পরী যখন বউ । পর্ব - ০৬
আকাশ,পরেরদিন সকালে সে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সাজ্জাদ সহ ঐ লোকাটার কাছে যায়,আর ফোনে তোলা ছবি গুলা দেখায়,
লোকটা,ফোনের ছবি গুলো দেখে মাথায় হাত দিয়ে ফেলে,আকাশ ভাই আপনি তো শেষ...!
আকাশ,মানে কি...?
লোকটা,কারন আপনার ওয়াইফ তার হারানো শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আবার ধ্যান করতেছে,
আকাশ,কিহহহ,আকাশ তো অবাক
লোকটা,অবাক হওয়ার মত কথা তো এখনো কিছু বলি নাই....!
আকাশ ভাই এই যে যেই বইয়ের ছবি গুলো দেখালেন...?
এটা হচ্ছে শুধু বই না এটা আপনার জীবন...!
কারন এতে পরিষ্কার লিখা আছে,বারো বছর উপাসনা করলে একশত সাবলীল পুরুষের সমান শক্তি হাসিল করবে...!
আর তার জন্য বারো বছর মানে একযুগ প্রতি বছরের আমাবস্যার রাতে একজন করে পরুষ বলি দিতে হবে,তাহলেই সে এই মহান শক্তির অধিকারী হবে....!
লোকটা আরো বলে এবার আমি বুঝে গেছি ঐ পরীর মাখসাদ টা কি,সে আপনাকেও বলি দিবে,আর আমার যতটুকু ধারনা এটাই তার
শেষ বলি...!
পাঠক রা এবার বুঝছেন তো বলির পাঠা কি...?
কারন বইয়ের পাতায় কিছুটা নকশা আকা যেটাতে এগারোটা গনক পূরণ করা, বাকি খালি একটা.....!
আকাশের, তো মনে হয় পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে...!
আমি এখন কি করবো...?
আমি তো ওকে অন্ধের মত ভালোবাসি...?
লোকটা,এটা আটকানোর কোন পথ নাই,কারন আমাবস্যার রাতে সমস্ত অশরীর শক্তি দিগুন হয়ে যায়...!
তবে যদি আপনি উনাকে ভালোবাসা দিয়ে কাবু করতে পারেন তাহলেই আটকানো সম্ভব,না হয় আপনি শেষ পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নাই যে আপনাকে এর হাত রেখে রক্ষা করতে পারবে....!
আকাশ,ওকে আমি ওকে ভালোবাসা দিয়েই কাবু করবো....!
তারপর সাজ্জাদকে নিয়ে চলে আসে,আজকে আর অফিসে যায় না,কারন মন মেজাজ একদম ভালো নাই,ভালোবাসতে গিয়ে নিজের জীবনের ক্ষতি করলো সে,
বাসায় গিয়ে দেখে মাবশূরাহ বসে বসে আম্মুর সাথে গল্প করতেছে,আকাশ সোজা নিজের রুমে চলে যায়,কারোর সাথে কোন কথা বলে না...!
মাবশূরাহ, কিরে আজ আবার আকাশের কি হলো কাল তো ভালোই ছিলো,আবার আজকে এই অসময়ে অফিস না করে বাসায় চলে আসছে কারন কি,আকাশ কি কিছু যেনে গেলো না তো,
নাহ উপরে গিয়ে দেখি,
আকাশ,রুমে মন মরা হয়ে বসে আছে,নাহ ভালোবেসে যখন ভুল করেছি তাহলে ভুল দিয়েই ওকে শুদ্ধ করবো,না হয় নিজের জীবন দিয়ে.....!
মাবশূরাহ, এই আকাশ কি হয়েছে তোমার...?
আজ এমন অসময়ে বাড়িতে যে...?
আকাশ,ভালো লাগছে না তাই চলে এসেছি ছুটি নিয়ে...!
মাবশূরাহ,কি হয়েছে তোমার,দেখি আমার বাবুটার চোখ মুখ এত কালো করে রেখেছে কেন....?
আকাশ,মনে মনে কেন করো এমন মিথ্যে অাদিক্ষেতা, উপরে সমাদর করে লাভ কি,যদি ভিতর টাই নষ্ট হয়...!
আচ্ছা মাবশূরাহ আমি কি দেখতে খারাপ..?
আমি কি কারোর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না..?
মাবশূরাহ, কি বলতেছো তুমি এই সব হা,তুমি দেখতে খারাপ কেন হবে,
তোমার মত কিউট এই জগতে আর একটাও নাই,
আর কে বলেছে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না হা....!
আকাশ,একটু আমার কাছে আসো...?
