বখাটে ছেলের পর্দাশীল বউ । পর্ব - ০৬
এবাবেই দুই তিন দিন কেটে গেল হঠাৎ করে একদিন রাহাতের কাছে খবর এলো,,,,
রকি: রাহাত ভাই ইমান হোসেন তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাচ্ছে আজ??(উওেজিতো কন্ঠে বললো ).
রাহাত: কিহ্,,,,,,,,,চল আমার সাথে তোরা?(রাগি কন্ঠে বলে বেরিয়ে গেল দোকান থেকে).
রাহাত এর দল বল নিয়ে নূরদের বাসার সামনে এসে দাড়ালো।রাহাত গেট এর সামনে এসে দেখলো নূর দের জিনিস পএ সব ট্রাক এর উপর ওঠাচ্ছে।
রাহাত এটা দেখে রাগে গজগজ করতে করতে সিড়ি দিয়ে উপরে চলে গেল এবং নূরদের ফ্লাটে সোজা হনহন করে ঢুকে গেল।
ইমান হোসেন: কি ব্যাপার তোমরা এখানে কেনো,আর এটা ভদ্র লোকদের বাসা তাই হুট-হাট করে বাসায় আসাটা কোনো ভদ্রতার ভিতরে পড়ে না ??(রাগি কন্ঠে ভ্রু কুঁচকে বললো).
রাহাত নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বললো,,,,
রাহাত: আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। এতে আপনার কোন আপত্তি নেয় সেটা আমি যানি।আমি যানি নূর কে কেউ বিয়ে করতে চাইবে না,নূর এর এই অপবাদে।তবে আমার কোন সনস্যা নেই,আমি নূরকে খুশি খুশি বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চায়।
এই সমাজের লোকদের মুখ বন্ধ করতে চাই,যারা নূর কে খারাপ চোখে দেখছে আর কটু কথা বলছে।আমি,,,,(বাকি কথা ইমান হোসেন বলতে দিল না)
.ইমান হোসেন: তোমার কথা শেষ হয়েছে ।তাহলে আমি বলি।আমার মেয়ে যদি আরো ৫বার ধর্ষন হয় বা ধর্ষনের অপবাদ ওকে দেওয়া হয় তাহলেও আমি তোমার সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো না।এটা আমার শেষ কথা।এবার তোমরা আসতে পারো।(রাগি কন্ঠে বললো).
রাহাত এই কথা শুনে রাগে হাত মুট করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করছে।
রাহাত: আর আমার শেষ কথা শুনে রাখুন। নূর কে ৫বার না ১০বার ও যদি ধর্ষিতা মেয়ে হয় তাহলেও আমিই নূর কে বিয়ে করবো।আমি সারা অন্য কারো হতে দেবো না নূরকে,যতোদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন।কথাটা মনে রাখবেন। এই চল তোরা,,,(রাগি গলায় কথা গুলো বলে বেরিয়ে যেতে নিলে পিছন থেকে কারো ডাকে রাহাত থেমে যায়).
নূর: দাড়ান??(মৃদ স্বুরে).
রাহাত পিছে তাকিয়ে দেখে নূর দাড়িয়ে আছে।নূর এর পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো বোরখায় ডাকা ছিল,,,,,
রাহাত ভ্রু কুঁচকে নূর এর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
ইমান হোসেন: মা তুমি এখানে কেন। ভিতরে যাও তুমি?(মৃদ স্বুরে).
নূর: আব্বু আমি তার সাথে কিছু কথা বলতে চাই,,,(মৃদ স্বুরে).
রাহাত নূর এর কথায় অবাক হয়ে যায়,,,,
ইমান হোসেন: কিন্তু মা,,,(নূর থামিয়ে দেয়).
নূর: আব্বু দয়া করে আমাকে কিছু কথা বলতে দেও,,(করুন স্বুরে বললো কথাটা).
ইমান হোসেন: হুমমম,,!
