জয়া ও আদিত্য এর রোমান্টিক প্রেমের গল্প। পর্ব - ৫৪
জয়া একা একা নিজের ঘরে বসে কাঁদছিলো,,,
খুশি আর জয়ার নানি,জয়ার ঘরে এসে জয়াকে কাঁদতে দেখলো...
নানুমনিকে দেখে জয়া নিজের চোখ মুছে নিলো,,,
জয়ার নানি জয়াকে বললো-এভাবে আর কতক্ষণ তুই নিজেকে লুকিয়ে রাখবি জয়া...???
আমি জানি তুই আদিত্যকে খুব ভালোবাসিস,,,
তাহলে কেনো বড় বৌমার কথায়,,,
তুই আদিত্যকে ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস...???
জয়া-আমি কারো কথায় কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি,,,
বড় মামি আমার ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে...
নানি-এখনো সময় আছে,,,
তুই আদিত্যকে সবকিছু খুলে বল,,,
খুশি...???
আদিত্যকে ফোনটা লাগিয়ে জয়ার কাছে দে তো ফোনটা...
খুশি জয়ার ফোনটা হাতে নিয়ে আদিত্যকে কল করে,,,
জয়ার হাতে দিলো ফোনটা...
এদিকে জয়া,আদিত্যর গালে এভাবে সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছে বলে,,,
আদিত্যর সেই কথা মনে করে খুব রাগ হলো...
তাই আদিত্য নিজের রাগটা,,,
বক্সিং বালিশে ইচ্ছামত ঘুষি মেরে উঠাতে লাগলো...
হঠাৎ করে আদিত্যর ফোনটা বেজে উঠলো,,,
আদিত্য নিজেকে কন্ট্রোল করে দেখলো,জয়া ফোন করেছে...
জয়ার কল দেখামাত্রই আদিত্য ফোনটা রিসিভ করে বললো-হ্যালো...???
কিন্তু জয়া কিছুই না বলে চুপ করে রইলো,,,
একটা কথাও জয়ার মুখ দিয়ে বের হলো না...
এভাবে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার পর,,,
জয়া ফোনটা কেটে দিয়ে এক দৌড়ে পাশের ঘরে চলে গেলো...
জয়ার নানি সেটা দেখে খুশিকে বললেন-খুশি...???
তোর ফোন দিয়ে আদিত্যকে আবার একটা কল দিয়ে,,,
ফোনটা আমার কাছে দে তো...
খুশি নিজের ফোন থেকে আদিত্যকে কল দিয়ে,ফোনটা জয়ার নানির হাতে দিলো...
আদিত্য খুশির কলটা দেখে রিসিভ করে বললো-বলো খুশি...???
জয়ার নানি-খুশি নয়,আমি বলছি...
আদিত্য-হে নানুমনি বলো...???
জয়ার নানি-হিরো...???
তোর হিরোইন এতক্ষণ হয়তো চুপ করে ছিলো ঠিকই,,,
ফোনে কিছুই বলেনি,,,
কিন্তু তবুও এই চুপ থাকার মাধ্যমেই,,,
জয়া তোকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে...
সেটা যদি তুই বুঝে থাকিস,,,
তো চলে আয়...
আদিত্য-ঠিকাছে নানুমনি,,,
আমি কাল সকালেই চলে আসবো...
জয়ার নানি-ঠিকাছে এখন রাখছি তাহলে...
টুট...টুট...
আদিত্য বুঝতে পারলো যে,জয়া কিছু একটা বলতে চেয়েও বললো না…
আদিত্য তাই জয়ার ফোনে কল দিলো,,,
কিন্তু জয়া ফোন সুইচ অফ করে রেখেছে...
কিছুক্ষণ পর,,,
মিসেস মেহরাব জয়ার ঘরে এসে,জয়ার জামা-কাপড় ব্যাগে গুছিয়ে দিচ্ছেন,,,
হঠাৎ রান্না ঘরে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ শুনে,,,
সেটা দেখার জন্য মিসেস মেহরাব নীচে চলে গেলেন...
এই ফাঁকে খুশি এসে জয়ার হাতে ফোন দিয়ে বললো-দুলাভাই ফোন করেছে,,,
নে দিদি কথা বল...
খুশি তারপর অন্য ঘরে চলে গেলো,,,
জয়া আদিত্যর কলটা দেখে কেটে দিলো,,,
আদিত্য সেটা দেখে বললো-এভাবে আমার সাথে কথা না বলে,,,
তুমি ফোনটা কেটে দিতে পারো না জয়া...
আদিত্য তাই জয়াকে আবারও কল করলো...
জয়া বাধ্য হয়ে এবার কলটা রিসিভ করে বললো-তুমি আবারও কেনো আমাকে ফোন করেছো...???
আদিত্য-তোমার সাথে কথা বলার জন্য...
জয়া-আমিতো আগেই বলে দিয়েছি যে,,,
তোমার সাথে আমার আর কোনো কথা নেই...
আদিত্য-কেনো...???
আমি তোমাকে Kiss করেছি এইজন্য...???
জয়া-চুপ করো তুমি,,,
কেনো বারবার আমাকে এইভাবে বিরক্ত করছো তুমি...???
একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো,,,
তোমার আর আমার কোনো দিনও মিল হবে না,,,
সুতরাং তুমি আমাকে ভুলে যাও,,,
এটাই তোমার জন্য ভালো হবে...
আদিত্য-এভাবে বললেই হলো নাকি...???
আমি তোমাকে কিভাবে ভুলে যাবো বলো...???
তুমি আমাকে আগে ভালোবেসে,,,
আমাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে,,,
এখন তুমি নিজেই বদলে যেতে চাইছো...???
এটা আমি কিছুতেই হতে দেবো না...
জয়া-চুপ করো প্লিজ,,,
আজ তুমি সবার সামনে যা করেছো,,,
তাতে তুমি আবারও এটাই প্রমাণ করে দিলে যে,,,
তুমি এখনও তোমার খেয়াল-খুশিমত যা ইচ্ছা তাই করছো,,,
একবারও আমার কথাটা তুমি ভাবলে না...???
সবার সামনে আমাকে,এইভাবে বেইজ্জতি করতে পারলে...???
আদিত্য-আর তুমি কি করছো এসব...???
বোঁকার মত নিজের বড় মামির কথামতো চলছো...???
নিজের ভালোবাসার কথাটা ওনাকে বলে দিতে পারছো না...???
জয়া-হে আমি বোঁকা,,,
আর আমি আমার বড় মামির কথা এইজন্যই শুনছি,,,
কারন,বড় মামি আমার ভালো চায়,,,
তাই বড় মামি যা করছে,তা আমার ভালোর জন্যই করছে...
আদিত্য-আমিও যা কিছু করছি,,,
তার সবকিছু তোমাকে ভালোবেসেই করছি জয়া...
জয়া-এটাকে ভালোবাসা বলে না,,,
জেদ করা বলে...
আদিত্য-একটা কথা ভালো করে তুমিও শুনে রাখো,,,
আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি যখন,,,
তখন আমি তোমাকে আমার বানিয়েই ছাড়বো...!!!
