাহী খাবার যা-ই বলি না কেন শুরুতেই আসবে কালাই রুটির কথা। এটি মূলত মাষকলাইয়ের গুঁড়া ও আতপ চালের আটা বা ময়দা, লবণ ও পানি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই রুটির আসল স্বাদ উপভোগ করার জন্য কয়েক পদের ভর্তা ও হাঁসের মাংস খুবই উপযোগী। স্থানীয় লোকজন এই রুটি মরিচের ভর্তা দিয়ে খেয়ে থাকে।

রাজশাহীর বিখ্যাত গান কি?

গম্ভীরা গানের উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় হিন্দুসমাজে। গম্ভীরা নৃত্যটি উত্তরবঙ্গের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা জুড়ে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবের সময় প্রদর্শিত হয়। মালদহের গম্ভীরার বিশেষত্ব হল মুখোশের ব্যবহার৷ স্থানীয় সূত্রধর সম্প্রদায় নিম এবং ডুমুর গাছের অংশবিশেষের সাহায্যে মুখোশগুলি তৈরি করে। গম্ভীরা গান এক প্রকার জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত। সাধারণত বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে এ গান প্রচলিত।

রাজশাহীতে কি কি নদী আছে?

নদীগুলো হচ্ছে নারদ, সন্ধ্যা, স্বরমঙ্গলা, দয়া, বারাহী, হোজা, নবগঙ্গা, চিনারকূপ ও মুসাখান। সব কটিই ছিল পদ্মার শাখা নদী।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর কোনটি?

রাজশাহী শহর পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর রাজশাহী এবং এটি এক‌ই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর শহর রাজশাহী গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি ঘুরে যা দেখলাম। Rajshahi City.

রাজশাহীতে কি কি পাওয়া যায়?

রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র, আম, লিচু এবং মিষ্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ৷ ( উল্লেখযোগ্য- বগুড়ার দই) । রেশমীবস্ত্রের কারণে রাজশাহীকে রেশম নগরী নামেও ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের অনেকগুলোর খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কেন এত বিখ্যাত?

কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরটি প্রায় ৯০ একর জমির উপর অবস্থিত। মেডিকেল স্কুলের জন্য তৈরি ভবনটিই বর্তমান কলেজ বিল্ডিং যা ৩০ বিঘা জমির উপর নির্মিত। মেডিসিন, সার্জারি ও অবস্-গাইনি বিভাগ নিয়ে তিনতলা বিশিষ্ট ৫৩০ শয্যার হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে চালু হয়।

রাজশাহী সিল্ক কেন বিখ্যাত?

রাজশাহী সিল্ক বাংলাদেশের রাজশাহীতে উৎপাদিত রেশম পণ্যের নাম। এটি বিখ্যাত কারণ এটি একটি উচ্চ মানের ফ্যাব্রিক যা পোশাক, বিশেষ করে শাড়ির জন্য ব্যবহৃত হয়। 2021 সালে, এটিকে বাংলাদেশের একটি পণ্য হিসাবে ভৌগলিক নির্দেশের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।

সিল্কের প্রসঙ্গ আসলেই অকপটে চলে আসে রাজশাহীর নাম। চোখে ভেসে ওঠে অনিন্দ্য সুন্দর এক মোলায়েম শাড়ীর কথা। রাজশাহী জেলা প্রাচীনকাল থেকেই রেশম ও রেশমজাত পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে ভারতবর্ষের যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করে এসেছে।  দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে রাজশাহীর রেশম শিল্প।

রাজশাহী সিল্ক প্রসঙ্গে ব্রিটিশ ঐতিহাসিক হান্টারের উক্তি, ‘রাজশাহী জেলায় রেশম সুতা প্রস্তুত এবং রেশম বস্ত্র বয়ন বহু শতাব্দী পূর্ব থেকেই হয়ে আসছে।’ মোগল আমলে শিল্পটি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এগিয়ে যায়।  ওলন্দাজ বণিকেরা রাজশাহী শহরে গঙ্গার (পদ্মা) তীরে একটি বাণিজ্যিক কুঠি স্থাপন করে। যেটি পরবর্তী সময়ে বড় কুঠি নামে অভিহিত হয়।

ইউরোপীয় বণিকেরা এ দেশে ব্যাপকভাবে আসা শুরু করে সপ্তদশ শতাব্দী থেকে। তারা আসার আগে বাংলাদেশে গ্রামকেন্দ্রিক অসংখ্য বাজার-বন্দরে দেশীয় কৃষিজাত ও কুটিরশিল্পজাত দ্রব্যাদির বেচাকেনা চলত। বৃহত্তর রাজশাহীতে বোয়ালিয়া, নাটোর, তাহেরপুর, মীরগঞ্জ, চারঘাট, কাপাশিয়া এসব নদীবন্দর রেশম ও কার্পাস সুতা এবং বস্ত্র কেনাবেচার জন্য বিখ্যাত ছিল।

