Breaking News

ম্যাম সাহেব । পর্ব - ০১



আমি সকালে আরাম‌ করে শুইয়ে আছি।কিন্তু আমার ঘুমটা কিছু ভালো মানুষের সহ্য হলো না।সকালে আমার বোন দিয়া মাইকিং করতে লাগলো।

দিয়াঃ এয়য়য়য়য় ভাইয়া ওঠ তারাতারি ওঠ।আজকে আনু আন্টিরা সবাই বিদেশ থেকে আসবে আনতে যাবি না?আমিঃ ধুরররররর সকালে বিরক্ত করিস না।আমি এখন উঠতে পারবো না যাতো আমার সামনে থেকে।পারলে তুই গিয়ে নিয়ে আয়।

দিয়াঃ তুইই যাবি না তাই তো?
আমিঃ হ্যা যাবো না এবার যাতো ,শান্তিতে ঘুমাতে দে।যত্তসব।
দিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে।আব্বুকে গিয়ে বলছি যে তুই আসতে পারবি না।তোর খুব ঘুম পাচ্ছে।আব্বু তোকে ডেকে পাঠাইছে।
কথাটা শোনার সাথে সাথে একলাফ দিয়ে উঠে পড়লাম।কারন আব্বুর কথা অমান্য করার সাহস এই আরফানের এর নেই।সোজা উঠে ফ্রেশ হয়ে ৩মিনিটের মধ্যে আব্বুর সামনে হাজির।
আমিঃ ডেকেছেন আব্বু?
আব্বুঃ যদি বিজি না থাকো তাহলে একটু ইয়ারপোটে গিয়ে অনুদের নিয়ে আসবে?আজকে ওরা সবাই আসছে।
আমিঃ জি জি আমি এখুনি যাচ্ছি।
আমি আর একমুহূত দেরি না করে সোজা বেরিয়ে পরলাম।
কারন আব্বুর সামনে থাকলে আমার হাটু কাপে,সেই ছোট্ট বেলা থেকে।আমি আব্বুর দিকে তাকাতে ভয় পায়।আর ভয়ে আব্বুর কাছে কোনোদিন কোনো কিছু আবদার করিনি।কিন্তু মজার বিষয় হলো চাওয়ার আগে সবকিছু পেয়ে যাই।এটা একটা সুভাগ্য।(বিঃদ্রঃ এটা কিন্তু সত্য।আমি আব্বুর সামনে গেলে এয় অবস্থা হয়।আর চাওয়ার আগে পেয়ে যাই।)

আমি সোজা গাড়ি করে ইয়ারপোটে যেতে লাগলাম।আজ প্রায় ১৩ বছর পর অনু আন্টিরা আসছে।
তেরো বছর আগে আন্টিরা তাদের জীবনের মান উন্নয়ন করার লগে বিদেশ গিয়েছিলো।
আর সাথে নিয়েগিয়েছিলো আমার খেলার সাথি,আমার বাল্য কালের বেস্ট ফ্রেন্ড ঐশীকে।
যাওয়ার পর একটা ঝামেলায় তাদের সাথে যোগাযোগ ছিলো না।
তবুও রক্তের টানে ঝামেলা দূর হয়ে আবার নতুন করে ভালোবাসার বিজ থেকে ফসল ফলেছে।
জানিনা ঐশী কেমন হয়েছে।তবে শুনেছি ঐশীর নাকি অনেক পরিবর্তন এসেছে।
আর আসবেইনা বা কেন?

যাগয়ার সাথে সময়ের পরিবর্তন সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে গিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলছে।
তবে ছোট বেলাতে দুইদেহ একআত্তা ছিলো।আর এখন ১৩টা বছর কথা হয়না।দেখাও হয়না।
যাকগে।আন্টিদের তো রিসিভ করে বাসায় নিয়ে যাই।

আর আব্বু আমাকেই পাঠালো।বাসায় তো সবাই আছে।আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি।মা, বাবা ,দাদি ,দাদা ,কাকু, কাকিমা, চাচাতো বোন নিজের বোন

