Breaking News

যৌবন ধরে রাখার কিছু প্রাকৃতিক/ ঘরোয়া উপায়



যৌবন ধরে রাখা সবারই স্বপ্ন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। তবে কিছু সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই প্রক্রিয়াটিকে ধীর করতে পারি এবং দীর্ঘ সময় ধরে তরুণ ও energetic থাকতে পারি।

তারুণ্য বা যৌবন ধরে রাখতে অনেকেই কসমেটিক সার্জারি, ওষুধ, বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান গ্রহণ করে থাকেন, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অথচ নিজের যৌবন দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য এতো ঝামেলা করার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, খুব সহজেই কিছু বিশেষ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন আপনি। 

বৃদ্ধ হতে চায় না কেউ। যৌবনটা যেন চিরজীবন থেকে যায় মনে মনে সেই ইচ্ছা নিয়েই আয়নার সামেন দাড়ায় প্রতিটি মানুষ। এমন কাউকেই পাওয়া যাবে না যে, যৌবন রেখে বার্ধক্যকে পছন্দ করে। বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তবে দেখা গেছে কেউ কেউ তুলনামূলক দ্রুত বুড়িয়ে যান। আবার কারও চেহারা দেখে বয়স বোঝার উপায় থাকে না। বয়সের তুলনায় চেহারায় তারুণ্যের ছাপ দেখা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সঠিক খাদ্যের অভাবের কারণে বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষ রোগে জর্জরিত। ফলে খাবারের দিকে নজর দেওয়াটা জরুরি। সুস্থ থাকতে এবং তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট। আসুন জেনে নেয়া যাক যেসব খাবার যা আপনাকে রাখবে চির তরুণ।

নিম্নোক্ত কিছু নিয়ম মেনে চললে যৌবন ধরে রাখা সম্ভবঃ

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, ভাজা শস্য, এবং লীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয়, এবং অতিরিক্ত তেল এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন। 

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের অভাবে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা বার্ধক্যের কারণ হতে পারে।

মানসিক চাপ কমানো: ধ্যান, যোগব্যায়াম, গান শোনা, বই পড়া ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান। 

ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান ও মদ্যপান ত্বকের ক্ষতি করে এবং বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।

ত্বকের যত্ন:

ত্বকের যত্ন:  নিয়মিত মুখ ধোয়া: দিনে দু’বার মুখ ধুয়ে ময়লা, ধুলোবালি এবং অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করুন। 

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: ময়েশ্চারাইজার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ দূর করে। 

এন্টি-এজিং পণ্য ব্যবহার: ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ এন্টি-এজিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত ফেসিয়াল করা: মাসে একবার ফেসিয়াল করলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়। অন্যান্য:

নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা: নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত করুন যে আপনি কোন রোগে আক্রান্ত নন। 

সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা: বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে সময় কাটান এবং নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় করুন। 

ইতিবাচক মনোভাব: ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং বার্ধক্যকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

যেসকল খাবারে ধরে রাখবে যৌবনঃ

ডার্ক চকলেট: অনেকেই চকলেট ভালোবাসেন, খেতে পছন্দ করেন। যারা চকলেট ভালোবাসেন, তাদের জন্য দারুণ খবর হল- ডার্ক চকলেট বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। কারণ, ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই যারা প্রতিদিন ছোট এক টুকরা ডার্ক চকলেট খান, তারা দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে পারেন।

গাজর ও টমেটো:  গাজর ও টমেটো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে, যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই দুটি সবজির জুড়ি নেই। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। এছাড়াও এতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে।

সামুদ্রিক মাছ:  সামদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে অধিক সহায়ক। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় লাল মাংস বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের পাশাপাশি খনিজের চাহিদাও পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখা যাবে বহুদিন।

টক দই: টক দই মেদ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। দইয়ে প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে, যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়াও দই ত্বককে রাখে বলিরেখা মুক্ত। তাই যৌবন ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন দই খান।

