Breaking News

হিংসুটে ললনা । পর্ব - ০৩

ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে,,,
ধুর আজকে বেশি ঘুমিয়ে পড়লাম,,, আমার পড়াও তো এখনো শেষ হয় নি,,,,,,,
দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিলাম,,ফ্রেশ হয়ে বাবা মায়ের ছবির সামনে গেলাম,,,
(তোমরা আমাকে দোয়া কর,,, আমি যেন তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি,,
তোমাদের খুব ইচ্ছে ছিল যাতে আমি বাবার মত খুব নাম করা ব্যবসায়ী হই,,,,
তোমাদের দোয়া আমার সাথে থাকলে জীবন এ কোন বাধা আমাকে থামাতে পারবে না,)
তাদের ছবির সামনে গিয়ে চোখের পানি আটকাতে পারলাম না,,,,
হঠাৎ কেউ একজন আমার চোখের পানি মুছে দিল,,,,
তাকিয়ে দেখি আমার পাশে আঙ্কেল দাঁড়িয়ে আছে,,,,
আমিঃ- আরে আঙ্কেল আপনি কখন আসলেন??
আঙ্কেলঃ- আমি অনেক্ষন আগে এসেছি,,,

তুই তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলছিলি তাই তোকে আর ডাকি নি,,,,,
আঙ্কেল এর উত্তর না দিয়ে বাবা মার ছবির দিকে তাকিয়ে আছি,,,
আঙ্কেলঃ- বাবা মা কারো অমর থাকে না,,,সবাইকে দুনিয়া থেকে যেতে হবে,,
আমিঃ- তাই বলে কি বিধাতা আমাকে এইভাবে অকালে এতিম করে দিবে??
আঙ্কেলঃ- তুই এতিম কই??আমি তোর মা বাবা,,,,
আমি আর কিছু না বলে আঙ্কেল কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম,,,,
আঙ্কেলঃ- এই গাধা কাঁদছিস কেন,,???কান্না থামা,,,,
আমি কান্না থামিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম,,,,
আঙ্কেলঃ- তোর সাথে কথা ছিল তুই আমার রুমে আয়,,,,
আমিঃ- ওকে৷৷,,,,
তারপর আমি আঙ্কেল এর পিছন পিছন ওনার রুমে গেলাম,,,
রুমে সকল জনতাই দেখলাম উপস্থিত,,,,,
আঙ্কেলঃ- রিয়া আমাদের বাড়িতে অনেক দিন পর বেড়াতে আসল,,,
তাই আমি চাইব তোমরা দুজন রিয়াকে ভালো করে গ্রাম টা ঘুরিয়ে দেখাও,,,,,
(আমাকে আর ইরাকে বলল)

ইরাঃ- আমার কোন আপত্তি নেই,, তাহলে আমরা কাল বিকেলে যাব,,,
আঙ্কেলঃ- ইমন তোমার কি কোন আপত্তি আছে???
ইরাঃ- তুমি ইমন কে জিজ্ঞেস করছ কেন??
আঙ্কেলঃ- ইমনও তোদের সাথে যাবে,,,,,
ইরাঃ- না ও আমাদের সাথে যাবে না,,,,
আঙ্কেলঃ- তাহলে তুই যাস না,,,ইমন আর রিয়াই যাবে,,,
ইরা এইবার কোন কথা না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল,,,,,
আঙ্কেলঃ- কি হল ইমন আপত্তি আছে,,???
আমি মাথা নেড়ে না জানিয়ে দিলাম,,,,,
আঙ্কেলঃ- আমি জানি আমি অফিসে গেলে তোদের অনেক ঝামেলা হবে,,
তাই আমি আগে থেকে ঠিক করে দিয়েছি,,,,
আশা করি আর কোন কথা যাতে না হয়,,,,
ইরাঃ- ওকে,,,,
এই বলে ইরা ইরার রুমে চলে গেল,,,
আর আমিও আমার রুমে এসে পড়তে লাগলাম,,,,
হঠাৎ অনুভব করলাম কেউ একজন আমার পিছনে৷ দাঁড়িয়ে রইল,,,
পিছনে তাকিয়ে দেখি রিয়া দাঁড়িয়ে আছে,,,,
আমিঃ- আরে আপনি??
রিয়াঃ- কেন?? অন্য কাউকে আশা করেছেন??
আমিঃ- না না তা না,,,দাঁড়িয়ে আছেন কেন??
রিয়াঃ- আপনি তো বসতেও বলেন নি,,,
আমিঃ- ওকে সরি,,,বসুন,,,,
রিয়াঃ- তা দেখলাম খুব মন দিয়ে পড়ছেন??
আমিঃ- হুম,,,