আর আমার কাছ থেকে তোমাকে কেউ আলাদা করতে পারবে না,,,
এটা তুমি আমার জেদ ভাবো বা ভালোবাসা যেটাই ভাবো,,,
আর এতে তোমার ভালো লাগুক বা খারাপ লাগুক,,,
তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি যা যা করার দরকার,,,
তাই তাই করবো,,,
আমি তোমাকে কিছুতেই অন্য কারো হতে দেবো না ব্যস...
আদিত্য ফোনটা কেটে দিলো,,,
আদিত্যর কথাগুলো শুনে জয়ার ভেতরটা তোলপাড় করে উঠলো...
পরেরদিন,,,
সকাল বেলা,জয়া পরিবারের সবাইকে চা-নাস্তা দিচ্ছিলো,,,
দরজায় হঠাৎ করে কনিং বেলটা বেঁজে উঠলো...
সিহাব গিয়ে দরজাটা খুলতেই সবাই দেখলো,,,
আদিত্য স্যুট-বুট পরে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে হাজির হয়েছে...
ব্যান্ডপার্টি বাজনা বাঁজাতে লাগলো,,,
মিষ্টার সোরাব এসে আদিত্যকে দেখে বললেন-এসব কি হচ্ছে এখানে...???
আদিত্য ইশারায় ব্যান্ডপার্টিকে বাজনা থামাতে বললো,,,
তারপর আদিত্য ঘরের ভেতরে ঢুকে সবার আগে গিয়ে,,,
জয়ার নানিকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বললো-কেমন আছো নানুমনি...???
জয়ার নানি হেসে বললো-এতক্ষণ তো ভালোই ছিলাম,,,
আমার নাতনির হিরোকে দেখে আরও ভালো হয়ে গেলাম...
মিসেস মেহরাব,আদিত্যকে দেখেই খুশির বাবাকে বললেন-এক্ষুনি থানায় ফোন করো,,,
আর বলো যে এই বেয়াদবটা আবারও,,,
আমাদের বাড়িতে ঝামেলা করতে এসেছে...
আদিত্য-No... আন্টি,,,
আজ আমি এখানে কোনো ঝামেলা করতে আসিনি,,,
আমিতো এখানে এসেছি আপনাদের সবাইকে আমার বিয়ের দাওয়াত দিতে,,,
কথাটা শুনে সবাই চমকে উঠলো...
আদিত্য স্যুটের পকেট থেকে একটা বিয়ের কার্ড বের করে,,,
মিসেস মেহরাবের হাতে দিয়ে বললো-এই যে আমার বিয়ের কার্ড,,,
ঠিক ৭ দিন পর আপনাদের ভাগ্নি জয়ার সাথে আমার বিয়েটা হবে,,,
দেখুন তো বিয়ের কার্ডটা কেমন হয়েছে...???
আদিত্য তারপর জয়ার কাছে গিয়ে বললো-জয়া...???
তোমার আর আমার অসম্পূর্ণ বিয়েটা,,,
আমি এবার সম্পূর্ণ করতে চাই...!!!
আর মাত্র ৭ দিন পর,,,
তুমি আর আমি এক হয়ে যাবো...
আদিত্য তারপর জয়ার পরিবারের সবার দিকে তাঁকিয়ে বললো-এখন তাহলে চলি,,,
বিয়ের অনেক আয়োজন বাকি,,,
সবাইকে ইনভাইট করতে হবে,,,
আপনারা সবাই কিন্তু বিয়েতে থাকবেন কেমন ...
এটা বলে আদিত্য চলে গেলো,,,
এদিকে মিষ্টার সোরাব থানায় ফোন করে আদিত্যর নামে আবারও অভিযোগ করলেন...
পুলিশের লোকজন আদিত্যর বাড়িতে রওনা হলো,আদিত্যকে ধরার জন্য,,,
মিসেস খাঁন আদিত্যকে ডাকতে ডাকতে,,,
আদিত্যর ঘরে এসে দেখলেন,,,
আদিত্য কম্বল মুড়ি দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়ে আছে...
তিনি আদিত্যকে ডাকলেন-বাবুই...
উঠ...
কিন্তু কম্বলের নীচ থেকে আদিত্যর বদলে রাজন বেড়িয়ে এলো,,,
মিসেস খাঁন,রাজনকে দেখে বললেন-কি রে,বাবুই কোথায়...???
রাজন মুচকি হেসে বললো-ভাই তো ভাবির সাথে দেখা করতে গেছে,,,
এসে পরবে এক্ষুনি...
মিসেস খাঁন আদিত্যর রুম থেকে বাইরে আসতেই,,,
পুলিশের লোকজন এসে বললো-মিষ্টার আদিত্য কোথায়...???
মিসেস খাঁন-ইয়ে মানে...বাবুই তো একটু ওয়াশরুমে গেছে,চেঞ্জ করতে,,,
আপনারা তো জানেনি,ওর শরীরটা ভালো না...
পুলিশ অফিসার-কিন্তু আমাদের কাছে খবর আছে,,,
ওনি মিসেস মেহরাবের বাড়িতে গিয়ে আবারও ঝামেলা করেছেন...
মিসেস খাঁন-না না,ও তো বাসায়ই আছে,,,
জামা-কাপড় চেঞ্জ করছে আর কি...
পুলিশ অফিসার-আমাদের ভেতরে যেতে দিন,,,
আমরা দেখবো মিষ্টার আদিত্য ভেতরে আছে কি না...
পুলিশের লোকজন তারপর জোর করে আদিত্যর রুমে ঢুকে দেখলো,,,
সত্যি সত্যি আদিত্য ওয়াশরুম থেকে খালি গায়ে টাওয়াল পেচিয়ে বের হয়েছে...
আদিত্য পুলিশের লোকজনকে দেখে বললো-আপনারা এখানে...???
কি শুরু করেছেন আপনারা হে...???
আমাকে কি একটু শান্তিতে বাথরুমও করতে দেবেন না নাকি...???
পুলিশ অফিসার-আসলে মিসেস মেহরাব ফোন করে বললেন যে,,,
আপনি ওনাদের বাড়িতে গিয়ে নাকি আবারও ঝামেলা করেছেন...???
আদিত্য-আপনারা কি বাচ্চা নাকি...???
যে কেউ কিছু বললো আর অমনি বাড়িতে চলে এলেন...???
পুলিশ অফিসার-Sorry,,,
অযথা আপনাকে অসময় বিরক্ত করার জন্য,,,
এই চলো সবাই..
পুলিশের লোকজন চলে গেলো,,,
মিসেস খাঁন-বাবুই...???
তুই নাকি জয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েছিস...???
আদিত্য-হে,দেখা করে আবার এসেও পরেছি...
রাজন-ভাই...???
পুলিশকে তো আপনি সেই রকম বোঁকা বানিয়ে দিলেন...
হা...হা...হা...
পরেরদিন...
সকালে খবরের কাগজ পড়তে গিয়ে মিষ্টার মেহরাব চমকে উঠলো,,,
মিষ্টার সোরাব সেটা দেখে বললেন-কি হয়েছে...???
খবরের কাগজে কি লেখা আছে ভাইজান...???
মিষ্টার মেহরাব,খবরের কাগজটা তার ছোট ভাইয়ের হাতে দিলেন,,,
খবরের কাগজে প্রথম পাতায় হেডলাইনটা পরে,,,
মিষ্টার সোরবও চমকে উঠলো...
