Breaking News

জয়া ও আদিত্য এর রোমান্টিক প্রেমের গল্প। পর্ব - ৫৬



মিসেস মেহরাবকে ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিলো জয়া,,,
তারপর জয়া বড় মামির সেবা-শুশ্রূষা করতে চাইলো...
মিসেস মেহরাব বললেন-আমার এত সেবা-যত্ন করতে হবে না রে জয়া,,,
আমি ঠিক আছি,,,
তুই বরং আদিত্যকে ভুলে যা,,,
আমি শুধু এটাই চাই...
জয়া-বড় মামি...???
আমি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি,,,
আদিত্যকে ভুলে যেতে পারবো না...!!!
কিন্তু আদিত্য তোমাকে কিডন্যাপ করেছে,,,
এই কথাটা না,আমার এখনও কেনো জানি বিশ্বাস হচ্ছে না...
মিসেস মেহরাব-আদিত্য স্রেফ নিজের সার্থ ছাড়া আর কিছুই জানে না,,,
ও ওর নিজের জেদটা পূরণ করার জন্য সবকিছু করতে পারে,,,
সেটা কিডন্যাপ করে হোক বা যেকোন কিছু করে হোক...
জয়া-এসব কথা এখন থাক,,,
আমি তোমার জন্য স্যুপ বানিয়ে নিয়ে আসছি...
জয়া স্যুপ বানাতে চলে গেলো,,,
মিসেস মেহরাবের ফোনটা বেঁজে উঠলো...
মিসেস মেহরাব ফোনটা রিসিভ করে বললো-হ্যালো...???
না,না,ভেতরে আসতে হবে না,,,
বাইরে দাঁড়াও,,,

আমিই আসছি...
মিসেস মেহরাব,চুপিচুপি সবার অলক্ষ্যে বাড়ির বাইরে চলে গেলেন,,,
কিন্তু নীলা ব্যাপারটা খেয়াল করে ফেললো...
নীলা সাথে সাথে জয়ার কাছে গিয়ে বললো-জয়া...???
আমার সাথে আয় তো...
জয়া অবাক হয়ে বললো-কেনো...???
কোথায় যাবো এখন...???
নীলা-কোনো প্রশ্ন নয়,,,
তারাতারি আয় আমার সাথে...
নীলা,জয়ার হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে গেলো,,,
তারপর নীলা আর জয়া চুপিচুপি মিসেস মেহরাবের পিছু নিলো...
মিসেস মেহরাব,মহল্লার গলির মোড়ে গিয়ে,,,
তার সেই বোনের পালোয়ান ছেলের সাথে দেখা করে বললো-আদিত্যকে নাকি পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে...???
পালোয়ান-হে খালা,,,
আমরা যেমন ভাবে প্লান করেছি,,,
ঠিক সেই ভাবেই সব কাজ হয়েছে...
মিসেস মেহরাব-আমার খুব ভয় করছে,,,
কিডন্যাপটা যে নাটক ছিলো,,,
তা কেউ বুঝে ফেলবে না তো...???
পালোয়ান-আরে খালা...???
তুমি এত টেনশন করছো কেনো...???
এতে তোমার কি দোষ বলো...???
কিডন্যাপ করার প্লানটা তো আসলে আমাদেরই ছিলো,,,
এ ছাড়া ওই আদিত্যকে কিভাবে আটকাতাম বলো...???
আদিত্যর হাত থেকে জয়াকে বাঁচানোর,,,
এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না...
মিসেস মেহরাব-আদিত্য যদি সব টের পেয়ে যায় তখন কি হবে...???
পালোয়ান-আদিত্য এত সহজে জেল থেকে ছাড়া পাবে না এবার,,,
আর আদিত্য কিছু টের পাওয়ার আগেই,,,
তুমি জয়াকে অন্য কোথাও,,,