সবাইকে নিয়ে একটা সুখি পরিবার।আর আগে ছিলো অনু আন্টি জামাইবাবু আর ঐশী।
কিন্তু তারাতো চলে যাই ,আবার আসছে।
আমি ইয়ারপোটে পৌঁছে গেছি।দেখি আব্বু ফোন দিছে।
আমিঃ হ্যা আব্বু !
আব্বুঃ পৌঁছে গেছি বাবু।
আমিঃ হ্যা পৌছে গেছি,এখুনি নামলাম।
আব্বুঃ শোনো একটা সমস্যার জন্য তোমার অনু আন্টি আর আঙ্কেল আসতে পারছে না।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি বাসায় আসছি।
আব্বুঃ সম্পুর্ন কথাটা শোনো।
আমিঃ জি বলুন।
আব্বুঃ কিন্তু ঐশী আসছে।১২টার সময় পৌছাবে।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,কিন্তু আব্বু,
আব্বুঃ কি হয়েছে বাবু।
আমিঃ আসলে আব্বু আমি তো ঐশীকে চিনতে পারবো না।তো কিসে কি ...মানে!কিভাবে বুজবো ।
আব্বুঃ দিয়া তোমার ছবি ঐশীর কাছে দিয়েছে।আর তোমার ঐশীর ফটো তোমার কাছে ইমেইল করেছে।দেখে নাও।
আমিঃ আচ্ছা।

আমি ডাটা অন করতেই ফোনাটা সুইসাইড করছে।চার্জ নেই বন্ধ হয়ে গেছে।ধুরররর এখন কি হবে। আমি চুপচাপ বসে বসে আঙুল চুষতে লাগলাম।কি আর করবো।আসলাম আন্টিদের নিতে কিন্তু তারা আসছে না।এখন ঐশীকে কোথায় খুজবো আহা কি শীত ।১২টা বেজে গেছে।তারমানে ঐশী পৌছে গেছে।ওযদি আমাকে চেনে তাহলে ভালো না হলে আল্লাহ ভরসা।
৫টাকা দিয়ে একটা ললিপপ কিনে বসে বসে চুসতেছি।তখন পেছন থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠে বললো।
এয় ছেলে তোমাকে কি পাঠিয়েছে অনুমিতাকে রিসিভ করতে?
আমিঃ জি ম্যে‌ম সাহেব।

তারমানে এয় হলো ঐশী।বাবারে বাবা এতো ডানাকাটা পরী।একদম ফিদা হয়ে যাওয়ার মতো।পোষাকটা আধুনিক তবে শালীনতা বজায় রেখে পড়েছে।
হোকগে আমার মারিয়াও সুন্দর।
ঐশীঃ চলো আর এয় ব্যাগগুলো গাড়িতে তোলো।
আরে এগুলো তো ওই তুলতে পারতো কিন্তু আমায় দিয়ে তুলিয়ে নিলো।আর নেবেই তো তারা এখন বড়লোক।আর বিদেশ থেকে আসছে ম্যেম সাহেব।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
ঐশীঃ এয় আমাকে তুমি চিনতে পারবে না।আমি চলে আসার পর তুমি ওই বাড়িতে কাজ করো!তা কয়বছর ধরে কাজ করছি আঙ্কেলের বাসায়।
কিহ আমি কাজের লোক।আমি ওই বাসায় কাজ করি।বুজেছি হারামী দিয়াটা এটা বলেছে।যে আমি ওই বাসায় কাজ করি।দিয়ার ব্যাবস্থা বাসায় গিয়ে নেবো।
আচ্ছা ঐশী তো এখন ম্যেম সাহেব।তো আমাদের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে তো?
ঐশীঃ তো তোমার মাইনে কত করে দেয়।মামারা।
আমিঃ আর মেম সাহেব ১২ হাজার টেয়া।
ঐশীঃ ওওও সব কাজ করো নাকি তুমি।
আমিঃ হ ম্যেমসাহেব।

