Breaking News

বখাটে ছেলের পর্দাশীল বউ । পর্ব - ০৮ এবং শেষ পর্ব



আল্লাহর কাছে নামাজ পড়ে মোনাজাতে কাঁদতে থাকে নূর। ফজরের নামাজ আদায় করে জায়নামাজে বসে কান্না করতে করতে নূর এর চোখটা লেগে যায় আর সেই সময় হঠাৎ করেই কলিং বেল বেজে ওঠে,নূর লাফ দিয়ে ওঠে দরজার কাছে গিয়ে দরজা খুলে দেয়,নূর দরজার খুলে অপর পাশে থাকা লোকটা কে দেখে চোখের পানি ছেড়ে দেয়,,,,,,,,?

সামনে আর কেউ নয় রাহাত দাড়িয়ে আছে, মাথায় ও হাতে কাঁটা দাগ,চেহারাতেও অঘাত এর দাগ আছে,রাহাত নূর কে দেখে আবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,নূর এর মুখ শুখনো শুখনো দেখাচ্ছে,চোখ লাল হয়ে আছে,রাহাতের বুঝতে বাকি থাকে না নূর অনেক কান্না-কাটি করেছে,নূর এর চোখে পানি দেখে রাহাত এর বুকের ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে,রাহাত বুঝতে পেরেছে নূর এর কান্নার কারনটা,তাই উওেজিতো কন্ঠে বললো,,,,,,,,

রাহাত: নূর তুমি,,,(বাকি কথা বলার আগেই নূর রাহাতের বুকে জাপিয়ে পড়লো,খুব শক্ত করে রাহাত কে জড়িয়ে দরেছে,মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলে এখনি উড়ে যাবে কোথাও।রাহাত নূর এর এই ব্যবহারে থ হয়ে যায়,নূর রাহাত কে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে).
রাহাত: নূর,,,নূর,,,এই দেখহো আমি এসে গেছি,,প্লিজ কান্না করো না নূর পাখি,,,,দেখো আমার দিকে,,,তাকাও নূর,,,,( নূর এর দুই বাহু ধোরে উওেজিতো কন্ঠে বললো).
নূর রাহাত কে আরো জোরে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে,,,,,,,
রাহাত: হে আল্লাহ্,,তুমি যা কর ভালর জন্যই কর,,,আজ যদি আমার বিপদ না হতো তাহলে আমি জানতেই পারতাম না নূর আমাকে কতটা ভালোবাসে,,,,তোমার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আল্লাহ্,,,, (চোখ বন্ধ করে মনে মনে বললো,রাহাত এর দুই চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো।রাহাত ও পরম যন্তে নূর কে জড়িয়ে ধরে আছে বুকের মাজে).

কিছুক্ষন পর নূর রাহাত কে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে দাড়িয়ে বললো,,,,,,,,
নূর: আপনি কোথায় ছিলেন,রাতে বাসায় কেন আসেন নি,আপনার এই চোট লাগলো কিভাবে,,,( চিন্তিত কন্ঠে বললো).
রাহাত: সব কথা পরে হবে,,আগে আমি আমার নূর পাখি কে একটু দেখে নেই,,,তাহলেই আমার সব চোট ভালো হয়ে যাবে,,(বাঁকা হেসে বললো).
নূর রাহাত এর এই কথা ও হাসি দেখে একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফললো,,,,,,
রাহাত: ওহহ নূর,,,,,,( নূর এর দুই বাহু দরে মুচকি হেসে বললো).
নূর কিছু বলছে না চুপ করে আছে,,,,
রাহাত: আচ্ছা আমাকে কি এইখানেই দাড়িয়ে রাখবে, ভিতরে যেতে দিবে না,,,?
নূর: না না,আপনে ভিতরে আসোন,,(মাথা ওঠিয়ে মৃদ স্বুরে বললো).
রাহাত: চলো,,,,(মুচকি হেসে বললো).
রাহাত ও নূর ভিতরে গেল,,,,

