ঠকে যাওয়া । সত্যি ঘটনা অবলম্বে
স্বামীর ফোনের দিকে উকি দিতেই দেখলাম সে এক উল*ঙ্গ মহিলার সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে। কথা বলছে বললে ভুল হবে। আমি সামনে থাকায় শুধু দুই জন দুই জনকে দেখছে। এটা দেখে আমি আকাশ থেকে পড়লাম আর ভাবলাম আমি কি ঠকে গেলাম।
আমি ফোনটা টান মেরে নিতেই উপাস থেকে কলটা কেটে গেলো। আমার স্বামীর পরকিয়া নিয়ে সন্দেহ আমার মনে গেথেছিলো বিয়ের এক বছর পরেই। কিন্তু তখন বাচ্চাটা পেটে ৫ মাস। তাই মুখ বুজে সব মেনে নিলাম। সবাই বললো একবার একটা মেয়ে ছেলে হয়ে ঠিক হয়ে জাবে। কিন্তু আমার মেয়ের বয়স আজ দুই বছর তবে সে ঠিক হয় নি। সামনে ঈদ।
তাই ঢাকা এসেছি। একসাথে ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরবো। ও সকাল ৫ টা বাজে কাজে জায় আর ফেরে রাত এক টায়। এতো দেরী কেনো জিগ্যেস করলে বলে ঈদ সামনে তাই কাজ বেশি। কিন্তু আমি বুঝি না ঈদের সময় রডের মিলে কীসের এতো চাপ? রড দিয়েও কী আজকাল মানুষ জামা কাপড় বানায়?
চরিত্রহীনের মতো এমন কুকর্ম করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে বউয়ের কাছে
এর জন্য তার বিন্দু পরিমাণ লজ্জা হচ্ছে না।
উল্টো আমাকে আবোলতাবোল বোঝাতে আসতেছে।
ওর কোনো কথা না শুনে ঠাস করে মারলাম একটা।
মেয়েটার জন্য সব সহ্য করছি। অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি হাতে নাতে ধরার কিন্তু সুযোগ হচ্ছে না।
ও ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
আমি ওর ফোন থেকে ওই মহিলার ইমো নাম্বার টা নিয়ে রাতে ফোন করলাম।
মহিলা ফোন ধরে আমার কন্ঠ শুনেই চিনে ফেলেছে।
টপ করে ফোনটা কেটে দিলো।
আজকে ওর দিনে ডিউটি। সব কাজ গুছিয়ে রেখেছি।
বাড়ি থেকে ছোট বোন কে নিয়ে এসেছিলাম ওর কাছে মেয়ের সব খাবার গুছিয়ে দিয়েছী সারাদিনের।
ও মাত্র কাজের জন্য বের হলো।
পাশের ঘর থেকে একটা বোরকা ধার করে পরে নিলাম যাতে চিনতে না পারে।
পিছু নেওয়া শুরু করলাম। এই বাসা থেকে অফিস বেশি দূরে না। একটা টিনের বাসা।
এখানে সবাই বলেছে আমাকে আমি এখানে এইজন্য ও বাসায় আসে আগে নাকি আসতোও না।
ওকে পিছু নিতে নিতে জাচ্ছি। অফিসে না ঢুকে অফিসের বা দিকের গলিতে ঢুকলো।
আমিও গেলাম। সামনে এগিয়ে ডান পাশের একটা সাত তলা বাড়িতে ঢুকলো।
আমি একটু পর ঢুকলাম। ও এক তলা করে উটছে আমি পরের তলায় আছি এমন ভাবে জাচ্ছি।
পাচ তলায় গিয়ে থেমে গেলো। চারটা ফ্ল্যাটের মধ্যে B ফ্ল্যাট টায় ঢুকলো।
আমি সেখানে দারিয়েই ছোট বোনকে ফোন করে আসতে বললাম।
এখানে থানা ওর অফিসের সাথেই তাই ছোট বোন আসার পর এখানে দার করিয়ে
আমি থানা থেকে পুলিশ আনলাম। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলো।
ভিতরে ঢুকতেই আমি ওর কলার ধরে মারতে লাগলাম।
আর পাশের মহিলা টা নিজের ইজ্জত বাচাতে ব্যাস্ত।
ফ্ল্যাটের চিল্লাপাল্লা শুনে অন্যান্য ফ্ল্যাটের মানুষও চলে এসেছে।
সবাই এসে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ একজন বলে উঠলো।
-ওনাদের এভাবে ধরেছেন কেনো? ওনারা তো স্বামী স্ত্রী। দুই জনেই মানুষ খুব ভালো।
১৫ বছর ধরে এখানে আছে। নিজেদের ফ্ল্যাট তাদের। দুই জন ছেলেও আছে।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে। মনে হচ্ছে আমি ঠকে গেলাম।
পুলিশ চলে গেলো এখান থেকে। আমি চুপ করে বসে আছি।
ও যে সাইকো এটা ওর কথায় বুঝতে পারলাম। গ্রামের খুব ভদ্র ভালো ছেলে ও।
ঢাকায় লুকিয়ে বিয়ে করেছে এটা গ্রামে বলে সবার কাছে খারাপ হতে চায়নি ও।
এদিকে আমার শাশুড়ি ওর বিয়ের জন্য আমাকে দেখেছে।
তাই সব মিলিয়ে বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে।
আমি ওর মেয়ে ওকে বুঝিয়ে চলে আসলাম।
কিছু বলার নিয়ে ওর মতো এমন অনেক ভালো মানুষ আছে সমাজে।
তবে আড়ালে তারা ভয়ংকর....।
<>সমাপ্ত<>
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com