Breaking News

কুয়াকাটা সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান | কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড | কুয়াকাটায় কি কি পাওয়া যায় | কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান সমূহ


১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিন -পশ্চিশ অঞ্চলের জেলা পটুয়াখালির একটি সমুদ্র সৈকতের নাম। যার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে উপাধি পেয়েছে সাগর কন্য হিসাবে। আর যে বৈশিষ্টের জন্য সবচে বেশি জনপ্রিয় তা হলো এটি দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত। যেখানে আপনি দাড়িয়ে একসাথে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। এখানে আসলে আপনি খুজে পাবেন বিস্তীর্ণ ঝাও বন সাদাবালি সবুজ আর সাগরের এক নিবির সম্পর্ক যেখানে মনের সব দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনাকে আপনি চাইলে সাগরে বিলিয়ে দিতে পারবেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে দেখাদিয়েছে নতুন সম্ভবনা। ঢাকা থেকে সড়ক পথে মাত্র ৫ঘন্টায় পৌছানো যায়। কক্সবাজার থেকে তুলনামুলক অনেক কম খরচ এবং বিচিত্র নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু এখন এই স্থানটি।

ভ্রমণ টিপস:
  • ভ্রমণের পূর্বে আপনার প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও খাবার পানি সাথে নিবেন।
  • ছুটির দিনগুলোতে ট্যুর প্লান থাকলে অবশ্যই অগ্রিম বাসের টিকিট কেটে রাখার চেষ্টা করবেন।
  • সিজনে গেলে হোটেল বা রিসোর্ট অগ্রিম বুকিং করে গেলে ভালো হয়।
  • যে হোটেল বা রিসোর্টে থাকবেন সেই হোটেল ও রিসোর্টের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন।
  • রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে খাওয়ার পূর্বে দাম জেনে নিবেন।
  • ছবি তোলার ক্ষেত্রে দাম দর করে নিবেন এবং যদি মা বোনের ছবি তোলেন তাহলে নিজে দিড়িয়ে থেকে তাদের ক্যামেরার ছবি ডিলিট করে দিবেন যেন পরবর্তীতে হয়রানির স্বীকার না হতে হয়।
  • স্পিড বোটে উঠার পূর্বে লাইফ জ্যাকেট পরে নিবেন।
  • বাচ্চাদের নিয়ে সমুদ্রে নামলে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
  • যে কোনো প্রয়োজনে কুয়াকাটার টুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নিবেন।

দর্শনীয় স্থান সংক্ষেপে:

  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
  • ফাতরার বন - সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকের সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বন, যা 'দ্বিতীয় সুন্দরবন' হিসেবে পরিচিত।
  • কুয়াকাটার 'কুয়া' - কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ বিহারের কাছে রয়েছে একটি প্রাচীন কুপ।
  • সীমা বৌদ্ধ বিহার - প্রাচীন কুয়াটির সামনেই রয়েছে প্রাচীন সীমা বৌদ্ধ বিহার, যাতে রয়েছে প্রায় সাঁইত্রিশ মন ওজনের অষ্ট ধাতুর তৈরি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি।
  • কেরানিপাড়া - সীমা বৌদ্ধ বিহারের সামনে থেকেই শুরু হয়েছে রাখাইন আদিবাসীদের পল্লী কেরানিপাড়া।
  • আলীপুর মহিপুর বন্দর - কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বড় মৎস্য ব্যবসা কেন্দ্র আলীপুর মহিপুর।
  • মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার - কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্বে রাখাইন আদিবাসীদের আবাসস্থল মিশ্রিপাড়ায় রয়েছে একটি বৌদ্ধ বিহার, যাতে রয়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি।
  • গঙ্গামতির জঙ্গল - কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূব দিকে গঙ্গামতির খালের পাশে গঙ্গামতি বা গজমতির জঙ্গল।

কোন জায়গা থেকে সূর্যোদয় ও সুর্যাস্ত ভালো দেখা যায়: আপনি যদি শীতকালে আসেন তাহলে আপনি গঙ্গামতির চলে বসে সূর্যোদয় দেখতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি গ্রীষ্মকালে আসেন বা সিজনের একদম শেষ দিকে আসেন তাহলে আপনাকে সূর্যোদয় দেখতে যেতে হবে কাওয়ারচরে কারণ সেখান থেকে সূর্যোদয় দেখা যায়।