নূর: আপনে রুমে গিয়ে বসোন আমি ফাস্ট এন্ড বক্স নিয়ে আসছি,,,,(মৃদ স্বুরে বললো)
রাহাত রুমে গিয়ে বিছানায় ধুপ করে বসে পড়লো,,,,,,
রাহাত: আমি যদি আজ না ফিরে আসতাম তাহলে নূর এর কি হতো,,,হে আল্লাহ্ তোমার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া । কিন্তু রকি,,,,,, (রকির কথা বলার সাথে সাথে রাহাত এর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।নূর রুমে এসে দেখে রাহাত এর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।নূর জোর পায়ে হেটে রাহাত এর কাছে এসে বললো),,,,
নূর: কি হয়েছে,,, কোথায় ব্যাথা করছে আপনার। বলোন আমাকে,(উওেজিতো কন্ঠে বললো).
রাহাত মুখে কিছু না বলে বুকের মধ্যেখানে হাত রেখে দেখালো,নূর একটু অবাক হলো,,,,
নূর: আপনার কি বুকে ব্যাথা করছে।কি হয়েছে আমাকে বলোন। আর আপনি কোথায় ছিলেন রাতে,,(করুন কন্ঠে বললো).

রাহাত:সব বলছি তোমাকে, কাল রাতে কাজ বেশি হওয়াতে কাজ সারতে সারতে বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন রাতে বাসায় ফিরে আসছিলাম তখন গলিতে তেমন কোন মানুষ ছিল না, কিছুদূর হাটার পর হঠাৎ করেই আমার সামনে একটা লোক এসে দাড়ালো,লোকটার মুখে রুমাল বাঁধা ছিল ,তাই আমি তার মুখটা ঠিক করে দেখতে পারি নি,

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই ঐ লোকটা আমার মুখে স্পেরে দিল,তারপর আর কিছু মনে নেই।যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি একটা চেয়ারে বসা অবস্থায় নিজেকে অবিস্কার করলাম।পিটপিট করে চোখ মেলে চারদিক তাকিয়ে দেখলাম সামনে আমার সাথে যারা ছিল মানে জিয়ান,রিমন,রিফাত,রিদয় ওরা দাড়িয়ে আছে । ওদের কে দেখার পর আমার রাগ চরম পর্যায় ওঠে গেল আমি ওঠে ওদের দিকে আগাবার সাথে সাথে জিয়ান আমার দিকে গান তাক করলো। আমি থেমে গেলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম।।,,,আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছিস তোরা,,??(রাগি কন্ঠে).
জিয়ান: এই কথা বস বলবে?
রাহাত: বস কোথায়,???
বস: আমি এইখানে রাহাত,,,? (ওদের পিছন থেকে এসে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো).
রাহাত: কেন আমাকে নিয়ে এসেছেন,কারন কি,,(জোর গলায় বললো).
বস: আওয়াজ নিচে রাহাত। তোর তো দেখছি অনেক সাহস বেড়েছে আমার সাথে জোর গলায় কথা বলছিস,,(আঙ্গুল জাগিয়ে বললো).

রাহাত: তুই আমার সাহসের কি দেখেছিস। এখন তুই আমার বস না যে তোর সাথে নিচু স্বুরে কথা বলবো। ভালই ভালই বলছি আমাকে এখান থেকে যেতে দে,,,(ধমকের স্বুরে)
বস: যেতে দেওয়ার জন্য তো তোকে তুলে আনি নি,তোকে উপরে পাঠাবো তার জন্য এইখানে নিয়ে আসা হয়েছে। জিয়ান kill him,,,,(জিয়ান এর দিকে তাকিয়ে বলে শিস বাজাতে বাজাতে চলে গেল).
জিয়ান: স্যরি রাহাত ভাই,,,(এই কথা বলে গান এর ট্রিগার এ চাপ দিলো,সাথে সাথে গুলি বের হয়ে বুকে গেতে গেল তবে রাহাত এর নয় রকির। জিয়ান কে শুট করতে দেখে রকি রাহাত এর সামনে এসে দাড়ায়। রকির দেহ আস্তে আস্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রক্তে ভেশে যায় সাড়া ফ্লোর। সেখানে থাকা সবাই অবাক হয়ে যায় এই দৃশ্য দেখে।রাহাত রকি কে দরে বলতে লাগলো),,,,