মিসেস মেহরাব-কি হলো তোমাদের...???
খবরের কাগজে কি লেখা আছে,,,
সেটা কেউ বলছো না কেনো...???
মিষ্টার সোরাব-ভাবি...???
খবরের কাগজে হেডলাইনে জয়া আর আদিত্যর ছবি দিয়ে লেখা আছে যে,,,
বেচেলর মিষ্টার আদিত্য খাঁনের সাথে,,,
সেরা রাধুনি মিস জয়ার শুভ বিবাহ,,,
আপনারা সবাই আমন্ত্রিত...!!!
মিসেস মেহরাব-কিইইইহ...???
মিসেস খুশবু বাইরে থেকে এসে বললেন-হে,ভাবি,,,
আমি কিছু সবজি আনতে বাইরে গিয়ে ছিলাম,,,
পুরো মহল্লার লোকজন তো এ খবরই বলাবলি করছে...
শুধু তাই নয়,,,
আমি দেখে আসলাম,আদিত্যর লোকেরা,,,
বিয়ের জন্য পুরো মহল্লা সাজাচ্ছে...
আদিত্য,রাজনকে দিয়ে জয়ার পুরো মহল্লা সাজানোর ব্যবস্থা করেছে,,,
রাজন ডেকোরেশনের লোকজনদের নিয়ে জয়ার বাড়ির সামনে এসে কনিং বেল বাঁজালো...
মিষ্টার সোরাব দরজা খুলতেই আদিত্য সামনে এসে বললো-কেমন আছেন শশুড় মশাই...???
মিষ্টার সোরাব-চুপ কর বেয়াদব,,,
তুই কি শুরু করেছিস এসব...???
যখন মন চায়,তখনই বাড়িতে হুটহাট চলে আসিস...???
আদিত্য মুচকি হেসে বললো-মামা শশুড় মশাই...???
কদিন বাদেই আপনাদের ভাগ্নির সাথে আমার বিয়ে,,,
তাই আমাকে তো হুটহাট এখানে আসতেই হবে...
আর দেখতে এলাম,,,
শশুড়বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সব ঠিকঠাক হচ্ছে কি না...???
মিষ্টার সোরাব-আজ তোর একদিন কি,আমার একদিন,,,
এক্ষুনি পুলিশকে ডেকে আনছি দাঁড়া...
আদিত্য-ও শশুড় মশাই...???
পুলিশকে আর ফোন করতে হবে না,,,
পুলিশ আসবে তো,,,
আমার সাথে বিয়ের বরযাত্রী হয়েই পুলিশ আসবে,,,
আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না...
কিন্তু আমার বউ কোথায়...???
তাকে তো আজ দেখছি না কোথাও...???
এই ভাই,তোমরা ঠিকঠাক মত সব সাজাও,,,
কোনো জায়গা যেনো বাদ না থাকে...
মিষ্টার সোরাব বাড়ির ভেতরে,মিসেস মেহরাবকে ডাকতে চলে গেলেন,,,
এই ফাঁকে জয়া সব শুনে এসে,,,
আদিত্যর হাত ধরে টেনে সবার আড়ালে নিয়ে গিয়ে বললো-এসব কি শুরু করেছো তুমি...???
মানা করে ছিলাম না এসব না করতে...???
কতবার বলেছি আমার থেকে দূরে থাকো,,,
একটা কথাও তো আমার শুনতে চাও না তুমি...???
আদিত্য-তোমার কথাই তো এতদিন শুনতে শুনতে তোমার প্রেমে পরে গেছি,,,
এখন উঠবো কিভাবে বলো...???
জয়া-ফাজলামি করছি না আমি,,,
ভালোবাসা মানে কি বোঝো তুমি...???
ভালোবাসা মানে হচ্ছে একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করা,,,
এভাবে জেদ করাকে ভালোবাসা বলে না...
আদিত্য-জেদ বলো আর ভালোবাসা যেটাই বলো,,,
আমি আমাদের অসম্পূর্ণ বিয়েটা এবার যেভাবেই হোক সম্পূর্ণ করবো,,,
আমাদের বিয়েটা এবার কেউ আর আটকাতে পারবে না...
জয়া-এভাবে জোর করে বিয়ে করা যায় না,,,
আর জোর করে ভালোবাসাও হয় না...
আদিত্য-তুমি আমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বলো তো,,,
যে তুমি আমাকে ভালোবাসো না...???
এটাও বলো যে তুমি আমাকে ঘৃনা করো...???
জয়া অন্যদিকে তাঁকিয়ে বললো-হে,আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,
& i hate you...!!!
আদিত্য জয়ার হাতটা ধরতে চাইলো,,,
কিন্তু জয়া বাঁধা দিয়ে বললো-Don't touch me...!!!
আমাকে টাচ করার কোনো অধিকার তোমার নেই...
আদিত্য-জি না,,,
এটা তো তুমিও জানো যে,তোমার হাত ধরার বা তোমাকে টাচ করার অধিকার শুধুমাত্র আমারই আছে...
জয়া-না নেই...
আদিত্য আংগুল দিয়ে জয়ার ঠোঁট চেপে ধরে বললো-জানো...???
কালকের মত না তোমাকে আবারও আমার Kiss করতে খুব ইচ্ছে করছে...
করবো...???
জয়া ধমক দিয়ে আদিত্যর আংগুল সড়িয়ে দিয়ে বললো-একদম চুপ...!!!
তুমি এত লজ্জা ছাড়া কিভাবে হতে পারলে...???
আদিত্য-তোমার ভালোবাসাই তো আমাকে নির্লজ্জ বানিয়ে দিয়েছে...
আদিত্য জয়াকে আবারও কিসস করার আগেই,,,
জয়া তারাতারি করে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলো...
আদিত্যও জয়ার পেছনে পেছনে এলো,,,
কিন্তু মিসেস মেহরাবকে দেখে আদিত্য থেমে গিয়ে বললো-আরে আন্টি...???
এতক্ষণ কোথায় ছিলেন আপনি...???
আপনাকে ছাড়া সবকিছু কেমন যেনো এতক্ষণ খালি খালি লাগছিলো...
মিসেস মেহরাব মুচকি হেসে বললেন-সেইজন্যই তো আমি আমার বোনের ছেলে,আর তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনছি,,,
ওই তো ওরা এসে পরেছে...
আদিত্য দেখলো তিনজন পালোয়ানের মত মোটাতাজা লোক আদিত্যর সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে,,,
তাদের একেক জনের হাতে ইয়া বড় বড় আর মোটা মোটা ডান্ডা...
মিসেস মেহরাব,এদের ভাড়া করে বডিগার্ড হিসেবে এনেছেন,,,
রাজন এদের দেখে পেছন থেকে আদিত্যকে ডেকে বললো-ভাই...???
এরা কারা...???
মিসেস মেহরাব,আদিত্যর দিকে তাঁকিয়ে বললেন-এরা আমার আত্মীয় হয়,,,
এরা এখন থেকে এখানেই থাকবে,,,
দেখি এবার আদিত্য কি করে আমাদের বাড়িতে ঢুকে...