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, আরামবাগ ও কল্যানপুর কাউন্টার থেকে সাকুরা, ইউরো কোচ, শ্যামলী এনআর, শান্তি পরিবহন সহ আরো বেশ কিছু পরিবহন সরাসরি ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় যায়। এবং ঢাকা ব্যাতিত প্রতিটি বিভাগীয় শহর বা জেলা শহর থেকে কুয়াকাটার উদেশ্য কোন না কোন বাস আছ যোগাযোগ করে অগ্রীম টিকিট ক্রয় করে ভ্রমন উপভোগ করুন।

বাসের ভাড়া: জনপ্রতি নন-এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং জনপ্রতি এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা। যদি ভ্রমণ মৌসুমে ঘুরতে যেতে চান তবে আপ-ডাউন ট্রিকিট ক্রয় করার জন্য আসি পরামর্শ দিয়ে থাকব।

যেসব খাবার খেতে ভূলবেন না: কুয়াকাটায় এলে সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ খেতে ভুলবেন না। সমুদ্র সৈকতের পাশেই রয়েছে বারবিকিউর ব্যবস্থা। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ দোকানগুলো খোলা থাকে। এখান থেকে সামুদ্রিক তাজা মাছ দেখে পছন্দ করে কিনবেন। কেনার আগে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন। সাগর তীরে বসে সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ আপনাকে অন্যরকম স্বাদ দেবে।

হোটেল ভাড়া

হোটেল মিয়াদ: কুয়াকাটা বর্তমানে কুয়াকাটার হোটেল তালিকার মোটামুটি কম ভাড়ার ভিতরে সেরা হোটেল, হোটেলের সাইড দিয়ে বীচে হেটে যেতে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট সময় লাগবে এবং জিরো হেটে যেতে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় লাগবে! নিরিবিলি পরিবেশ এবং হোটেলের সার্ভিস খুবই ভালো। রুম অনেক বড় এবং কোয়ালিটি অনেক ভালো। নন এসি রুম নাই। সব এসি রুম। সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ৫০০০ টাকা। তবে নিয়মিত ভাড়া ওঠানামা করে। অধিকাংশ সময় ২০০০-৩০০০ এর ভিতরে ভাড়া থাকে।

সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলা: সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলা (Sikder Resort & Villas) কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। এটি কুয়াকাটার শীর্ষস্থানীয় ফাইভ স্টার হোটেল। প্রায় ১৭ একজন জায়গার উপর প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে নির্মিত। বাজেট নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলে এই লাক্সারী রিসোর্ট নিশ্চিন্তে ছছে নিতে পারেন আপনার কুয়াকাটা ভ্রমণে।
সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলা রুম ভাড়া ও খরচ
Deluxe Room With View - 12,650 Tk
Deluxe Room Without View 16,445 Tk
Superior Room- 17,710 Tk
Premier Room 20,240 Tk
Deluxe Connecting 25,300 Tk
Executive Twin Room 25,300 Tk
Classy Twin Room - 27,830 Tk
Executive Suite -40,480 Tk
Superior Villa -50,600 Tk
Premier Villa Without Pool -56,925 Tk
Royal Suite -56,925 Tk
Premier Villa With Pool- 63,250 Tk

সানসেট লডস কুয়াকাটা: মাত্র ৮০০ টাকায় ৩ স্টার কোয়ালিটির রুম। কুয়াকাটার অন্যতম কম দামে সেরা হোটেল সুন্দর পরিবেশ এবং সার্ভিস ভালো, ১০০% নিরাপত্তা, এসি এবং নন এসি রুম পাবেন এবং নিরিবিলি পরিবেশ। ২৪ ঘন্টা রুম সার্ভিস, ফ্রী ওয়াইফাই, টিভি।। কটেজ টাইপের হোটেল। হোটেলের পাশ দিয়ে বীচে হেটে যেতে সর্বোচ্চ এক দেড় মিনিট সময় লাগে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে হেটে যেতে ৫-৬ মিনিট সময় লাগে।। আনুমানিক ভাড়া ৮০০-২০০০ পর্যন্ত।। তবে ভাড়া ওঠানামা করে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার শুক্রবার শনিবার ভাড়া পরিবর্তনশীল।

শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলা: কুয়াকাটার সেরা পাঁচ তারকা হোটেল শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলা। জিরো পয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে এই হোটেল খুঁজে পাবেন। রুমের মান অনুযায়ী ৮,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকায় হোটেল ভাড়া নিতে পারবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোটেলটিতে অনুষ্ঠান ও বনভোজন করা যায়। বাজেট সীমিত না হলে পুরো পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে পারেন। যেসব সুবিধা আছে—  ডিলাক্স রুম, প্রিমিয়ার রুম ও সুপেরিয়র ভিলা আছে বারান্দা থেকে সরাসরি প্রশস্ত সমুদ্র-সৈকত দেখা যায় হোটেলে সুইমিং পুল ও নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা আছে।

কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল: কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল আরো একটি নামকরা পাঁচ তারকা হোটেল। জিরো পয়েন্ট থেকে সহজে বিলাসবহুল এই হোটেলে যাওয়া যায়। এখানে থাকতে হলে খরচ পড়বে ১৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা। রিসেপশন থেকে শুরু করে প্রতিটি রুমেই আভিজাত্যের ছোঁয়া পাবেন। অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে হেলিপ্যাড ও ভিআইপি লাউঞ্জ রয়েছে। আরো যেসব সুবিধা পাবেন—  স্ট্যান্ডার্ড, প্রিমিয়াম ও প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটের ব্যবস্থা আছে পুল ও বিভিন্নরকম খেলাধুলা করার ব্যবস্থা আছে আকর্ষণীয় গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরে দেখার সুযোগ আছে।

হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনাল: চার তারকা হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনাল উপরের সারিতে থাকবে। রাখাইন মহিলা মার্কেটের পূর্বপাশে হোটেলটি খুঁজে পাবেন। এখানে সব রুমই আসবাবপত্র ও অন্যান্য উপকরণে সাজানো। শরীরচর্চার জন্য ব্যায়ামাগারও আছে। গাড়ি রাখার জন্য সুন্দর পার্কিং স্পট পাবেন। অন্যান্য সুবিধাসমূহ:- রয়্যাল, প্রিমিয়াম ও ডিলাক্স তিন ধরণের রুমের ব্যবস্থা আছে অনুষ্ঠানের জন্য বড় কনফারেন্স রুম ও ঘাসের প্রাঙ্গন  আছে সুস্বাদু দেশি, চীনা ও কাবাব জাতীয় খাবারের ব্যবস্থা আছে।

সাগর কণ্যা রিসোর্ট (Sagor Konna Resort):
বিবরণ: পশ্চিম ভেরিবাধে অবস্থিত সাগর কণ্যা রিসোর্ট কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে হাঁটার দূরত্বে। এটি সস্তায় সী ভিউ রুমের সুবিধা প্রদান করে।
সুবিধা ও সুবিধাসমূহ: সী ভিউ রুম সহজলভ্য সুবিধা
যোগাযোগ: পশ্চিম ভেরিবাধ রোড, কুয়াকাটা
মোবাইল: ০১৭১১১৮১৭৯৮
ফেসবুক পেজ: Sagor Konna Resort Facebook

হোটেল খান প্যালেস: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট হাঁটলেই হোটেল খান প্যালেসের দেখা পাবেন। তিন তারকা হোটেলটি মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই ভালো। ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকাতে এখানে রুম পাবেন, তবে ভ্রমণ মৌসুমে ভাড়া কিছুটা বাড়তে পারে। প্রত্যেকটি রুমে আধুনিক নকশার আলাদা শৌচাগার আছে। আরো যেসব সুবিধা পাবেন—  গাড়ি রাখার জন্য অনেক বড় পার্কিং লট আছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের হরেক রকমের খাবার মেনু পাওয়া যায় সময় কাটানোর জন্য প্রাকৃতিক বাগান ও বড় টিভি আছে

স্বপ্নরাজ্য পার্ক এন্ড রিসোর্ট: 
বিবরণ: কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্বপ্নরাজ্য পার্ক এন্ড রিসোর্ট একটি কম বাজেটের রিসোর্ট। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে অবকাশ কাটানোর জন্য আদর্শ। 
সুবিধা ও সুবিধাসমূহ: প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুবিধা পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য উপযুক্ত 
যোগাযোগ: পশ্চিম মেরিন ড্রাইভ রোড, কুয়াকাটা 
মোবাইল: ০১৯৭১-৮৪১৬০১ 
ওয়েবসাইট: Sawpnorajjo Park 
ফেসবুক পেজ: Sawpnorajjo Park Facebook