রিয়াঃ- তাহলে তো বিরক্ত করে ফেললাম,,,,
আমিঃ- না না সেটা না,,,এইগুলা এমনি অতিরিক্ত পড়ছিলাম,,,,
রিয়াঃ- আচ্ছা আপনার সাথে যে ইরা এত খারাপ ব্যবহার করে আপনার রাগ হয় না??
আমিঃ- আমার আবার রাগ,,,,,রাগ করলেই বা কি করব???
রিয়াঃ- আপনিও তো কিছু বলতে পারেন,,,,
আমিঃ- আমি ওকে বললে ও যদি আমার বাবা মাকে ইঙিত করে কোন খারাপ ভাষা ব্যবহার করে তাহলে যে আমার সহ্য হবে না,,,
রিয়াঃ- তাই বলে কি এইভাবে সহ্য করবেন??
আমিঃ- কপালে যা থাকে তাই হবে,,,,তা নিয়ে আমার কোন কষ্ট নেই,,,,
রিয়াঃ- আপনার কি ইচ্ছে হয় না ওর সব রাগ গুড়িয়ে দিতে,,,,
আমিঃ- ইচ্ছে হলেই কি করতে হবে নাকি,,,আমার কোন ক্ষমতা নাই যে ওকে এইসব করার,,,,
রিয়াঃ- কে বলল যে আপনার ক্ষমতা নাই??আপনার ক্ষমতার দ্বারা আজ ইরা চলতে পারছে,,,,
আমিঃ- থাক আমি নিজের সম্পত্তি নিয়ে বড়াই করা পছন্দ করি না,,,
রিয়াঃ- তাই বলে কি নিজের বাড়ি তে এইভাবে অবহেলা সহ্য করে যাবেন??
আমিঃ- আপনি এত কিছু কিভাবে জানেন??
রিয়াঃ- সেটা আপনার জানতে হবে না,,,,
আমি শুধু আপনাকে একবার দেখতে চাই 
আপনি জোর গলায় বলছেন যে আজ আমি এইসবের মালিক,,,,
আমিঃ- ততটা বেয়াদব আমি নই,,,

রিয়াঃ- এইখানে বেয়াদবির কি দেখলেন??
আমিঃ- আমার বাবা মা কোন দিন অহংকার করতে আমাকে শিখায় নাই,,,,
রিয়াঃ- এইটা অহংকার না নিজের অধিকার,,,
আমিঃ- দয়া করে এইসব বাদ দিন আমার আর ভালো লাগছে না,,,
রিয়াঃ- ওকে,,,,আপনি পড়েন,,, আমি পরে আসব আবার,,,
আমিঃ- ওকে,,,গুড নাইট,,,
রিয়াঃ- গুড নাইট,,
আমি আবার পড়তে লাগলাম,,,
পড়তে পড়তে অনেক রাত হয়ে গেছে তাই পড়া বন্ধ করে সুয়ে পড়লাম,,,,
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম,,,
রিয়াঃ- গুড মর্নিং,,
আমিঃ- গুড মর্নিং,,,
রিয়াঃ- রাতে ঘুম কেমন হল??
আমিঃ- এইত ভালো,,,,
তারপর সবাই একসাথে বসে নাস্তা করে নিলাম,,,
আমি চলে আসলাম কলেজে,,,
ক্যম্পাসে আমি আর তানভির বসে বসে গল্প করছি,,,
প্রতিদিন কার মতো আজো ইরা রবির বাইকে করে চলে আসল,,,,
তানভিরঃ- চল ক্লাসে যাই নইলে ওরা আবার তোকে নিজে মজা করবে,,,,,
আমিঃ- হুম চল,,