মাবশূরাহ, আকাশের কাছে গিয়ে বসে,
আকাশ,তারপর মাবশূরাহ এর থুতনিতে হাত দিয়ে মাবশূরাহ এর ঠোঁটে চোখের পাপড়ি তে ভালোবাসার পরশ একে দেয়,
আকাশের চোখ বেয়ে অঝড়ে পানি ঝড়ে পড়তেছে,কারন সবটাই মিথ্যা, সে এক মিথ্যের ভ্রমরী নিয়ে সংসার করছে,
মাবশূরাহ, তো অবাক,কি হয়েছে এই আকাশের আবার এমন পাগলের মত কেন করছে,এই কলিজা এমন কেন করতেছো,আর কান্না কেন করতেছো...?
আকাশ,মাবশূবাহ প্লিজ আজকে কোন প্রশ্নে করো না,আজকে তোমার মধ্যে ডুবে যেতে দাও,
মাবশূরাহ,
আকাশ,মাবশূরাহ তোমায় জড়িয়ে ধরতে দিবে আমায়...?
মাবশূরাহ, দিবো তো কলিজা,তুমি না ধরলে আমায় কে জড়িয়ে ধরবে...?
আকাশ,মাবশূরাহ কে অনেকটা সময় ধরে জড়িয়ে ধরে থাকে,
মাবশূরাহ এর ও কেন জানি খুব ভালো লাগছে,
আকাশ, মাবশূরাহ কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে,নাহ আর নাহ, কান্না করবো না,এবার তোমাকে সত্যি আমি ভালোবাসা উপলব্ধি করাবো,আকাশ হুট করে মাবশূরাহকে ছেড়ে দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়,
মাবশূরাহ, তো থথথথ কি হইতেছে এই সব....!
আকাশ,সারাদিন আর ঘরে আসে না,বেশ রাত করে বাসায় ফিরে,
মাবশূরাহ ঘুমে ছিলো,তাই সেও এসে ঘুমিয়ে পড়ে,সকালে উঠে অফিসে চলে যায়,মাবশূরাহ ঘুমে তখনো...!
এভাবে আরো কিছু দিন যায়...!
আকাশ,একদম মন মরা হয়ে গেছে,কারো সাথে কোন কথা বলে না,বিশেষ করে তো মাবশূরাহ এর সাথে একদম এই না,
কেমন একটা যেন পাগলের মত হয়ে গেছে,রাতের বেলায় মাবশূরাহ ঘুমিয়ে গেলে বাসায় আসে,আবার সকালে মাবশূরাহ ঘুম থেকে উঠার আগে চলে যায়,
মাবশূরাহ,কিরে আকাশের কি হয়েছে,কিছুই তো বুঝে আসছে না,মাবশূরাহ কিছু একটা লক্ষ করে,আকাশ কেমন যেন হয়ে গেছে,
ও কি আমাকে উপলব্ধি করতে পারে না,না ওর অন্য কোথাও চক্কর চলছে,আগের মত তেমন কথা বাত্রা বলে না,
কেমন ধরনের যেন এক রোখা হয়ে গেছে,পাগল পাগল লাগে দেখতে ওকে,
না অন্য কারোর সাথে রিলেশন আছে,তাই আমার সাথে ভালো করে কথা বলে না,
নাহ এটা হতে পারে না,আমার স্বামীর ভাগ আমি কাউকে দিবো না,
ও খালি আমাকেই ভালোবাসবে,ওর উপরে শুধু আমার অধিকার আছে,আর কারোর নাই,
মাবশূরাহ ও আকাশকে ভালোবেসে ফেলেছে,কিন্তু সে নিজেও জানে না, এটা কেমন ভালোবাসা,কারন সামনে আমাবস্যা চলে আসতেছে,আকাশকে বলি দিতে হবে...!
অন্যদিকে আকাশ বেশ রাত করে বাসায় আসে,
আর আজকে মাবশূরাহ তার নিজের শক্তি ফিরে পেয়েছে,
আকাশ,রাতে বাসায় এসে দেখে মাবশূরাহ অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে আছে,আকাশ মাবশূরাহ কে ডাক দেয়,মাবশূরাহ এই মাবশূরাহ তুমি কি ঘুমিয়ে গেছো...?
আজ অনেকদিন পর আকাশ মাবশূরাহ এর সাথে নিজ থেকে কথা বলেছে,
মাবশূরাহ,না বলে যখন এই দিকে ফিরে,
আকাশ,বিকট আওয়াজে একটা চিৎকার মারে মাবশূরাহ কে দেখে,
কারন মাবশূরাহ
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com