নুরজাহান রাহাত এর বিয়ের গল্প । পর্ব - ০২
নুরজাহান: দুইবার ডাকার পর সে ওঠলো,তার চেহাতে রাগি ভাব ছিল,,সে ওঠেই আমার হাতের থেকে কফির মগটা নিয়ে আমার ডান হাত মগের ভিতরে ঢুকিয়ে দিল,,কফিটা অনেক গরম ছিল তাই আমি ব্যাহায় আহহ করে উঠলাম,,
তারপর ও সে আমার হাত মগের ভিতরে ধরে রেখেছে,,আমি শয্য করতে পারছি না ,আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো, এটা দেখে সে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বাতরুমে চলে গেল,,আর আমি সামনের জগের ভিতরে হাত দিয়ে বসে আছি,,আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছে,,,তারপর সে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বললো.....
রাহাত: এই তুই এখনো এখান থেকে যাস নাই কেন,,নেকার কান্না অন্য জায়গায় গিয়ে কান,আমার সামনে কান্না করবি না,,যা এখান থেকে??
নুরজাহান: ঠিক আছে প্রিয় স্বামী,,আমি চলে যাচ্ছি,কিন্তু আপনে কি নিচে গিয়ে খাবেন ,নাকি আমি আপনার খাবার উপরে নিয়ে আসবো,?(মৃদ স্বুরে).
রাহাত: এই তোকে আমি বলছি না,আমাকে প্রিয় স্বামী বলে ডাকবি না,,কেন ডাকিস ,,যা এখান থেকে ,আমি নিচে গিয়ে খাবো..(রাগী স্বুরে)..
নুরজাহান কিছু না বলেই নিচে চলে গেল,,নিচে গিয়ে দেখে সবাই খাবার খাচ্ছে,,,,
শাশুড়ি : বৌমা রাহাত ঘুম থেকে ওঠেছে??
নুরজাহান: জ্বী মা,ওনি রেডি হয়ে আসছে??
রিনা:ভাবি তুমি খেতে বসো আমাদের সাথে??
নুরজাহান: রিনা তুমি খেয়ে নেও,তোমার ভাইয়ার খাওয়ার পর আমি খাবো??
এই কথা শুনে নুরজাহানের শাশুড়ি,শশুড়,রিনা একটু অবাক হলো,,কিছুক্ষন পর রাহাত নিচে নেমে কারো সাথে কথা না বলেই চেয়ারে বসে খেতে শুরু করলো,,
শাশুড়ি: কিরে বৌমা তোর জন্য না খেয়ে বসে আছে, আর তুই এসেই খেতে বসে গেলি,,বৌমা কে না ডাক দিয়েই.??
রাহাত: (এই কথা শুনে আমার রাগ ওঠে গেল,তারপর ও নিজেকে সান্ত করে বললাম),,আমি তো তাকে না করে নি খেতে,,সে চাইলে আমার পাশে বসে খেতে পারে?(মৃদ হাসি দিয়ে)
রাহাত ভালো করেই জানে নুরজাহান ওর সাথে খেতে বসবে না,কারন ওর হাত গরম কফিতে পুড়ে গেছে,,,
নুরজাহান: আপনারা খেয়ে নেন আমি পরে খাবো??
রাহাত এটা শুনে মনে মনে ডেবিল হাসি দিলো,,রাহাত খাওয়া শেষে বাহিরে চলে যেতে নিলে ওর মা ওকে ডাক দিয়ে বলে..
শাশুড়ি: রাহাত কোথায় যাচ্ছো,,আজ থেকে তুমি অফিসে গিয়ে বসবে তোমার বাবার সাথে,,??
রাহাত: ওহ মম এখন না,আর কইদিন পর বসবো,,এখন আমি যায়, আমার একটা জরুরি কাজ আছে!!(এটা বলে রাহাত চলে গেল).
শশুড়: দেখেছো তোমার ছেলেটা একটা কথাও শুনে না??
নুরজাহান: বাবা থাক না,আপনারা খেনে নিন??
শাশুড়ি: বৌমা তুমি খেয়ে উপরে গিয়ে রেস্ট নেও..??
নুরজাহান: ঠিক আছে মা,??