রাহাত: রকি এটা তুই কি করলি ভাই।(কান্না জড়িত কন্ঠে বললো).
রকি: রাহাত ভাই,,,আমার এই দুনিয়াতে কেউ নেই শুধু আপনি ছাড়া। আপনাকে আমি আমার বড় ভাইয়ের মতো মানি।এখন যদি আপনে আমাকে ছেড়ে চলে যান তাহলে আমি কাকে ভাই বলে ডাকবো। আর আমার জীবন এইখানেই শেষ ,আর আপনার জীবন এর পথ চলা তো এখন সবে শুরু হয়েছে,আপনার সপ্নের মানুষ কে নিয়ে। এখন যদি আপনে চলে যান তাহলে ভাবির কি হবে,,(আস্তে আস্তে কথা গুলো বললো).
রাহাত: রকি এইসব কথা বলিস না ভাই,আমি তোর কিছু হতে দিবো না,,(কান্না কন্ঠে বললো).
ভিতর থেকে বস এসে এই দৃশ্য দেখে বললো,,,,,
বস: এই তোরা দাড়িয়ে কি দেখছিস,,রাহাত কেও শেষ করে দে এখানেই,,,(জোরে চিল্লিয়ে বললো).
রাহাত এই কথা শোনার সাথে সাথে রকির পিছে থাকা গানটা বের করে বস কে শুট করে দিন মাথা বরাবর,,সাথে সাথে নিস্তব্ধ হয়ে গেল চারদিক,বস এর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।তারপর জিয়ান এর হাতে গুলি করলো,গুলিটা হাতে লাগার কারনে হাত থেকে গানটা পড়ে গেল জিয়ানের।বসের লোক গুলো রাহাত এর উপর আক্রমন করলো।রাহাত গান ফেলে দিয়ে ওদের সাথে মারমারি করতে লাগলো। কিছুক্ষন মারামারি করার পর রাহাত হাতে গান নিয়ে ওদের সবার দিকে তাক করে বললো,,,,,,

রাহাত: যদি বাঁচতে চাস তো এখান থেকে চলে যা তোরা সবাই।(রাগি গলায় ধমকের স্বুরে বললো).
রাহাত এর কথায় ওরা সবাই সেখানে থেকে চলে গেল।রাহাত দৌড়ে এসে দেখে রকি মারা গেছে। নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে রকির দেহটি।রাহাত রকিকে ধরে কাঁদতে লাগলো,,,,,,,
রাহাত: এই রকি,,,,রকি,,,রকিককককককক,,,,,,এখন আমাকে ভাই বলে কে ডাকবে বল। বল নাআআআআ,,,,,(রকিকে জড়িয়ে ধরে জোরে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে লাগলো),,,
রাহাত এর কথা শুনে নূর ও কান্না করতে লাগলো।
রাহাত: যানো নূর সেই ছোট থেকে রকি আমার সাথে ছিল । ভাইয়ের মতো ভালোবাসতাম রকি কে।আজ আমার জন্য রকি এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। আর আমি,,,,,(বাকি কথা না বলেই জোরে কান্না করতে লাগলো).
নূর: দেখুন আপনি এইভাবে কাঁদবেন না,আল্লাহ্ যা করে ভালর জন্যই করে। হয়তো তার হায়াত এই পর্যন্তই লেখা হয়েছে । দয়া করে আপনি এবার কান্না থামান।(রাহাত এর চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললো).
রাহাত: চুপ,,,,,,,!

