বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি ফ্যাশন ব্যান্ডের নাম ও পোশাক রিভিউ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যাত্রা শুরু করে ৬০ এর দশকে। তবে ৭০ এর দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্পখাত। ২০২১-২২ অর্থবছরে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানির পরিমাণ ৪২.৬১৩ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮১.৮১ %। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় এবং শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। ডব্লিউটিও'র বর্তমান বৈশ্বিক হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের দখলে ৬.৪ % হিস্যা।
বাংলাদেশ প্রশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যত কম দামে পোশাক পাওয়া যায় তা বিশ্বের কোন দেশে পাওয়া যায় না। আর ঢাকার আশে পাশে যে সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী রয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রায় সব গার্মেন্টর্স পোশাকই বিদেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানির পাশা-পাশি দেশিও কিছু পোশাক ব্র্যান্ড রয়েছে যাহা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
০১। সেইলরঃ এটি বাংলাদেশের একটি পোশাক ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের পোশাক ব্যান্ডের মধ্যে অন্যতম একটি নাম সেইলর। সেইলরের পোশাক
০২। আড়ংঃ আড়ং বাংলাদেশের অন্যতম একটি পোশাক ব্র্যান্ড। আরাম ও স্টাইলের কথা মাথায় রেখে সেসব ফ্যাশনেবল ও ট্রেন্ডি নকশার পোশাক পরেন। ফ্যাশন হাউস, বিভিন্ন দেশি ব্র্যান্ড ও মার্কেটগুলোয় ছেলেদের নানা প্যাটার্নের ঈদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এবার যেহেতু ঈদ গরমে পড়েছে, গরম উপযোগী ফেব্রিকই বেছে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শোরুম ঘুরে দেখা গেছে, সুতি ও লিনেন কাপড়ের শার্ট বা টি-শার্ট এবার বেশি চলছে। ক্রেতারাও গরমের কথা ভেবেই বেছে নিচ্ছেন এমন কাপড়। রঙের ক্ষেত্রে গোলাপি, নীল, সাদা, লেবু, হলুদ, কমলা, ছাই বা সবুজ রং বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে সুতির একরঙা শার্ট ছাড়াও বেছে নিতে পারেন সুতি ও অন্য সুতার মিশ্রণে তৈরি শার্ট। এতে ভাঁজ পড়লেও নজরে আসার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। শার্টের রং যেমন হোক না কেন, এখন শার্টের বোতামে বেশ নন্দন দেখা যায়। এখন আর আগের মতো সাদা বোতাম চোখে পড়ে না।
আড়ংয়ের বিভিন্ন আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, গোল গলার টি-শার্ট আর কলারসহ পোলো শার্ট ঈদ সংগ্রহে জায়গা পেয়েছে। টি-শার্ট আর শার্টের নকশা ও কাটের নতুনত্ব চোখে পড়ছে বেশ। মূলত তরুণদের জন্য এবারের ঈদ সামনে রেখে ক্যাজুয়াল শার্টে আনা হয়েছে ভিন্নতা। কাট, কাপড়, রং ও সেলাইয়ে প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে রয়েছে নতুনত্ব। ব্যবহার করা হয়েছে সংমিশ্রিত সুতা। কলারে করা হয়েছে হ্যান্ড নিডলের কাজ। কার্ফ ও শার্টের প্লেট, বাটনের সাইজ ও কালারে আনা হয়েছে পরিবর্তন। তবে ঈদকে মাথায় রেখে বডি ফিটিং ক্যাজুয়াল শার্টকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণত চেক বা স্ট্রাইপের পাশাপাশি এবার প্রিন্টের শার্টের চল বেড়েছে। আবহাওয়ার গরম হওয়ার কারণে কিছুটা হালকা রংই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পোশাকগুলোয়।