রিনা ও শাশুড়ি উপরে চলে গেল,,আর নুরজাহান শশুড়ে অফিসে চলে গেছে। নুরজাহান খাবর নিয়ে বসে আছে কি ভাবে খাবে তা বুঝতে পারছে না,ওর হাতে অনেক জালা-পোড়া করছে,কোনরকম খেয়ে উপড়ে চলে গেল,,বিকালে নুরজাহান সেই পোঁড়া হাত নিয়ে রান্না করলো,,শাশুড়ি অনেক বার না করে ছিল কিন্তু নুরজাহান তা শোনে নি,,দুপুর হয়েগেছে রাহাত এখনো বাসায় আসে নি,নুরজাহান গোসন করে যোহরের নামাজ আদায় করে রিনার রুমে গেল,,,
নুরজাহান: আসতে পারি রিনা,(দরজায় টোকা দিয়ে).
রিনা: আরে এসো ভাবি,পার্মিশন নেওয়ার দরকার নেয়,??
নুরজাহান: বলছিলাম যে তোমার ভাইয়া কখন আসবে,,আর সে কোথায় গিয়েছে??
রিনা: কোথায় আর যাবে সেই ডে-নাইট ক্লাব সারা,,ভাইয়া দুপুরে বাসায় আসে না,,একবারে রাতে বাসয় আসে??
নুরজাহান: ওওও,সেখানে কি করে সে??
রিনা: কি আর করবে মদ খায় নেশা করে??
নুরজাহানের এটা শুনে একটু খারাপ লাগলো,,দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেছে এখনো রাহাত বাড়ি ফিরে নি...
শাশুড়ি: বৌমা তুমি খেয়ে নেও,রাহাতের আসতে অনেক রাত হবে??
নুরজাহান: সমস্যা নেই মা আপনারা খেয়ে নেন,,আমি না হয় তার সাথে খাবো ??
রিনা: ভাইয়ার জন্য বসে থেকে লাভ নেই ভাবি ,সে নাও খেতে পারে??
নুরজাহান কিছু বললো না,,সবাই খেয়ে দেয়ে যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো,,নুরজাহান নিচে টেবিলে বসে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে সেটা ও নিজেও যানে না,,হঠাৎ গাড়ির আওয়াজ শুনে নুরজাহান ঘুম ভেঙে গেল,ওঠে দেখে রাত ২টা বাজে,,কলিং বেল বাজছে দেখে নুরজাহান গিয়ে দজরা খুলে দিল,, নুরজাহান দরজা খুলে দেখে ,রাহাতের হাতে মদের বোতল নিয়ে ঢোলতে ঢোলতে কোনরকম দাড়িয়ে আছে,,নুরজাহান মদের গন্ধে একটু বিরক্তি অনুভব করলো,,রাহাত কোন কথা না বলেই মদের বোতল হাতে নিয়ে ঢোলতে ঢোলতে উপরে চলে গেল,,ওপরে গিয়ে বিছানায় ধপ করে শুয়ে পড়লো,, নুরজাহান উপরে গিয়ে দেখে রাহাত বিছানায় শুয়ে আছে ...
নুরজাহান: প্রিয় স্বামী খানা খেতে ওঠেন??
রাহাত: এই তুই যা এখান থেকে ,,আমি খাবো না,??(শুয়ে শুয়ে বললো).
নুরজাহান: প্রিয় স্বামী দয়া করে আল্প খানা খেয়ে....(ঠসসদ ঠাসসস )(বাকিটা আর বলতে পারলো না)..
রাহাত: বিছানায় শোয়ে ছিলাম,,ওর মুখে আবার সেই প্রিয় স্বামী ডাকটা শুনে আমার রাগ চরম পর্যায় ওঠে গেল,,তাই আমি ওর বাকি কথা বলতে না দিয়ে ওর গালে দুইটা চড় দিলাম।আর বললাম,,,,তোকে আমি বলেছি আমাকে প্রিয় স্বামী বলবি না,তারপর ও কেন বলিস??(রাগি কন্ঠে).
নুরজাহান: আপনে আমাকে স্বামীর অধিকার না দেন তাতে আমার কোন সমস্যা নেই,,কিন্তু আমাকে এই নাম ধরে ডাকতে না করবেন না দয়া করে ,,,প্রিয় স্বামী...! (অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে মৃদ স্বুরে বললো).
রাহাত: না তুই ডাকবি না,,আমি তোকে না করেছি তাই তুই এই নামে ডাকবি না,,আবার যদি ডাকিস তো তোর হাল বেহাল করে দেবো,,(রাগি গলায়)..
নুরজাহান: কিছু বললাম না আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি গড়িয়ে পড়ছে,,!!