নূর রাহাত এর কাঁটা দাগ গুলোতে মলম লাগিয়ে দিল।রাহাত চুপ করে নূর এর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,
নূর: আপমি মনে হয় কিছুই খান নি। আপনি বসোন আমি খাবার নিয়ে আসছি,,(এটা বলে নূর খাবার আনতে চলে গেল).
নূর খাবার নিয়ে এসে রাহাত কে খায়িয়ে দিতে শুরু করলো,,,,
রাহাত: তুমি খাবে না নূর পাখি???
নূর: আপনি খেয়ে নেন তারপর আমি খাবো,?(মৃদ স্বুরে বললো).
রাহাত: না আমার সাথে খাবে?
নূর রাহাত এর কথার উওর না দিয়ে রাহাত এর সাথে খাবার থেতে শুরু করলো। খাবার খাওয়া শেষ করে নূর রাহাত কে বিছানায় শোতে বলে রান্না ঘরে চলে যায়। রান্না ঘরের কাজ সেরে রুমে এসে দেখে রাহাত ঘুমিয়ে গেছে।নূর রাহাত এর ঘুমন্তো চেহারার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,,,,

নূর: দুই দিন আগেও আমি এই লোকটাকে ভালোবাসতাম না,কিন্তু আজ,,,আজ মনে হয়েছে আমি তাকে আমার থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। এটাকে কি স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা বলে। হে আল্লাহ্ শুকরিয়া আদায় করি তোমার। তুমি তাকে ছহি ছালামতে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো। তবে কষ্ট লাগছে সেই ভাইয়াটার জন্য। তুমি তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান কর আল্লাহ্,,দান কর,,,,,(মনে মনে)..
রাহাত এর ঘুম ভাঙে সন্ধ্যার দিকে। খবরে কুকক্ষাতো সেই খারাপ লোকটার মারে যাওয়ার কথা বলছে,যাকে রাহাত মেরেছে। রাহাত কয়দিন চাকরিতে যায় নি। তিনদিন পর রাহাত পোরাপরি মানুসিক ভাবে সুস্থ হয়ে চাকরিতে জয়েন্ট করছে। এবাবেই কেটে গেল ১-২মাস,রাহাত এখন ইসলাম সম্পর্কে সব কিছুই জানে। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।কোরআন শরীফ ও পড়তে পারে। গরিব মানুষের পাশে দাড়ায়,তাদের বিপদের সাহায্য করে। এলাকার মানুষ এখন আর রাহাত কে ভয় এর চোখে দেখে না বরং শ্রদ্ধার চোখে দেখে।ওদের দিন গুলো খুব ভালো ভাবেই কাটতে লাগলো।
রাতে,,,,

রাহাত বারান্দা দাড়িয়ে এক দৃষ্টিতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে । পিছ থেকে নূর ডাক দিয়ে বললো,,,,
নূর: কি ভাবসেন আপনি??(রাহাত এর কিছুটা দূরে দাড়িয়ে মৃদ স্বুরে বললো).
রাহাত: কিছু না। দেখছি দূর আকাশের ঐ চাঁদটা কে। আচ্ছা নূর আমি কি এখনো তোমার মনের মতো হতে পারি নি। এখনো কি তুমি আমাকে ভালোবাসো না??(মৃদ স্বুরে আকাশের দিক তাকিয়েই বললো).
নূর: না মানে আমি আপনাকে,,,,(বাকি কথা বলার আগেই রাহাত থামিয়ে দেয়).
রাহাত: থাক নূর তোমার বলার দরকার নেই। আমি আমার উওরটা পেয়ে গিয়েছো।তুমি যাও গিয়ে শুয়ে পড়ো,,,(মৃদ স্বুরে বললো).
নূর রাহাত এর কথায় একটু কষ্ট পেল,,,,