নূর: আপনে আমাকে কি দেখে পছন্দ করেছেন তা আমি জানি না। তবে আমি আপনার বিষয়ে এইটুকু ভালো বুঝতে পেরেছি আপনি একটা বখাটে ছেলে ।বখাটে মানে টা তো আপনি বুঝতে পেরেছেন। তাই এই রকম একটা বখাটে ছেলের সাথে কোনো বাবাই তার মেয়েকে বিয়ে দিতে চাইবে না। আপনি যদি আমার বাবার জায়গায় থাকতেন তাহলে আপনিও চাইতেন না আপনার মেয়েকে বিয়ে দিতে।এবার হয় তো আমার বাবার বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।দেখুন আমি আপনাকে খারাপ বলছি সেটা না।
একজন বাবা তার মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে চায়,তবে সেই মেয়েটা যদি ধার্মিক হয় তাহলে সব বাবা-মা রাই চাই মেয়েটাকে ধার্মিক কোনো ছেলের সাথে বিয়ে দিতে।আপনি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন কি না তা আমি জানি না। তবে আমি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। কিন্তু আমার একটা কথা আপনাকে রাখতে হবে।(মৃদ স্বুরে).
ইমান হোসেন: মা তুই কি বলছিস তা কি বুঝতে পারছিস তুই।(উওেজিতো কন্ঠে বললো).
রাহাত: হ্যাঁ আমি তোমার কথা রাখতে রাজি আছি, তুমি বলো কি বলতে চাও,(গম্ভীর কন্ঠে বললো).
নূর: আপনি যদি আমকে বিয়ে করেন তাহলে আপনার বখাটে পথ থেকে ভালো পথে ফিরে আসতে হবে।আর ধার্মিক হতে হবে আপনাকে।আপনি কি আমার কথায় রাজি আছেন??(মৃদ কন্ঠে).
রকি,রিমন,জিয়ান,রিফাত ওরা সবাই স্তব্ধ হতে গেছে নূর এর কথা শুনে।রুম এর মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে।রাহাত নিরবতা ভেঙে বললো,,,,,
রাহাত: আমি তোমার কথায় রাজি আছি।আজ এখন এই মুহুর্তে কথা দিলাম তোমাকে।সব কিছু ছেড়ে দিবো আমি।বখাটে পথ থেকে ভালো পথে ফিরে আসবো আমি।আল্লাহর রাস্তায় চলবো আমি। যদি তুমি আমার জীবনে আসো নূর।(করুন স্বুরে বললো).
নূর: ঠিক আছে।আব্বু তুমি বিয়ের ব্যবস্থা করো।আমি তাকেই বিয়ে করতে চাই।(এটা বলে নূর রুমের ভিতরে চলে গেল).
রাহাত এই কথাটা শুনে মনে মনে অনেক খুশি হলো।রাহার এর চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো।সবার আড়ালে চোখের পানি মুছে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেল।ইমান হোসেন তার মেয়ের উপরে আর কোন কথা বললো না,তিনি বুঝতে পেরেছেন নূর যা করেছে ভালোর জন্যই করেছে। এলাকার সবাই জেনে গেছে রাহাত এর সাথে নূর এর বিয়ে হবে। পরের দিন ছোট-খাটো ভাবে রাহাত এর সাথে নূর এর বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের কাজ শেষ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
নূর কে বিদায় দেওয়ার সময় নূরের মা -বাবা ভাই অনেক কেঁদেছে।নূর বুকের ভিতর পাথর চাপা দিয়ে এতো বড় সিদ্ধান্ত মুখ বুঝে সহ্য করে নিল।নূর আদৌও জানে না কি করেছে বা কি করতে যাচ্ছে। নূর সবাই কে বিদায় দিল,রাহাত নূর কে ওর বাসায় নিয়ে এলো। রাহাত নূর কে বাসার ভিতরে নিয়ে গেল এবং রাহাতের বেড রুমে দিয়ে বাহিরে চলে গেল।নূর রুমের ভিতরে ঢুকে দেখে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বিছানা ও ঘরের চারদিক ।নূর বিছানায় ধপ করে বসে পড়লো,,,,,,।
নূর : হে আল্লাহ্ আমি জানি না আমার এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল।তবে আমি যেনো তাকে ভালো পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারি।তুমি আমাকে সেই তৌফিল দান কর আল্লাহ্। (মনে মনে).
এসব ভাবতে ছিল ঠিক তখনেই রাহাত রুমে ঢুকে দেখে নূর কি যেনো ভাবছে,,,,,
রাহাত: নূর,,,!(মৃদ স্বুরে ডাক দিল).
নূর রাহাতের কথায় ধ্যান ভাঙলো,,নূর রাহাতের কথায় কোন উওর না দিয়ে দাড়িয়ে হেটে রাহাত কে সালাম করে চালে যেতে নিলে পিছ থেকে রাহাত ডাকদিল,,,,
রাহাত: নূর তুমি কি আমাকে তোমার চেহারা দেখাবে না।এখন তো তুমি আমার শরিয়ত মোতাবেক বউ ।(মৃদ স্বুরে বললো).
