Breaking News

বখাটে ছেলের পর্দাশীল বউ । পর্ব - ০১


রাহাত খান,,,পুরান ঢাকার বখাটে ছেলে। শুধু বখাটে ছেলে বললে ভুল হবে, ১ নাম্বার বখাটে। 

দেখতে বেশ সুন্দর। মদ, হিরোইন, গাঁজা, ঈয়াবা সমস্ত নেশাদার দ্রব্য পাচার করে এবং নিজেও এগুলা খায়। ছোট কালে মা মারা যাবার পর রাহাত একা হয়ে যায়। রাহাত ওর বাবা কে দেখে নি,আদও বেঁচে আছে কি না মারা গেছে তা ও নিজেও জানে না। 

রাহাত এর এক মাএ সম্বল ছিল ওর মা ,,আজ সেটাও রাহাত এর কাছে নেই।তারপর থেকে মানুষের অবহেলা মার,গালাগালি খেয়ে বড় হতে থাকে। একদিন ও শপথ নেয় নাম্বার 1 বখাটে হবে । রাহাত এর এই সপ্ন পুরন হয়েছে। আজ ও নাম্বার 1 বখাটে । এলাকার অনেক নেতা দের সাথে হাত আছে । এই সব নেশা জাতীয় জিনিস পাচার করে দেখে অনেক বার জেলে গিয়েছে কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।ওদের একটা গ্যাং আছে,,এলাকার সবাই ওদের ঘৃনার চোখে দেখে এবং অনেক ভয় পায়। এটাই ওর জীবন,,এবাবেই ওর দিন কাটতে থাকে।

নূর,,,,,পুরা নাম নুরজাহান নূর। মাদ্রাছায় ১০ শ্রেনিতে পড়া-লেখা করছে।নূর কোরআনের একজন হাফেজা। দেখতেও মাশআল্লাহ্ খুব সুন্দর। সান্ত-শ্রীষ্ট মিষ্টি একটা মেয়ে।যখন থেকে বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই পর্দায় থাকা শুরু করেছে। নূর রা দুই ভাই-বোন।

নূর এর বাবা একজন মাদ্রাছার শিক্ষক। নূর এর পরিবার আগে ফুলতলা গ্রাম এ থাকতো।নূর এর বাবার  ট্রানফার হয়েছে,আর পোস্টিং হয়েছে পুরান ঢাকায়। কাল কে ওরা সবাই সেখান থেকে ঢাকাতে চলে এসেছে। নূর এখানের এক মহিলা মাদ্রাছায় ভর্তি হয়েছে। 

নূরের আম্মু: নূর,,,,নূর,,,!!

নূর : জ্বী আম্মু??

নূরের আম্মু: নূর সারা দিন অনেক কাজ করেছো। কাল না হয় বাকি গুলু গুছাবে এখন খানা খেয়ে শুয়ে পড়ো। কাল আবার তোমার মাদ্রাছায় যেতে হবে??

নূর: ঠিক আছে আম্মু??

নূর খাবার খেয়ে ওর ছোট ভাই কে নিয়ে ঘুমাতে চলে গেল,,,,

ক্লাব..

রাহাত: এই রকি আমার জন্য আরেক বোতর মদ নিয়ে আয় ..?..(মাতাল কন্ঠে বললো)..

রকি: ভাই আর কত খাবেন?? এবার তো বাসায় চলেন??(মৃদ কন্ঠে)

রাহাত: এই তোকে যা বলেছি তাই কর যা যা এখান থেকে,,,(চেয়ারে মাথা হেলান দিয়ে বললো)..

রকি: আচ্ছা ভাই??

রকি আরেক বোতল মদ নিয়ে এসে রাহাত কে দিলো। রাহাত সেই মদ খেয়ে সেখানেই নেশার কারনে ঘুমিয়ে যায়। রকি রাহাত কে দরে গাড়িতে ওঠিয়ে বাসায় নিয়ে যায় এবং রুমি নিয়ে শোয়িয়ে দেয়।...

সকালে,,,,

নূর ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন শরীফ পাঠ করে। নূর এর কোরআন শরীফ পাঠ করা শেষ করে সবার জন্য নাস্তা তৈরি করে। 

ইমান হোসেন:(নূরের বাবা) মা নূর,,কিছু ক্ষন পর তোমার চাচাতো বোন আসবে তুমি তার সাথে মাদ্রাছায় যেও।

নূর: ঠিক আছে আব্বু??

নূর মাদ্রাছায় জন্য রেডি হয়ে গেছে,,কিছুক্ষন পর নূর এর চাচাতো বোন ওদের বাসায় আসলো,,,

রাহিমা:নূর তুই রেডি হয়েছিস??

নূর: হুম?

রাহিমা: আয় তাহলে,,নয় তো দেরি হয়ে যাবে?

নূর: হুমম,,,আম্মু আমি আসি??

নূরের মা: সাবধানে যেও??

নূর: জ্বী?