পালং শাক:  পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন, যা শরীরের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে এবং যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত পালং শাক খেলে ত্বক ও চোখের বয়সজনিত সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে, যা শরীরের নানা অসুবিধা দূর করে এবং শরীরে পুষ্টি ও শক্তির যোগান দেয়।

আঙ্গুর: বয়স ধরে রাখতে আঙ্গুরের জুড়ি নেই। আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ত্বক ও দেহ সুন্দর ও সুস্থ থাকে।

ব্রকলি:  ব্রকলিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বয়সজনিত বিভিন্ন অসুখ থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং শরীরের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। 

অলিভ: অয়েল  অলিভ অয়েল একটি অতি উপকারী তেল। খাবার রান্নার সময় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে এবং সহজে মেদ জমে না। 

গ্রিন টি: গ্রিন টিকে অ্যান্টি-এজিং ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ এতে পলিফেনল রয়েছে। পলিফেনল বার্ধক্যের গতি কমিয়ে দেয়। তাই সকালে এবং সন্ধ্যায় গ্রিন টি খান। এছাড়াও গ্রিন টি একটি ফেস মাস্কও কার্যকর। গ্রিন টি-র সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

টমেটো: লাইকোপিন হল রক্ত ​​এবং টিস্যুতে পাওয়া একটি পদার্থ যা ত্বককে সূর্যের রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। টমেটো এবং তরমুজে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন পাওয়া যায়।

আঙুর:  রেসভেরাট্রল, যা একটি পলিফেনল, এটা পাওয়া যায় আঙুরে। এই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য ভাল। এটি ব্লুবেরি, ডার্ক চকোলেট এবং কোকোতেও পাওয়া যায়।

পেঁপে:  বলিরেখা পড়বে না এমন ত্বক চাইলে পেঁপে খেতেই হবে। পেঁপে-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। মৃত ত্বকের কোষগুলোকে ঝরিয়ে উজ্জ্বল করে তোলে।

পালং শাক:  পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়েম, ফাইবার, ভিটামিন আর মিনারেল (খনিজ)। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট রয়েছে যা শরীরের ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ ধ্বংস করে দিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

ব্রকলি:  ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ব্রকলি। যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। যা ত্বকের প্রধান প্রোটিন। এতে ত্বক টানটান থাকে।

বাদাম:  বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা হার্টে ও ত্বকের জন্য ভাল। খাদ্যতালিকায় বাদাম, কাজু, আখরোট এবং আমন্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।

পানি:  বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। কিন্তু পানিহীন শরীর অর্থাৎ তেলহীন একটি যন্ত্র। তেলহীন যন্ত্র যেমন কাজ করতে পারে না তেমনই পানি ছাড়া শরীর। সহজ কথায়, প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল খেতেই হবে। তৃষ্ণার্ত না থাকলেও নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন পানি খেয়ে।

মিষ্টিকুমড়ার বিচি:  সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া যেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ, তেমনি এর বিচি পুরুষের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে আছে প্রচুর সাইটোস্টেরোল। যা পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষের শক্তি বাড়ায় ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সজনে ডাঁটা: আমেরিকান জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স জানাচ্ছে পুরুষদের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা উদ্দীপনার ঘাটতিতে খুব ভাল কাজ করে সজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে পারেন সজনে ডাঁটা। অথবা এক গ্লাস দুধে সজনে ফুল, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও উপকার পাবেন।

জিরা:  জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জিঙ্ক যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে বাড়ে যৌন উদ্দীপনা। জানাচ্ছে জার্নাল অফ দ্য সায়েন্স অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার। প্রতিদিন এক কাপ গরম চায়ে জিরা ফেলে খান।

সামুদ্রিক মাছ: সামদ্রিক মাছ যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। দীর্ঘ দিন যৌবন ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় রেড মিট বাদ দিয়ে সামুদ্রিক মাছ রাখুন। তাতে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং যৌবন ধরে রাখা যাবে বহুদিন।

রসুন: রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মিলন শক্তি বৃদ্ধি করে।

