Breaking News

আল্লাহ তায়ালা কখন আকাশ পৃথিবী সৃষ্টি করলেন



আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কখন আকাশ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তার কোন সঠিক সময়ের কথা আমাদের জানা নাই, তবে কুরআন মাজিদে বলা হয়েছে-

أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا آنَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَارَ تَقًا فَتَقْنَهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلِّ شَيْءٍ حَيْ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ

অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর মুখবন্ধ ছিল, 
অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। 
এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (আম্বিয়া, আয়াত : ৩০)

আকাশ ও পৃথিবী যখন বন্ধ ছিল তখন চাঁদ, সূর্য্য, গ্রহ-নক্ষত্র উদয় হতনা অস্ত যেতনা বায়ু প্রবাহিত হতনা 
আকাশে মেঘ দেখা যেতনা বৃষ্টি হতনা নদীতে স্রোত ছিলনা পৃথিবীতে কোন কোলাহল ছিলনা। 
স্কুল বন্ধ থাকলে যেমন ঘন্টা বাজেনা ছাত্র আসেনা শিক্ষক আসেনা তেমনি আকাশ ও পৃথিবী বন্ধছিল।

পরে কখন যে আল্লাহ তায়ালা তা খুলে দিয়েছেন এবং পৃথিবীর আবর্তন বিবর্তন শুরু হয়েছে তাও আমাদের অজানা। 
পৃথিবীতে প্রাণীর অস্তিত্ব কখন, কেমন করে, কিভাবে এসেছে তাও আমাদের জানা নেই। 
তবে নাস্তিক বিজ্ঞানীরা আকাশ পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তাতে জীবের অস্তিত্বের ব্যাপারে যা বলেছেন তা 
যুক্তিতে টিকেনা আর যা যুক্তিতে টিকেনা তাকে বিজ্ঞান বলা যায়না। 
নাস্তিক বিজ্ঞানীরা সৃষ্টির সূচনায় একটি বস্তুকে ধরে নিচ্ছে যা ধরে নেয়ার পক্ষে কোন যুক্তি নেই 
আর তা হচ্ছে বড় একটি বিস্ফোরণ (Big Bang)। বিজ্ঞানীরা মনে করেন মহাকাশে ভাসমান গ্রহ নক্ষত্রগুলির সংখ্যা 
সমুদ্র চরের বালুর সংখ্যার চেয়েও বেশী এবং তারা মহাকাশে নির্ধারিত দূরত্বে অবস্থান করে, 
নিজ নিজ কক্ষে চলাফেরা করে, তাদের দুরত্ব একটি থেকে অপরটির মধ্যে কমপক্ষে
ছয়ের পিঠে বার শূন্য মাইল, (৬০০০০০০০০০০০০) মহাকাশে এই দুরত্ব বজায় রেখেই গ্রহ নক্ষত্রগুলো আপন আপন কক্ষপথে ঘুরছিল। 
ঘটনাক্রমে কোটিকোটি বছরের আবর্তনের ফলে হঠাৎ কোন একসময় একটি নক্ষত্র সূর্যের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করছিল।
 তাতে সূর্য্যের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়ে পাহাড়ের মত ঢেউ সৃষ্টি হয়েছিল। 

সেই ঢেউ-এর চুড়া বিস্ফোরিত হল এতে নয়টি খন্ডে বিভক্ত হয়ে সূর্য্যের চতুর্দিক ছড়িয়ে পরে 
এবং সূর্য্যকে কেন্দ্রকরে ঘুরতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে জীবকোষ ধারণের উপযোগী হয়। 
জীব কোষ সৃষ্টি হওয়ার জন্য চারটি পদার্থের প্রয়োজন ছিল। হাইড্রোজেন,
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বনডাই অক্সাইড। এই চারটি পদার্থ একত্রিত হয়ে জীবকোষ সৃষ্টি করেছে। 
চারটি পদার্থ একত্রিত হল কি করে? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের ধারণা এই যে, উল্লেখিত পদার্থগুলি স্বাভাবিক নিয়মেই 
পৃথিবীতে বিরাজ করছিল, কালক্রমে সেগুলি একত্রিত হয়ে একটি জীবকোষ সৃষ্টি হয়েছে। 
তা থেকেই পর্যায়ক্রমে নিম্নমানের প্রাণী, তারপর বিবর্তনের মাধ্যমে উন্নতমানের প্রাণী তারপর মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। 
তাদের এই ধারণার পক্ষে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, 
পঞ্চাশটি বানরকে যদি পঞ্চাশটি টাইপরাইটারের সামনে বসিয়ে দেয়া হয় 
এবং বানরগুলি যদি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে টাইপ রাইটারের অক্ষরগুলি টিপতে থাকে এবং 
প্রয়োজনীয় কাগজ সরবরাহ হয় তবে লক্ষ লক্ষ বছরের কাগজগুলি পরীক্ষা করলে হয়তবা দেখা যাবে যে, 
কোথাও সেক্সপিয়ারের সনেট লেখা হয়ে গেছে।

কাজেই এটা যদি সম্ভব হয় তবে হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড আকস্মিকভাবে 
একত্রিত হয়ে একটি জীবকোষ সৃষ্টি করতে পারে। এ সম্ভাবনা স্বীকার করে নেয়া যেতে পারে। 
এখন প্রশ্ন উঠে যে, উল্লেখিত চারটি পদার্থ যদি আকস্মিকভাবে একত্রিত হয়ে একটি জীবকোষ সৃষ্টি করতে পারে 
তা হলে একজন রাসায়নবিদ যিনি ঐ পদার্থগুলি পরীক্ষাগারে সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন 
তিনি ঐ চারটি পদার্থ একত্রিত করে কেন একটি জীবকোষ সৃষ্টি করতে পারেন না? 
নাস্তিক বিজ্ঞানীরা এর জবাব দিতে ব্যর্থ। আস্তিক বা ধর্মবিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা বলছেন,
উল্লেখিত চারটি পদার্থদ্বারা জীবকোষ সৃষ্টি হতে পারে না বরং জীবকোষ সৃষ্টি হওয়ার জন্য 
আরও একটি বিষয় যোগ হওয়া প্রয়োজন যার নাম হচ্ছে Vitalforce (মৌলিক শক্তি বা অপরিহার্য শক্তি)। 
আর এই মৌলিক শক্তির যথাযথ নাম হচ্ছে মহান “আল্লাহ” সুবহানাহু অতায়ালা।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com