Breaking News

নুরজাহান রাহাত এর বিয়ের গল্প । পর্ব - ০৫



কিন্তু কথায় আছে না মানুষের ভালো সময় বেশি দিন থাকে না।ঠিক এইরকম ওদের সাথেও হয়েছে। হঠাৎ করেই নূর এর পেইন ওঠলো ওরা নূর কে হাতপাতালে নিয়ে গেল,,,,
হাতপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার নূর কে ICU তে নিয়ে গেল।নূর এর অবস্থা খুব খারাপ ছিল।মাছুম খান রাহাত কে কল করে নূর এর কথা বলে দিয়েছে।রাহত নূর এর কথা শুনে এক মিনিট ও দেরি না করে হাসপাতালের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়ে।
এদিকে নূর কে ICU তে নেওয়ার পর,নূর এর সামনে দুই জন মহিলা ডাক্তার এক জন আরেক জন কে বলছে,,,
ডাক্তার: শোনো রুগির condition বেশি ভালো না।যে কোন এক জন কে বাঁচানো যাবে,মা নয় তো বাচ্চা?
দ্বিতীয় ডাক্তার: হ্যাঁ! তাই তো দেখলাম। তার পরিবারের লোকের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করতে হবে ।তারা যাকে বাঁচাতে বলবে আমরা তাকেই বাঁচাবো??

ডাক্তার: হ্যাঁ তাই চলো,,আর এই মেয়েটিল স্বামীর শয় নিয়ে আসতে হবে?
দ্বিতীয় ডাক্তার: হুম?(ডাক্তার ২জন বাহিরে যাবার জন্য পা বাড়ায়,,কিন্তু নূর এর ইশারাতে নূর এর কাছে যায়)
ডাক্তার ২জন আস্তেই কথা গুলা বলছিল ,,কিন্তু নূর তাদের সব কথা শুনে ফেলে।নূর এর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল। নূর আস্তে করে মাস্কটা খুলে ডাক্তার কে হাতের ইশারা দিয়ে ডাক দেয়। ডাক্তার দুই জন নূর এর হাতের ইশারা দেখে নূর এর কাছে আসে। নূর আস্তে করে হাত দিয়ে অক্সিজেন মাস্কটা খুলে বলতে লাগলো,,,
নূর: দয়া করে আমার একটা কথা রাখুন আপনারা.(মৃদ কন্ঠে).
ডাক্তার: জ্বী বলুন! কি বলতে চান আপনি?
নূর: আমার বাচ্চাটা কে আপনারা বাঁচান?(এই কথাটা বলে চোখের পানি ছেড়ে দিল).
ডাক্তার: আপনে সব কথা শুনে ফেলেসেন?(কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললো).
নূর: হুমম ডাক্তার! দয়া করোন,আমার বাচ্চাটা কে বাঁচান আপনারা?(কান্না জড়িত কন্ঠে)
ডাক্তার:আপনে সান্ত হন।আমরা আপনার পরিবারের কাছে জিজ্ঞেস করে আসি, তারা যা বলবে আমরা তাই করবো।আমাদের হাতে সময় খুব কম?

নূর: আমি জানি আমার পরিবারের সদস্য রা কি বলবে।তারা আমার বাচ্চা কে নয় আমাকে বাঁচাতে বলবে। কিন্তু আমি মা হয়ে আমার বাচ্চা কে কিভাবে নিজের চোখের সামনে মারা জেতে দেখবো বলোন।আপনারা দয়া করে আমার পরিবারের লোক এর কাছে এই কথাটা বলবেন না।অপারেশন হয়ে গেল তাদের কাছে বলে দিয়েন।(কান্না করতে করতে বললো).