ওই তিনজনের মধ্যে একজন গিয়ে আদিত্য আর জয়ার বিয়ের ব্যানার ভেঙে ফেললো,,,
আদিত্য তেড়ে মারতে উঠতেই,,,
জয়া এসে আদিত্যকে মানা করলো...
কিন্তু তবুও আদিত্য,মারতে চাইলো,,,
রাজন,আদিত্যর হাত টেনে ধরে বললো-থাক ভাই,,,
এদের সাথে এখন মারামারি করে লাভ নেই,,,
চলুন আমরা এখন চলে যাই...
আদিত্য-আমি আবারও আসবো,,,
দেখি,আমাকে এরা কি করে আটকায়...
রাজন তারপর জোর করে আদিত্যকে টেনে নিয়ে চলে গেলো,,,
এদিকে মিসেস খাঁন ওদের বাড়িতে নিয়ে আদর-আপ্যায়ন শুরু করলো...
মিষ্টার মেহরাব ওদের খাওয়ার চোট দেখে বললো-এরা তো খাচ্ছে আর খাচ্ছে,,,
এই হাতির মত গুন্ডা গুলোকে কথা থেকে ধরে নিয়ে এলে তুমি...???
মিসেস মেহরাব-আহ,খাক না,,,
ওরা কোনো টাকা-পয়সা নেবে না,,,
শুধু খাওয়াটা ঠিকমতো দিলেই হবে বলেছে...
আর এদের মতো গুন্ডাদের দিয়েই,আমি আদিত্যকে শায়েস্তা করবো এবার...
মিষ্টার সোরাব-ভাবি...???
আদিত্যকে ভয় দেখাতে গিয়ে,,,
আমরা নিজেরাই তো এদের মত পালোয়ানদের দেখে ভয় পাচ্ছি...
মিসেস মেহরাব-আদিত্যর জন্য এদের মত পালোয়ানদেরই আমাদের দরকার,,,
সুতরাং এদের যেনো এ বাড়িতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়...
খাওয়ানোর পর,ওদেরকে দরজার বাইরে পাহাড়ায় বসালো মিসেস মেহরাব,,,
সন্ধ্যায় আদিত্য আর রাজন,জয়ার বাড়ির কাছে এসে দেখলো,,,
পাহাড়া দিচ্ছে ওরা...
রাজন ওদের দেখে ভয় পেয়ে বললো-ভাই...???
এদের সাথে আমরা পারবো না,,,
আমরা বরং বাড়ি ফিরে যাই চলুন...
আদিত্য-ভয় পেলে কিভাবে জয় করবো...???
আমি এদেরকে ভয় পাইনা,,,
তুই ভয় পেলে এখানেই থাক,আমি যাচ্ছি...
আদিত্য জয়ার বাড়ির সামনে আসতেই,,,
ওদের একজন আদিত্যকে দেখে বললো-তুই আবার এসেছিস এখানে...???
আদিত্য-দেখ ভাই,,,
সম্পর্কে তোরা আমার শালা আর আমি তোদের দুলাভাই হই,,,
তাই প্লিজ কোনো ঝামেলা করতে চাই না আমি,,,
আমাকে ভেতরে ঢুকতে দে প্লিজ...
কথাটা শেষ হওয়া মাত্রই ওদের একজন আদিত্যর কলার চেঁপে ধরলো,,,
আদিত্য তার হাতটা সরিয়ে দিতেই,,,
বাকি দুজন এসে আদিত্যর উপরে ঝাঁপিয়ে পরলো...
ওরা তিনজন মিলে আদিত্যকে মারতে শুরু করলো,,,
মহল্লার সব লোকজন জড়ো হয়ে গেলো,,,
তাদের চিল্লাচিল্লি শুনে খুশি বাড়ির বাইরে এসে দেখলো,,,
ওরা তিনজন আদিত্যকে ইচ্ছামত মারছে...
খুশি চিৎকার দিয়ে বললো-দিদি দেখে যাও,এখানে কি হচ্ছে...
খুশির চিৎকার শুনে,জয়া আর তার পরিবার বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে এসে দেখলো,,,
ওরা আদিত্যকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারছে...
মার খেয়ে আদিত্য মাটিতে পরে গেলো,,,
জয়া চিৎকার করে বলে উঠলো-আদিত্য...!!!
আদিত্যর চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত পরছে,,,
আদিত্যকে এই অবস্থা দেখে জয়া,,,
আদিত্যর কাছে যেতে চাইলো...
কিন্তু মিসেস মেহরাব জয়াকে জোর করে,,,
হাত ধরে টেনে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন...
তারপর জয়াকে বাড়ির ভেতরে টেনে এনে,,,
মিসেস মেহরাব বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিলেন...
জয়া দরজায় পিঠ লাগিয়ে ফ্লোরে বসে বসে,,,
আদিত্যর জন্য অঝোরে কাঁদতে লাগলো...
খুশি আর সিহাব এসে জয়াকে সামলাতে চেষ্টা করলো,,,
মিসেস মেহরাব,উপরে চলে গেলেন...
এই সুযোগে জয়ার নানি এসে জয়াকে বললেন-আয় আমার সাথে...
এদিকে রাজন এসে আদিত্যকে ধরাধরি করে মাটি থেকে তুলে বললো-ভাই...???
এখান থেকে চলুন যাই...
আদিত্য মাথাটা ধরে উঠে বললো-নাহ,,,
তোর ভাবি আমার নাম ধরে ডেকেছে,,,
তাই আমি তোর ভাবির সাথে কথা না বলে কোথাও যাবো না...
কথাটা বলামাত্রই জয়াকে নিয়ে জয়ার নানি বাইরে বেড়িয়ে এলো,,,
জয়ার নানি,আদিত্যকে বললো-হিরো...???
এই যে তোর হিরোইন...
জয়া আদিত্যর কাছে এসে বললো-তোমার খুব লেগেছে তাইনা...???
খুব ব্যথা পেয়েছো...???
আদিত্য-ব্যথা বাইরে পেয়েছিলাম একটু,,,
কিন্তু তোমাকে দেখার পর আমার সব ব্যথা চলে গেছে...
জয়া-এমন পাগলামি কেনো করছো তুমি...???
বাড়ি চলে যাও এখন প্লিজ...
কথাটা বলতে না বলতেই,,,
মিসেস মেহরাব সবাইকে নিয়ে এসে আবারও হাজির হলো,,,
আদিত্য-আন্টি...???
ওহ Sorry,,,
মামি শাশুড়ি,,,
আমাদের দুজনকে অাশির্বাদ করুন,,,
আমরা যেনো নির্বিঘ্নে এই বিয়েটা করতে পারি...
আদিত্য,মিসেস মেহরাবের পা ছুঁয়ে সালাম করতে গেলো,,,
কিন্তু মিসেস মেহরাব পা সড়িয়ে নিলেন...
তারপর জয়াকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে এলেন,,,
মিসেস মেহরাব,জয়াকে নিয়ে সোজা উপরে চলে এলেন,,,
এরপর জয়াকে,জয়ার ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে,,,
ঘরের বাইরে এসে চক দিয়ে একটা দাগ কেটে দিয়ে বললেন-জয়া...???
যদি তুই এই দাগের বাইরে আমার অনুমতি ছাড়া বের হোস,,,
তাহলে তুই জানবি যে,,,
তোর বড় মামি আজ থেকে তোর জন্য মরে গেছে,,,
কথাটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নে
চলবে...
