Breaking News

বখাটে ছেলের পর্দাশীল বউ । পর্ব - ০৩



ওরা তিন জন বাসায় যাবার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো। সেই দোকানের সামনে আসতেই ওরা তিন জন দেখলো,,,,,,?

ওরা তিন জন দেখতে পেলো রাহাত সেই দোকানের সামনে একটা বেঞ্চে বসে ছিল। রাহিমা,লিজা খেয়াল করে দেখলো রাহাত নূর এর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।এটা দেখে ওরা দুই জন একটু অবাক হল।নূর আর চোখে দোকানের এর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো,একটা ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।নূর তেমন পাওা না দিয়ে মাথা নিচু করে সোজা হেটে যেতে লাগলো।ওরা তিন জন নূর দের বাসার গেট এর সামনে আসার পর নূর কে বললো,,,,
রাহিমা: নূর তুই কি কিছু দেখেছিস। ঐ ছেলেটি তোর দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে ছিল।
লিজা: হ্যাঁ তুই কি এটা খেয়াল করে দেখেছিস নূর??
নূর: হ্যাঁ আমি দেখেছি,কিন্তু কেন সেটা আমি জানি না। আর জানতেও চাই না। এবার যে যার বাসায় যাও,?
রাহিমা: আচ্ছা?
ওরা যে জার বাসায় চলে গেল,,,
কিছুক্ষন আগে,,,
রকি যখন রাহাত কে নিয়ে দোকানের সামনে এসে বাইক থামালো। রাহাত ওদের কিছু না বলেই দোকানের ভিতরে চলে। রাহাত এর এই ব্যবহার দেখে ওরা একটু না বেশিই অবাক হল। ওরা রাহাত এর সামনে গিয়ে দাড়ালো,,,
রাহাত: কি তোরা কিছু বলবি??(ওদের দিকে তাকিয়ে বললো).
রকি: জ্বী ভাই,,কিছু বলতাম আপনাকে??(মৃদ স্বুরে).
রাহাত: বল কি বলবি??

রকি: না মানে আপনে কি ঐ মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছেন ভাই??(মাথা নিচু করে মৃদ স্বুরে বললো)
রাহাত : তোর এই প্রশ্নের উওর আমার কাছে নেই। তবে ঐ মেয়েকে আমার খুব ভালো লেগেছে। কি নাম যেনো,,,ও হ্যাঁ নূর। আজকের পর থেকে ওর দিকে যদি কেউ কুনজরে তাকায় তাহলে আমি তার চোখ উঠিয়ে নিবো। ওর আশে-পাশে যেনো কেউ না যায়।কথাটা সবাই কে বলে দে,(এটা বলে সিগারেট টানতে লাগলো).
রাহাত এর এই কথায় ওরা এই টুকু বুঝে গিয়েছে যে রাহাত নূর নামের মেয়েটি কে পছন্দ করে।
রাহাত: জানি না কেন,,নূর তোমার জন্য আমার মনে এক অনুভূতি কাজ করছে।এটাকে কি বলে সেটা আমি নিজেও জানি না।আমি চাচ্ছি না আমার এই অন্ধকার রাস্তায় তোমাকে জড়াতে।কিন্তু তোমাকে আমি ভালোবেসে,,,,,,,ওহ এখন তো নূর এর ছুটি হয়েছে,, নূর তো,,,(মনে মনে বলে দোকানের বাহিরে বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়লো).

