রংপুরের গ্রামীণফোন সেন্টারের ঠিকানা

গ্রামীন ফোন বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে তার যাত্রা শুরু করে। এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি, যা গ্রাহকদের মোবাইল ফোন সেবা প্রদান করে থাকে। গ্রামীন ফোন বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে পরিচিত এবং এটি ভোডাফোন গ্রুপের একটি শাখা। গ্রামীন ফোনের যাত্রা শুরুর পেছনে বিশেষভাবে কাজ করেছে বিশ্বব্যাংক এবং গ্রামীণ ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের উদ্যোগ, যিনি গ্রামীণ ফোন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিলেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবার প্রসার ঘটে, এবং বিশেষ করে কৃষক, নারী ও দরিদ্র জনগণের জন্য এটি একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। গ্রামীন ফোনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন সেবা পৌঁছানো এবং সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত করা।

বর্তমানে গ্রামীন ফোন (গ্রামীণফোন লিমিটেড) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। এটি ভোডাফোন গ্রুপ এর একটি অংশ এবং বাংলাদেশের টেলিকম খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গ্রামীন ফোনের বর্তমান অবস্থা:

গ্রাহক সংখ্যা: গ্রামীন ফোনের বর্তমানে প্রায় ৮ কোটি গ্রাহক রয়েছে, যা বাংলাদেশে মোবাইল সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এটি দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকদের প্রায় ৪০%-এর বেশি অংশ দখল করেছে।
নেটওয়ার্ক: গ্রামীন ফোন বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় বিস্তৃত নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান করে। তাদের 4G এবং LTE পরিষেবা বর্তমানে গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্রামীন ফোন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে, যা আধুনিক জীবনযাত্রার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন: গ্রামীন ফোন দেশব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতি এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। bKash (যা গ্রামীণ ফোনের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত) বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ফাইনান্স সেবা, এবং এটি গ্রামীন ফোনের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR): গ্রামীন ফোন বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে, বিশেষ করে শিক্ষাখাত, স্বাস্থ্যসেবা, নারী empowerment এবং পরিবেশ সংরক্ষণে। উদাহরণস্বরূপ, তারা গ্রামীণ জনগণের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা উদ্যোগে কাজ করে থাকে।
অর্থনৈতিক অবস্থা: গ্রামীন ফোন ২০২৩ সালের শেষের দিকে সুপ্রসিদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক অবস্থায় ছিল। তাদের ব্যবসায়িক মডেল স্থিতিশীল এবং এটি স্থানীয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তার সেবা ও উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিযোগিতা: গ্রামীন ফোন বাংলাদেশের টেলিকম খাতে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে, যেমন রবী, বাংলালিংক এবং ঢাকা টেলিকম। তবে গ্রামীন ফোন এখনও বাজারে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।

রংপুরে সদরে অবস্থিত গ্রামীণফোন সেন্টার

ঠিকানা: রংপুর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, স্টেশন রোড, রংপুর সদর, রংপুর।

অফিস সময়: সকাল ১০টা - সন্ধ্যা ৬টা।

ছুটির দিন: শুক্রবার।