খুশি আর জয়ার নানি,জয়ার ঘরে এসে জয়াকে কাঁদতে দেখলো...
নানুমনিকে দেখে জয়া নিজের চোখ মুছে নিলো,,,
জয়ার নানি জয়াকে বললো-এভাবে আর কতক্ষণ তুই নিজেকে লুকিয়ে রাখবি জয়া...???
আমি জানি তুই আদিত্যকে খুব ভালোবাসিস,,,
তাহলে কেনো বড় বৌমার কথায়,,,
তুই আদিত্যকে ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস...???
জয়া-আমি কারো কথায় কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি,,,
বড় মামি আমার ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে...
নানি-এখনো সময় আছে,,,
তুই আদিত্যকে সবকিছু খুলে বল,,,
খুশি...???
আদিত্যকে ফোনটা লাগিয়ে জয়ার কাছে দে তো ফোনটা...
খুশি জয়ার ফোনটা হাতে নিয়ে আদিত্যকে কল করে,,,
জয়ার হাতে দিলো ফোনটা...
এদিকে জয়া,আদিত্যর গালে এভাবে সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছে বলে,,,
আদিত্যর সেই কথা মনে করে খুব রাগ হলো...
তাই আদিত্য নিজের রাগটা,,,
বক্সিং বালিশে ইচ্ছামত ঘুষি মেরে উঠাতে লাগলো...
হঠাৎ করে আদিত্যর ফোনটা বেজে উঠলো,,,
আদিত্য নিজেকে কন্ট্রোল করে দেখলো,জয়া ফোন করেছে...
জয়ার কল দেখামাত্রই আদিত্য ফোনটা রিসিভ করে বললো-হ্যালো...???
কিন্তু জয়া কিছুই না বলে চুপ করে রইলো,,,
একটা কথাও জয়ার মুখ দিয়ে বের হলো না...
এভাবে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার পর,,,
জয়া ফোনটা কেটে দিয়ে এক দৌড়ে পাশের ঘরে চলে গেলো...
জয়ার নানি সেটা দেখে খুশিকে বললেন-খুশি...???
তোর ফোন দিয়ে আদিত্যকে আবার একটা কল দিয়ে,,,
ফোনটা আমার কাছে দে তো...
খুশি নিজের ফোন থেকে আদিত্যকে কল দিয়ে,ফোনটা জয়ার নানির হাতে দিলো...
আদিত্য খুশির কলটা দেখে রিসিভ করে বললো-বলো খুশি...???
জয়ার নানি-খুশি নয়,আমি বলছি...
আদিত্য-হে নানুমনি বলো...???
জয়ার নানি-হিরো...???
তোর হিরোইন এতক্ষণ হয়তো চুপ করে ছিলো ঠিকই,,,
ফোনে কিছুই বলেনি,,,
কিন্তু তবুও এই চুপ থাকার মাধ্যমেই,,,
জয়া তোকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে...
সেটা যদি তুই বুঝে থাকিস,,,
তো চলে আয়...
আদিত্য-ঠিকাছে নানুমনি,,,
আমি কাল সকালেই চলে আসবো...
জয়ার নানি-ঠিকাছে এখন রাখছি তাহলে...
টুট...টুট...
আদিত্য বুঝতে পারলো যে,জয়া কিছু একটা বলতে চেয়েও বললো না…
আদিত্য তাই জয়ার ফোনে কল দিলো,,,
কিন্তু জয়া ফোন সুইচ অফ করে রেখেছে...
কিছুক্ষণ পর,,,
মিসেস মেহরাব জয়ার ঘরে এসে,জয়ার জামা-কাপড় ব্যাগে গুছিয়ে দিচ্ছেন,,,
হঠাৎ রান্না ঘরে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ শুনে,,,
সেটা দেখার জন্য মিসেস মেহরাব নীচে চলে গেলেন...
এই ফাঁকে খুশি এসে জয়ার হাতে ফোন দিয়ে বললো-দুলাভাই ফোন করেছে,,,
নে দিদি কথা বল...
খুশি তারপর অন্য ঘরে চলে গেলো,,,
জয়া আদিত্যর কলটা দেখে কেটে দিলো,,,
আদিত্য সেটা দেখে বললো-এভাবে আমার সাথে কথা না বলে,,,
তুমি ফোনটা কেটে দিতে পারো না জয়া...
আদিত্য তাই জয়াকে আবারও কল করলো...
জয়া বাধ্য হয়ে এবার কলটা রিসিভ করে বললো-তুমি আবারও কেনো আমাকে ফোন করেছো...???
আদিত্য-তোমার সাথে কথা বলার জন্য...
জয়া-আমিতো আগেই বলে দিয়েছি যে,,,
তোমার সাথে আমার আর কোনো কথা নেই...
আদিত্য-কেনো...???
আমি তোমাকে Kiss করেছি এইজন্য...???
জয়া-চুপ করো তুমি,,,
কেনো বারবার আমাকে এইভাবে বিরক্ত করছো তুমি...???
একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো,,,
তোমার আর আমার কোনো দিনও মিল হবে না,,,
সুতরাং তুমি আমাকে ভুলে যাও,,,
এটাই তোমার জন্য ভালো হবে...
আদিত্য-এভাবে বললেই হলো নাকি...???
আমি তোমাকে কিভাবে ভুলে যাবো বলো...???
তুমি আমাকে আগে ভালোবেসে,,,
আমাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে,,,
এখন তুমি নিজেই বদলে যেতে চাইছো...???
এটা আমি কিছুতেই হতে দেবো না...
জয়া-চুপ করো প্লিজ,,,
আজ তুমি সবার সামনে যা করেছো,,,
তাতে তুমি আবারও এটাই প্রমাণ করে দিলে যে,,,
তুমি এখনও তোমার খেয়াল-খুশিমত যা ইচ্ছা তাই করছো,,,
একবারও আমার কথাটা তুমি ভাবলে না...???
সবার সামনে আমাকে,এইভাবে বেইজ্জতি করতে পারলে...???
আদিত্য-আর তুমি কি করছো এসব...???
বোঁকার মত নিজের বড় মামির কথামতো চলছো...???
নিজের ভালোবাসার কথাটা ওনাকে বলে দিতে পারছো না...???
জয়া-হে আমি বোঁকা,,,
আর আমি আমার বড় মামির কথা এইজন্যই শুনছি,,,
কারন,বড় মামি আমার ভালো চায়,,,
তাই বড় মামি যা করছে,তা আমার ভালোর জন্যই করছে...
আদিত্য-আমিও যা কিছু করছি,,,
তার সবকিছু তোমাকে ভালোবেসেই করছি জয়া...
জয়া-এটাকে ভালোবাসা বলে না,,,
জেদ করা বলে...
আদিত্য-একটা কথা ভালো করে তুমিও শুনে রাখো,,,
আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি যখন,,,
তখন আমি তোমাকে আমার বানিয়েই ছাড়বো...!!!