নূর রাহাতের কথায় সামনের দিকে গুরে আস্তে করে মুখের নেকাবটা ওঠিয়ে ফেলে।রাহাত নূর এর নূরানী চেহারা দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে,কিছুক্ষন পর চোখ মেলে তাকিয়ে বললো,,,,,,
রাহাত: মাশআল্লাহ,,,আমি খুব ভাগ্যবান তোমার মতো একজন পর্দাশীল মেয়েকে বউ হিসাবে পেয়েছি তাই।(মুচকি হাসি দিয়ে বললো).
নূর রাহাতের কথায় কোনো উওর দিল না চুপ করে নাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে,,,,,
রাহাত আরো কিছুক্ষন নূরের দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে আস্তে নূরের দিকে আগাতে থাকে।নূর রাহাতের হাব-ভাব বুঝতে পেরে রাহাত কে বলে,,,,,,?
নূর: আমার কাছে আসবেন না দয়া করে।(মৃদ স্বুরে বললো).
রাহাত নূরের কথায় থেমে যায় এবং ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,,,,,
রাহাত: কেন??
নূর: আমার কিডন্যাপ এর পিছনে আপনারি হাত ছিল তাই না??(রাগি রাগি গলায় বললো).
রাহাত নূর এর কথায় ঘাবড়ে যায়।
রাহাত: তুমি কি করে,,,,(নূর রাহাত কে থামিয়ে দেয়).
নূর: দেখুন আমি কিন্তু মিথ্যা কথা পছন্দ করি না,আর মিথ্যা কথা বলয়ে পাপ হয়,তাই আমি যা বলছি তার সঠিক উওর দিন দয়া করে,,(একটু রাগি গলায় বললো).
রাহাত নূরের কথায় থমথম খেয়ে যায়।কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,,,,
রাহাত: হ্যাঁ আমি তোমাকে কিডন্যাপ করিয়ে ছিলাম,,(মাথা নিচু করে বললো).
নূর: কারন??(মৃদ কন্ঠে).
রাহাত কিছু বলছে না চুপ করে আছে,,,,
নূর: কারনটা কি জানতে পারি?
রাহাত: আমি জানি তোমার বাবা আমার সাথে তোমার কখনই বিয়ে দিবে না,তাই আমি,,,,,(নূর থামিয়ে দিল).
নূর: তাই আপনে আমাকে ধর্ষিতা প্রমান করে আমার বাবার কাছে আবারো বিয়ের প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন।আর আপনে এটা ভেবেছিলেন এবার আমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমার বাবা বিয়েতে রাজি হয়ে যাবে তাই না,,(এক নিশ্বাসে বললো কথাগুলো).
রাহাত: হ্যাঁ!
নূর: আপনি কি জানেন আপনার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবার কে কতোটা বাজে বাজে কথা শুনতে হয়েছে,, আপনি কি জানেন আপনার এই জঘন্য কাজটার জন্য আমাকে একজন ধর্ষিতা মেয়ে,,,,, (বাকি কথা বলার আগেই রাহাত নূরকে থামিয়ে দেয়).
রাহাত: নূর চুপ করো।তুমি কোনো ধর্ষিতা মেয়ে না। হ্যাঁ আমি তোমাকে কিডন্যাপ করেছি ঠিকই কিন্তু তোমার গায়ে একটা ফুলের টোকাও লাগতে দেয় নি। আমি চাইলেই তোমার গায়ে হাত দিতে পারতাম কিন্তু আমি দেয় নি। যাকে এতোটা ভালোবাসি তাকে আমি কিভাবে।
নূর তুমি বিশ্বাস করো আমি তোমাকে স্পর্শও করিনি,,(করুন কন্ঠে বললো).
নূর: আমি জানি আপনে আমাকে কিছুই করেন নি। আপনার ও ঐখানে একটা মেয়ের কথা আমি শুনতে পেরেছিলাম।সেই মেয়েটি আপনার নাম ধরে ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকছিল।তাই আমি বুঝেগিয়ে ছিলাম ঐ লোকটা আর কেউ নয় আপনিই ছিলেন।আপনারা যখন আমাকে এনজেকশন দিবেন তার আগেই আমার জ্ঞান ফিরেছিল।
আমি চুপ করে আপনাদের সব কথা শুনে ফেলি।আপনি ঐ মেয়েটাকে বলেছিলেন। আমার গায়ের জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলতে,বোরখার কিছু অংশ ছিড়ে ফেলতে যাতে সবাই মনে করে আমি ধর্ষিত হয়েছি।আর তারপর আপনি আমাকে রাতের অন্ধকারে আমার বাসার সামনে রেখে এসেছিলেন,কি তাই না,,(মৃদ স্বুরে).
