বখাটে ছেলের পর্দাশীল বউ । পর্ব - ০৫
ভোর সকালে ইমান হোসেন ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যাএয়ার উদ্দেশ্যে বাহিরের গেটে খুলে বের হয়ে দেখে,,,,?
নূর অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।নূরের বোরখায় ময়লা মাখা আর জায়গায় জায়গায় ছিড়ে গিয়েছে।নূর এর বাবা নূর কে দেখে চোখের পানি ছেড়ে দিলো।তাড়াতারি নূর কে কোলে ওঠিয়ে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শোয়িয়ে দিয়ে নাম ধরে ডাকতে লাগলো,,,,
ইমান হোসেন: নূর মা নূর,,,নূর এর মা দেখে যাও নূর কে পেয়েগেছি,(কান্না জড়িত কন্ঠে বললো).
নূরের মা আর ভাই পাশে রুম থেকে ছুটে চলে আসলো।
নূরের মা: নূর,,,নূর,,,নূর মা,,,কি হয়েছে তোমার কথা বলো।(কান্না করতে করতে বললো).
রাকিব:আপু,,,আপু,,চোখ খোল আপু,,(নূর হাত ধরে ডাক দিল).
নূরের মা: আপনে নূর কে কোথায় পেয়েছেন।আর নূর চোখ খুলছে না কেন?(উওেজিতো কন্ঠে ইমান হোসেনের দিকে তাকিয়ে বললো).
ইমান হোসেন: সব কথা পরে হবে,আগে তুমি নূরের বোরখা পালটে দেও।
এই কথা বলে ইমান হোসেন ও নূরের ভাই রুমের বাহিরে চলে গেল।নূরের মা নূর এর বোরখা পালটে দেখে নূরের গায়ের জামা-কাপুড় ছেড়া। নূর এর মা বুঝতে পারলো যে নূর সাথে কি হয়েছে ।নূর এর মা হু হু করে কেঁদে দিল।
নূরের মা: মা রে তোর এতো বড় ক্ষতি কে করলো রে মা।(কান্না কন্ঠে বললো).
নূরের মা নূরের জামাকাপুড় পালটে দিয়ে চোখে-মুখে পানির ছিটা দিল। কিন্তু তাতেই নূর এর জ্ঞান ফিরলো না।বার বার পানির ছিটা দেওয়ার পর ও নূরের জ্ঞান না ফিরাতে নূরের মা ইমান হোসেন কে গজানায়।ইমান হোসেন একজন মহিলা ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসে ।ডাক্তার নূর কে চেকআপ করে বললো,নূর এর শরীরে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে যার কারনে ওর জ্ঞান ফিরছে না।ডাক্তার কিছু মেডিসিনের নাম লিখে দিয়ে যায়।আর বলে যায় এই মেডিশিন খাওয়ে দিলে ঘুম কিছুটা কেটে যাবে আর জ্ঞান ফিরে আসবে।ইমান হোসেন মেডিসিন গুলো এনে নূর এর মা কে দিল।নূরের মা নূর কে কোন রকম ঔষুধ খাওয়ে দিলো।প্রায় সন্ধ্যার দিকে নূর এর ঘুম ভাঙলো।নূর পিট পিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে চার দিক দেখলো।নূর মায়ের মুখে একটু হাসি ফুটে ওঠলো।
নূরের মা: মা তুই ঠিক আছিস তো।তুই ওঠিস না মা,তুই শোয়ে থাক আমি তোকে কিছু খাওয়ে দেয়,তুই সারা দিনেও কিছু খাস নি রে মা।(করুন কন্ঠে বললো).
ইমান হোসেন: কি হয়েছে মা কথা বলছিস না কেনো।আচ্ছা মা তোকে কারা কিডন্যাপ করে ছিল,তুই কি তাদের দেখেছিস?(মৃদ কন্ঠে বললো).
নূরের মা: আহা আপনে একটু চুপ করুন পরে সব কথা হবে।মা তুই এখন একটু খেয়ে নে।
নূর কোন কথা বলছে না চুপ করে আছে।নূর এর মা নূর কে খাবার খাওয়ে দিচ্ছে,,নূর চুপ করে খাবার খেয়ে যাচ্ছে।নূর শুধু একটাই কথা ভাবছে ওর সাথে কি হয়ে গেল,,,,
নূরের মা: নে এবার শোয়ে থাক মা,আমি আসছি,(এটা বলে নূর এর মা রুম থেকে চলে গেল).