ওশান ভিউ হোটেল ও কনভেনশন: ওশান ভিউ হোটেল ও কনভেনশন এটি একটি বিলাসবহুল হোটেল এন্ড রিসোর্ট। কুয়াকাটার সেরা হোটেল গুলোর মধ্যে এটি একটি। এখানে রয়েছে সকল সুবিধা সমূহ তাই এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি সেরা হোটেল এন্ড রিসোর্ট।
রুম ভাড়া 
Deluxe Couple Room - 6,500
TK Superior Room - 9,500 TK
Deluxe Room With View & Deluxe Room With Sea View
যোগাযোগ ঠিকানা: কুয়াকাটা।
মোবাইল নাম্বার: +88 01870 704026
ই-মেইলঃ oceanviewhotel.kuakata@gmail.com

আরো কিছু হোটেলের তথ্যঃ
  • হলিডে হোম - ফোন নম্বর ০১৭১৫০০১১৪৮৩
  • হোটেল স্কাই প্যালেস - ফোন নম্বর ০১৭২৭৫০৭৪৭৯
  • হোটেল নীলাঞ্জনা - ফোন নম্বর০১৭১২৯২৭৯
  • কুয়াকাটা গেস্ট হাউস - ফোন নম্বর ০১৩০৮৬৮২৭৮৫
  • হোটেল বনানী প্যালেস - ফোন নম্বর০১৭২৭৫০৭৮৭৯
  • বিশ্বাস সি প্যালেস - ফোন নম্বর ০১৭৩০০৯৩৩৫৬
  • বিচ হ্যাভেন - ফোন নম্বর ০১৭১৮৮২৬৪৫২
  • সাগর কন্যা রিসোর্ট - ফোন নম্বর ০১৭১১১৮১৭৯৮
  • হোটেল সৈকত - ফোন নম্বর ০১৭১৬২১৪৪২৮
  • হোটেল সাগর নিড় - ফোন নম্বর ০১৭০১৪৯৯১২৩
  • হোটেল কুয়াকাটা ইন - ফোন নম্বর ০১৭৫০০৮১৭৭
  • সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাজ - ফোন নম্বর:017008o2726
  • কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড সি রিসোর্ট  গ্র্যান্ড হোটেল, সাবিরুল, কুয়াকাটা   +880 1709-646350
  • হোটেল কুয়াকাটা ইন লি.  কুয়াকাটা   +88 0341 62480, +880 1750-008177
  • হোটেল গ্রেভার ইন  রাখাইন মার্কেটের পূর্ব পাশে, সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা  +880 1833318380, +880 1833-318383,+880 1833-318387
  • হোটেল সি কুইন  রাখাইন মহিলা মার্কেট রোড, কুয়াকাটা  +880 1792-769179
  • সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস  ইকো পার্কের বিপরীতে, কুয়াকাটা  +880 1700-802726
  • হোটেল নীলাঞ্জনা লি.  রাখাইন মহিলা মার্কেট রোড এর বিপরীতে  +880 1712-927904
  • হোটেল খান প্রাসাদ  বরিশাল - পটুয়াখালী রোড, কুয়াকাটা  +88 01707-080846, +88 01707-080847
  • বিচ হ্যাভেন  আলীপুর রোড, কুয়াকাটা  +880 1311-024019
  • স্বপ্নরাজ্য পার্ক এন্ড রিসোর্ট  স্বপ্নরাজ্য পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট, কুয়াকাটা  +88 01894-947301
  • হোটেল শোইকোট  কুয়াকাটা  +88 01716-214428, +88 01713-954908 

কম বাজেটের কিছু হোটেল ও রিসোর্ট :

  • পর্যটন হলিডে হোমস্ কুয়াকাটা  কুয়াকাটা, কলাপাড়া, পটুয়াখালি।   যোগাযোগ:   +8801732-091599  +8801991-139035
  • কুয়াকাটা ইয়ুথ ইন  কুয়াকাটা, কলাপাড়া, পটুয়াখালি।   যোগাযোগ:   +8801732-091599  +8801991-139035
  • হোটেল নীলাঞ্জনা  রাখাইন মহিলা মার্কেট রোড, কুয়াকাটা।  যোগাযোগ:  +8801712-927904
  • সাগর কন্যা রিসোর্ট লিমিটেড  পশ্চিম কুয়াকাটা।  যোগাযোগ:  +8801711-181798
  • হোটেল কুয়াকাটা ইন  সদর রোড, কুয়াকাটা।  যোগাযোগ:  +8801750-008177