অনেক দূরে পাঠিয়ে দাও...
মিসেস মেহরাব-তুই ঠিকই বলেছিস,,,
আমি কালই জয়াকে আদিত্যর থেকে অনেক দূরে পাঠিয়ে দেবো,,,
তুইও তোর বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যা...
পালোয়ান-ঠিকাছে...
জয়া আর নীলা এসব দেখে চমকে উঠলো,,,
মিসেস মেহরাব বাড়ি ফিরে আসছিলেন...
হঠাৎ করে জয়া আর নীলা তার সামনে এসে দাঁড়ালো,,,
জয়া কাঁদতে কাঁদতে বললো-বড় মামি...???
তুমি কেনো করলে এসব...???
আদিত্য তো নিজের ভুলটা শোধরানোর জন্য বারবার চেষ্টা করছিলো,,,
কিন্তু তুমি ওকে ক্ষমা না করে,,,
মিথ্যে কিডন্যাপিং কেসে ফাঁসিয়ে দিয়ে,,,
এইভাবে ওকে জেলে পাঠিয়ে দিলে...???
তুমি ওকে এতটাই ঘৃনা করো...???
মিসেস মেহরাব-দেখ জয়া,,,
তুই আমাকে ভুল বুঝিস না,,,
আর আমি আদিত্যকে ঘৃনাও করি না,,,

আমি শুধু তোর ভালো চাই,,,
তাই আমি এসব করতে বাধ্য হয়েছি...
জয়া-তুমি আমার ভালোবাসার মানুষকে,,,
আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে,,,
আমার ভালো করতে চাও তাইনা...???
মিসেস মেহরাব-শান্ত হ তুই,,,
আমার কথাটা ঠান্ডা মাথায় একটু শোন,,,
তোর মা মরে যাওয়ার আগে,,,
তোর দায়িত্ব আমার হাতে তুলে দিয়ে গিয়ে ছিলেন...
সেই থেকে আমি শুধুমাত্র তোর বড় মামিই হই না,,,
আমি তোর মাও হই...
ওই আদিত্য বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গিয়ে,,,
তোকে একবার অনেক কাঁদিয়ে ছিলো...
তাই আমি আর ওই আদিত্যকে,,,
তোকে আবারও কাঁদানোর সুযোগ দিতে চাই না,,,
এইজন্যই আমাকে কিডন্যাপের এই নাটকটা করতে হয়েছে...
জয়া-বড় মামি...???

তুমি কাজটা ঠিক করোনি...
এটা বলে জয়া কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে বাড়িতে চলে গেলো,,,
এদিকে আদিত্যকে থানায় ধরে নিয়ে আটকে রিমান্ডে নেওয়া হলো,,,
রিমান্ডে নেওয়ার পর আদিত্যকে অমানুষিক ভাবে মারতে শুরু করলো পুলিশ...
রিমান্ডে পুলিশের বেধড়ক মার খেয়ে,,,
আদিত্যর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেলো...
পুলিশের লোকজন বাধ্য হয়ে আদিত্যকে হসপিটালে ভর্তি করালো,,,
খবর পেয়ে আদিত্যকে দেখতে হসপিটালে আদিত্যর মা মিসেস খাঁন,আর রাজন ছুটে এলো...
রাজন,আদিত্যর জামিন করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলো,,,
কিন্তু কিছুতেই আদিত্যর জামিন পেলো না...
মিসেস খাঁন আদিত্যর অবস্থা গুরুতর দেখে জয়াকে ফোন দিলেন,,,
জয়া নিজের ঘরে বসে আদিত্যর কথা ভেবে খুব কাঁদছিলো,,,
আদিত্যর মায়ের ফোন দেখে জয়া সাথে সাথে ফোনটা রিসিভ করলো...
মিসেস খাঁন-হ্যালো জয়া...???
জয়া-মা...???