রাহাত: যা এখান থেকে আমি ঘুমাবো ,আমাকে ডিসর্টাব করবি না,,(জোর গলায়)..
নুরজাহান: একটা কথা ছিল,দয়া করে রাগ করবেন না,,আপনে এই মদ খাওয়া ছেড়ে দেন,,আপমার মা-বাবা আপনার এই নেশা কার জিনিসটা পছন্দ করে না,,আর ইসলামের শরিয়তে এটা হারাম,,,,,,"আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না। পিতামাতার অবাধ্য ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। খোটা দানকারী জান্নাতে যাবে না’ (তারগীব হা/২৩৬৩)"
""আব্দুল্লাহ ইবনু আমর থেকে বর্ণিতঃ
‘যে ব্যক্তি মদ পান করবে আল্লাহ তার উপর ৪০ দিন সন্তুষ্ট হবেন না’ (আহমাদ হা/২৭৬৪৪; তারগীব হা/৩৪১০)..
তাই প্রিয় স্বামী আপনে এসব দ্রব্য পান করা ছেড়ে দিন,,এই সব দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর,,,(নিচে তাকিয়ে মৃদ স্বুরে এই কথা গুলা বল্লাম,চোখ তুলে তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম,তার চোখ রাগে লাল হয়ে গেছে ,,আমি এটা দেখে ভয়তে আমার হাত-পা কাপচ্ছে)..
রাহাত: ওর এই হাদিস শুনে আমার মাথাটা আরো গরম হয়ে গেল,,,আমি ওর গাল চেঁপে ধরে বললাম,,,,তোর সাহস দিন দিন বাড়ছে তাই না,অনেক তো হাদিস শুনিয়েছিস,,এই রাহাত খান এর সাথে কেউ উচু কন্ঠ তো দুর নিচু কন্ঠও কথা বলতে পারে না,,আর তুই থার্ড পার্সন মেয়ে হয়ে আমাকে হাদিস শুনাচ্ছিস,,তোর হাদিস শুনানো আজ বের করবো আমি,,(এই কথা বলে রাহাত নুরজাহানের বোরখা টান দিয়ে ছিড়ে ফেললো,,নুরজাহান ভয়তে কিছু বলতে পারছে না,,নুরজাহান শাড়ি পড়া ছিল,
রাহাত নুরজাহান কে দাক্কা দিয়ে সোফার উপর ফেলে দিলো,তারপর প্যান্টের বেল্ট খুলে হাতে মুট করে নিয়ে নুরজাহানের পিঠের উপর অঘাত করতে লাগলো,, নুরজাহান ব্যাথায় ছটফট করতে শুরু করলো তারপর ও মুখ দিয়ে একটাও শব্দ বের হলো না,,রাহাত জোরে জোরে অঘাত করতে লাগলো,,কিছুক্ষন অঘাত করার পর রাহাত অবাক হয়ে গেল,এতো মারার পর ও মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না দেখে,,
এইটা দেখে আরো জোরে জোরে মারতে শুরু করলো,,নুরজাহান আর শয্য করতে না পেরে এক সয়ম অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে পড়ে যায়,,রাহাত অঘাত করা থামিয়ে দিয়ে নুরজাহান কাছে গিয়ে দেখে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে,রাহাত এটা দেখে একটু ঘাবড়ে যায়,তাই সোজা রুম থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে ক্লাবে চলে যায়,,আর নুরজাহান সেখানেয় সেন্সলেস হয়ে পড়ে থাকে,,,
সকালে সবাই ঘুম থেকে ওঠে গিয়েছে,,নুরজাহান ঘুম থেকে ওঠেনি দেখে নুরজাহান এর শাশুড়ি রিনা কে ডাক দিয়ে নুরজাহান এর পাঠায়,,রিনা রুমে গিয়ে দেখে,,নুরজাহান মাঠিতে পড়ে আছে আর পিঠে কালো লম্বা দাঁগ হয়ে আছে,কয়েকটা ক্ষতস্তান থেকে রক্ত বের হয়ে শুকিয়ে গেছে,,রিনা এটা দেখে ওর মা কে ডাক দিয়ে নিয়ে আসে,,ওদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে এটা রাহাত এই করেছে,,
তারপর নুরজাহান কে দরে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে মহিলা ডাক্তার কে খবর দেয়,,ডাক্টার এসে স্যালাইন লাগিয়ে দিয়ে যায় আর কিছু মলম ও মেডিসিন এর নাম লিখে দিয়ে যায়,,নুরজাহান এর শাশুড়ি ওর পাশে বসে কান্না করতে থাকে তার ভুলের জন্য,,তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে কাজটা ঠিক করেনি,,রিনা ও রিনার বাবা রাহাত কে অনেক বার কল দেয় কিন্তু রাহাতের ফোন বন্ধ পায়,,,,
এদিকে রাহাত ক্লাব এ এসে একটা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে,,১২টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে...