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান সমূহ:

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান: আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী আর পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হয়ে থাকেন তবে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখতে পারেন। এটি কলাপাড়া উপজেলার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই উদ্যানটি ১৬১৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর। নৌকায় বা পায়ে হেঁটে পার্কটি ঘুরে দেখা যাবে এবং এই জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।

শুটকি পল্লী: কুয়াকাটা সৈকতের সাত কিলোমিটার পশ্চিমে শুটকি পল্লী। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে জেলেরা শুটকি তৈরি করে। এখানে একই সাথে শুটকি বানানোর প্রক্রিয়া ও জেলেদের জীবনযাপন দেখা যায়। আর চাইলে অনেক কমদামে কাঁচা ও শুকনো মাছ কিনে আনতে পারেন!

কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির: এই বৌদ্ধ মন্দিরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম গৌতম বুদ্ধের মূর্তি আছে, যা ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরটি কুয়াকাটার আরেকটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। ৮টি ধাতুর মিশ্রণে তৈরি বৌদ্ধ মূর্তিটির ওজন প্রায় ৩৫০ কেজি।

জাহাজমারা বিচ: সৈকতে লাগোয়া জলে নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটছে মাছেদের দল। সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দলের ছোটাছুটি চোখে পড়ে। এমন একটি জায়গার নাম জাহাজমারা। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘবছর আগে এই সৈকতে একটি জাহাজ আটকে পড়ে এবং ধীরে ধীরে সেই জাহাজটি বালুতে ডুবে যায়। এরপর থেকেই স্থানীয়রা জাহাজমারা সৈকত নামকরণ করে। চর তুফানিয়া থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাহাজমারা সৈকত। পটুয়াখালীর সাগরঘেঁষা রাঙ্গাবালী উপজেলায় মৌডুবী ইউনিয়নে সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারার প্রধান আকর্ষণ সূর্যাস্ত। এছাড়া সৈকতজুড়ে দেখা মিলতে পারে তরমুজের বিস্তীর্ণ মাঠ।

ঝাউবন: প্রায় ৭৫ হেক্টর জায়গাতে করা ঝাউবন বেশ উপভোগ্য স্থান। লম্বা আকাশমণি গাছের মাঝে নারিকেল ও বিভিন্ন ফলগাছের ছায়ায় আরামে পিকনিক করা যায়। এখানে খিচুড়ি ও সামুদ্রিক মাছ দিয়ে নাস্তা সেরে নিতে পারবেন। ঝাউবন দেখার পর মিস্ত্রী পাড়ার বৌদ্ধ বিহার এবং তাঁত পল্লীও ঘুরে আসা যায়।

সোনার চর বিচ: এ জেলায় অবস্থিত আরেকটি নয়নাভিরাম সৈকতের নাম সোনারচর। সূর্যাস্ত ও সুর্যোদয়ের সময় সৈকতজুড়ে টুকটুকে লাল রং ধারণ করায় এর নামকরণ করা হয় সোনার চর নামে। কুয়াকাটা সৈকত থেকে দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে অবস্থিত সোনারচরের সৌন্দর্য পাগল পর্যটকদের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানে। সোনারচরে সুন্দরবনের মতোই রয়েছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও এর ভিতরে ছোট ছোট খাল। গোটা দ্বীপটি যেন সাজানো-গোছানো এক বনভূমি। রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেঁতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। নিভৃত সোনার চরে শুধু নানান ধরনের বৃক্ষের সমাহারই নয়, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীও। হরিণ, শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর, বানর এ বনের বাসিন্দা। রয়েছে চার কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। নগরের কর্মচাঞ্চল্য থেকে বহুদূরে এই সৈকতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এখনও অনেকের কাছে অজানা।

রাখাইন পল্লী:  কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রাখাইন পল্লী। মিসরিপাড়া, কেরানীপাড়া এবং আমখোলাপাড়ার মতো গ্রামগুলো নিয়ে রাখাইন পল্লী একটি চমৎকার জায়গা। রাখাইন পল্লীতে বসবাসরত সম্প্রদায়ের অনন্য জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যেকোনো দর্শনার্থীকেই মুগ্ধ করবে। বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন শেষে রাখাইন জনগোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী ও হাতে তৈরি কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। আশা করছি, ছোট ছোট এই দোকানগুলো আপনাকে হতাশ করবে না।