আপনার ছেলে কেমন আছে...???
ওর খবর কি...???
মিসেস খাঁন-জয়া...???
বাবুইকে ওরা রিমান্ডে নিয়ে খুব মেরেছে...
জয়া-কিইইইহ...???
মিসেস খাঁন-হে,,,
বাবুই এখন হসপিটালে ভর্তি আছে,,,
ওর অবস্থা খুবই গুরুতর,,,
আর ওর জামিনও কিছুতেই হচ্ছে না,,,
তুই তারাতারি হসপিটালে চলে আয় মা,,,
তোকে ওর খুব প্রয়োজন এখন...
জয়া-হে,,,

আমি এক্ষুনি চলে আসছি,,,
তুমি কোনো চিন্তা করো না...
জয়া ফোনটা রেখে তারাতারি করে,,,
একটা ট্যাক্সি নিয়ে হসপিটালে চলে এলো...
তারপর জয়া এক দৌড়ে আদিত্যর কেবিনে ছুটে গেলো,,,
জয়া দেখলো আদিত্য কেবিনে নিথর হয়ে ঘুমিয়ে আছে,,,
আদিত্যর মুখে,হাতে সারা শরীরে মারের দাগ স্পষ্ট হয়ে ফুঁটে উঠেছে...
জয়া আদিত্যর পাশে গিয়ে চুপচাপ বসলো,,,
তারপর আদিত্যর হাতটা ধরে নীরবে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো,,,
জয়া তারপর আদিত্যকে বললো-আমাকে ভালোবেসেছো বলে,,,
তোমার আজ এই অবস্থা...!!!
এই সবকিছুর জন্য আমিই দায়ি...
জয়া উঠে চলে যাচ্ছিলো,,,

কিন্তু হঠাৎ করে আদিত্যর ঘুমটা ভেঙে গেলো...
তাই আদিত্য পেছন থেকে জয়াকে ডেকে বললো-আমার সাথে কথা না বলেই তুমি চলে যাচ্ছো...???
জয়া আদিত্যর দিকে ঘুরে তাঁকিয়ে বললো-এখন কেমন আছো...???
আদিত্য-এতক্ষণ তো খুব কষ্ট হচ্ছিলো,,,
কিন্তু তুমি এসেছো,,,
তাই এখন আমি ঠিক হয়ে যাবো...
জয়া আদিত্যর বুকে মাথা রেখে আবারও কাঁদতে শুরু করলো,,,
আদিত্য জয়ার চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললো-প্লিজ তুমি এভাবে কেঁদো না,,,
তোমার চোখের জ্বল,অনেক দামি আমার কাছে,,,
বিজনেসম্যান আমি,,,
এত দামি জিনিস এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না...
জয়া-মায়ের কাছে শুনলাম,,,
তুমি নাকি কোনো ওষুধই খাওনি...???

আমি যদি নিজের হাতে তোমাকে ওষুধ খাইয়ে দেই,,,
তবুও তুমি খাবে না...???
আদিত্য মাথা নেড়ে বললো-হে খাবো...
জয়া টেবিলের উপর থেকে ওষুধ আর পানি নিয়ে আদিত্যকে খাইয়ে দিলো,,,
আদিত্য তারপর বললো-জয়া...???
তুমি কি এখনও বিশ্বাস করো যে,,,
আমি তোমার বড় মামিকে কিডন্যাপ করিয়েছি...???
বিশ্বাস করো জয়া,,,
আমি তোমার বড় মামিকে কিডন্যাপ করাইনি,,,
আর আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না...
জয়া,আদিত্যর হাত শক্ত করে চেঁপে ধরে বললো-আমি জানি তুমি বড় মামিকে কিডন্যাপ করোনি,,,
আর খুব তারাতারি সবাই এটা জানবে,,,
আমি যেভাবেই হোক,কালকের মধ্যেই,,,
তোমাকে এখান থেকে মুক্ত করবো,,,
এখন আমি আসছি...