০৩। অঞ্জনসঃ ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে অঞ্জন্স। কালো, সাদা, লাল এই তিনটি রং প্রাধান্য পেয়েছে এই আয়োজনে। পাঞ্জাবি, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, শার্ট, কটি, শালসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক করা হয়েছে। কটন, তাঁতকটনসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকগুলোতে। শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীদের জন্য পোশাক থাকছে এই আয়োজনে। মোটিফ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বাংলা বর্ণমালা। বাংলা বর্ণমালাকে কতভাবে পোশাকে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা প্রদর্শনীতে দেখা যাবে। বর্ণমালার পাশাপাশি জ্যামিতিক মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে এই আয়োজনে।
০৪। kay kraft: ১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট। প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
০৫। দেশালঃ কনক আদিত্য, ইশরাত জাহান এবং সবুজ সিদ্দিকী মিলে ২০০৫ সালে শুরু করেন দেশাল। তিনজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক পাশ করা। দেশীয় ঘরানার পোশাক কেন্দ্রীভূত এই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা লাভ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বরাবরের মতো এবারও ঈদের পোশাকের সেরা পছন্দগুলোর মধ্যে দেশাল অন্যতম।
তরুণীদের জন্য এবারের আকর্ষণগুলো কাফতান কাটিংয়ের কো-অর্ড সেট, ফ্লেয়ার ড্রেস ও স্কার্ট। আর ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবিতে রয়েছে অভিন্ন রঙ ও গলায় হাতে সেলাই করা সরু বর্ডার।
০৬। ইয়োলোঃ ইয়োলো, সবচেয়ে ট্রেন্ডি পোশাক ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি, বেক্সিমকোর মালিকানাধীন। ২০০৪ সালে ইয়েলো ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে ইয়োলো। ইয়োলোতে টি-শার্ট, হাফ-হাতা, লম্বা হাতা, জিন্স, পাঞ্জাবি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। মহিলাদের জন্য, এতে শাড়ি, কামিজ, হিজাব, টি-শার্ট, জিন্স ইত্যাদির একটি দুর্দান্ত নির্বাচন রয়েছে।
০৭। রঙ: বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে। গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
০৮। সাদা-কালোঃ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে সাদা - কালো। এবারে রোজার ঈদে ও কুরবানির ঈদেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ছেলেদের জন্য থাকছে নতুন ধরণের ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, ফরমাল শার্ট, টুইল, ডেনিম প্যান্ট এবং পাঞ্জাবি। টি-শার্টগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য আধুনিক প্রিন্ট ও টুইল, আর ডেনিম প্যান্টগুলো ফিট ও ওয়াশ শেড দেওয়া। পাঞ্জাবির কাপড়ে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নতমানের কটন সিল্ক ও হ্যান্ডলুম সিল্ক।
অন্যদিকে মেয়েদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক শৈলীর লেডিস শার্ট, টি-শার্ট, ফরমাল ও ডেনিম প্যান্ট, টপস, এবং ফতুয়া। রঙের দিক থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে লাল, গোলাপি, মেরুন, সাদা ও কালো। আর প্রতিটি পোশাকেই আলাদা ভাবে চোখে পড়ে হাতের কারচুপি ও মেশিন এমব্রয়ডারি সহ ভিন্নধর্মী কারুকাজ।