কিছুক্ষন পর নূর ওর বান্ধবিদের সাথে এই রাস্তা দিয়ে আসছিল।আমি নূর কে দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। একটা মেয়েকে কালো বোরখায় এতোটা সুন্দর লাগে সেটা আমি কখনই জানতাম না।নূর আমার দিকে একবার ও তাকালো না,তাতে আামার কোন সমস্যা নেয়।নূর সোজা হেটে চলে গেল।
রকি: ভাই কিছু বলতাম?(রাহাতের সামনে এসে বললো).
রাহাত: বল?
রকি: যে আপনার নামে পুলিশে compile দিছে তাকে কিছু বলবেন না?
রাহাত: তোরা গিয়ে তাকে থ্রেট দিয়ে আয়,,আর আমার নাম বলে দিবি। তারপর ও যদি কাজ না হয় তাহলে তো আমি আছিই,,যা তোরা ।

রকি: আচ্ছা ঠিক আছে ভাই ।
ওরা দোকান থেকে বের হয়ে চলে গেল সেই লোকটার কাছে।
নূর যোহরের নামাজ আদায় করে হাদিস নিয়ে পড়তে শুরু করলো। নূর এর মা নূর কে দুপুরের খাবার এর জন্য ডাক দিয়ে গেল। নূর দেরি না করে খাবার টেবিলে গিয়ে খেতে বসেছে।নূর খেয়াল করে দেখলো নূর এর বাবা ইমান হোসেন কি নিয়ে যেনো চিন্তিত আছে।নূর ওর বাবা কে জিজ্ঞেস করলো।
নূর : আব্বু তুমি কি কিছু নিয়ে চিন্তিত আছো??(মৃদ কন্ঠে বললো).
ইমান হোসেন: হ্যাঁ রে মা। এলাকার কিছু বখাটে ছেলের নামে পুলিশ এর কাছে কেস করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে থ্রেট দিয়ে গেছে কেস যদি না ওঠিয়ে নেয় তাহলে আমার পরিবারের ক্ষতি করবে বলেছে।এটা নিয়ে চিন্তিত আছি মা।
নূর: আব্বু তুমি কেস ওঠিয়ে নেয়।জামেলায় জড়াবার দরকাম নেয়। এই দুমিয়াই যারা খারাপ কাজ করবে তারা তার ফল অখিরাতে ভোগ করবেই। তুমি‌ এই সব নিয়ে এতো চিন্তা করিও না।

ইমান হোসেন: হুমমম,,,তবে ওরা আজ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।বলেছে কেস যদি না ওঠিয়ে নেয় তো রাহাত ভাই নাকি আমার কি হাল করবে তা আপনার এলাকার লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করতে বলেছে।আমি এই টুকু বুঝলাম যে ওদের মেইন বস রাহাত।যাকে ওরা রাহাত ভাই বলে ডাকে সবাই।
নূর রাহাত এর নাম শুনে কতক্ষম চুপ‌ করে রয়লো।
নূর: ওহ,,আচ্ছা আব্বু এসব কথা থাক এখন থেয়ে নেও ‌তুমি,!
ইমান হোসেন কিছু বললো না।নূর খাবার খেয়ে রুমে চলে গেল।
নূর: এই রাহাত নামের ছেলেটা কি সেই রাহাত,, যার কথা রাহিমা আমাকে বলেছিল। রাহিমার কাছে যানতে হবে?(মনে মনে বললো)
রাতে নূর বারান্দা গিয়ে একটা চেয়ারে বসে মোবাইলে গজল শুনছিল। বারান্দার লাইট আফ ছিল তাই নূর কে কেউ দেখতে পাচ্ছে না। নূর কিছু ক্ষন গজল শুলার পর হঠাৎ করে রাস্তার দিয়ে চোখ গেল।নূর রাস্তার দিকে খেয়াল করে দেখলো কে যেন ওদের বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।নূর এই টুকু বুঝতে পেরেছে একটা ছেলে হবে সেটা,তার মুখের রুমার বাঁধা ছিল। নূর দেরি না করে রুমে চলে গেল আর বারান্দার গেট লাগিয়ে দিল।