রাহাত: ওহ মাথাটা খুব ব্যাথা করছে,,কালকে কি হয়েছে যেনো মনে পড়ছে না,,ওহ হ্যা মনে পড়েছে,এটা আমি কি করলাম,রাগের মাতায় আমি ওর গায়ে হাত তুল্লাম,,অই মেয়েটা মনে হয় সব কিছু মম ড্যাড কে বলে দিয়েছে,,ড্যাড-মম এবার আমাকে বাড়ি থেকে বের করেই দিবে,,
শিট কেন যে মেয়েটার গায়ে হাত তুলতে গেলাম,,যায় বাসাই গিয়ে দেখি মেয়েটার কি অবস্থা,,(রাহাত বেড থেকে ওঠে সোজা বাড়ির দিকে রওনা দেয়,,বাসার ভিতরে গাড়ি থামিয়ে ভিতরে যায়,ভিতরে গিয়ে দেখে মাছুম খান(রাহাতের বাবা) মাটায় হাত দিয়ে বসে আছে,,রাহাত কে দেখে বলতে লাগলো)..
মাছুম খান: দাঁড়াও,,তোমার এতো বড় সাহস তুমি আমার বৌমার গায়ে হাত তুলেছো,?
রুনা বেগম (রাহাতের মা) এসে জোরে দুইটা থাপ্পার দিল,আর বলতে লাগলো..
রুনা বেগম: তুই কি জানিস তুই একটা জানয়ারের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছিস,,কি দোশ করেছিলো মেয়েটা যে তুই এতো মারলি নুরজাহান কে,,
আরে তোর কপার ভালো তাই নুরজাহানের মতো একটা বউ পেয়েছিস,,না না দোশ তোর না দোশ তো আমার আমিই ভুল করে একটা বখাটে ছেলের সাথে একটা পর্দাশীল মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি,,আমি ভেবেছিলাম বিয়ের পর তুই ভালো হয়ে যাবে কিন্তু আমি ভুল ছিলাম,বখাটে ছেলেরা কখনো ভালো হয় না,,আরেকটা ভুল করেছি কি জানিস তোকে জন্ম দিয়ে,এটাই আমার বড় ভুল ছিল,,(এই কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লো).
মাছুম খান:আর একবার যদি এইরকম ভুল করিস তাহলে আমি তোকে ত্যাজ্য পুএ করবো,কথাটা মনে রাখিস??
রাহাত কিছু বলছে না মাথা নিচু করে সব শুনছে,,মাছুম খানের কথাটায় রাগ হলো রাহাতের,,রাগে গজগজ করতে করতে ওপরে চলে গেল,,উপরে গিয়ে দেখে নুরজাহান অজ্ঞান হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে,ওর হায়ে স্যালাইন লাগানো,,ওর সারা শরীরে কালো দাঁগ,,রাহাত নুরজাহান চেহার দিকে তাকিয়ে আছে ওর একটু খারাপ লাগলো। পরে আবার রাগ ওঠে গেল,,
রাহাত: তোর জন্য মম-ড্যাড আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে,এর শোদ আমি নেবই,,,কিন্তু ওর চেহায় একটা অদ্ভুত মায়া আছে,,ছিহ এগুলা আমি কি বলছি,,ওর জন্য আমার বকা-ঝকা শুনতে হলো,,একবার ভালো হয়ে নেও তোমার খবর আমি নিয়েই ছাড়বো,,(এটা বলে অন্য রুমে চলে গেল).
রাতে নুরজাহান এর জ্ঞান ফিরে,,পিটপিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ও বিছানাতে ঘুমিয়ে আছে,ওঠার চেস্টা করে কিন্তু শরীরে কোন শক্তি পাচ্ছে না তাই আবার শুয়ে পড়ে...
রিনা: ভাবি তুমি শুয়ে থাকো,তোমার রেস্টের দরকার??
নুরজাহান: রিনা তোমার ভাইয়া কোথায়,ওনি কি খাওয়া-দাওয়া করেছে??(মৃস স্বুরে).