০৯। যাত্রাঃ যাত্রা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড, যাত্রার শোরুম উদ্ভোদনের পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা লাভ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বরাবরের মতো এবারও ঈদের পোশাকের সেরা পছন্দগুলোর মধ্যে যাত্রা অন্যতম। নতুন পরিধেয়গুলোর মূল উপাদান সুতি কাপড়, আর নকশায় আছে ব্লক, হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি ও বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট। পুরো পরিবার নিয়ে যেন কেনাকাটা করা যায় ঠিক সেভাবেই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে পোশাকগুলোর। তরুণীদের জন্য এবারের আকর্ষণগুলো কাফতান কাটিংয়ের কো-অর্ড সেট, ফ্লেয়ার ড্রেস ও স্কার্ট। আর ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবিতে রয়েছে অভিন্ন রঙ ও গলায় হাতে সেলাই করা সরু বর্ডার রয়েছে যাত্রার পোষাকে।
১০। রিচম্যানঃ রিচম্যান বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম সারির ক্লদিং ব্যান্ডের মধ্যে রয়েছে এই ব্যান্ড টি। ‘উৎসবের আলিঙ্গন’ নাম নিয়ে আসতে চলেছে সারার ঈদুল ফিতর ২০২৫ কালেকশন। এগুলোর নকশায় স্থান পেয়েছে সাবলিমেশন প্রিন্ট, অল ওভার প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, এবং কারচুপি। স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্যমন্ডিত নকশায় প্রতিফলিত হয়েছে বিমূর্ত রেখাচিত্র, ফুল ও পাতা, ও জ্যামিতি। তবে সবকিছুর আবহে প্রাণ পেয়েছে উৎসব মুখরতা।
১১। ইনফিনিটিঃ ইনফিনিটি মল হল ভারতের শপিং মলের একটি চেইন। এটি কে রাহেজা রিয়েলটির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৬০ সাল থেকে নির্মাণ ও সম্পত্তি উন্নয়নের ব্যবসা করে আসছে। প্রথম ইনফিনিটি মলটি ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে খোলা হয়েছিল। এটি মুম্বাইয়ের তৃতীয় প্রাচীনতম শপিং মল। ইনফিনিটি মল ২০১১ সালের মে মাসে মুম্বাইতে মালাদে তাদের দ্বিতীয় মল চালু করে।
১২। দর্জি বাড়িঃ দর্জিবাড়ি তরুণদের জন্য একটি দুর্দান্ত নৈমিত্তিক পোশাক। দর্জিবাড়ি ২০০৩ সালে হেজাল নামে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের একটি শীর্ষ টেক্সটাইল ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়। তাদের পোশাক প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। এবং এই সেট কিশোরদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা হয়ে ওঠে। তারা সকল বয়সের গোষ্ঠী, অনুষ্ঠান এবং শৈলী জুড়ে গ্রাহকদের জন্য বৈচিত্র্যময় পণ্য এবং বৈচিত্র্য তৈরি করার লক্ষ্য রাখে।
১৩। লারিভঃ বিশাল রিভ সাম্রাজ্যের রিভ টেক্স লিমিটেডের একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড লা রিভ, যার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই থেকে প্যারেন্ট কোম্পানির সান্নিধ্য ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তায় নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে পোশাক ব্র্যান্ডটি।
প্রতিবারের মতো এবারও লা রিভের সেরা আকর্ষণ নার্গিসাসের পোশাকগুলো। তাছাড়া ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চোখে পড়েছে সিল্ক ও মসলিনের অসাধারণ মেলবন্ধন। গ্রীষ্মের প্রখরতা কমাতে সিল্ক ও আরামপ্রদ ভিসকোসের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের কাপড়। ঈদের পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, শ্রাগ, শার্ট, লং টিউনিকের পসরা পুরো পরিবারের জন্যই একক গন্তব্যে পরিণত করেছে লা রিভকে।
১৪। টুয়েলভঃ নিজেকে সবার মাঝে আলাদা করে ফুটিয়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ এখন একটু বেশিই। দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো এই নতুন প্রজন্মের ট্রেন্ডি ফ্যাশনের দিকটিকে মাথায় রেখেই সাজায় তাদের কালেকশন। দেশের অন্যতম সেরা লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড টুয়েলভও তার ব্যতিক্রম নয়।