আর আমার কাছ থেকে তোমাকে কেউ আলাদা করতে পারবে না,,,
এটা তুমি আমার জেদ ভাবো বা ভালোবাসা যেটাই ভাবো,,,
আর এতে তোমার ভালো লাগুক বা খারাপ লাগুক,,,
তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি যা যা করার দরকার,,,
তাই তাই করবো,,,
আমি তোমাকে কিছুতেই অন্য কারো হতে দেবো না ব্যস...
আদিত্য ফোনটা কেটে দিলো,,,
আদিত্যর কথাগুলো শুনে জয়ার ভেতরটা তোলপাড় করে উঠলো...
পরেরদিন,,,
সকাল বেলা,জয়া পরিবারের সবাইকে চা-নাস্তা দিচ্ছিলো,,,
দরজায় হঠাৎ করে কনিং বেলটা বেঁজে উঠলো...
সিহাব গিয়ে দরজাটা খুলতেই সবাই দেখলো,,,
আদিত্য স্যুট-বুট পরে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে হাজির হয়েছে...
ব্যান্ডপার্টি বাজনা বাঁজাতে লাগলো,,,
মিষ্টার সোরাব এসে আদিত্যকে দেখে বললেন-এসব কি হচ্ছে এখানে...???
আদিত্য ইশারায় ব্যান্ডপার্টিকে বাজনা থামাতে বললো,,,
তারপর আদিত্য ঘরের ভেতরে ঢুকে সবার আগে গিয়ে,,,
জয়ার নানিকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বললো-কেমন আছো নানুমনি...???
জয়ার নানি হেসে বললো-এতক্ষণ তো ভালোই ছিলাম,,,
আমার নাতনির হিরোকে দেখে আরও ভালো হয়ে গেলাম...
মিসেস মেহরাব,আদিত্যকে দেখেই খুশির বাবাকে বললেন-এক্ষুনি থানায় ফোন করো,,,
আর বলো যে এই বেয়াদবটা আবারও,,,
আমাদের বাড়িতে ঝামেলা করতে এসেছে...
আদিত্য-No... আন্টি,,,
আজ আমি এখানে কোনো ঝামেলা করতে আসিনি,,,
আমিতো এখানে এসেছি আপনাদের সবাইকে আমার বিয়ের দাওয়াত দিতে,,,
কথাটা শুনে সবাই চমকে উঠলো...
আদিত্য স্যুটের পকেট থেকে একটা বিয়ের কার্ড বের করে,,,
মিসেস মেহরাবের হাতে দিয়ে বললো-এই যে আমার বিয়ের কার্ড,,,
ঠিক ৭ দিন পর আপনাদের ভাগ্নি জয়ার সাথে আমার বিয়েটা হবে,,,
দেখুন তো বিয়ের কার্ডটা কেমন হয়েছে...???
আদিত্য তারপর জয়ার কাছে গিয়ে বললো-জয়া...???
তোমার আর আমার অসম্পূর্ণ বিয়েটা,,,
আমি এবার সম্পূর্ণ করতে চাই...!!!
আর মাত্র ৭ দিন পর,,,
তুমি আর আমি এক হয়ে যাবো...
আদিত্য তারপর জয়ার পরিবারের সবার দিকে তাঁকিয়ে বললো-এখন তাহলে চলি,,,
বিয়ের অনেক আয়োজন বাকি,,,
সবাইকে ইনভাইট করতে হবে,,,
আপনারা সবাই কিন্তু বিয়েতে থাকবেন কেমন ...
এটা বলে আদিত্য চলে গেলো,,,
এদিকে মিষ্টার সোরাব থানায় ফোন করে আদিত্যর নামে আবারও অভিযোগ করলেন...
পুলিশের লোকজন আদিত্যর বাড়িতে রওনা হলো,আদিত্যকে ধরার জন্য,,,
মিসেস খাঁন আদিত্যকে ডাকতে ডাকতে,,,
আদিত্যর ঘরে এসে দেখলেন,,,
আদিত্য কম্বল মুড়ি দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়ে আছে...
তিনি আদিত্যকে ডাকলেন-বাবুই...
উঠ...
কিন্তু কম্বলের নীচ থেকে আদিত্যর বদলে রাজন বেড়িয়ে এলো,,,
মিসেস খাঁন,রাজনকে দেখে বললেন-কি রে,বাবুই কোথায়...???
রাজন মুচকি হেসে বললো-ভাই তো ভাবির সাথে দেখা করতে গেছে,,,
এসে পরবে এক্ষুনি...
মিসেস খাঁন আদিত্যর রুম থেকে বাইরে আসতেই,,,
পুলিশের লোকজন এসে বললো-মিষ্টার আদিত্য কোথায়...???
মিসেস খাঁন-ইয়ে মানে...বাবুই তো একটু ওয়াশরুমে গেছে,চেঞ্জ করতে,,,
আপনারা তো জানেনি,ওর শরীরটা ভালো না...
পুলিশ অফিসার-কিন্তু আমাদের কাছে খবর আছে,,,
ওনি মিসেস মেহরাবের বাড়িতে গিয়ে আবারও ঝামেলা করেছেন...
মিসেস খাঁন-না না,ও তো বাসায়ই আছে,,,
জামা-কাপড় চেঞ্জ করছে আর কি...
পুলিশ অফিসার-আমাদের ভেতরে যেতে দিন,,,
আমরা দেখবো মিষ্টার আদিত্য ভেতরে আছে কি না...
পুলিশের লোকজন তারপর জোর করে আদিত্যর রুমে ঢুকে দেখলো,,,
সত্যি সত্যি আদিত্য ওয়াশরুম থেকে খালি গায়ে টাওয়াল পেচিয়ে বের হয়েছে...
আদিত্য পুলিশের লোকজনকে দেখে বললো-আপনারা এখানে...???
কি শুরু করেছেন আপনারা হে...???
আমাকে কি একটু শান্তিতে বাথরুমও করতে দেবেন না নাকি...???
পুলিশ অফিসার-আসলে মিসেস মেহরাব ফোন করে বললেন যে,,,
আপনি ওনাদের বাড়িতে গিয়ে নাকি আবারও ঝামেলা করেছেন...???
আদিত্য-আপনারা কি বাচ্চা নাকি...???
যে কেউ কিছু বললো আর অমনি বাড়িতে চলে এলেন...???
পুলিশ অফিসার-Sorry,,,
অযথা আপনাকে অসময় বিরক্ত করার জন্য,,,
এই চলো সবাই..
পুলিশের লোকজন চলে গেলো,,,
মিসেস খাঁন-বাবুই...???
তুই নাকি জয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েছিস...???
আদিত্য-হে,দেখা করে আবার এসেও পরেছি...
রাজন-ভাই...???
পুলিশকে তো আপনি সেই রকম বোঁকা বানিয়ে দিলেন...
হা...হা...হা...
পরেরদিন...
সকালে খবরের কাগজ পড়তে গিয়ে মিষ্টার মেহরাব চমকে উঠলো,,,
মিষ্টার সোরাব সেটা দেখে বললেন-কি হয়েছে...???
খবরের কাগজে কি লেখা আছে ভাইজান...???
মিষ্টার মেহরাব,খবরের কাগজটা তার ছোট ভাইয়ের হাতে দিলেন,,,
খবরের কাগজে প্রথম পাতায় হেডলাইনটা পরে,,,
মিষ্টার সোরবও চমকে উঠলো...
মিসেস মেহরাব-কি হলো তোমাদের...???