রাহাত: না কিছুতেই মন দিতে পারছি না। একবার নূর পাখি কে দেখতে যেতে হবে।(হাতে মদের গ্লাস নিয়ে বললো)
আমি মুখ এ রুমার বেঁধে নূর দের বারান্দার সামনে এসে দাড়ালাম।নূর দের বারান্দার লাইট আফ ছিল। কিন্তু আমি সেই লাইট আফ থাকার মাজে বারান্দায় ছায়ার মতো কালো একটা অবরন দেখলাম। আমি বুঝে গিয়েছি এটা নূর হবে।তাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি । কিছু ক্ষন পর নূর বারান্দার চেয়ার থেকে ওঠে রুমের ভিতরে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।আমি এক রাশ হতাশা নিয়ে দোকানে চলে গেলাম,,,,

সকালে নূর মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পড়লো।নূর এর সাথে‌ ওরা তিন জন ও ছিল।
নূর: আচ্ছা রাহিমা রাহাত নামের ছেলেটি কি অনেক খারাপ।
রাহিমা: হঠাৎ এই প্রশ্ন করলি যে?
নূর: না মানে এমনি। আর কাল কে যেই ছেলেটা ক্লাস এ এসে জিজ্ঞেস করে ছিল গজল কে গেয়েছিল সেটাই কি রাহাত ছিল??
লিজা: হ্যাঁ নূর সেটাই রাহাত ছিল। কেন কোন সমস্যা হয়েছে কি??
নূর: না তেমন কিছু হয় নি,,(নূর ওদের কে সব কথা খুলে বললো).
লিজা: কি বলিস নূর,,আংকেল কে বল ঐ সব জামেলায় না যেতে,ওরা ভালো ছেলে না!
রাহিমা: হ্যাঁ লিজা ঠিক বলেছে। ঐসব জামেলায় যেতে না করিস আংকেল কে??আর তুমি রাহাত কে সেদিন ক্লাস এ আসার পর দেখিস নি??

নূর: না রে আমি দেখিনি।আর ছেলেদের দিকে তাকানো ঠিক না।এতে চোখের পর্দা নষ্ট হয়। তাই আমি তার দিকে তাকাই নি।
রাবেয়া: নূর তুমি তো দেখছি অনেক হাদিস যানো?
নূর: হুমম কিছু কিছু।(আচ্ছা কাল রাতে ছেলেটা কে ছিল যে আমাদের বারান্দার সামনে দাড়িয়ে ছিল-মনে মনে).
নূর,রাহিমা,লিজা,রাবেয়া কথা বলতে বলতে মাদ্রাসায় চলে গেল।মাদ্রাসা ছুটির পর সেই রাস্তা দিয়ে আসার সময় ওরা ৪জন রাহাত কে দেখতে পেল। রাহাত শুধু নূর এর দিকে তাকিয়ে ছিল।নূর এটাকে পাওা না দিয়ে চলে গেল।
এবাবেই এক সপ্তাহ কেটে গেল।এই কয়দিনে রাহাত শুধু দোকানে বসেই নূর কে দেখতো।নূর এর কাছে গিয়ে কথা বলতো না।

একদিন রাতে নূর ও তার ভাই ঘুমিয়ে ছিল।হঠাৎ করে খট খট আওয়াজে নূর এর ঘুম ভেঙে গেল।নূর ওঠে বসে খেয়াল করে শুনতে লাগলো আওয়াজ টা কোথা থেকে আসছে। নূর খেয়াল করে শুনে বুঝতে পারলো আওয়াজটা বারান্দা দিয়ে আসছে। নূর মনে মনে ভাবছে একবার বারান্দায় গিয়ে দেখবে,আবার ভাবছে দেখার দরকার নেয়,নূর দুটানার ভিতরে পড়ে গেল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে আওয়াজ টা বন্ধ হয়ে যায়। আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেছে শুনে আবারো ঘুমিয়ে পড়ে।কিছুক্ষন পর আবারো সেই একি শব্দ শুনতে পায় নূর ।এবার নূর সাত-পাঁচ না ভেবেই বারান্দায় যাবার জন্য পা বাড়ায়।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com