জয়া ও আদিত্য এর রোমান্টিক প্রেমের গল্প। পর্ব - ৬১
জয়া-আদিত্য...???
তুমি শুধু আজ বড় মামির মনই জিতে নাওনি,,,
সেইসাথে আমার হ্রদয়টাও জিতে নিয়েছো,,,
আজ আমি সত্যিই খুব হ্যাপি হয়েছি...
আদিত্য-তাহলে এবার আমাকেও একটু হ্যাপি করে দাও না প্লিজ...???
জয়া কিছুটা অবাক হয়ে বললো-কিভাবে...???
আদিত্য-এক মিনিট দাঁড়াও,,,
আমি এক্ষুনি আসছি...
আদিত্য তারপর বাইরে এসে,,,
গাড়ির ভেতর থেকে আরেকটা গিফট প্যাকেট নিয়ে,,,
জয়ার হাতে দিয়ে বললো-এতে আমার পছন্দ করা একটা শাড়ি আছে,,,
আমি চাই তুমি কাল এই শাড়িটা পরে,,,
আর তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে,,,
কাল আমার রেস্টুরেন্ট "হোটেল প্যারাডাইসে" আসো...
কি আসবে তো...???
জয়া অবাক হয়ে বললো-কিন্তু কেনো...???
আদিত্য-উহু,,,
কোনো প্রশ্ন নয়,,,
তুমি শুধু আজ বড় মামির মনই জিতে নাওনি,,,
সেইসাথে আমার হ্রদয়টাও জিতে নিয়েছো,,,
আজ আমি সত্যিই খুব হ্যাপি হয়েছি...
আদিত্য-তাহলে এবার আমাকেও একটু হ্যাপি করে দাও না প্লিজ...???
জয়া কিছুটা অবাক হয়ে বললো-কিভাবে...???
আদিত্য-এক মিনিট দাঁড়াও,,,
আমি এক্ষুনি আসছি...
আদিত্য তারপর বাইরে এসে,,,
গাড়ির ভেতর থেকে আরেকটা গিফট প্যাকেট নিয়ে,,,
জয়ার হাতে দিয়ে বললো-এতে আমার পছন্দ করা একটা শাড়ি আছে,,,
আমি চাই তুমি কাল এই শাড়িটা পরে,,,
আর তোমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে,,,
কাল আমার রেস্টুরেন্ট "হোটেল প্যারাডাইসে" আসো...
কি আসবে তো...???
জয়া অবাক হয়ে বললো-কিন্তু কেনো...???
আদিত্য-উহু,,,
কোনো প্রশ্ন নয়,,,
আমি তোমার জন্য একটা কাল সারপ্রাইজ রেখেছি...!!!
জয়া-সারপ্রাইজ...???
কিসের সারপ্রাইজ...???
আদিত্য-যদি আমি এটাও বলে দেই তোমাকে,,,
তাহলে এটা কেমন সারপ্রাইজ হলো বলো...???
জয়া মুচকি হেসে বললো-আচ্ছা Sorry লাট সাহেব???
আমি আর কোনো প্রশ্নই আপনাকে করবো না,,,
হ্যাপি...???
আদিত্য জয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো-এইতো মিসেস আদিত্য খাঁনের মতো কথা,,,
আচ্ছা ঠিক আছে,,,
আমাকে এখন বাড়ি ফিরতে হবে,,,
কাল দেখা হবে,,,
Bye...
জয়া-Ok bye...
আদিত্য-এটা কি হলো...???
শুধু Bye ই বলবে,,,
আর কিছুই করবে না...???
জয়া অবাক হয়ে বললো-আবার কি করবো...???
আদিত্য কিছুটা দুষ্টমি করে বললো-একটা Kiss করে দাও না প্লিজ...???
জয়া-কিইইইহ...???
না না না,,,
বিয়ের আগে ওসব Kiss Tiss করা যাবে না...
আদিত্য-ওই শুরু হয়ে গেলো রেস্ট্রিকশন রুলস,,,
তোমার এই রেসট্রিকশন রুলসের চেয়ে না,,,
ওই পুলিশের রেসট্রিকশনস অডার্রও ভালোই ছিলো...
জয়া-ও আচ্ছা,,,
তাই না...???