নূর: নাহ্ আজ আমি বলে দেবই আমার মনের কথাটা। আমার উপর তার পোরোপোরি হক আছে।এতো দিন না হয় আমি তাকে ভালো হবার শর্ত দিয়ে দূরে রেখেছিলাম,কিন্তু এখন তো সে ভালো হয়ে গিয়েছে।। না এখন তাকে তার হক আমি দেবো।(মনে মনে বললো).
রাহাত পিছে তাকিয়ে দেখে নূর দাড়িয়ে আছে তাই নূর এর উদ্দেশ্য বললো,,,,,,,
রাহাত: নূর তুমি এখনো দাড়িয়ে আছো কেন??
রাহাত এর কথায় নূর এর ধ্যান ভাঙলো,,,,
নূর: না মানে একটা কথা বলতে চাই আপনাকে,,?(মাথা নিচু করে বললো).
রাহাত: কি কথা বলো,,,,(ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো).

নূর: আমি আপনাকে যে শর্ত দিয়েছিলাম,আপনি সেই শর্ত মতো নিজেকে বদলে দিয়েছেন এবং একজন দ্বিনধার স্বামিও হয়েছেন।তাই আমি এখন আপনার হক থেকে বঞ্চিত করবো না। আমি আপনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাই। আমার তাতে কোন আপওি নেই,,(মাথা নিচু করে বললো).
রাহাত: কিন্তু আমার আপওি আছে,,(একটু জোর গলায় বললো).
নূর এই কথাটা শুনে অবাক হয়ে রাহাত এর দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,

রাহাত: যেখানে আমার জন্য কোন ভালোবাসা নেই তোমার মনে সেখানে আমি তোমার শুধু দেহ ভোগ করতে চাই না।যেদিন তুমি আমাকে ভালোবাসবে বা ভালোবেসে আমাকে কাছে নেটে নিবে সেদিন আমি আমার সব ভালোবাসা এবং স্বামীর অধিকার দিবো।তার আগে নয়।(এই কথাটা বলে রাহাত সামনের দিকে মুখ গুরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়লো).
নূর রাহাত এর কথাটা বুঝতে পেরে কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,,,,,
নূর: আমি আপনাকে ভালোবাসি,আজ থেকে নয় অনেক আগে থেকেই,,, (মাথা নিচু করে বললো).
রাহাত নূর এর মুখে এই কথাটা শুনে নূর এর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,,,,,,
রাহাত: তুমি আমাকে আগে থেকে,,,,,,তাহলে কেন বলোনি আগে।(নূর এর কাছে গিয়ে দুই গালে হাত দিয়ে বললো).

নূর: চুপ,,,,,,,,,,!!
রাহাত: যানো নূর পাখি আমি তোমার মুখ থেকে এই কথাটা শুনার জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলাম।(নূর কে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে বললো).I love you nur pakhi....!
নূর: love you 2....(মৃদ স্বুরে).
রাহাত: আজ আমি আমার সপ্নের রানী কে নিয়ে সপ্নের বাসর সাজাবো।(নূর এর কানের কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বললো).
নূর লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে চুপ করে আছে।চাঁদের হালকা আলোতে নূর লজ্জা মাথা মুখটা রাহাত এর চোখে এড়ালো না,,,,
রাহাত: ওহ নূর এবাবে লজ্জা পেলে আমি তো আরো পাগল হয়ে যাবো,তোমার এই লজ্জা মাখা মুখ দেখে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। নূর পাখি একটু পরে তোমার আর এই লজ্জা থাকবে না।(বাঁকা হেসে স্লো ভয়েজে বললো)..
রাহাত নূর কে পাজরা কোলে ওঠিয়ে নিয়ে হেটে রুমের ভিতরে গিয়ে বারান্দার দরজা বন্ধ করে দিল। রাহাত ও নূর ভালোবাসার সাগরে পাড়ি দিল,,,,,,,,,!!!!!

<>সমাপ্ত <>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com