যেই ক্লাসে আসতে যাব তখনি ইরা ডাক দিল,,,,,
তানভিরঃ- না দোস্ত তুই আজকে যাবি না,,,
আমি তানভিরের কথা মত আবার ক্লাসের দিকে হাটা দিলাম,,,,
ইরাঃ- ওকে যা,,, তুই ভালো করেই জানিস যে আমি কি করতে পারি,(জোরে বলে উঠল)
আমি এইবার তানভিরের সাথে চলা থামিয়ে ওদের কাছে গেলাম,,,
আমিঃ- হুম বলুন,,,
ইরাঃ- এইত লক্ষি ছেলের মত চলে এসেছে,,,
আমিঃ- আমাকে এত অপমান করার পরও কি আপনাদের স্বাদ মেটে নি??
ইরাঃ- তোকে আবার অপমান করলাম কই??
আমিঃ- বাহ ভুলে গেলেন,,,আপনিও তো ক্লাসের টপার তাহলে আপনার ব্রেইন এত দুর্বল কেন??
ইরাঃ- তুই কিন্তু সিমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিস,,,,
রবিঃ- শোন তোকে যেই কারনে ডাকা,,
তুই প্রতিদিন আমাদের জুতা মুছে দিবি,, এটাই তোর কাজ,,,,
আমিঃ- না আমি পারব না,,,
রবিঃ-ঠাসসসস,,ঠাসসসসস,,

পারবি না মানে?? তুই পারবি সাথে তোর বাপেও পারবে,,,,,
রবি আমাকে মেরেছে এইটার কোন কষ্ট আমি পাই নাই
কিন্তু ও আমার বাবার নাম নিয়ে কথা বলেছে তাই আমি ওকে ছাড়ব না,,,,
রাগি চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে ওদের জুতা পরিষ্কার করে দিলাম,,,,
প্রতিদিনকার মত আজো কলেজের সব ছেলে মেয়েরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসা হাসি করছিল,,,,,
সব মুখ বুঝে সহ্য করে নিলাম কারন আমি এর ফল ওদের দেখিয়ে দিব,,,,
তানভিরের সাথে ক্লাসে চলে আসলাম,,,,
দুজনে পাশাপাশি বসলাম,,,
স্যার এসে ক্লাস করাতে লাগল,,,,
কলেজ ছুটির পর,,ইরা আমার সাথে আর খারাপ কিছু করে নাই,,,
তাই খুশি মনে বাড়ি চলে আসলাম,,
খাবার খেয়ে দিলাম এক ঘুম,,,,
বিকেলে ঘুমের মাঝে অনুভব করলাম যে কেউ একজন আমাকে ঠেলছে,,,,,
।চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি রিয়া,,,
আমিঃ- কি হয়েছে আপনার ডাকছেন কেন??(ঘুম চোখে)
রিয়াঃ- আপনি না আমাদের গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাবেন???
আমিঃ- ওহ সরি ভুলেই গেছি,,,

দ্রুত উঠে রেডি হয়ে নিলাম,,,রিয়াও খুব সুন্দর করে সেজেছে,,,,,
আমিঃ- ইরা কি যাবে না??
রিয়াঃ- হুম যাবে রেডি হচ্ছে,,,
আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম,,,
কিছুক্ষন পর দেখলাম একটা নিল পরি আমার সামনে আসছে,,,,
বাহ আজকে ইরা কে খুব সুন্দর লাগছে চোখ যেন ফিরাতে পারছি না,,,,,
ওকে দেখলে মনেই হবে না যে ও এত অহংকারী,,,,,
রিয়াঃ- কি হল যাবেন না??(ধাক্কা দিয়ে)
আমিঃ- হুম চলো,,,,
আমি রিয়া আর ইরা বেরিয়ে পড়লাম গ্রাম ঘুরার উদ্দেশ্যে,,,,,
আমি বার বার ইরার দিকে তাকাচ্ছি আমার চোখ যেন সরতে চায় না,,,,
তবুও বার বার আড় চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছি,,,,
ইরা রিয়াকে গ্রাম দেখাতে ব্যস্ত আর আমি ইরাকে দেখাতে ব্যস্ত,,,,
ধুর আমি কাকে দেখছি??ওকে দেখে আমার লাভ নাই,,,,
ও তো রবিকে ভালোবাসে,,,,
আর আমি কি না কি ভাবছি,,,,,