ডাক্তার: দেখুন মিসেস নূর আমরা এটা করতে পারবো না। এটা বড় অন্যায়। তাদের এই বিষয়ে জানার পুরপুরি হক আছে। তাই,,, (নূর থামিয়ে দেয়).
নূর: দয়া করেন আপনারা । আমি এই দুনিয়ার আলো বাতাস দেখেছি।এই দুনিয়ার সান্তি ভোগ করেছি।কিন্তু আমার বাচ্চা টা কিছুই দেখে নি। আর এখন যদি আসার আগেই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তাহলে আমি একটা মা হয়ে কিভাবে এটা সহ্য করবো বলোন।আপনাদের পায়ে পড়ছি দয়া করে আমার বাচ্চা টাকে এই দুনিয়ার মুখ দেখার শুজুক করে দিন। ও ওর বাবার ভালোসাবা থেকে ওকে বঞিচ করবেন না।আল্লাহর দোহায় লাগে?( কান্না করতে করতে বললো).

ডাক্তার দুই জনের নূর এর কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো,,,
ডাক্তার: ঠিক আছে ! আমরা আপনার বাচ্চা কেই বাঁচাবো। নার্স অপারেশন এর সব ব্যবস্থা কর?
নূর: আপনাদের কাছে আমি ঋরি হয়ে গেলাম।
ডাক্তার: এবাবে বলবেন না। সব মা রা চায় তার ছেলে-মেয়ে সুস্থ ভাবে দুনিয়াতে আসুক কিন্তু আপনার মতো মা খুব দেখেছি আমি। আপনেই এই প্রথম যে কিনা তার সন্তান কে নিজের বিনিময় দুনিয়াতে আনার জন্য ব্যকুল হয়ে গিয়েছেন?
নূর: ধন্যবাদ আপনাদের?
ডাক্তার দের অপারেশন এর সব ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। এখন শুধু রাহাত এর আসার পালা। রাহাত আসলেই পেপারে ওর সয় নিয়ে অপারেশন শুরু করবে ডাক্তার রা। রাহাত হাতপাতালে পৌছে গেছে,,গাড়িটা কোন রকম থামিয়েই গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়িয়ে উপরে চলে গেল এবং অপারেশন থিয়েটার এর পাশে এসে দাড়ালো,,,,

রাহাত: মম নূর কোথায়,,নূর ঠিক আছে তো??(উওেজিতো হয়ে বললো)..
রুনা বেগম: সান্ত হ বাবা! নূর এর অবস্থা বেশি ভালো না আর কিছুক্ষন পর নূর পর অপারেশন শুরু হবে।তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম আমরা?
ডাক্তার: আপনি ওনার স্বামী? (রাহাত এর উদ্দেশ্য বললো)..
রাহাত: হ্যাঁ!
ডাক্তার: এই পেপার টায় সয় করে দিন?(রাহাত এর কাছে পেপার এগিয়ে দিয়ে).
রাহাত: আমি নূর এর সাথে একটু দেখা করতে চাই ডাক্তার, (পেপারে সয় করে বললো)..
ডাক্তার: স্যরি মি.রাহাত এখন দেখা করা যাবে না।অপারেশনের সব ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে। তাই অপারেশনের পর দেখা করতে পারবেন??

রাহাত: প্লিজ ডাক্তার শুধু একবার দেখা করতে চাই,(হাত জোড় করে বললো).
ডাক্তার: I'm sorry! (এটা বলে ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে চলে গেল).
রাহাত মন খারাপ করে বেঞ্চে বসে পড়লো। অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। সবাই অনেক টেনশনে আছে। রাহাত সেখানে দাড়িয়ে পায়চারি ও ছটফট করছে নূর ও বাচ্চার জন্য ।

