বাংলাদেশের ফার্টিলিটি হাসপাতাল | টেস্ট টিউব প্রযুক্তির সাফল্য

টেস্টটিউব বেবিরা সামান্য বিজ্ঞান এবং ভালবাসা দিয়ে তৈরি করা অলৌকিক ঘটনা। টেস্টটিউব বেবি একটি সাধারণ এবং একটি অ-চিকিৎসা শব্দ যা ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) শিশুর জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, এটি কেবল যেভাবে বলে।আইভিএফ-এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুটি সফল নিষিক্তকরণের ফল যার মধ্যে একটি পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে যৌন মিলনের পরিবর্তে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু কোষ উভয়ই হস্তক্ষেপের সাথে চিকিত্সার হস্তক্ষেপ জড়িত। একটি টেস্ট-টিউব বেবি একটি শব্দ যা একটি ভ্রূণকে বর্ণনা করে যা ফ্যালোপিয়ান টিউবের পরিবর্তে একটি টেস্ট টিউবে তৈরি হয়। ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু একটি পরীক্ষাগারের থালায় নিষিক্ত হয় এবং নিষিক্তকরণের এই প্রক্রিয়াটি যা একটি গ্লাস বা পেট্রি ডিশে ঘটে তাকে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে। তাই টেস্টটিউব বেবি টেকনিককে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) বলা হয়।

বাংলাদেশের ফার্টিলিটি হাসপাতালগুলি সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট টিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রযুক্তি infertility সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চলুন দেখি, কিভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করে এবং এর মাধ্যমে কি সুবিধা পাওয়া যায়।

টেস্ট টিউব প্রযুক্তির ইতিহাস

টেস্ট টিউব প্রযুক্তি, যা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) হিসাবে পরিচিত, প্রথমবার 1978 সালে জন্মগ্রহণ করে। প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউন ছিলেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, একটি ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুকে ল্যাবরেটরিতে একত্রিত করে embryo তৈরি করা হয় এবং পরে এটি মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশে, এই প্রযুক্তি 1990 এর দশক থেকে শুরু হয় এবং বর্তমানে এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলি IVF চিকিৎসা প্রদান করছে এবং অসংখ্য দম্পতি তাদের পরিবার গঠনের স্বপ্ন পূরণ করছে।

টেস্ট টিউব প্রযুক্তির কার্যপ্রণালী

টেস্ট টিউব প্রযুক্তি মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে। প্রথমত, মহিলার ডিম্বাণুগুলি সংগ্রহ করা হয়। দ্বিতীয়ত, শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয় এবং তৃতীয়ত, ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু একত্রিত করে embryo তৈরি করা হয়।

• ডিম্বাণু সংগ্রহ: মহিলার শরীরে হরমোনের মাধ্যমে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানো হয়। তারপর, একটি সূক্ষ্ম সুই ব্যবহার করে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়।
• শুক্রাণু সংগ্রহ: শুক্রাণু সাধারণত পুরুষের শুক্রাশয় থেকে সংগৃহীত হয়। এটি স্বাভাবিক বা বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে করা হতে পারে।
• ফার্টিলাইজেশন: ল্যাবে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু একত্রিত করা হয় এবং embryo তৈরি হয়।

সাফল্যের হার

বাংলাদেশে টেস্ট টিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে গর্ভধারণের সাফল্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত, IVF শতকরা 40-60% সাফল্য দেখায়, তবে বিভিন্ন ক্লিনিকে এটি 70% বা তারও বেশি হতে পারে।

ফার্টিলিটি হাসপাতালগুলি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হয়, যা সাফল্যের হার বাড়াতে সাহায্য করে।

সাফল্যের কারণ

টেস্ট টিউব প্রযুক্তির সাফল্যের পেছনে কিছু কারণ রয়েছে:

• উন্নত প্রযুক্তি: আধুনিক প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।
• অভিজ্ঞ চিকিৎসক: প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করেন।
• ব্যক্তিগত যত্ন: প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।

মেডিকেল সুবিধা

টেস্ট টিউব প্রযুক্তি কেবলমাত্র গর্ভধারণের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন মেডিকেল সমস্যার সমাধানেও কার্যকরী। উদাহরণস্বরূপ:

• জেনেটিক রোগের ঝুঁকি কমানো 
• অবস্ট্রাকটিভ অ্যাজোস্পার্মিয়া (অবস্ট্রাকশন সমস্যা) সমস্যার সমাধান
• ফিমেলের ফার্টিলিটি সমস্যা সমাধান 

পুনরায় গর্ভধারণের সুযোগ

যারা ইতিমধ্যে সন্তান হারিয়েছেন, তারা টেস্ট টিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে একই লিঙ্গের সন্তান লাভের সুযোগ পেতে পারেন। এটি পরিবারে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব

গর্ভধারণের সমস্যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। টেস্ট টিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে সফল গর্ভধারণের ফলে দম্পতিরা মানসিকভাবে স্থিতিশীল অনুভব করেন। ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলো রোগীদের মানসিক সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

ফার্টিলিটি হাসপাতালে যাওয়ার সময়

যদি আপনি গর্ভধারণে সমস্যা অনুভব করেন, তবে একজন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার পরিস্থিতি বুঝে সঠিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।

বাংলাদেশের ফার্টিলিটি হাসপাতালে গিয়ে আপনি সর্বশেষ প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন এবং আপনার পরিবারের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশের ফার্টিলিটি হাসপাতালগুলি টেস্ট টিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এটি শুধুমাত্র গর্ভধারণের একটি উপায় নয়, বরং একটি নতুন জীবন শুরু করার সুযোগও। আপনার যদি গর্ভধারণের সমস্যা থাকে, তবে দয়া করে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।

বাংলাদেশের ফার্টিলিটি হাসপাতালে যেসকল চিকিৎসা দেওয়া হয়:

• আই ভি এফ (IVF)
• ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন (ICSI)
• আই ইউ আই (IUI)
• মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব যাচাই
• পুরুষের বন্ধ্যাত্ব যাচাই
• শুক্রাণু সংরক্ষণ
• পরামর্শ Counseling

যোগাযোগঃ

 সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ৮টা – সন্ধ্যা ৬টা  (রবিবার, বৃহস্পতিবার বন্ধ) 

ডি-২/ইনজেকশন পরিষেবা: বিকাল ৪টা – ৫টা

Hot Line: 01894-877811

Website: https://bangladeshfertilityhospital.com

Facebook Page: https://www.facebook.com/BangladeshFertilityHospital

প্লট#১০, ব্লক#ই, প্রধান সড়ক, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১২