আমার গালের ললিপপ তখনও আছে।
ঐশীঃ এয় তুমিও ললিপপ খাও নাকি?
আমিঃ আজ্ঞে মাঝে মাঝে খাই আর কি।
ঐশীঃ আর একজনও প্রচুর ললিপপ খায়।যানিনা এখন আর খায়কি।সে যে কেমন হয়েছে।
ঐশী আমার দিকে তাকিয়ে আছে।হয়তো চিনতে পারছে না মনে করার চেষ্টা করছে। আমি ওর সাথে গল্প করতে করতে বাসায় চলে আসলাম।
ঐশী আজ অনেক বছর পর আসছে।সাবই ঐশীকে স্বাগতম জানাচ্ছে।আজ ১৩বছর পর আসছে।হাসি আবেগ কান্না সবকিছু মিলিয়ে একটা নতুন সময়ে আহ্বান জানানো হলো ঐশীকে।
একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো।যাদের ঐশী দেখেনি।এয় তেরো বছরের অনেক নতুন মুখ আসছে সংসারে।
আমি তো দিয়াকে খুজতেছি।হারামীটা আমাকে কাজের লোক বানিয়ে দিলো।
ওইতো শয়তানটা দারিয়ে দারিয়ে চকলেট খাচ্ছে।আমি পেছন থেকে গিয়ে দিয়ার চুলের বিনুনি টেনে ধরলাম।
দিয়াঃ আউচচচচ।

আমিঃ হারামী আমি তোদের বাসায় কামলা দিই।সেই ছোট থেকে তাইনা?
দিয়াঃ তুই তো কাজের লোক।সেইই ছোট বেলায় তোকে মেলায় কুড়িয়ে পায়।তোকে আব্বু এনে মানুষ করে।
আমিঃ ওমা তাই নাকি।তা আব্বুর সাথে তুইও গিয়েছিলি নাকি?
দিয়াঃ গিয়েছিলাম তো আমিই তো তোকে প্রথম দেখতে পায়।
আমিঃ মেরে পেছন গরম করে দেবো।তুই আমাকে আনতে গিয়েছিলি।আর আমায় মেলায় কুরিয়ে পায়।আমি কাজের লোক?
দিয়াঃ হি হি হি হি হি হি ।
দিয়া আমার কান টেনে দিয়ে দৌর দিলো।শয়তান একটা আমিও কিছু বলতে পারি না।বললেই আব্বুর সাথে. বলে দেয়।কি যন্ত্রণা।সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে যাইই।
দিয়া ঐশীর ওখানে গিয়ে ওর জিনিসপত্র গুলি নিয়ে,ঐশীর রুমে নিয়ে গেলো।

ঐশী ওর রুমে যাওয়ার সময় এদিক সেদিক দেখতে লাগলো।হয়তো কাউকে খুজতেছে।
ঐশী রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে বসে কথা বলছে।কথা যেন শেষই হচ্ছে না।কিন্তু কেউ বিদেশ থেকে আসলে তার অনেক পরিবর্তন হয়।সেদিক থেকে ঐশীর কোনো পরিবর্তন নেই । ঐশী সবার সাথে বসে গল্প করলেও ও বারবার এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছে।মনেহয় কাউকে খুজতেছে ।আমি আর ওদের সামনে যাইনি।আমি বারান্দার অন্য পাশে বসে মারিয়ার সাথে চ্যাটিং করছি,আর ললিপপ খাচ্ছি।
তখন ঐশী আমার পেছনে এসে।
ঐশীঃ এই ছেলে।আমার একটা হেল্প করে দেবে।বকশিশ দেবো।
আমিঃ কি হেল্প বলুন।
ঐশীঃ এয় বাসায় ছেলে আরফান ও তো শহরে গেছে আমাকে একটু নিয়ে যাবে?
কিহ্হহহ্ আমি শহরে গেছি।
আমিঃ কে বলেছে ও শহরে গেছে?
ঐশীঃ দিয়া।
দিয়াআআআআআআ।কি আর বলবো ।
আমিঃ না মানে হ্যাঁ শহরে গেছে।
ঐশীঃ আমাকে নিয়ে চলো ওরে সারপ্রাইজ দেবো।
আমিঃ আসলে না মানে।