ইমান হোসেন: মা তুমি কি তাদের চেহারা দেখেছো,যারা তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল??(নূর এর মাথায় হাত দিয়ে বললো).
নূর : না ??
ইমান হোসেন: ঠিক আছে মা তুমি বিশ্রাম কর আমি যায়??(ইমান হোসেন নূরের রুম থেকে বেরিয়ে গেল এক রাশ কষ্ট নিয়ে।ইমান হোসেন ভালো করেই বুঝতে পেরেছে যে নূর এর সাথে কি হয়েছে).
নূর পাথরের মতো বসে আছে,নিরবে দু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,,,
নূর এর মা নূরের রুমের কাছে এসে দেখে নূর কান্না করছে।এটা দেখে নূরের মা ভিতরে যাবার সাহস পাচ্ছে না।
নূরের মা:হে আল্লাহ্ আমার মেয়েটার সাথেই কেন এটা হল।আমি এখন কিভাবে সান্তনা দেবো আমার মেয়েকে।তুমি বল দেও আল্লাহ্,,,, (মুখে কাপড় দিয়ে কান্না করছে).
ক্লাব,,,
রকি: রাহাত ভাই কাজটা কি ঠিক হল।(করুন স্বুরে বললো).
রাহাত: নূর কে পাওয়ার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি হোক সেটা খারাপ কাজ,?(চেয়ারে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে বললো).
রকি: কিন্তু ভাই,,,(রাহায় থামিয়ে দিল).
রাহাত: যা এখান থেকে।আর নূর এর পরিবারের সব খবর আমাকে দিবি,,any time,,(চোখ বন্ধ করে বললো).
রকি: ঠিক আছে ভাই,,!
সকালে,,,
এলাকার সবাই নূর কে পাওয়া গিয়েছে এই কথা যানতে পেরেছে।কিছু কিছু মানুষ নূর এর পরিবার কে খারাপ চোখে দেখেতে লাগলো ও কটু কথা বলতে লাগলো।ইমান হোসেন মাদ্রাসায় যাওয়ার পর সবাই বাজে বাজে কথা বলতে লাগলো।ইমান হোসেন তেমন পাওা দিল না। কাজ শেরে রাস্তা দিয়ে আসার সময় কিছু লোক জোরে জোরে বাজে মন্তব্য করছিল।ইমান হোসেনের কথা গুলা শুনে খুব কষ্ট পেল। বাসায় এসে মন খারাপ করে বসে রয়লো।
নুরের মা: কি হয়েছে আপনার। এমন দেখাচ্ছে কেন আপনাকে??
ইমান হোসেন: নূরের মা সবাই আমাদের খারাপ চোখে দেখছে আর বাজে মন্তব্য করছে।তুমিই বল আমার মেয়েটা কি নিজের ইচ্ছায় এই সব করেছে।আর পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম,কিন্তু পুলিশ এর লোক আমাকে আরো বাজে বাজে কথা বলে সেখান থেকে বের করে দিয়েছে।তারা বলে আমার মেয়ে নাকি ইচ্ছা করে,,,,(বাকি কথা বলতে পারলো না হু হু করে কান্না করে দিল).
নূরের মা: আপনে যদি এবাবে ভেঙে পড়েন তাহলে আমাদের কি হবে বলেন।আর যারা বাজে কথা বলেছে তাদের ইমান নেয়।দয়া করে আপনে সান্ত হন।(কান্না জড়িত কন্ঠে বললো).
ইমান হোসেন চুপ করে আছে কোন কথা বলছে না।
নূর :আব্বু-আম্মু??(মৃদ কন্ঠে ডাক দিল).
নূর এতক্ষন সব কথা আড়ালে দারিয়ে দাড়িয়ে শুনেছে। নূর ওর বাবার রুমে এসে ডাক দিল। নূর কে দেখে নূরের আব্বু - আম্মু আড়ালে চোখ মুছে ফেললো,,,
ইমান হোসেন: কিছু বলবে মা?
নূর: আব্বু আমি এখানে আর থাকবো না। আমকে এখান থেকে দূরে কোথাও নিয়ে চলো। যেখানে আমাদের কেউ চিনবে না।(করুন স্বুরে বললো).
ইমান হোসেন: ঠিক আছে মা তাই হবে,,( আস্তে করে বললো).
নূর কথাটা শুনে সেই রুম থেকে বেরিয়ে গেল,,,,
এবাবেই দুই দিন তিন কেটে গেল হঠাৎ করে একদিন রাহাতের কাছে খবর এলো,,,,
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com