Breaking News

শীতের সময় অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ কেন বাড়ে। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের লক্ষন ও প্রতিকার


অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালির অসুখ। যদি কোনো কারণে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয়, তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়। ফুসফুসে বাতাস চলাচলের জন্য নির্ধারিত শ্বাসনালীগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত রোগ অ্যাজমা বা হাঁপানি। এটি কোনো সংক্রামক ব্যাধি নয়, তবে হৃদরোগ বা ক্যান্সারের মতো বিশ্বের মারাত্মক ব্যাধিগুলোর একটি।

শ্বাসযন্ত্রের নিম্নদেশের শ্বাসনালীগুলো ব্রঙ্কি নামে পরিচিত। এগুলোর ছোট ছোট শাখাগুলোকে বলা হয় ব্রঙ্কিওল্স। হাঁপানির সময় বিশেষত এই ব্রঙ্কি এবং ব্রঙ্কিওল্সে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ঘটে, যার ফলে পার্শ্ববর্তী মসৃণ পেশীগুলো সংকুচিত হতে থাকে। এভাবে সংকোচনের পুনরাবৃত্তির ফলে নালীগুলো ফুসফুসে বাতাস পরিবহনের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এরই চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে অ্যাজমা।

অ্যাজমা কেন হয়:

  • জেনেটিক কারণে যাদের অ্যালার্জি হয়।
  • বংশে মা-বাবা, দাদা-দাদি বা অন্য কারো হাঁপানি থাকলে হতে পারে।
  • কারো কারো অ্যালার্জির কারণে অ্যাজমা হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা হতে পারে।
  • ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে অ্যাজমা হতে পারে।
  • পেশাগত কারণে যেমন- বিভিন্ন কারখানার রাসায়নিক দ্রব্য, ঝাঁজালো গন্ধ বা দুর্গন্ধ, কারখানার পরিবেশ অ্যাজমার কারণ হতে পারে।
  • বিভিন্ন ওষুধ আছে যেগুলো অ্যাজমাকে প্রকট করে।
  • পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
  • বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
  • বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে।
  • মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
  • সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়।
  • কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।
শিশু থেকে বয়স্ক যেকোনো বয়সেই অ্যাজমা হতে পারে। তবে ৬ বছরের নিচে এই সমস্যাকে ব্রঙ্কিওলাইটিস বলা হয়।

অ্যাজমা বা হাঁপানি কখন বাড়ে:

ঘরবাড়ির ধুলা, ময়লা, মাইটেপোড়া, ফুলের রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক ইত্যাদি অ্যালার্জিজনিত পদার্থ থেকে হাঁপানি হতে পারে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পদার্থও হতে পারে হাঁপানি।

হাঁপানি রোগের কারণসমূহ কী কী?

মূলত পরিবেশ, বংশগতি ও নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন তীব্রতার অ্যাজমা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই তীব্রতা রোগের উপসর্গ ও চিকিৎসা উভয়কেই প্রভাবিত করে। জিনগত প্রভাবের কারণে ১২ বছর বয়সের আগে হাঁপানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অপরদিকে, ১২ বছর বয়সের পরে এই ব্যাধি হওয়ার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী থাকে পরিবেশগত প্রভাব।

ফুসফুসে বাতাস আনা নেওয়া করে যে শ্বাসনালীগুলো, সেগুলোর (প্রদাহের কারণে) ফুলে ওঠার কারণে হাঁপানি হয়। শ্বাসনালীগুলো অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পরে এবং সাময়িকভাবে সরু হয়ে যায়। 

কিছু কিছু জিনিস হাঁপানি উদ্রেক করতে পারে। সচরাচর দেখা যায় এমন কিছু কারণ হল: 
  • অ্যালার্জি। যেমন পশুর লোম, ফুলের রেণু, ধূলিকণার পোকা ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জি 
  • ধোঁয়া বা পরিবেশ দূষণ 
  • ঠাণ্ডা হাওয়া 
  • শারীরিক ব্যায়াম
  • সর্দিকাশির মতো অসুস্থতা বা ভাইরাস সংক্রমণ 
  • শুধু শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বা ঠান্ডা লাগলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • স্থূল ব্যক্তিদের অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়।
  • সাইনোসাইটিস, হার্ট ফেলিওর, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ছাড়াও বহুবিধ কারণে শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে।
  • আবার জ্বরসহ বেশ কিছু রোগেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার জন্য নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়।
  • হাইপার ভেন্টিলেশন সিনড্রোমের কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এর সঙ্গে উৎকণ্ঠা আর ভয় পাওয়ার রোগের (প্যানিক ডিসঅর্ডারের) সম্পর্ক আছে।

হাঁপানি উদ্রেকের এই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চললে লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের লক্ষণগুলো কী কী?