খবরের কাগজে কি লেখা আছে,,,
সেটা কেউ বলছো না কেনো...???
মিষ্টার সোরাব-ভাবি...???
খবরের কাগজে হেডলাইনে জয়া আর আদিত্যর ছবি দিয়ে লেখা আছে যে,,,
বেচেলর মিষ্টার আদিত্য খাঁনের সাথে,,,
সেরা রাধুনি মিস জয়ার শুভ বিবাহ,,,
আপনারা সবাই আমন্ত্রিত...!!!
মিসেস মেহরাব-কিইইইহ...???
মিসেস খুশবু বাইরে থেকে এসে বললেন-হে,ভাবি,,,
আমি কিছু সবজি আনতে বাইরে গিয়ে ছিলাম,,,
পুরো মহল্লার লোকজন তো এ খবরই বলাবলি করছে...
শুধু তাই নয়,,,
আমি দেখে আসলাম,আদিত্যর লোকেরা,,,
বিয়ের জন্য পুরো মহল্লা সাজাচ্ছে...
আদিত্য,রাজনকে দিয়ে জয়ার পুরো মহল্লা সাজানোর ব্যবস্থা করেছে,,,
রাজন ডেকোরেশনের লোকজনদের নিয়ে জয়ার বাড়ির সামনে এসে কনিং বেল বাঁজালো...
মিষ্টার সোরাব দরজা খুলতেই আদিত্য সামনে এসে বললো-কেমন আছেন শশুড় মশাই...???
মিষ্টার সোরাব-চুপ কর বেয়াদব,,,
তুই কি শুরু করেছিস এসব...???
যখন মন চায়,তখনই বাড়িতে হুটহাট চলে আসিস...???
আদিত্য মুচকি হেসে বললো-মামা শশুড় মশাই...???
কদিন বাদেই আপনাদের ভাগ্নির সাথে আমার বিয়ে,,,
তাই আমাকে তো হুটহাট এখানে আসতেই হবে...
আর দেখতে এলাম,,,
শশুড়বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সব ঠিকঠাক হচ্ছে কি না...???
মিষ্টার সোরাব-আজ তোর একদিন কি,আমার একদিন,,,
এক্ষুনি পুলিশকে ডেকে আনছি দাঁড়া...
আদিত্য-ও শশুড় মশাই...???
পুলিশকে আর ফোন করতে হবে না,,,
পুলিশ আসবে তো,,,
আমার সাথে বিয়ের বরযাত্রী হয়েই পুলিশ আসবে,,,
আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না...
কিন্তু আমার বউ কোথায়...???
তাকে তো আজ দেখছি না কোথাও...???
এই ভাই,তোমরা ঠিকঠাক মত সব সাজাও,,,
কোনো জায়গা যেনো বাদ না থাকে...
মিষ্টার সোরাব বাড়ির ভেতরে,মিসেস মেহরাবকে ডাকতে চলে গেলেন,,,
এই ফাঁকে জয়া সব শুনে এসে,,,
আদিত্যর হাত ধরে টেনে সবার আড়ালে নিয়ে গিয়ে বললো-এসব কি শুরু করেছো তুমি...???
মানা করে ছিলাম না এসব না করতে...???
কতবার বলেছি আমার থেকে দূরে থাকো,,,
একটা কথাও তো আমার শুনতে চাও না তুমি...???
আদিত্য-তোমার কথাই তো এতদিন শুনতে শুনতে তোমার প্রেমে পরে গেছি,,,
এখন উঠবো কিভাবে বলো...???
জয়া-ফাজলামি করছি না আমি,,,
ভালোবাসা মানে কি বোঝো তুমি...???
ভালোবাসা মানে হচ্ছে একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করা,,,
এভাবে জেদ করাকে ভালোবাসা বলে না...
আদিত্য-জেদ বলো আর ভালোবাসা যেটাই বলো,,,
আমি আমাদের অসম্পূর্ণ বিয়েটা এবার যেভাবেই হোক সম্পূর্ণ করবো,,,
আমাদের বিয়েটা এবার কেউ আর আটকাতে পারবে না...
জয়া-এভাবে জোর করে বিয়ে করা যায় না,,,
আর জোর করে ভালোবাসাও হয় না...
আদিত্য-তুমি আমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বলো তো,,,
যে তুমি আমাকে ভালোবাসো না...???
এটাও বলো যে তুমি আমাকে ঘৃনা করো...???
জয়া অন্যদিকে তাঁকিয়ে বললো-হে,আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,
& i hate you...!!!
আদিত্য জয়ার হাতটা ধরতে চাইলো,,,
কিন্তু জয়া বাঁধা দিয়ে বললো-Don't touch me...!!!
আমাকে টাচ করার কোনো অধিকার তোমার নেই...
আদিত্য-জি না,,,
এটা তো তুমিও জানো যে,তোমার হাত ধরার বা তোমাকে টাচ করার অধিকার শুধুমাত্র আমারই আছে...
জয়া-না নেই...
আদিত্য আংগুল দিয়ে জয়ার ঠোঁট চেপে ধরে বললো-জানো...???
কালকের মত না তোমাকে আবারও আমার Kiss করতে খুব ইচ্ছে করছে...
করবো...???
জয়া ধমক দিয়ে আদিত্যর আংগুল সড়িয়ে দিয়ে বললো-একদম চুপ...!!!
তুমি এত লজ্জা ছাড়া কিভাবে হতে পারলে...???
আদিত্য-তোমার ভালোবাসাই তো আমাকে নির্লজ্জ বানিয়ে দিয়েছে...
আদিত্য জয়াকে আবারও কিসস করার আগেই,,,
জয়া তারাতারি করে দৌড়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলো...
আদিত্যও জয়ার পেছনে পেছনে এলো,,,
কিন্তু মিসেস মেহরাবকে দেখে আদিত্য থেমে গিয়ে বললো-আরে আন্টি...???
এতক্ষণ কোথায় ছিলেন আপনি...???
আপনাকে ছাড়া সবকিছু কেমন যেনো এতক্ষণ খালি খালি লাগছিলো...
মিসেস মেহরাব মুচকি হেসে বললেন-সেইজন্যই তো আমি আমার বোনের ছেলে,আর তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনছি,,,
ওই তো ওরা এসে পরেছে...
আদিত্য দেখলো তিনজন পালোয়ানের মত মোটাতাজা লোক আদিত্যর সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে,,,
তাদের একেক জনের হাতে ইয়া বড় বড় আর মোটা মোটা ডান্ডা...
মিসেস মেহরাব,এদের ভাড়া করে বডিগার্ড হিসেবে এনেছেন,,,
রাজন এদের দেখে পেছন থেকে আদিত্যকে ডেকে বললো-ভাই...???
এরা কারা...???
মিসেস মেহরাব,আদিত্যর দিকে তাঁকিয়ে বললেন-এরা আমার আত্মীয় হয়,,,
এরা এখন থেকে এখানেই থাকবে,,,
দেখি এবার আদিত্য কি করে আমাদের বাড়িতে ঢুকে...
ওই তিনজনের মধ্যে একজন গিয়ে আদিত্য আর জয়ার বিয়ের ব্যানার ভেঙে ফেললো,,,
আদিত্য তেড়ে মারতে উঠতেই,,,
জয়া এসে আদিত্যকে মানা করলো...