রিনা: ভাবি যে তোমাকে এতো মারলো আর তুমি তার কথা জিজ্ঞেস করছো,হাইরে ভালোবাসা??
নুরজাহান: না মানে ওনি তো রাতের খানা খাননি তাই,,আচ্ছা রিনা আমাকে দরে বাতরুমে নিয়ে যাও, আমি ওজু করবো ,আজকে নামাজ পড়তে পারি নি,৪ ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়েছে সেটা পড়া দরকার??
রিনা: ভাবি তোমার শরীর অনেক দুর্বল তুমি এখন রেস্ট নেও,পরে না হয় সব এক সাথে কাজা পড়ে নিবে,,?
রুনা বেগম: বৌমা তোমার এখন কেমন লাগছে??(হাতে সুপের বাটি নিয়ে রুমে ঢুকে বললো).
নুরজাহান: ভালো মা??
রুনা বেগম: রিনা এল সুপটা বৌমা কে খাওয়ে দে,আমি যায় ,নিচে অনেক কাজ আছে?(এটা বলে চলে গেলেন).
রিনা নুরজাহান সুপ খাওয়ে দিচ্ছে ,কিছুক্ষন খাওয়াবার পর রাহাত রুমে ঢুলে বললো..
রাহাত: রিনা সুপের বাটিটা আমাকে ,আর তুই যা এখান থেকে??(গম্ভীর গলায়).
রিনা: কেন??
রাহাত: যেটা বলেছি সেটা কর যাহ এখান থেকে??
রিনা সুপের বাটি রেখে চলে গেল,রাহাত গেটটা লাগিয়ে দিল,,এটা দেখে নুরজাহান একটু ভয় পেয়ে গেল,,
রাহাত: এই শোন তোকে আমি জাস্ট শয্য করতে পারতেছি না,আমি তোকে ডিবর্স দিতে চাই,,তুই আমার মম- ড্যাড কে বলবি যে তুই আমার সাথে থাকতে পারবি না, তুই ডিবর্স চাচ্ছিস,তার জন্য আমি তোকে অনেক টাকা দিবো,,আমার কথা বুঝতে পেরেছিস??(রাগি গলায়).
নুরজাহান: প্রি,,,প্রি,,,প্রিয় স্বামী আপনে আমাকে আরো মারুন তবুও ডিবর্সের কথাটা বলবেন না,আমি আপনাকে কখনই ডিবর্স দিতে পারবো না,আপনে চাইলে আরেকটা বিয়ে করতে পারেন,আমি আপনাকে না করবো না,কারন ইসলামিক শরীয়তে দ্বিতীয় বিয়ে জায়েজ আছে,,আমি আপনার স্ত্রী না হতে পারলেও আপনার দাশি হয়ে থাকতে চাই, দয়া করে ডিবর্সের কথাটা আর বলবেন না??(কাঁপা কাঁপা স্বুরে বললো).
নুরজাহান এর কথা শুনে রাহাত এর রাগ ওঠে গেল,তাই রাগে ফোস ফোস করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল,,নুরজাহান চোখ দিয়ে দু ফটা পানি গড়িয়ে পড়লো..
এবাবেই ১০- ১২ দিক কেটে গেল,নুরজাহান এখন সুস্থ হয়েছে,,রাহাত প্রতিটা কথায় কথায় নুরজাহান এর গায়ে হাত তুলে কিন্তু নুরজাহান চুপ করে থাকে কাউ কে কিছুই বলে না,,
নুরজাহান ওর চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাহাত কে ভালো পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য,নুরজাহান রাহাত কে প্রিয় স্বামী বলেই ডাকে এতে রাহাতের রাগ হয় কিন্তু মুখে কিছু বলে না,,রাহাত সবার সামনে নুরজাহান এর সাথে ভালো ব্যবহার করে,কারন রাহাতের একটাই ভয় মাছুম খান যদি রাহাত কে ত্যাজ্য পুএ করে দেয় তাহলে রাহাতের পথে বসতে হবে, তার জন্য রাহাত এই প্লান করে,,রাহাত ঠিক যানে তাদের মন জয় করে চল্লয়ে সব কিছু রাহাতের নামেই লিখে দিবে,,,
রাহাত খাটে শুয়ে ফোন চালাচ্ছে,নুরজাহান রুমে ঢুকে বললো....