শুভ সন্ধ্যা সৈকত: নিদ্রা সৈকত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের সাগর তীরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ির একটি অংশ। ফলে সাগরপাড়ে সবুজের সমারোহের সাথে সাথে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ চোখে পড়বে এখানে। প্রচলিত সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকায় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত। এছাড়া উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এ সৈকতেই।

ইকলোজিক্যাল পার্ক: পয়েন্টের মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরেই ইকোপার্ক শুরু হয়। এখানে সুন্দরী, কেওড়া, হিজল, করমজা, অর্জুন, বাইন, পশুর, আসামলতা-সহ হাজারো উদ্ভিদ ও বিলুপ্তপ্রায় পাখির মিলনমেলা দেখা যায়। প্রায় ১৩,০০০ একরের এই ইকোপার্ক একদিনে ঘুরে শেষ করা কঠিন।

নারিকেল বাগান: ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান নামে পরিচিত এই বাগানকে পাখির অভয়ারণ্য বলা চলে। এখানে ১৬৭ একর জায়গাজুড়ে কাজু বাদাম, কুল, গর্জন-সহ বিভিন্ন ওষধি ও ফলজগাছ দেখা যায়। অযত্ন ও সমুদ্রের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও বাগানের অবশিষ্টাংশ দেখে ভাল লাগবে।

আলিপুর বন্দর: মাছ ধরার কার্যক্রম ও মাছ ব্যবসা দেখতে চাইলে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আলিপুর বন্দর ঘুরে আসতে পারেন। আলিপুর বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম মাছ ধরার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে দেখতে পাওয়া যাবে তীরে নোঙর করা শত শত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলার। চাইলে স্বল্পমূল্যে স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার কেনা যাবে।

কাউয়ার চর বিচ: কুয়াকাটা সৈকত থেকে কাউয়ার চর সৈকতের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের এই সৈকতের অবস্থান। স্থানীয়ভাবে এটা গঙ্গামতি সৈকত নামেও পরিচিত। এ সৈকতের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, সূর্যোদয় দেখা এবং চোখ জুড়ানো ঝাউবাগান। বন বিভাগের ঝাউগাছ দিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে এই সৈকতে। এছাড়া সকাল বেলায় সৈকতের বালুকাবেলায় সারি সারি সাজানো থাকে জেলেদের নৌকার বহর, শেষ বিকালে তা সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকেই অবলোকন করা যায় সাগরে সংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।

লাল কাকড়ার চর(Lal Kakrar char): লাল কাকড়ার চর কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত| ভাটার সময় গর্ত থেকে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া বেরিয়ে আসে যা এলাকাটিকে লাল দীঘিতে পরিণত করে| এখানে গিয়ে পর্যটকরা লাল কাকড়ার সাথে খেলায় মেতে ওঠে| মূলত লাল কাঁকড়া প্রচুর দৌড়াতে পারে এবং পর্যটকদের দেখলে দ্রুত গর্তে ঢুকে যায়| অনেক সময় পর্যটকরা লাল কাঁকড়া ধরে ফেলে অথবা আহত করে| জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

চর বিজয় সৈকত: কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছে একটি চর। বিজয়ের মাসে এর সন্ধান পাওয়ায় নাম রাখা হয় ‘চর বিজয়’। চরটি বর্ষার ছয়মাস পানিতে ডুবে থাকে। আবার পানি নেমে গেলে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে দেখা মেলে এ চরের। এ সময় সৈকতের পুরোটাই প্রায় দখলে নিয়ে নেয় লাল কাঁকড়া। সৈকতজুড়ে দেখা যায় অসংখ্য পাখির ওড়াউড়ি। দু’চোখ দিয়ে চারদিকে তাকালেই দেখা মেলে পানিতে ছোট বড় অসংখ্য মাছের নাচানাচি।

ভ্রমণ শেষ হোটেল /রিসোর্ট থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোন কিছু ফেলেগেলেন কি? ভালো করে দেখে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে চেকআউট করুন। ভ্রমণ শেষে আপনি ক্লান্ত থাকবেন প্রয়োজন হলে গাড়িতে উঠার সময় সকল মালামাল বক্সেএ দেওয়া সময় নিজে দাড়িয়ে থেকে সম্পন্ন করুন। আর গাড়িতে উঠার আগে অন্তত একটি ডাব খেয়ে গাড়িতে উঠুন তাহলে দেখবেন ক্লান্তি কিছুটা হলেও কম মনে হবে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com