দেখতে দেখতে আমরা একটা লোকালয় প্রবেশ করে পড়লাম,,,
সেইখানে অনেক বস্তি আর কুকুর বসবাস করে দেখেই মনে হয়,,,
আমরা তিন জন হাটছি,,,ইরা আর রিয়া গল্প করেই যাচ্ছে,,,,
হঠাৎ দেখলাম একটা কুকুর ইরার দিকে তেড়ে আসছে,,ইরা আবার কুকুর কে খুব ভয় পায়,,,,
ইরা কুকুরের হাত থেকে বাঁচার জন্য হঠাৎ আমাকে জড়িয়ে ধরল,,,,,
ইরাঃ- প্লিজ কুকুর টাকে সরিয়ে দাও,,প্লিজ,,,
আমি ইরার ব্যবহার আর কাজ দেখে হা হয়ে গেলাম,,
ও এমন ভাবে জড়িয়ে ধরল যেটা স্বাভাবিক মানুষ দেখলে কি না কি ভাববে,,,
আমি কুকুর টা কে তাড়িয়ে দিলাম,,,
রিয়া ইরার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ল,,,,
ইরা আমাকে ছেড়ে দিল,,,দেখি ইরা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,,,
আমিও খুব লজ্জা পেলাম,,,,,
দেখলাম কয়েকজন মুরব্বি আমাদের দিকে আসছে,,,
এসেই তারা আমাদের পরিচয় নিল,,,
আমি বলেছি যে ইরা আর আমি কাজিন কিন্তু তারা ওই ঘটনা দেখার পর বিশ্বাস করতে চাইছে না,,,,
লোক গুলা আমাদের কে আরো অনেক লোকের মাঝে নিয়ে গেল,,,
তারা সবাই সিদ্ধান্ত নিল যে আমাদের বিয়ে দিয়ে দিবেন,,,,

এই কথা শুনার পর আমি আর ইরা কেউই নিজেকে স্থির করে রাখতে পারলাম না,,,
আমরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলাম,,, কিন্তু সব ছেড়া চুলে খোপা বাধার মত হয়ে গেল,,,,,
তারা আমাদের কোন কথা না শুনেই আমাদের বিয়ে দিয়ে দিল,,,,,
ইরা হন হন করে বাড়ি চলে আসল,,,আর আমি আর রিয়া পরে আসলাম,,,,
জানি না আজ বাড়িতে যে কি হবে,,,,
ইরা প্রচন্ড রেগে আছে,,,,ভয়ে ভয়ে আমি বাসায় ঢুকলাম,,
কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে,,বাসায় কোন শব্দ শুনতে পেলাম না,,,সবাই সবার মত ব্যস্ত,,,,,,
আমিও আমার রুমে চলে আসলাম,,,
আর ওই ঘটনার কথা ভাবছি,,,
এইভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে নাকি??
আজ ওর ভুলের জন্য ৩ টা জীবন নষ্ট হয়ে গেল,,,,,
রাতে আমি একটা বই নিয়ে পড়তে লাগলাম কিন্তু কিছুতেই পড়ায় মন বসছে না ,,,
এমন সময় রিয়া আসল,,,,
রিয়াঃ- পড়ায় মন বসছে না???