আদিত্য-আরেকটু থাকো না প্লিজ...???
জয়া-এখন আমাকে যেতে হবে,,,
আগে তোমাকে এখান থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে,,,
চলি...
জয়া তারাতারি করে নিজের বাড়িতে ফিরে এলো,,,
তারপর জয়া,মিসেস মেহরাবের কাছে ছুটে এসে বললো-বড় মামি...???
তুমি থানায় গিয়ে আদিত্যর বিরুদ্ধে কেইসটা তুলে নাও,,,
প্লিজ...
ওরা আদিত্যকে অনেক মেরেছে,,,
আদিত্য এখন হসপিটালে ভর্তি আছে...
মিসেস মেহরাব-ঠিকাছে,,,
একটা শর্তে আমি এই কেইসটা তুলে নিতে পারি...
জয়া-কি শর্ত...???

মিসেস মেহরাব-যদি তুই চিরদিনের জন্য আদিত্যকে ছেড়ে,,,
এই শহর ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে রাজি হোস,,,
তাহলেই আমি আদিত্যর কেইসটা তুলে নেবো...
জয়া চমকে উঠে বললো-কিইইইহ...???
আমি কোথায় যাবো...???
এসব তুমি কি বলছো বড় মামি...???
মিসেস মেহরাব-আমি ঠিকই বলছি,,,
তুই এখন ভেবে দেখ যে তুই কি করবি,,,
যদি তুই আমার শর্তে রাজি না থাকিস,,,
তাহলে আমিও আর কেইসটা তুলে নেবো না,,,
আদিত্যও আর কোনোদিন জেল থেকে ছাড়া পাবে না...
জয়া-প্লিজ বড় মামি,,,

আমি তোমার কাছে হাত জোর করে বলছি,,,
তুমি এই কেইসটা তুলে নিয়ে,,,
আদিত্যকে মুক্ত করে দাও,,,
নয়তো জেলের ভেতরে ওরা আদিত্যকে মেরেই ফেলবে...
মিসেস মেহরাব-ঠিকাছে,,,
তুই তাহলে ব্যাগপত্র সব গুছিয়ে নে,,,
আর কাল সকালেই রওনা হয়ে যা...
জয়া-কিন্তু বড় মামি,,,
আমি যাবোটা কোথায়...???
মিসেস মেহরাব-আমার বাপের বাড়ি সিলেটে যাবি তুই...
জয়া-সিলেটে...???
আমি ওখানে একা কিভাবে যাবো...???
আমি ওখানে গিয়ে কি করবো...???
আর থাকবোই বা কোথায়...???
মিসেস মেহরাব-একা কেনো যাবি...???
আমি আমার বড় ভাইকে ফোন করে দিচ্ছি,,,
কাল এসে তোকে সাথে করে নিয়ে যাবে...

জয়া কিছুটা চিন্তায় পরে গেলো,,,
মিসেস মেহরাব-দেখ জয়া,,,
আমার বড় ভাই,খুব ভালো মনের মানুষ,,,
আর আমার বড় ভাইয়ের সিলেটে একটা ছোট-খাটো খাবারের দোকান,,,
মানে একটা হোটেলের মত আছে,,,
ওখানে গিয়ে তুই সেই হোটেলে রান্নাবান্নার কাজ করবি,,,
তোর কোনো চিন্তা নেই,,,
ওখানে তোর কোনো অসুবিধা হবে না...
জয়া নিজের চোখের পানি মুছে বললো-ঠিকাছে,,,
আমি রাজি,,,

তুমি তোমার ভাইকে খবর দাও,,,
এখানে এসে আমাকে নিয়ে যেতে বলো,,,
তবে আমারও একটা শর্ত আছে বড় মামি...
মিসেস মেহরাব-বল কি শর্ত...???
জয়া-আমি এক দিক দিয়ে সিলেটের বাসে উঠবো,,,
আর তুমি আরেক দিক দিয়ে থানায় গিয়ে আদিত্যর কেইসটা তুলে নেবে...
মিসেস মেহরাব-ঠিকাছে,তাই হবে,,,
তুই যাওয়া মাত্রই আমি নিজে থানায় গিয়ে আদিত্যর কেইসটা তুলে নেবো,,,
কথা দিলাম তোকে...