রাহাত মনে মনে আল্লাহ্ কে সরন করছে। অনেক ক্ষন হয়ে গেছে কিন্তু থিয়েটার এর ভিতর থেকে কেউ বের হয় নাই,এটা দেখে আরো টেনশনে পড়ে গিয়েছে সবাই। কিছুক্ষন পর একজন ডাক্তার একটা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে রেব হয়ে ওদের কাছে দিল,,,
ডাক্তার: মি. রাহাত আপনার মেয়ে হয়েছে। এই নিন আপনার মেয়ে?(রাহাত এর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো)
সবাই বাচ্চাটা কে দেখে মুখে একটু হাসি ফুটলো।
বাচ্চাটা একদম নূর এর মতো হয়েছে ,দেখতেও অনেক সুন্দর।
রাহাত ওর মেয়েকে দেখে ওর চোখ দিয়ে দু ফটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
রাহাত ওর মেয়েকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু দিয়ে মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ করেই রাহাত এর নূর এর কথা মনে পড় গেল,,,,
রাহাত: ডাক্তার নূর কেমন আছে । নূর সুস্থ আছে তো।
এবার আমি ওর সাথে দেখা করতে চাই ডাক্তার?(চিন্তিত কন্ঠে বললো)

ডাক্তার: দেখুন মি.রাহাত আমি আপনাদের কাছে একটা কথা গোপন করেছি?
মাছুম খান: কি গোপন কথা,,কি বলতে চান খোলাসা করে বলোন ডাক্তার?? (চিন্তিত হয়ে).
ডাক্তার: আসলে নূর আমাকে,,,,,,,( নূর যা যা বলেছে সব কথা সবাই খুলে বললো),,
রাহাত ডাক্তার এর কথা শুনে ধপ করে সেখানেই মাটিতে বসে পড়লো বাচ্চা নিয়ে।
রিনা এসে বাচ্চা কে রাহাত এর কাছ থেকে নিয়ে রুনা বেগম এর কোলে দিল।
আর মাছুম খান এ নূর এর বাবা ডাক্তার এর সাথে তর্ক করতে শুরু করলো,,,সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লো...
রিনা: ভাইয়া সান্ত হ,,(কান্না জড়িত কন্ঠে রাহাত এর কাছে বসে মাথায় হাত দিয়ে বললো)..
রাহাত: ডাক্তার এর কথা শুনে আমি এক মুহুরতের জন্য থমকে গেলাম।আমার মনে হচ্ছে আমার পৃথীবি উল্টে গিয়েছে। এটা কেন করলো নূর। আমার কাছে বলার কি একটা বার প্রয়জন মনে করলো না?(মনে মনে )
ডাক্তার: দেখুন এখন আমার সাথে তর্ক করে লাভ নেই। আর মি.রাহাত খান আপনে আপনার স্ত্রীর কাছে যান। রুগির হাতে বেশি সময়,,,,,,,(বাকিটা বলতে পরলো না তার আগেই রাহাত ওর হাত দিয়ে থামিয়ে দিল).

রাহাত সেখান থেকে ওঠে ভিতরে চলে গেল,,রাহাত জোরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। রাহাত এর মনের ভিতর নূর এর জন্য রাগ হচ্ছে তাই ভিতয়ে এসে নূর এর পাশের চেয়ারে বসে নূর এর দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। নূর রাহাত এর উপস্তিত টের পেয়ে তাকিয়ে দেখে রাহাত অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।নূর অক্সিজেন মাস্কটা খুলে বলতে লাগলো,,,,
নূর: প,,প,,প্রিয় স্বামী আপনে কি আমার উপর রাগ করে আছেন?(কাপা কাপা কন্ঠে মৃদ স্বুরে)
রাহাত: চুপ,,,,(ওর চোখ দিয়ে পানি পড়তে).
নূর: এবাবে রাগ করে থাকবেন না প্রিয় স্বামী,, তাহলে যে আমি মরেও সান্তি পাবো না??(কান্না জড়িত কন্ঠে).
(ঠাসসস)
রাহাত নূর এর মুখে মারা যাওয়ার কথাটা শুনে আর বসে থাকতে পারলো না তাই নূর এর দিকে ফিরে আস্তে করে নূর এর গালে থাপ্পর দিল,,,,