নুরজাহান: প্রিয় স্বামী বলছিলাম যে আমি তো অনেক দিন ধরে কোথাও খুরতে যায় নি,তাই আপনে কি আমাকে নিয়ে কোথাও খুরতে জাবেন,,??(নরম স্বুরে).
রাহাত: আমি যেতে পারবো না,যা এখান থেকে??
নুরজাহান এটা শুনে মন খারাপ করে চলে যেতে লাগলো রাহাত ডাক দিয়ে বললো...
রাহাত: এই মেয়ে ওহো,,,এই তোর নামটা কি যেনো বল তো,এই মেয়ে এই মেয়ে বলে ডাকতে ইচ্ছা করে না,??
নুরজাহান: নুরজাহান নূর,,?
রাহাত: এতো বড় নাম দরে ডাকতে পারবো না আমি ?
নুরজাহান: প্রিয় স্বামী আপনে আমাকে নূর বলেই ডাকতে পারেন??
রাহাত: হুমম সেটাই ভালো,,আচ্ছা শোন যা গিয়ে রেডি হয়ে নে,তোকে নিয়ে বের হবো বাহিরে??
নুরজাহান: ঠিক আছে প্রিয় স্বামী,,(নুরজাহান একটু খুশি হলো).
রাহাত গাড়িতে বসে আছে,কিন্তু নুরজাহান এখনো আসছে না...
রাহাত: নূর,,,,এই নূর,,,,কোথায় তুমি এতোক্ষন লাগে নাকি??(রাগি গলায়).
নুরজাহান গাড়ির কাছে এসে দাড়িয়ে বললো...
নুরজাহান: প্রিয় স্বামী আমি এসে পড়েছি,,??
রাহাত নুরজাহান এর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছে,,কালো বোরখা,হাত- পায়ে কালো মুজা,চোখ দুইটাও ডাকা,রাহাত এর কাছে মনে হচ্ছে কোন হুরপরী দাড়িয়ে আছে,,,
নুরজাহান: ওমন করে কি দেখছেন প্রিয় স্বামী??
রাহাত: না কি না ,আসো গাড়িতে এসে বসো?(হচকিয়ে বললো).
নুরজাহান: রাহাতের পাশে এসে বসলো??
রাহাত গাড়ি স্টার্ট দিলো, রাহাত একটা পার্কের সামনে গাড়ি থামালো,,রাহাত ও নুরজাহান গাড়ি থেকে নামলো এবং ওরা পর্কের ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করলো,,রাহাত আশে- পাশে একটু খেয়াল করে দেখলো সব ছেলেদের সাথে মেয়ে আছে তো ওরা নুরজাহান এর দিকে কেন তাকাচ্ছে,রাহাত নুরজাহান কে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসলো,কিছুক্ষন বসার পর রাহাতের কিছু ফ্রেন্ড এর সাথে পর্কে দেখা হলো,রাহাত একটু দয়রে গুয়ে ওদের সাথে কথা বলছে...
রিফাত: কিরে শালা বউ নিয়ে পার্কে খুরতে এসেছিস,আবার বলিস বউকে মেনে নিস নাই,??
রকি: শালায় মিথ্যা কথা বলে আমাদের সাথে,?
রাহাত: সত্যি আমি এখনো ওকে মেনে নেয় নি,ও পর্কে আসার জন্য জোর করসিলো তাই নিয়ে এসেছি,,আর তোরা তো জানিস আমার প্লানটা কি?
রিফাত: ওওও,,যাই হোক ভাবির সাথে কি পরিচয় করিয়ে দিবি না??
রাহাত: আয় চল দেই পরিচয় করিয়ে,,নুরজাহান এরা হচ্ছে আমার ফ্রেন্ড রিফাত ও রকি?(নুরজাহান এর কাছে গিয়ে ওদের কে দেখিয়ে বললো)
রিফাত: হাই ভাবি,how are you?(নুরজাহান এর দিকে হাত বাড়িয়ে).,
নুরজাহান:আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া ভালো আছেন আপনারা??(মৃদ স্বুরে).
রিফাত একটু আপমান বোধ করলো,রাহাতের ও এটা দেখে রাগ হলো,,,
রকি: ভালো আছি ভাবি,,আপনে কেমন আছেন??
নুরজাহান: আলহামদুলিলাহ ভালো?
কিছুক্ষন কথা বলে ওরা চলে গেল,রাহাত নুরজাহান একটা রেস্টুরেন্ট গেল,খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে এলো,বাসায় এসে রাহাত রুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে দিয়ে নুরজাহান এর কাছে এসে বললো....
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com