তাহলে যাও,,,
আমি বড় মামিকে বলে দিচ্ছি,,,
বড় মামি আবারও থানায় গিয়ে,,,
রেস্ট্রিকশনস অডার্রই নিয়ে আসুক তাহলে...
আদিত্য-না না,,,
ওসব আর করতে হবে না...
কিন্তু তুমি কি জানো যে,,,
Kiss অনেক মূল্যবান জিনিস...???
জয়া-কিইইইহ...???
কিসের মূল্যবান জিনিস শুনি...???
আদিত্য-তবে শোনো...???
আমি তোমাকে সেদিন সবার সামনে,,,
এই Kiss করেছিলাম বলেই না,,,
ওই মনির তোমাকে বিয়ে করেনি,,,
নাহলে আজ তুমি ওর বাচ্চার মাও হয়ে যেতে...
জয়া আদিত্যর পিঠে হালকা একটা কিল দিয়ে বললো-
এইইই...???
তোমার মুখে কি কোনো কিছুই আটকায় না,হে...???
আদিত্য-সত্যিই কিছু আটকায় না,,,
জয়া...???
ওদিকে দেখো কে এসেছে...
জয়া ওদিকে তাঁকাতেই,,,
আদিত্য ঠাস করে জয়ার গালে একটা Kiss করে দিয়ে বললো-আসছি এখন,,,
কাল দেখা হবে...
আদিত্য বাড়ি চলে গেলো...
এদিকে জয়া লজ্জায় Blush করতে লাগলো,,,
পরেরদিন...
আদিত্যর রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য,,,
মিসেস মেহরাব সহ জয়ার পরিবারের সবাই রেডি হলেন...
মিসেস মেহরাব-খুশি...???
জয়া কোথায় রে...???
এখনও তৈরি হয়নি ও...???
খুশি জয়াকে আসতে দেখে বললো-ওইতো দিদি চলে এসেছে,,,
বাহ দিদি,,,
দুলাভাইয়ের দেওয়া শাড়িটা পরে,,,
তোকে তো আজ হিরোইনের মতো লাগছে...
মিসেস মেহরাব-সত্যিই জয়া,,,
তোকে আজ খুব সুন্দর লাগছে,,,
আয় তোকে একটু কাজল দিয়ে দেই,,,
যাতে কারো খারাপ নজর না লাগে...
খুশি-তা তুমি দিদিকে যতই কাজল দাও,,,
আর নজরবন্দী করে রাখো,,,
একজনের নজর তো আজ দিদির উপর থেকে সরবেই না,,,
আর সে হচ্ছে দুলাভাই...
জয়া খুশির কান টেনে ধরে বললো-খুব পাকা পাকা কথা শিখে গেছিস তাইনা...???
দাঁড়া,তোকে মজা দেখাচ্ছি,,,
বড় মামি...???
তুমি তারাতারি খুশির একটা বিয়ের ব্যবস্থা করো তো...
খুশি-আহ ছাড়ো দিদি লাগছে...
আমার বিয়ে পরে হবে,,,
আগে তোমার আর দুলাভাইয়ের বিয়েটা হয়ে যাক তারপর...
মিসেস মেহরাব-খুশি ঠিকই বলেছে জয়া,,,
তোর আর আদিত্যর বিয়েটা যতো তারাতারি হয়ে যায়,,,
ততই ভালো হয়...
মিষ্টার মেহরাব এসে বললেন-কি তোমাদের এখনো হয়নি...???
তোমরা সবাই কি এখানেই বসে থাকবে...???
নাকি যাবে ওখানে...???
মিসেস মেহরাব-এইতো আমাদের হয়ে গেছে...
মিষ্টার সোরাব এসে বললো-গাড়ি রেডি,,,
তারাতারি চলো সবাই...
মিসেস মেহরাব-হে চলো...
জয়াকে নিয়ে তার পরিবার আদিত্যর রেস্টুরেন্ট,,,
"হোটেল প্যারাডাইসে" চলে এলো,,,
জয়া আর তার পরিবার দেখলো,,,
আজ আদিত্যর রেস্টুরেন্টে প্রচুর গেষ্ট এসেছে,,,
সেইসাথে প্রেস-মিডিয়ার লোকজনও কম আসেনি...
মিসেস খাঁন,জয়ার পরিবারকে আমন্ত্রণ জানালেন,,,
আদিত্য,ইশারায় জয়াকে দেখে বুঝালো যে,,,
জয়াকে শাড়ি পরে আজ খুব সুন্দর লাগছে...