১৫। সারাঃ স্নোটেক্স গ্রুপের একটি সহযোগী উদ্যোগ হিসেবে ২০১৮-এর মে মাসে চালু হয় সারা লাইফস্টাইল। এস এম খালেদের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে শুরু থেকেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
‘উৎসবের আলিঙ্গন’ নাম নিয়ে আসতে চলেছে সারার কালেকশন। এগুলোর নকশায় স্থান পেয়েছে সাবলিমেশন প্রিন্ট, অল ওভার প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, এবং কারচুপি। স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্যমন্ডিত নকশায় প্রতিফলিত হয়েছে বিমূর্ত রেখাচিত্র, ফুল ও পাতা, ও জ্যামিতি। তবে সবকিছুর আবহে প্রাণ পেয়েছে উৎসব মুখরতা। পোশাকে ব্যবহৃত হয়েছে ক্রেপ জর্জেট, ভিসকস, জ্যাকার্ড কটন, ডবি সিল্ক, নিট, ও ডেনিম কাপড়। ছেলেদের কালেকশনে স্থান পেয়েছে ক্যাজুয়াল, টি ও পোলো শার্ট, ডেনিম, চিনো ও কার্গো প্যান্ট, ফরমাল শার্ট, এবং পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কোটি।
১৬। খাঁচা - Khacha - The Beauty of Arts & Crafts নিজেকে সবার মাঝে আলাদা করে ফুটিয়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ এখন একটু বেশিই। দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো এই নতুন প্রজন্মের ট্রেন্ডি ফ্যাশনের দিকটিকে মাথায় রেখেই সাজায় তাদের কালেকশন। দেশের অন্যতম সেরা লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড খাঁচা তার ব্যতিক্রম নয়। এবারের ঈদ ও গ্রীষ্মের কালেকশনকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দিতেই নিজেদের সম্ভার নতুন করে সাজিয়েছে ‘খাঁচা’। খাঁচা ঈদের কালেকশনে সবসময়ই ঋতু বৈচিত্র্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রংতুলি এবং কারুকাজ এই দুটি ভাগেই নতুনত্ব এনে তারা সাজিয়েছে তাদের ঈদ কালেকশন।
১৭। টপটেন মার্টঃ টপটেন মার্ট একটি জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড। এটি বাংলাদেশের কাপড়ের জগতে এক বিশ্বয়কর নাম। কোন প্রকার স্টাইলিস্ট পোষাক মানেই টপটেন। টপটেন মার্টের এক ছাদের নিচে পাচ্ছেন ছেলে ও মেয়েদের সম্পূর্ণ লাইফস্টাইল আউটফিট। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, স্যুট ব্লেজার জুতা ইত্যাদি। রয়েছে মেয়েদের শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি পিস, টপস, অর্নামেন্টস, জুতা ইত্যাদি। ব্রাইডাল কালেকশনে রয়েছে শেরওয়ানি ও লেহেঙ্গা ইত্যাদি। মেয়ে বা ছেলেদের পোশাকের লাক্সারি কালেকশন রয়েছে এখানে।
১৮। লাইভ শপিংঃ আশিকের নিজে কিছু করার তাগিদ ছিল। লাইভ শপিং নামে ফেসবুক পেজ খুললেন। লাইভে পোশাক উপস্থাপনায় অভিনবত্ব এনেছিলেন। সাধারণত ফেসবুক লাইভে যেমন পোশাক দেখা যায়, বাস্তবে পোশাকটা হুবহু তেমন থাকে না। আশিকের ক্ষেত্রে ক্রেতা লাইভে পোশাক যেমন দেখতেন, হাতেও পেতেন তেমন। সুন্দর বাচনভঙ্গি ও সাবলীল ভাষায় মানুষকে বোঝানোর গুণের কারণে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আশিক খান আজ একজন সফল তৈরি পোশাক উদ্যোক্তা। অনলাইনে যেমন আছে তাঁর উদ্যোগ, তেমনি আছে ছয়টি দোকান। আর আছে একটি তৈরি পোশাক কারখানাও।
১৯। মাঞ্জাঃ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে মাঞ্জা। এবারে ২০২৫ এ রোজার ঈদে ও কুরবানির ঈদেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ছেলেদের জন্য থাকছে নতুন ধরণের ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, ফরমাল শার্ট, টুইল, ডেনিম প্যান্ট এবং পাঞ্জাবি। টি-শার্টগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য আধুনিক প্রিন্ট ও টুইল, আর ডেনিম প্যান্টগুলো ফিট ও ওয়াশ শেড দেওয়া। পাঞ্জাবির কাপড়ে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নতমানের কটন সিল্ক ও হ্যান্ডলুম সিল্ক।