কিন্তু তবুও আদিত্য,মারতে চাইলো,,,
রাজন,আদিত্যর হাত টেনে ধরে বললো-থাক ভাই,,,
এদের সাথে এখন মারামারি করে লাভ নেই,,,
চলুন আমরা এখন চলে যাই...
আদিত্য-আমি আবারও আসবো,,,
দেখি,আমাকে এরা কি করে আটকায়...
রাজন তারপর জোর করে আদিত্যকে টেনে নিয়ে চলে গেলো,,,
এদিকে মিসেস খাঁন ওদের বাড়িতে নিয়ে আদর-আপ্যায়ন শুরু করলো...
মিষ্টার মেহরাব ওদের খাওয়ার চোট দেখে বললো-এরা তো খাচ্ছে আর খাচ্ছে,,,
এই হাতির মত গুন্ডা গুলোকে কথা থেকে ধরে নিয়ে এলে তুমি...???
মিসেস মেহরাব-আহ,খাক না,,,
ওরা কোনো টাকা-পয়সা নেবে না,,,
শুধু খাওয়াটা ঠিকমতো দিলেই হবে বলেছে...
আর এদের মতো গুন্ডাদের দিয়েই,আমি আদিত্যকে শায়েস্তা করবো এবার...
মিষ্টার সোরাব-ভাবি...???
আদিত্যকে ভয় দেখাতে গিয়ে,,,
আমরা নিজেরাই তো এদের মত পালোয়ানদের দেখে ভয় পাচ্ছি...
মিসেস মেহরাব-আদিত্যর জন্য এদের মত পালোয়ানদেরই আমাদের দরকার,,,
সুতরাং এদের যেনো এ বাড়িতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়...
খাওয়ানোর পর,ওদেরকে দরজার বাইরে পাহাড়ায় বসালো মিসেস মেহরাব,,,
সন্ধ্যায় আদিত্য আর রাজন,জয়ার বাড়ির কাছে এসে দেখলো,,,
পাহাড়া দিচ্ছে ওরা...
রাজন ওদের দেখে ভয় পেয়ে বললো-ভাই...???
এদের সাথে আমরা পারবো না,,,
আমরা বরং বাড়ি ফিরে যাই চলুন...
আদিত্য-ভয় পেলে কিভাবে জয় করবো...???
আমি এদেরকে ভয় পাইনা,,,
তুই ভয় পেলে এখানেই থাক,আমি যাচ্ছি...
আদিত্য জয়ার বাড়ির সামনে আসতেই,,,
ওদের একজন আদিত্যকে দেখে বললো-তুই আবার এসেছিস এখানে...???
আদিত্য-দেখ ভাই,,,
সম্পর্কে তোরা আমার শালা আর আমি তোদের দুলাভাই হই,,,
তাই প্লিজ কোনো ঝামেলা করতে চাই না আমি,,,
আমাকে ভেতরে ঢুকতে দে প্লিজ...
কথাটা শেষ হওয়া মাত্রই ওদের একজন আদিত্যর কলার চেঁপে ধরলো,,,
আদিত্য তার হাতটা সরিয়ে দিতেই,,,
বাকি দুজন এসে আদিত্যর উপরে ঝাঁপিয়ে পরলো...
ওরা তিনজন মিলে আদিত্যকে মারতে শুরু করলো,,,
মহল্লার সব লোকজন জড়ো হয়ে গেলো,,,
তাদের চিল্লাচিল্লি শুনে খুশি বাড়ির বাইরে এসে দেখলো,,,
ওরা তিনজন আদিত্যকে ইচ্ছামত মারছে...
খুশি চিৎকার দিয়ে বললো-দিদি দেখে যাও,এখানে কি হচ্ছে...
খুশির চিৎকার শুনে,জয়া আর তার পরিবার বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে এসে দেখলো,,,
ওরা আদিত্যকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারছে...
মার খেয়ে আদিত্য মাটিতে পরে গেলো,,,
জয়া চিৎকার করে বলে উঠলো-আদিত্য...!!!
আদিত্যর চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত পরছে,,,
আদিত্যকে এই অবস্থা দেখে জয়া,,,
আদিত্যর কাছে যেতে চাইলো...
কিন্তু মিসেস মেহরাব জয়াকে জোর করে,,,
হাত ধরে টেনে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন...
তারপর জয়াকে বাড়ির ভেতরে টেনে এনে,,,
মিসেস মেহরাব বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিলেন...
জয়া দরজায় পিঠ লাগিয়ে ফ্লোরে বসে বসে,,,
আদিত্যর জন্য অঝোরে কাঁদতে লাগলো...
খুশি আর সিহাব এসে জয়াকে সামলাতে চেষ্টা করলো,,,
মিসেস মেহরাব,উপরে চলে গেলেন...
এই সুযোগে জয়ার নানি এসে জয়াকে বললেন-আয় আমার সাথে...
এদিকে রাজন এসে আদিত্যকে ধরাধরি করে মাটি থেকে তুলে বললো-ভাই...???
এখান থেকে চলুন যাই...
আদিত্য মাথাটা ধরে উঠে বললো-নাহ,,,
তোর ভাবি আমার নাম ধরে ডেকেছে,,,
তাই আমি তোর ভাবির সাথে কথা না বলে কোথাও যাবো না...
কথাটা বলামাত্রই জয়াকে নিয়ে জয়ার নানি বাইরে বেড়িয়ে এলো,,,
জয়ার নানি,আদিত্যকে বললো-হিরো...???
এই যে তোর হিরোইন...
জয়া আদিত্যর কাছে এসে বললো-তোমার খুব লেগেছে তাইনা...???
খুব ব্যথা পেয়েছো...???
আদিত্য-ব্যথা বাইরে পেয়েছিলাম একটু,,,
কিন্তু তোমাকে দেখার পর আমার সব ব্যথা চলে গেছে...
জয়া-এমন পাগলামি কেনো করছো তুমি...???
বাড়ি চলে যাও এখন প্লিজ...
কথাটা বলতে না বলতেই,,,
মিসেস মেহরাব সবাইকে নিয়ে এসে আবারও হাজির হলো,,,
আদিত্য-আন্টি...???
ওহ Sorry,,,
মামি শাশুড়ি,,,
আমাদের দুজনকে অাশির্বাদ করুন,,,
আমরা যেনো নির্বিঘ্নে এই বিয়েটা করতে পারি...
আদিত্য,মিসেস মেহরাবের পা ছুঁয়ে সালাম করতে গেলো,,,
কিন্তু মিসেস মেহরাব পা সড়িয়ে নিলেন...
তারপর জয়াকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে এলেন,,,
মিসেস মেহরাব,জয়াকে নিয়ে সোজা উপরে চলে এলেন,,,
এরপর জয়াকে,জয়ার ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে,,,
ঘরের বাইরে এসে চক দিয়ে একটা দাগ কেটে দিয়ে বললেন-জয়া...???
যদি তুই এই দাগের বাইরে আমার অনুমতি ছাড়া বের হোস,,,
তাহলে তুই জানবি যে,,,
তোর বড় মামি আজ থেকে তোর জন্য মরে গেছে,,,
কথাটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নে
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com