আমিঃ- আপনি কি করে জানলেন??
রিয়াঃ- ওই ঘটনার পর পড়াতে মন না বসাটাই স্বাভাবিক,,,
আমিঃ- ইরা জড়িয়ে না ধরলেই তো পারত,,,
রিয়াঃ- দোষ তো ইরার ছিল,,,এইভাবে কেউ করে নাকি??
আমিঃ- হুম,,,,আঙ্কেল এসেছে??
রিয়াঃ- হুম মাত্র আসল,,,
আমিঃ- রিয়া একটু পর আইসো,, আমি একটু পড়েই নিই,,,,
রিয়াঃ- ওকে,,,,
রিয়া চলে গেল,,,,
আচ্ছা আমি কি ইরার কাছ থেকে মাফ চেয়ে আসব??
কেন চাইব দোষ তো আমার না,,,
ধুর যা হওয়ার হবে আগে মাফ তো চাই,,,,
এক পা এক পা করে বাড়ালাম, ইরার রুমের দিকে,,,,
দরজা দেখি খোলাই আছে,,,,
আমিঃ- আসতে পারি??
দেখি ইরা মন খারাপ করে সুয়ে আছে,,,,
আমাকে দেখে ওর খারাপ লাগাটা রাগে পরিনত হল,,,,
ইরাঃ- তুই এইখানে কেনো এসেছিস,,,,
আমিঃ- দেখো ইরা আজ যা হয়েছে তার জন্য আমি সরি,,,,
ইরাঃ- বাহ বাহ চমৎকার এত বড় মহৎ কাজ করে এখন সরি বলা হচ্ছে,,,
আমিঃ- আমার তো কোন দোষ ছিল না,,সব দোষ তোমার ছিল না,,,
ইরাঃ- ঠাসসসস,,,ঠাসসসস
ইরা আমাকে দুইটা থাপ্পড় দিল,,

আমি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,,,,
ইরাঃ- দোষ তোর ছিল বেশি,,,তুই আমার চোখের সামনে থেকে যা,,,,
আমি কিছু না বলে ভেজা চোখ নিয়ে ইরার রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম,,,,
।রাতে সবাই একসাথে খাবার খাচ্ছি কিন্তু কারো মুখে কোন শব্দ নাই,,,
চুপচাপ খাবার খেয়ে উঠে গেলাম,, ইরাও চুপচাপ খাবার খাচ্ছে,,,,
আজ বেশি পড়লাম না রুমে এসে সুয়ে পড়লাম,,,,
খুব ক্লান্ত লাগছে আজকে,,,,,,
তাই দিলাম এক ঘুম,,,
পরের দিন ঘুম থেকে উঠে আমি কলেজে চলে গেলাম,,,
ক্যম্পাসে আমি আর তানভির বসে আছি,,
তানভিরঃ- কিরে তোর মন খারাপ নাকি??
আমিঃ- হুম অনেক,,,
তানভিঃ- কেন??
আমিঃ- শুন তাহলে(সব বলে দিলাম)
তানভিরঃ- বলিস কি???এখন কি করবি??
আমিঃ- সেটাই তো চিন্তা,,,,ইরার সামনে যাওয়া আমার মনে হয় ঠিক হবে না,,,,
তানভিরঃ- বাসায় কেউ জানে??

আমিঃ- না কেউ জানে না,,,
তানভিরঃ- ইরা মনে হয় তোরে মেনে নিবে না,,,
আমিঃ- সেটা আমি ভালো করেই জানি,,,,
তানভিরঃ- এইসব নিয়ে আর ভাবিস না,,,
আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে,,,,,
আমিঃ- হুম,,,
আজো ইরা রবির বাইকের পিছনে করে আসল,,,
কিন্তু তার মুখে হাসির ছাপ নেই,,,,,
আমিঃ- তানভির চল এইখান থেকে,,,
তানভিরঃ- হুম চল,,,,,
আমরা যেই ক্লাসে যাব ঠিক তখনি রবি আমাকে ডাক দিল,,
আমি রবির কাছে গেলাম,,,
রবিঃ- কিরে তোরে কাল কি বললাম??
আমি কিছু বলতে যাব ঠিক তখনি ইরা বলে উঠল,,,,
ইরাঃ- ওকে যেতে দাও রবি,,
রবিঃ- কেনো??

ইরাঃ- বললাম তো যেতে দিতে,,,
রবিঃ- আচ্ছা তোমার কি হয়েছে সেই কখন থেকে চুপচাপ বসে আছ???
ইরাঃ- না আমার কিছুই হয় নাই,,,
রবিঃ- এই তুই ক্লাসে যা(আমাকে বলল)
আমিও সেখান থেকে চলে আসলাম,,,
কলেজ ছুটির পর যখন একা একা আসছিলাম তখন কেউ একজন পিছন থেকে আমাকে ডাক দেয়,,,,

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com