তারপর আদিত্য মাইক্রফোনটা হাতে নিয়ে বললো-লেডিস & জেন্টেলম্যান...???
আজ আমি আপনাদের সবাইকে এখানে ডেকেছি,,,
একটা বিশেষ সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য...
আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জেনেছেন যে,,,
এই রেস্টুরেন্টের সব রেসিপিই আসলে,,,
জয়ার স্বর্গীয় মা মিসেস জাহানারার...
তাই আমি আজ থেকে,,,
জয়ার সেই স্বর্গীয় মায়ের নামেই,,,
এই রেস্টুরেন্টের নাম বদলে "হোটেল জাহানারা" রাখতে চাই...
শুধু তাই নয়,,,
আমি এই পুরো রেস্টুরেন্টটাই জয়া আর তার পরিবারকে দিয়ে দিচ্ছি...
সবাই হাততালি দিয়ে সাধুবাদ জানালো,,,
আদিত্য তারপর জয়াকে ডেকে বললো-জয়া...???
প্লিজ এদিকে একটু এসো...
জয়া কিছুটা অবাক হয়ে আদিত্যর কাছে গেলো,,,
আদিত্য তারপর জয়াকে একটা পর্দা দেখিয়ে বললো-প্লিজ এটা একটু খোলো...
জয়া আরও অবাক হয়ে বললো-কি এটা...???
আদিত্য-খুলেই দেখো,,,
তাহলেই বুঝতে পারবে...
জয়া আস্তে আস্তে সবার সামনে পর্দাটা খুলে দেখলো,,,
জয়ার মা মিসেস জাহানারার বিশাল একটা ছবি...
আদিত্য সবাইকে তারপর বললো-এই ছবিটা হচ্ছে জয়ার মা মিসেস জাহানারার ছবি,,,
আজ থেকে এই রেস্টুরেন্টে ওনার সম্মানার্থে,,,
এই ছবি,এই রেস্টুরেন্টের দেয়ালে টানানো থাকবে...
সবাই আবারও হাততালি দিলো,,,
জয়ার মায়ের প্রতি আদিত্যর এই শ্রদ্ধাবোধ দেখে,,,
জয়া আর তার পরিবার খুবই আনন্দিত ও গর্বিত হলো...
মিসেস মেহরাব,আদিত্যর মা মিসেস খাঁনের সাথেই ছিলেন,,,
তিনি মিসেস খাঁনকে উদ্দেশ্য করে বললেন-মিসেস খাঁন...???
আজ আপনার ছেলে আদিত্য,,,
জয়ার মাকে এতটা সম্মান করে,,,
আমাদের সবাইকেও সম্মানিত করলো,,,
আমাদের সবার মনটা আনন্দে ভরিয়ে দিলো...
কিন্তু জয়ার মায়ের ছবিটা দেখে,,,
মিসেস খাঁন চমকে উঠে বললেন-এই ছবিটা জয়ার মায়ের ছবি...???
মিসেস মেহরাব-জি,,,
এটাই জয়ার মা জাহানারার ছবি...
জয়ার মায়ের ছবিটা দেখে মিসেস খাঁন কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন,,,
তিনি পাশের এক ওয়েটারের কাছ থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে,,,
ঢকঢক করে খেতে লাগলেন...
মিসেস মেহরাব সেটা দেখে বললো-কি হয়েছে মিসেস খাঁন...???
আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে...???
আদিত্যর মায়ের হাত থেকে গ্লাসটা ঠাস করে নীচে পরে ভেঙে গেলো,,,
মিসেস মেহরাব-সাবধানে মিসেস খাঁন,,,
কি হয়েছে বলুন...???
সব ঠিক আছে তো...???
মিসেস খাঁন নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন-কিছু হয়নি,,,
ইয়ে,,,
আমাকে একটু জরুরি ফোন করতে হবে,,,
আমি এক্ষুনি আসছি হে...
ওয়েটার...???
এগুলো সাফ করে দাও...
মিসেস খাঁন কিছুটা ভয় পেয়েই পালিয়ে চলে গেলেন.......
জয়ার মায়ের ছবির সাথে,আসলে কি রহস্য লুকিয়ে আছে...???
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com