নূর: প্রিয় স্বামী আমি আপনার এই থাপ্পর টা কে খুব মিছ করবো??(মৃদ হাসি দিয়ে).
রাহাত:কেন করলে এটা নূর,,,কেন ??? আমাকে কি একবার জানানোর প্রয়জন করে করলে না। আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবো নূর ??(কান্না করতে করতে বললো)..
নূর: প্রিয় স্বামী আমাকে আপনে ক্ষমা করবেন। আমি চাই নি আমার বাচ্চা টা এই দুমিয়া থেকে চলে যাক। তাই আমি এই,,,,,(রাহাত থামিয়ে দিল)..
রাহাত: চুপ করো নূর,,চুপ করো। তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো বলো নূর?? (কান্না করতে করতে).
নূর: আপনে ভুল বলছেন প্রিয় স্বামী ।আপনার বাঁচার কারন আমি এই দুনিয়াতে রেখে গিয়েছি।তাকে অকড়ে দরে আবার নতুন করে বাঁচতে শিখুন।পারলে অরেকটা বিয়ে করে আবার সংসার শুরু করোন।(মৃদ কন্ঠে).
রাহাত: না নূর না,,আমার জীবনে তুমিই প্রথম ছিলে তুমিই শেষ।(কান্না কন্ঠে)
নূর: একটা কথা রাখবেন প্রিয় স্বামী??
রাহাত নূর এর হাত ধরে বললো,,,,
রাহাত: বলো নূর ??

নূর: আমাকে একটা বার নূর পাখি বলে ডাকবেন?(কান্ন কন্ঠে বললো).
রাহাত: নূর পাখি,,,,(এটা বলে আরো জোরে কান্না করতে লাগলো)..
নূর: দয়া করে কান্না করবেন না প্রিয় স্বামী ,আপনার কান্না আমি সহ্য করতে পারছি না,(নূর রাহাত এর চোখ মুছিয়ে বললো)..
রাহাত কিছু বলছে না শুধু কেঁদেয় যাচ্ছে,,,,
নূর: প্রিয় স্বামী আপনি আমার মেয়েটা কে কোরআন এর হাফেজা বানাইয়েন,,ওকে মাদরাসায় পড়ায়েন। এটা আমার শেষ ইচ্ছা।
রাহাত কিছু বলছে না শুধু কাঁদচ্ছে,,,,
নূর: সবাই কে একটু ডাক দিবেন । এই শেষ বারের মতো আমি তাদের কে দেখতে চাই?(কান্না কন্ঠে).
রাহাত ওঠে সবাই কে ডাক দিয়ে ভিতরে নিয়ে এসেছে,,নূর এর মা,বাবা,ভাই,মাছুম খান, রুনা বেগম, রিনা,রিনার কলে ছিল নূর এর মেয়ে। সবাই ভিতরে এসে নূর কে দেখে কান্না করতে লাগলো।নূর তাদের কে দেখে একটু মুচকি হাসি দিল। তারপর রাহাত ও মেয়ের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে চোখ বন্ধ করে ফেললো। নূর এর শরীর দুইটা ঝাকি দিয়েই নিস্তেজ হয়ে গেল। রাহাত দৌড়ে নূর কাছে এসে বললো,,,,

রাহাত: নূর,,,এই নূর ,,,,,কি হল ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না নাকি,,,আরে তোমার সাথে আমার আরো কথা আছে,,,নূর ,,,,,ওঠছো না কেন তুমি,,,আমার কিন্তু ভিশন রাগ হচ্ছে,,, (নূর কে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে লাগলো).
মম নূর কে ওঠতে বলো,,আমার কিন্তু খুব রাগহচ্ছে,,, নূর,,,মম নূর কে জিজ্ঞেস করো প্রতিদিন সকালে কে আমাকে কোরআন পড়িতে ঘুম ভাঙাবে,,প্রতিদিন কে আমাকে হাদিস পড়ে সোনাবে,,প্রতিদিন রাতে আমাকে কে খায়িয়ে দিবে,,কে আমাকে প্রিয় স্বামী বলে ডাকবে,,অফিস থেকে ফিরে এসে কার চেহারা দেখে আমি ক্লন্তি দুর করবো,,, মম জিজ্ঞেস করছো না কেন নূর কে,,,জিজ্ঞেস করো মম??(রুনা বেগম এর কাছে গিয়ে জোরে জোরে বললো)..