স্বাস্থ্য বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বেসরকারি)

রাজশাহী জেলাতে বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠা স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৩ টি মেডিকেল কলেজ, ১ টি ডেন্টাল কলেজ, ৫ টি নার্সিং কলেজ, ১১টি নার্সিং ইনস্টিটিউট, ১ টি ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি এবং ১ টি কমিউনিটি প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট রয়েছে।

  • ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ 
  • বারিন্দ মেডিকেল কলেজ 
  • শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ 
  • উদয়ন ডেন্টাল কলেজ 
  • ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ 
  • উদয়ন নার্সিং কলেজ 
  • মির্জা নার্সিং কলেজ
  • ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন নার্সিং কলেজ
  • শাহ মখদুম নার্সিং কলেজ
  • নার্সিং ইনস্টিটিউট, খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল
  • এম রহমান নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • শাহ মখদুম নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • ডাঃ জুবাইদা খাতুন নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • জননী নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • প্রিমিয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • নগর নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • প্রভাতী নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • গ্লোবাল নার্সিং ইনস্টিটিউট
  • বারিন্দ ইনস্টিটিউট অব নার্সিং সায়েন্স
  • প্রাইম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি
  • বাংলাদেশ কমিউনিটি প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সরকারি) 

  • রাজশাহী কারিগরি ও জরীপ মহাবিদ্যালয় 
  • রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট 
  • রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বেসরকারি)

  • ইউসেপ রাজশাহী টেকনিক্যাল স্কুল

সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সরকারি)

  • রাজশাহী কলেজ
  • রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ
  • নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী
  • রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ
  • শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজ
  • রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
  • রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল ও কলেজ রাজশাহী
  • কলেজিয়েট স্কুল
  • হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল
  • পি এন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • শহীদ নজমুল হক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, রাজশাহী
  • হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • সিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী
  • সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় 
  • রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ
  • রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ 
  • পুলিশ লাইনন্স স্কুল এন্ড কলেজ

সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বেসরকারি)

  • মেট্রোপলিটন কলেজ
  • বিনোদপুর কলেজ
  • শাহ্ মখদুম কলেজ
  • ইডেন কিডস স্কুল
  • অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
  • ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয়
  • ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়
  • ধোকড়াকুল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
  • হাউজিং এষ্টেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয
  • বঙ্গবন্ধু কলেজ রাজশাহী

রাজশাহী ঘুরে দেখার মত যত স্থানঃ 

  • পদ্মার পাড়
  • টি-বাঁধ পর্যটন কেন্দ্র
  • বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
  • বাঘা মসজিদ
  • বাগধানী মসজিদ
  • দুই গম্বুজবিশিষ্ট কিসমত মাড়িয়া মসজিদ
  • এক গম্বুজবিশিষ্ট রুইপাড়া (দূর্গাপুর) জামে মসজিদ
  • হাজার দুয়ারি জমিদারবাড়ি
  • পুঠিয়া রাজবাড়ী
  • পুঠিয়া শিবমন্দির, পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির, পুঠিয়া দোলমন্দির, পুঠিয়া বড় আহ্নিক মন্দির
  • হাওয়াখানা
  • শাহ্ মখদুমের মাজার
  • রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার
  • রুয়েট
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • রাজশাহী কলেজ
  • শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা
  • সাফিনা পার্ক
  • উৎসব পার্ক
  • রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
  • শিশু পার্ক
  • জিয়া পার্ক
  • রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, সারদা
  • ভদ্রা পার্ক
  • তানোর নাইস গার্ডেন
  • জি এম গার্ডেন

রাজশাহী জেলার উপজেলা সমূহ

  • গোদাগাড়ী উপজেলা
  • তানোর উপজেলা
  • মোহনপুর উপজেলা
  • বাগমারা উপজেলা
  • দুর্গাপুর উপজেলা, রাজশাহী
  • বাঘা উপজেলা
  • চারঘাট উপজেলা
  • পবা উপজেলা
  • পুঠিয়া উপজেলা

রাজশাহী জেলার পৌরসভা সমূহ

  • রাজশাহী জেলায় পৌরসভা রয়েছে ১৪ টি।
  • বাঘা পৌরসভা
  • আড়ানী পৌরসভা
  • চারঘাট পৌরসভা
  • পুঠিয়া পৌরসভা
  • কাটাখালী পৌরসভা
  • নওহাটা পৌরসভা
  • কাঁকনহাট পৌরসভা
  • গোদাগাড়ী পৌরসভা
  • মুন্ডুমালা পৌরসভা
  • তানোর পৌরসভা
  • দুর্গাপুর পৌরসভা, রাজশাহী
  • ভবানীগঞ্জ পৌরসভা
  • তাহেরপুর পৌরসভা
  • কেশরহাট পৌরসভা