মিসেস মেহরাব ফোন করে তার বড় ভাইকে খবর দিলেন,,,
এখানে এসে জয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য...
জয়াও নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিলো,,,
জয়ার বুকের ভেতরটা কষ্টে ভেঙে যাচ্ছে...
কিন্তু আদিত্যর জন্য,,,
জয়া মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করে নিচ্ছে...
পরেরদিন,,,
জয়ার পরিবারের সবার অজান্তে,,,
মিসেস মেহরাবের ভাই এসে জয়াকে নিয়ে গেলো,,,
জয়া তার সাথে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হলো বাসে করে...
এদিকে মিসেস মেহরাবও জয়ার কথা রাখতে,,,
থানায় গিয়ে আদিত্যর বিরুদ্ধে কেইসটা তুলে নিলেন...
আদিত্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েই,জয়ার খোঁজ করতে শুরু করলো,,,
জয়াকে না দেখতে পেয়ে,,,

আদিত্য জয়ার বাড়িতে চলে এলো...
কিন্তু আদিত্য জয়ার বাড়িতে এসেও, কোথাও জয়াকে দেখতে পেলো না...
আদিত্য চিৎকার করে সবাইকে জিজ্ঞেস করে বললো-জয়া কোথায়...???
কিন্তু জয়ার বাড়ির কেউই বলতে পারলো না যে জয়া কোথায় গেছে...
আদিত্য রেগে গিয়ে জয়ার বাড়িতে ভাংচুর করতে শুরু করলো,,,
সেটা দেখে আদিত্যকে সবাই থামাতে চেষ্টা করলো...
মিস্টার সোরাব রেগে গিয়ে বললেন-তুই জেল থেকে বের হলি কিভাবে...???
আদিত্য-জয়া কোথায় বলুন...???
আদিত্য ফুলদানি ছুড়ে ভেঙে ফেললো...
মিষ্টার মেহরাব-তুই কি পাগল হয়ে গেছিস...???
এভাবে আবারও আমাদের বাড়িতে এসে ঝামেলা শুরু করে দিয়েছিস...???
আদিত্য-প্লিজ আংকেল,,,

বলুন না,,,
জয়া কোথায়...???
মিষ্টার সোরাব-বুঝেছি,তুই এভাবে থামবি না,,,
ভাইজান...???
থানায় ফোন করুন,,,
এর জন্য থানায়ই উত্তম জায়গা...
আদিত্য-যাকে ইচ্ছা তাকে ডাকুন যান,,,
কিন্তু তার আগে বলুন জয়া কোথায়...???
মিসেস মেহরাব এসে বললেন-আমরা জানি না জয়া কোথায়...
আদিত্য-প্লিজ আন্টি,,,
আমি আপনার কাছে হাত জোর করে বলছি,,,
বলে দিন না জয়া কোথায় গেছে...???
মিসেস মেহরাব-বললাম তো জানি না...
মিষ্টার সোরাব-ওইইই...???

তুই কি এখান থেকে যাবি...???
নাকি আবারও পুলিশ ডাকবো...???
আদিত্য-আগে আমি জানতে চাই,জয়া কোথায়...???
জয়ার নানি এসে আদিত্যকে বললো-হিরো কি হয়েছে...???
আদিত্য-নানুমনি...???
জয়া কোথায়...???
আর তোমরা সবাই এটাই ভেবে ছিলে তাইনা যে,,,
আমি মিসেস মেহরাবকে কিডন্যাপ করেছি...???
আসলে কিন্তু আমি তোমার বড় বৌমাকে কিডন্যাপ করিনি...
কথাটা শুনে জয়ার পরিবারের সবাই চমকে উঠলো,,,
জয়ার নানি-তাহলে কে বড় বৌমাকে কিডন্যাপ করে ছিলো...???
আদিত্য,মিসেস মেহরাবের কাছে এসে বললো-সত্যিটা আপনি সবাইকে খুলে বলবেন...???
নাকি আমি সবাইকে বলে দেবো...???