মধু: মধু আপনার শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্য উপকারী। মধু খেলে, পাকস্থলী পরিষ্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। বন্ধ গ্রন্থিগুলি খুলে যায়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিষ্ক অতিরিক্ত শক্তি লাভ করে ফলে শরীর সুস্থ থাকে। যার ফলে যৌবন দীর্ঘায়িত হয়।

আঙুর: ফলের মধ্যে আঙুর যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। কারণ আঙুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। নিয়ম করে প্রতিদিন আঙুর খেতে পারলে ত্ব ও দেহের সৌন্দর্য বজায় থাকে।

টক দই: টক দই মেদ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। দইয়ে প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আছে যা শরীরের গঠন ভালো রাখে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। দই ত্বককে রাখে বলিরেখা মুক্ত। তাই যৌবন ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন দই খান।

ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করা অত্যন্ত জরুরী।তবে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার চুজ করতে হবে।ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারের পর ত্বক যদি তেলতেলে না লাগে বা ত্বকে যদি টান ভাব অনুভূত না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ময়েশ্চারাইজারটি সঠিক।ভিটামিন এ,ই,সি যুক্ত ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করতে হবে।


আরো কিছু সর্তকতাঃ

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তারুণ্যকে দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দিতে এদের জুড়ি নেই।

তারুণ্য ধরে রাখতে মানসিক চাপ অবশ্যই কমাতে। আমাদের দেশে বিভিন্নরকম মানসিক চাপে পড়েই কম বয়সে বুড়িয়ে যান অনেকে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করা যেতে পারে। কোনো মতেই টেনশন করা যাবে না। মন উদ্বিগ্ন থাকলে মানুষ দ্রুত বুড়িয়ে যায়।

মূলত তারুণ্যের ঘাটতি আর বার্ধক্যে পরিণত হওয়ার ছোঁয়া প্রথমেই ত্বকের ওপর পড়ে। টানটান ত্বক কুঁচকে যেতে থাকা মানেই আপনি দিনদিন বুড়িয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে। এ ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে সকাল ও রাতে ত্বক পরিষ্কার করতে বলছেন তারা। আর ক্লিনজার কেনার সময় এতে যেন উচ্চমানের অ্যালকোহোল ও ড্রাইয়িং অ্যাজেন্ট না থাকে সে বিষয়টি দেখে কিনতে বলা হয়েছে ।

এবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কমপক্ষে দিনে দুইবার। কেবল মুখ নয়, ঘাড় ও হাতেও এটি লাগাতে হবে।

ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও চকচকে।

বার্ধক্যকে রুখতে সবচেয়ে বড় উপায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, ফল, সবজি বেশি খেলে দেহ সতেজ থাকে ও তারুণ্যকে ধরে রাখতে কাজ করে।

অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে বরাবরই অনীহা দেখিয়েছেন ত্বক বিশ্লেষকরা। অতিরিক্ত কসমেটিক বা প্রসাধনী ব্যবহারকে কৃত্রিমতা বলছেন তারা। আর বিভিন্ন কসমেটিকের রাসায়নিক পদার্থ বাহ্যিক সুদর্শন করে তুললেও পরে দেখা যায় ওই প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই ভালো ছিল না। এছাড়া প্রসাধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটি যেন ভালো মানের হয় এবং নির্দিষ্ট ত্বকের জন্য উপযোগী সেই বিষয়ে পরীক্ষার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

ত্বককে ক্ষতিকর বেগুনি রস্মি থেকে রক্ষা করে সানস্ক্রিন। বিশেষকরে গরমপ্রধান দেশে সানস্ক্রিন ব্যভহার অতীব জরুরী। যারা বাইরে বেশি হন, যাদের ত্বকে সূর্যের আলো বেশি পড়ে তাকে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার কতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। শীত, বর্ষা, গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

সবশেষে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম আপনার তারুণ্যকে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করে। জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করতে পারলে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে বলা হয়েছে। ব্যায়াম না করলে বা ছেড়ে দিলে দেহে আলসেমি চলে আসে আর স্থুলকায় হয়ে মানুষ তার তারুণ্য হারাতে থাকে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com