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

  • চারু মজুমদার - মাওবাদী রাজনীতিবিদ।
  • রিজিয়া পারভীন - কণ্ঠশিল্পী।
  • শর্মিলী আহমেদ - বিশিষ্ট নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
  • ওয়াহিদা মল্লিক জলি - প্রখ্যাত মঞ্চ, নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান - রাজনীতিবিদ ও জাতীয় নেতা।
  • অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় - ভারতীয় ইতিহাসবেত্তা।
  • রাণী ভবানী - রাজশাহীর জমিদার।
  • সেলিনা হোসেন - বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক।
  • নুসরাত ইমরোজ তিশা - অভিনেত্রী।
  • শাহরিয়ার আলম - এমপি, রাজনীতিবিদ।
  • আবুল কালাম আজাদ - এমপি, রাজনীতিবিদ মাহিয়া মাহী - চিত্রনায়িকা।
  • ওমর ফারুক চৌধুরী - সংসদ সদস্য, রাজশাহী-২।
  • আবু হেনা - বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা।
  • এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন - রাজনীতিবিদ।
  • মিজানুর রহমান মিনু - রাজনীতিবিদ।
  • মোহাম্মদ মকসেদ আলী - সাবেক সংসদ সদস্য।
  • হাসান আজিজুল হক - সাহিত্যবিদ।
  • নাজমুল হোসেন শান্ত - বাংলাদেশী ক্রিকেট।
  • নাদিম মোস্তফা - রাজনীতিবিদ।
  • সরদার আমজাদ হোসেন - রাজনীতিবিদ।
  • সরদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর - রাজনীতিবিদ।
  • কবির হোসেন - রাজনীতিবিদ। আমিনুল হক - রাজনীতিবিদ।
  • ওমর ফারুক চৌধুরী - রাজনীতিবিদ। এন্ড্রু কিশোর - কণ্ঠশিল্পী।
  • পান্না ঘোষ - মহিলা ক্রিকেটার। খোদা বক্স মৃধা - ক্রীড়া ধারাভাষ‍্যকার।
  • মুহিন - গায়ক। জিনাতুন নেসা তালুকদার - রাজনীতিবিদ।
  • জাহান পান্না - রাজনীতিবিদ।
  • আয়েন উদ্দীন - রাজনীতিবিদ।

রাস্তাসমূহঃ

গ্রেটার রোড, শেরশাহ্ রোড, কাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির রোড, স্টেশন রোড, কাজী নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিমান-বন্দর রোড, বেগম রোকেয়া রোড, দোশর মন্ডল রোড, রাণীবাজার-টিকাপাড়া রোড, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট-নিউমার্কেট নতুন সড়ক, তালাইমারি রোড, টিবি রোড, রাজশাহী সিটি বাইপাস সড়ক, আলিফ লাম মিম ভাটা-বাইপাস সড়ক, ক্যান্টনমেন্ট রোড, টিটিসি রোড, প্যারা মেডিকেল রোড, মহিলা কলেজ রোড, সিএনবি রোড, পুরাতন নাটোর রোড, মালোপাড়া-রাণীবাজার ভায়া সষ্টিতলা কানেকটিং রোড, ভদ্রা-কামরুজ্জামান চত্বর রোড। এছাড়াও আরও রাস্তা রয়েছে। উপরে উল্লিখিত রাস্তাসমূহ ৪ লেন ও মাঝখানে ডিভাইডার রয়েছে।

রেল যোগাযোগ

রাজশাহী থেকে অনেকগুলো আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। এসব ট্রেন এ করে ঢাকা, খুলনা, চিলাহাটি, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, সৈয়দপুর, যশোর যাওয়া যায়। আব্দুলপুর ষ্টেশন হতে রাজশাহী এর দিকে শুধুমাত্র সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেল লাইন হওয়ার কারণে রাজশাহী হতে বগুড়া ও রংপুর এর সরাসরি কোনো ট্রেন নেই । কারণ বগুড়া ও রংপুরে মিটারগেজ রেল লাইন বিদ্যমান।

রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া কিছু গুরুত্বপুর্ণ আন্তঃনগর ট্রেন এর মধ্যে বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস অন্যতম।

রাজশাহী শহরে ৩ টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে- রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন,বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন, ও কোর্ট স্টেশন। শহরের উপকণ্ঠে হরিয়ান রেলস্টেশন বিদ্যমান।

রাজশাহীর তথ্য ও প্রযুক্তি

রাজশাহীর কোর্ট এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে প্রায় ৩১ একর জমির উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক অবস্থিত। এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান করার লক্ষে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পার্কটিতে সাতটি প্লট রাখা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীতে এখন প্রায় ১৫টি সফটওয়ার ফার্ম আছে। তাছাড়া এখানে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রায় ১০টি ট্রেনিং সেন্টার আছে; যা দিন দিন বাড়ছে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com