প্রধান লক্ষণগুলো হল:
  • শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট 
  • শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় শিস্ দেওয়ার মত শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া (wheezing)
  • বুকে চাপ লাগা – মনে হতে পারে যেন কোন বেল্ট বুকের চারপাশে আঁটসাঁট হয়ে আছে
  • বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই শব্দ
  • বুক ভার হয়ে থাকা
  • দম বন্ধ ভাব
  • ঘনঘন কাশি
  • দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট
  • ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
  • বুকে চাপ অনুভূত হওয়া
  • কাশি বা শুকনা কাশি
  • নাকে-মুখে ধুলাবালু গেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া

লক্ষণগুলো ক্ষণস্থায়ীভাবে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তখন এটাকে বলা হয় অ্যাজমা অ্যাটাক।

হাঁপানি রোগ কতদিন থাকে?

হাঁপানি অনেকের জন্যই একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, বিশেষ করে যাদের এই রোগ প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরে শুরু হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাঁপানি অনেকসময় ভালো হয়ে যায় বা বয়ঃসন্ধিকালে অবস্থার উন্নতি হয়। তবে জীবনের পরবর্তী সময়ে রোগটি আবার ফিরে আসতে পারে।

উপসর্গুলো সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তবে যারা তুলনামূলকভাবে গুরুতর হাঁপানির রোগী, তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে রোগটি ব্যঘাত ঘটাতে পারে।

হাঁপানির চিকিৎসা

হাঁপানি রোগ সাধারণত ইনহেলার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ইনহেলার একটি ছোট যন্ত্র যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ওষুধ শরীরে প্রবেশ করায়। 

ইনহেলার প্রধানত দুই ধরণের হয়। যেমন: 

প্রশমণকারী (reliever) ইনহেলার – হাঁপানির লক্ষণগুলো দ্রুত সারিয়ে ফেলতে এই ইনহেলার ব্যবহৃত হয়। এর কার্যকারিতা স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।

প্রতিরোধক (preventer) ইনহেলার – হাঁপানির লক্ষণগুলো যাতে দেখা না দেয়, সেজন্য এই ইনহেলার প্রতিদিন ব্যবহৃত হয়।

হাঁপানির আরো কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি

  • সালবিউটামল-জাতীয় উপশমকারী ওষুধ তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথ প্রসারিত করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের বাধা কমিয়ে দেয়।
  • স্টেরয়েড, অ্যামাইনোফাইলিন, ক্রোমগ্লাইকেট ইত্যাদি প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
  • হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলার সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি। এতে খুব অল্প মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করেই ভালো ফল পাওয়া যায়। খুব একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না।
  • হাঁপানির চিকিৎসায় নেবুলাইজারের ব্যবহারও বেশ ফলপ্রসূ। হাঁপানির মাত্রা তীব্র হলে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে নেবুলাইজার যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি।
  • হাঁপানির আক্রমণ ঠেকাতে অনেক সময় শিরায় স্টেরয়েডের ইনজেকশন দেওয়া হয়।

এই রোগের জটিলতাগুলো কী কী?

যদিও হাঁপানি সাধারণত নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রাখা যায়, তবুও মনে রাখতে হবে এটি একটি জটিল রোগ যা নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।এজন্য নিচের দুটি কাজ করা জরুরি:

  • নিয়মমাফিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলা 
  • লক্ষণগুলো খারাপ হতে থাকলে সেগুলো কোনোভাবেই উপেক্ষা না করা

হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

অ্যাজমার কোনো প্রতিকার নেই, তাই এই ব্যাধির আক্রমণ এড়াতে এর কারণগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো থেকে যথাসম্ভব নিজেকে দূরে রাখার মাধ্যমেই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতাসহ পরিবর্তন আনতে হবে নিয়মিত জীবনধারণে।

কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না

সালফাইটের মতো প্রিজারভেটিভগুলো হাঁপানির অবস্থায় আরও অবনতি ঘটাতে পারে। এই প্রিজারভেটিভ যেসব খাবারে থাকে, সেগুলো হলো শুকনো ফল, আচারযুক্ত খাবার, চিংড়ি ও লেবুর রস। গ্যাস সৃষ্টিকারী ভারী খাবার ডায়াফ্রামের ওপর চাপ বাড়ায়, বিশেষ করে যাদের অ্যাসিডিটি রয়েছে। এর ফলে বুকে প্রচণ্ড চাপ অনুভূত হয়, যা হাঁপানি প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের খাবারগুলো হলো মটরশুঁটি, কার্বনেটেড পানীয়, পেঁয়াজ, রসুন ও ভাজাপোড়া খাবার। প্রিজারভেটিভ, কৃত্রিম স্বাদ ও রঙ প্রায়ই প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুডে পাওয়া যায়। অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীদের এই কৃত্রিম উপাদানগুলোর প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।

কখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন?

হাঁপানি ছাড়াও অন্যান্য রোগের একই রকম লক্ষণ থাকতে পারে। তাই সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা নেয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি মনে হয় আপনার বা আপনার বাচ্চার হাঁপানি রোগ আছে, তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের সহায়তা নিবেন। ডাক্তার সাধারণত লক্ষণগুলো শুনে নিয়ে এবং কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে হাঁপানি রোগ নির্ণয় করতে পারবেন।

এ রোগ প্রতিরোধের জন্য ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ক্ষতিকর ওষুধ যেমন ব্যথানাশক ওষুধ বর্জন করতে হবে। ধুলা বা কালো ধোঁয়া, অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। অনেক প্রাণিজ ত্বক বা ছত্রাক অনেক ক্ষেত্রে মানবদেহে অ্যাজমা সৃষ্টির জন্য দায়ী। তেলাপোকার বিষ্ঠায় অ্যাজমা হয়। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে বায়ুদূষণে। দূষণ কমাতে হবে। ওজন অ্যাজমার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়। স্থূল ব্যক্তির পেট বড় হওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কেননা তার পেট বড় হওয়ার কারণে শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিসরে প্রসারিত হয় না। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা লাগবে। অ্যালার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে আমরা এ রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।

অ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর

হাঁপানি আর শ্বাসকষ্ট কি এক?
হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সংবলিত রোগ।

হাঁপানি রোগী কত বছর বাঁচে?
হাঁপানি রোগীদের জন্য কিছু সুখবর দিয়ে শুরু করা যাক। হাঁপানি রোগীদের আয়ু অন্য সাধারণ মানুষের চেয়ে কম নয়, গড়ে 80 বছর পর্যন্ত । সুতরাং, আপনি যদি একজন শিশু, একজন কিশোর, যুবক এবং আপনাকে এটির সাথে বাঁচতে হয় তবে অন্তত খুশি হন যে এটি আপনার আয়ুকে কাটছে না।

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়?
  • বাদাম এবং বীজ বাদাম এবং বীজ হাঁপানির ডায়েটে পুষ্টিকর সংযোজন কারণ এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই থাকে।
  • চর্বিযুক্ত মাছ স্যামন, ম্যাকেরেল, টুনা, সার্ডিন এবং ট্রাউটের মতো চর্বিযুক্ত মাছ হাঁপানির লক্ষণগুলি পরিচালনার জন্য অসাধারণ খাবার।
  • ভেষজ এবং মশলা
  • গোটা শস্য
  • মটরশুটি
  • দই এবং কেফির
  • গ্রিন টি

হাঁপানি কি নিরাময়যোগ্য?
না, হাঁপানি পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না, তবে উপসর্গগুলি তুচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। হাঁপানি নিরাময়যোগ্য নয় কারণ এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা।

হাঁপানি রোগ কি ছোঁয়াচে? 
হাঁপানি কি সংক্রামক? না, হাঁপানি ছোঁয়াচে নয়।

দুধ খেলে কি এজমা বাড়ে?
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার: যদিও দুধ সবার জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটি মিউকাস বাড়ায়, যা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াতে পারে। বিশেষত শীতকালে দুধ বা চিজ এড়িয়ে চলা ভালো। ৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্যাকেটজাত বা প্রসেসড খাবারে থাকা প্রিজারভেটিভ এবং কেমিক্যাল (যেমন সালফাইট) অ্যাজমার সমস্যা বাড়াতে পারে।

কি খেলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়?
বিন্‌স, ধনেপাতা, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই স্যুপ। সকালের জলখাবারে কিংবা রাতেও এই স্যুপ খেতে পারেন। দুগ্ধজাত খাবারে এমনিতেই প্রোটিন, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও টোফুর আরও একটি গুণ হল ফুসফুসের যত্ন নেওয়া।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com