রাহাত: হ্যাঁ নূর।আমি আমার কুকর্মের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।প্লিজ নূর তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেও,,(হাত জোর করে মাথা নিচু করে বললো).
নূর: দেখুন ভালোবাসা কোন খারাপ কাজ নয়।তবে এইভাবে কাউকে ভালোবাসা বা বিয়ে করাটা ঠিক না।আপনাকে আমি সেদিনই মাফ করে দিয়েছে। কারন আমি জানতান আপনি যেটা করেছেন সেটা আমাকে পাওয়ার জন্যই করেছেন কিন্তু আপনার রাস্তাটা ভালো ছিল না।
যাই হোক আপনাকে আমি স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবো না,যতোদিন না আপনে ভালো পথে ফিরে আসছেন ততদিন পর্যন্ত। তার জন্য আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন।(হাত জোর করে বললো).
রাহাত: এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেয় নূর। আমি তোমার কথায় একমত।আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, তোমাকে দেখেও আমি সারা জীবন কাঁটিয়ে দিতে পারবো কিন্তু তোমাকে সাড়া আমি বাঁচতে পারবো না,cause বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে। আমি যেদিন ভালো হবো একজন ধার্মিক ছেলে হবো সেদিন তোমার কাছে স্বামীর অধিকার চাইবো তার আগে নয়।
আচ্ছা এখন তুমি এই খাবারটা খেয়ে নেও।আর বোরখা পাল্টে ফ্রেশ হয়ে আসো। সমস্যা নেই আমার বাসায় কোন ছেলেরা আসবে না।তুমি তোমার মন মতন চলাভেরা করতে পারো,এটা তোমার নিজের বাসা মনে করবে।(একটা খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে কথা গুলো বললো).
নূর: হুমম,,আপনি খাবেন না,(মাথা নিচু করেই জিজ্ঞেস করলো).
রাহাত: না আমি রাতে খাবার খায় না।তুমি খেয়ে নেও,,(গম্ভীর স্বুরে বললো).
নূর: এখন থেকে খাওয়ার অভ্যাস করোন। আমি একা খাবো না আমার সাথে আপনিও খাবেন সব সময়।( এটা বলে নূর বাতরুমে চলে গেল একটা শাড়ি নিয়ে).
রাহাত নূরের কথায় মুচকি হাসলো,,,,,,
নূর ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে রাহাত ছোফাতেই ঘুমিয়ে গেছে,,নূর একবার ডাক দেওয়ার কথা ভেবেও আর ডাক দিল না। নূর এশারের নামাজ আদায় করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,।
সকালে রৌদ্দের আলো চোখে পড়তেই নূরের ঘুম ভেঙে যায়। নূর আজ বুঝতে পেরেছে কাল রাতের ঘুরটা একটু বেশেই হয়েছে ।নূর ওঠে বসে চারদিক ভালো করে দেখে নিল,ঘরটা সুন্দর করে গুছানো হয়েছে ।কিন্তু রাহাত কে কোথাও দেখতে পেলো না,নূর ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গিয়ে রাহাত কে খুজতে শুরু করে ।
এক পর্যায় নূর রান্না ঘরথেকে কিছুর আওয়াজ শুনতে পায়।হেঁটে হেঁটে রান্না ঘরের কাছে এসে দেখে রাহাত রান্না করছে।নূর রাহাত এর রান্নাকরা দৃশ্য দেখে হাসবে না কাঁদবে কিছুই বুঝতে পারছে না। রাহাত পরাপর চারটা ডিম বাজতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে,কিন্তু কোন ভাবেই ডিম আর বাজতে পারছে না বেচারা।নূর এক পর্যায় হাসি আর চেপে রাখতে না পেরে মুখ হাত দিয়ে হেসে দিল।নূর এর হাসির শব্দে রাহাত পিছে তাকিয়ে দেখে নূর দাড়িয়ে মুখ চেপে হাসছে।রাহাত নূর এর হাসি মাখা চেহারার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর রাহাত নূরের উদ্দেশ্য করে বললো,,,,,,,?
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com