মিসেস মেহরাব থতমত খেয়ে চুপ করে রইলেন...
জয়ার নানি-বড় বৌমা...???
আদিত্য কোন সত্যির কথা আমাদের বলতে চাইছে...???
আদিত্য-নানুমনি...???
সত্যিটা বলার মত সাহস নেই ওনার,,,
আমি বলছি তোমাদের,সত্যিটা আসলে কি...
তোমার বড় বৌমা নিজের বোনের ওই পালোয়ান ছেলে আর তার বন্ধুদের দিয়ে,,,
নিজেই নিজের কিডন্যাপের মিথ্যে নাটক করে ছিলো,,,
আর তার দায় চাপিয়ে দিয়ে ছিলো আমার উপরে...
মিসেস মেহরাব এসব কেনো করেছেন জানো...???
ওনি এসব করেছেন যাতে করে,,,

আমার কাছ থেকে জয়াকে আলাদা করে,,,
দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়...
আদিত্যর কথাগুলো শুনে সবাই চমকে উঠলো,,,
মিষ্টার মেহরাব সব শুনে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে বললেন-আদিত্য যা যা বলছে,,,
এগুলো কি আসলেই সত্যি...???
চুপ করে থেকো না বলো...???
মিসেস মেহরাব চিৎকার করে বললেন-হে,হে সব সত্যি...
আমি যা করেছি,,,
সব জয়ার ভালোর জন্য'ই করেছি,,,
ওর মতো একটা জেদি,সার্থপর ছেলের হাত থেকে,,,
জয়াকে বাঁচানোর জন্যই আমি এসব করেছি...
মিসেস মেহরাবের কথা শুনে সবাই চমকে উঠলো,,,
আদিত্য,মিসেস মেহরাবকে বললো-প্লিজ আন্টি...???
জয়া কোথায় আমাকে বলে দিন প্লিজ...!!!
মিসেস মেহরাব-কক্ষনো না,,,

আমি তোকে বলার জন্য এতকিছু করিনি,,,
অনেক কষ্টে আমি জয়াকে তোর হাত থেকে বাঁচিয়েছি,,,
তাই আমি কিছুতেই বলবো না যে,,,
জয়া কোথায় গেছে...
আদিত্য রেগে গিয়ে বললো-জয়াকে না পেলে আমি আগুন জ্বালিয়ে দেবো...
মিসেস মেহরাব-চাইলে তুই পুরো দুনিয়ায় আগুন জ্বালিয়ে দে,,,
নয়তো তুই তোর নিজের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দে,,,
তবুও তুই আর কোনো দিনও জয়া কোথায় গেছে,,,
তা জানতে পারবি না...!!!
আদিত্য-আন্টি...???
তাহলে আপনিও একটা কথা খুব ভালো করে শুনে নিন,,,
আপনার যেখানে ইচ্ছা,সেখানেই আপনি জয়াকে লুকিয়ে রাখুন যান,,,
২৪ ঘন্টা,স্রেফ ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমি জয়াকে ঠিক খুঁজে বের করবো...
আর ভালোই করেছেন আপনি,,,
জয়াকে এই বাড়ি থেকে বিদায় করে দিয়ে,,,

কারন,এরপর যখন আমি জয়াকে খুঁজে পাবো,,,
তখন থেকে জয়া শুধু আমার সাথেই থাকবে...
আদিত্যর কথাগুলো শুনে মিসেস মেহরাব সহ সবাই চমকে উঠলো,,,
আদিত্য,জয়াকে খুঁজতে বেড়িয়ে পরলো

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com