২০। স্টাইল ইকোঃ স্টাইল ইকো একটি জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড। এটি বাংলাদেশের কাপড়ের জগতে এক বিশ্বয়কর নাম। কোন প্রকার স্টাইলিস্ট পোষাক মানেই স্টাইল ইকো। স্টাইল ইকো এক ছাদের নিচে পাচ্ছেন ছেলে ও মেয়েদের সম্পূর্ণ লাইফস্টাইল আউটফিট। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, স্যুট ব্লেজার জুতা ইত্যাদি। রয়েছে মেয়েদের শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি পিস, টপস, অর্নামেন্টস, জুতা ইত্যাদি। ব্রাইডাল কালেকশনে রয়েছে শেরওয়ানি ও লেহেঙ্গা ইত্যাদি। মেয়ে বা ছেলেদের পোশাকের লাক্সারি কালেকশন রয়েছে এখানে।
২১। ওয়েস্টার্ন ড্রেস গ্যালারীঃ ওয়েস্টার্ন ড্রেস গ্যালারী তরুণদের জন্য একটি দুর্দান্ত নৈমিত্তিক পোশাক। ওয়েস্টার্ন ড্রেস গ্যালারী কয়েক বছরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের একটি শীর্ষ টেক্সটাইল ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়। তাদের পোশাক প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। এবং এই সেট কিশোরদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা হয়ে ওঠে। তারা সকল বয়সের গোষ্ঠী, অনুষ্ঠান এবং শৈলী জুড়ে গ্রাহকদের জন্য বৈচিত্র্যময় পণ্য এবং বৈচিত্র্য তৈরি করার লক্ষ্য রাখে।
২২। ভায়োলেটাঃ ভায়োলেট একটি জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড। এটি বাংলাদেশের কাপড়ের জগতে এক বিশ্বয়কর নাম। কোন প্রকার স্টাইলিস্ট পোষাক মানেই ভায়োলেট। ভায়োলেট এক ছাদের নিচে পাচ্ছেন ছেলে ও মেয়েদের সম্পূর্ণ লাইফস্টাইল আউটফিট। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, স্যুট ব্লেজার জুতা ইত্যাদি। রয়েছে মেয়েদের শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি পিস, টপস, অর্নামেন্টস, জুতা ইত্যাদি। ব্রাইডাল কালেকশনে রয়েছে শেরওয়ানি ও লেহেঙ্গা ইত্যাদি। মেয়ে বা ছেলেদের পোশাকের লাক্সারি কালেকশন রয়েছে এখানে।
২৩। ক্যাটস আইঃ ক্যাটস আই বাংলাদেশর জনপ্রিয় ক্লদিং ব্যান্ড। ক্যাটস আই এর পন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। এই পোষাক সাধারণত সেলিব্রেটিরা বেশি ক্রয় করে থাকে। বাংলাদশের ঢাকার মধ্যে এদের বেশি শাখা রয়েছে।
২৪। EASY: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে ইজি (Easy)। এবারে ২০২৫ এ রোজার ঈদে ও কুরবানির ঈদেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ছেলেদের জন্য থাকছে নতুন ধরণের ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, ফরমাল শার্ট, টুইল, ডেনিম প্যান্ট এবং পাঞ্জাবি। টি-শার্টগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য আধুনিক প্রিন্ট ও টুইল, আর ডেনিম প্যান্টগুলো ফিট ও ওয়াশ শেড দেওয়া। পাঞ্জাবির কাপড়ে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নতমানের কটন সিল্ক ও হ্যান্ডলুম সিল্ক।
২৫। TENDS: একবিংশ শতকের দেশ সেরা পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ট্রেন্ড্জ একটি। ব্যাবিলন গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালের ১৪ অক্টোবর। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি তরুণের আধুনিক ফ্যাশন নিশ্চিত করে ট্রেন্ড্জ।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com