রাজশাহী ট্রেন টিক্রিট চোরা কারবারির মূল হোতা মোঃ বাচ্চু

ট্রেন টিক্রিট চোরা-কারবারির দিন দিন বেড়েই চলছে। ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় শহরেও কম নয়। যাত্রার ৪ - ৬ দিন আগে থেকেই  রাজশাহী টিক্রিট কাউন্টার বা অনলাইনে কোন টিকিট পাওয়া যায় না। সব চলে যায় কালো বাজারি / চোরা কারবারি দের হাতে। রাজশাহীর সবচে বড় টিকিট কালো বাজারির নাম হচ্ছে বাচ্চু তিনি পেষায় একজন টিকিট ব্লাকার ও কালো বাজারি সব ধরনের নিষিদ্ধ কাজ করে থাকেন এই বাচ্চু তিনি এই সব অপকর্মের জন্য কত বার যে ধরা খেয়ে জেল হাজতে গেছেন তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। এলাকায় সবাই  এক নামে চিনে বাচ্চু চিটার।

ব্লাকার বাচ্চুর ভাষ্য মতে আমি টিকিট আনি ট্রেনের কর্ম কর্তাদের নিকট থেকে। আমাকে বেশি টাকাদিয়ে আনাতে হয় । আপনি ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে বললেও আমি টিকিট এর ব্যবস্থা করে দিতে পারব। তবে তিনি অগ্রিম টাকা নিয়ে থাকেন এবং তার কথা খুব মিষ্ট , কথায় আছে দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা। 

রাজশাহীর টিকিট ব্লাকার বাচ্চু সাধারন মানুষের ধোকা দেয়ার জন্য একটি ভিআইপি সিম যাহা ০১৭১১ সিরিজের তিনি সেটা ব্যবহার করে। যাহাতে সবাই সহজেই বিশ্বাস করে। তবে বাচ্চুর নাম্বার আমি দিয়ে দিচ্ছি কেও প্রতারিত হবেন না। প্রতারক বাচ্চুর নাম্বার হলো ০১৭১১১৪১১৫৪ এই নাম্বার তার মুল হাতিয়ার বাচ্চুর এই নাম্বারে বিকাশ , রকেট, নগদ সকল একাইন্টই খোলা । 

তবে এই কালোবাজারি বাচ্চুর নামে হাজার হাজার অভিযোগ আছে তার নামে যে আগে টাকা নিয়ে টিকিট দেয় না আবার টাকাও ফেরত দেয় না। একই টিকিট দুইজনের কাছে কখুনও ৩ জনের কাছেও বিক্রয় করে থাকে। তবে ঈদ ও প্রতি বৃহস্পতি বার ও শনিবার তাদের চাহিদা বেশি থাকে। আর সাধারন মানুষ প্রতারিত হচ্ছে এই কালোবাজারিদের হাতে। সহজ সরল ও অসহায় মানুষ জনের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ভুল টিকিট দিয়ে প্রতারনা করছেন। 

সবাই সতর্ক থাকবেন কারও জরুরী ট্রেন টিকিটের প্রয়োজন হলে আপনি কাওকে টাকা অগ্রিম দিবেন না আর অনলাইন প্রিন্ট কপি দিলে কাউন্টারে গিয়ে মুল টিকিট প্রিন্ট না করাগেলে টাকা দিবেন না।