নূর ও রাহিমা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো। নূর কালো বোরখা,হাতে পায়ে মুজা,এবং চোখটাও ডেকে রেখেছে। নূরদের বাসা থেকে মাদ্রাসা বেশি দূর না হেটেই মাদ্রাসায় যাওয়া যায়। নূর ও রাহিমা মাদ্রাসায় পৌছে গেল। নূর মাদ্রাসার সব ছাএী দের সাথে পরিচিতো হল। ভালোই লেগেছে নূর এর কাছে সবার সাথে পরিচিতো হয়। ১২টায় মাদ্রাসা ছুটি হয়েছে,,নূর ও রাহিমা সাথে আরো দুই জন মেয়ে ছিল,এদের সাথে নূর এর ভালো বন্ধুত হয়ে গিয়েছে। 

ওরা ৪জন রাস্তা দিয়ে আসার মাজা-মাজে এক গলিতে বড় একটা চায়ের দোকান আছে। সেই দোকানে রাহাত ও তার বন্ধুরা আড্ডা দেয়। যদি কোন মেয়েদের সেখান থেকে যেতে দেখে তাহলে ওরা তাদের টিচ করতে ও বাজা বাজে কথা বলে। রাহাত ওর বন্ধুদের কখনই এই বিষয়ে কিছুল বলে নি। কারন রাহাত মেয়ে দের বেশি পছন্দ করে না।ওরা ৪জন সেই দোকানের সামনে আসার পর,,রাহাত এর বন্ধুরা বলতে লাগলো,,,,,,,

জিয়ান: এশশশ দোস্ত দেখ,,,৪টা  কালো পেত্নি যাইতাছে??(নূরদের উদ্দেশ্য বললো).

রিমন: পেত্নি না পেত্নি না বল হুর পরি। যদি একটারে পাইতাম তাইলে,,,(এটা বলে জোরে জোরে হাসতে লাগলো).

রনি: হ রে ঠিল কয়ছস,,,যেই সুন্দর মা***ল,,,??(ওদের দিকে তাকিয়ে বললো).

নূর: রাহিমা এই ছেলেগুলা কি আমাদের বলছে ??

রাহিমা: হ্যাঁ নূর। ওরা সব সময় আমাদের দেখলে এই সব বাজে বাজে কথা বলে।(মন খারাপ করে বললো).

নূর: তোরা কখনো তোদের বাবা বা ভাইয়া কে এই কথা বলিস নি?

লিজা: নূর তুমি তো নতুন তাই হয় তো কিছু যানো না। আমার বড় ভাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল,,ওরা আমার ভাইয়া কে মেয়ে পা বেঙে দেয়। তার পর থেকে ওদের কাছে কেউ যায় না এই সব বিষয় প্রতিবাদ করতে। (মন খারাপ করে বললো).

নূর: তাহলে পুলিশ কে,,,,,(বাকি কথা বলার আগে রাহিমা থামিয়ে দেয়).

রাহিমা:পুলিশ ওদের পকেটে থাকে নূর । ওদের মধ্যের লিডার হচ্ছে রাহাত খান। ওর অনেক বড় বড় নেতে-ফেতা দে সাথে হাত আছে। সকালে যদি পুলিশ ওদের ধরে নিয়ে যায় তো বিকালে আবার বাসায় চলে আছে। বল এখন ওরা ভালো হবে কিভাবে?

নূর: আল্লাহ্ তাদের হেদায়েত দান করোক।(বড় নিস্বাশ ফেলে বললো).

ওদের সাথে কথা বলতে বলতে নূর বাসায় চলে এসেছে। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে যোহরের নামাজ আদায় করে। ঘরের বাকি জিনিস গুলু গুছিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ওরা ৪জন এক সাথে মাদ্রাসায় যায়। ওদের বাসায় এক গল্লিতেই ছিল। মাদ্রাছা ছুটি পর ওরা ৪জন বাসায় আসার সময় আবারো রাহাত এর বন্ধুরা টিচ করতে থাকে,,,,,,,

জিয়ান: ঐ দেখ মনে হয় নতুন ফুল টুসি ওদের তিন জনের সাথে যোগ হয়েছে,,,, যাক ভালই হয়েছে?? 

রনি: হ্যাঁ! এটাকে দেখেতেও ভালো দেখাচ্ছে। বডি টাও মনে হয় সেই হবে,,,(নূর এর উদ্দেশ্যে বলছে).

ওরা ৪জন মাথা নিচু করে যাচ্ছে কিছু বলছে না। ওরা ভালো করে বুঝতে পেরেছে নূর কে নিয়েই ওরা কথা বলছে,,,,

রিমন: নতুন মা***ল টাকে তো একদিন দেখতেই হয় কি বলিস তোরা,,,?

জিয়ান: হুমমম,,,,একদম খাসা মা***ল রে,,?(এটা বলে সবাই জোরে জোরে হাসতে লাগলো).

নূর এই কথা গুলা শুনে আর সেখানে দাড়াতে পারলো না সোজা হেঁটে ওদের কাছে যেতে লাগলো,,,,,,

রাহিমা: নূর যাস না ওদের কাছে। ফিরে আয় বোন??

লিজা: নূর যেও না,,,ওরা ভালো ছেলে না,,,নুর,,?

নূর ওদের কথায় আর দাড়ালো না সোজা ওদের সামনে গিয়ে স্ট্রেট ভাবে দাড়িয়ে আছে। ওর সবাই নূর কে দেখে একটু আবাক হলো। নূর ওদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,,,,,,

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com