রাহাত এর এই পাগলামি কথা গুলা শুনে সবাই আরো জোরে কান্না করতে লাগলো,,,,
রাহাত: মম তুমি জিজ্ঞেস করবে না ,,তাই না,,,হে আল্লাহ্ কেন কেড়ে নিলে আমার নূর কে,,,,নূর এর গায়ে দিনের পর দিন হাত তুলতাম বলে,,নূর কে গালাগালি করতাম বলে,,,নূর কে অবহেলা করতাম বলে,,,??? কিন্তু তুমি যখন থেকে আমার বাচ্চা কে দয়নিয়াতে পাঠিয়ে ছিলে ঠিক তখন থেকে আমি নূর কে ভালোবাসতাম,,,নূর কে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসতাম তাহলে এখন কেন আমার কাছ থেকে আমার নূর পাখি কে কেড়ে নিলে বলো বলো আল্লাহ্,,,,(উপরের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার করে নিচে বসে বললো)..
রাহাতের এই চিৎকারে হাতপাতালের সবাই সেখানে জড়ো হয়ে গেছে,,,সেই ডাক্তার দুইজন রাহাত এর পাগলামো দেখে কান্না করতে লাগলো,,,,

রাহাত চোখ মুছে নূর এর কাছে গিয়ে নূর কে বুকে নিয়ে নূর এর সারা মুখে চুমু দিতে লাগলো,,,,
রাহাত: এই চুপ করো সবাই নূর ঘুমুচ্ছে ,,,তোমরা ভাহিরে যাও নাহলে ওর ঘুম ভেঙে যাবে,,,তাড়াতারি বাহিরে যাও সবাই,,,??(মুখে হাত দিয়ে গেট এর দিকে ইশারা করে বাহিরে যেতে বললো).
রাহাত এর এই রকম পাগলামো দেখে মাছুম খান দেরি না করেই ওয়াড বয় কে ডেকে অন্য রুমে নিয়ে যেতে বললো,,,ওয়াড বয় রা রাহাত কে দরে নিয়ে যেতে লাগলো,,,
রাহাত: ছাড়ো আমি যাবো না ,,আমি নূর এর কাছে থাকবো,,,ছাড়ো বলছি,,আমাকে নূর ডাকছে ,,আমাকে নূর এর কাছে যেতে দেও,,,(জোরে চিৎকার করে বলছে আর ছোটাছুটি করছে).

রাহাত কে অন্য কেবিনের বেড এ জোর করে শুয়িয়ে দিয়ে ঘুম এর Ejection দিয়ে দিলো,,,রাহাত আস্তে আস্তে ঘুমের দেশে পাড়ি দিল,,,নূর এর লাশ দাফন করা হয়ে গেছে,,রাহাত ঘুম থেকে ওঠে পাগলামো করে ছিল,,,তারপর সবাই রাহাত কে বুঝিয়ে বলে এখন মেয়েকে নিয়ে তোমার বেঁচে থাকতে হবে,,রাহাত ওর মেয়েকে বুকে নিয়ে কান্না করে দেয়।

আস্তে আস্তে রাহাত ওর মেয়েকে নিয়ে শুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো,, রাহাত এর মেয়ের নাম নিদি রেখেছে,,,নিদি কে নিয়েই এখন রাহাত বেঁচে আছে,,,এখনো রাহাত নূর এর কবরের কাছে গিয়ে কান্না করে,,,নূর এর মুখে সেই প্রিয় স্বামী ডাকটা খুব বেশিই মিছ করে,,,,এবাবেই বাবা ও তার মেয়ের জীবন কাটতে লাগলো,,,,,!

<>সমাপ্ত<>
Sorry Sad End

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com