ঐশীঃ চলো আমি তোমাকে আলাদা টাকা দেবো।আমি তো চিনি না।
কি করবো এখন।আমি ওর সামনে দারিয়ে আছি আর ওই আমাকে খুজতেছে।
তখন ছোট কাকুর ছেলে টিটু এসে বললো
টিটুঃ আরফান ভাইয়া, আযফান ভাইয়া।বড়আম্মু তোমাকে ডাকছে।
ঐশীঃ আরফান মানে?
আমিঃ তুই যাহ আমি আসছি।
ঐশীঃ এয় টিটু এয় ছেলেটা কে?
টিটুঃ আরফান ভাইয়া।
বলেই দৌর চলে গেল।ঐশী আমার দিকে কিছুটা রেগে আর কিছুটা অন্য ভাবে তাকালো।
ঐশীঃ তুইইইই আরফান?
আমিঃ হুমমমম,কেন কোনো সমস্যা বুজি ম্যাম?
ঐশীঃ হি হি হি হি তোর সেই দুষ্টুমি এখনো আছে।আর এখনো ললিপপ খাস তুই?
আমিঃ হুম মাঝে মধ্যে।
ঐশীঃ একবারও খোজ নিলে না তুই।
আমিঃ কি দরকার তাছাড়া আপনারা তো খোজ নেননি।
ঐশীঃ তুই আমাকে আপনি বলছিস?(অনেকটা অবাক হয়ে)
আমিঃ তো আপনি বিদেশ থেকে আসছেন।অনেক শিক্ষিত।আর কত সুন্দর পরিবেশের সাথে মানুষ হয়েছেন।আপনার কালচার অনেক উন্নত।

ঐশীঃ দেখ আমি যেতে চাইনি।কিন্তু এখানে থাকলে জীবনের মান উন্নয়ন করা যেত না তাই চলে যাই। কিন্তু গেছি বলে আমি কি ম্যেম সাহেব হয়ে যাবো।
আমিঃ আচ্ছা থাকেন আম্মু ডাকছে শুনে আসি।পড়ে কথা হবে।..
ঐশীঃ শোন আরফান শো........।
আমি আম্মুর কাছে গিয়ে।
আমিঃ আম্মু আমারে ডাকছো।
আম্মুঃ হুম শোন ঐশী আসছে কোনো দুষ্টুমি করবি না।ঐশী যেন কষ্ট না পায়।
আমিঃ চিন্তা করো না।আমি কোনো কিছুই করবো না।
আমি রুমে আসলাম তখন মারিয়াটা ফোন দিলো।
আমিঃ হুম মারিয়া বলো।
মারিয়াঃ কি করছো গো তুমি এখন?
আমিঃ শুয়ে আছি তুমি?
মারিয়াঃ আমিও শুয়ে আছি ,তোমার কথা ভাবছিলাম।
আমিঃ কেন আমার কথা ভাবছো।

মারিয়াঃ ভালোবাসি তাই।
আমিঃ দেখ আগে থেকেই ভাবা?
মারিয়াঃ একবার বলোনা ভালোবাসো।
আমিঃ শোনো মারিয়া তোমাকে এর আগেও বলেছি,যে তোমাকে আমার ভালো লাগে।তোমাকে লাইক করি।তারমানে এয় না যে ভালোবাসতে হবে।সময় হক তোমাকে বউ বানানোর জন্য আমি আব্বুকে বলবো।আমার দ্বারা বিয়ের আগে প্রেম টেম হবে না।
মারিয়াঃ শুধু একবার বলো তো।
আমিঃ বিয়ের পর এতো বলবো এতো বলবো যে শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে যাবে।
মারিয়াঃ হি হি হি পাগলটা।আচ্ছা তাহলে বিয়ে করবে আমায়?
আমিঃ হুম সময় হলে আমি নিজে আব্বুকে বলে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো তোমার বাসায়।
মারিয়াঃ তাহলে কারর সাথে প্রেম করবে না তো?

আমিঃ নারে না।
তখন হুট করে ঐশী রুমে ঢুকে পড়ল ।আমি ফোনটা কেটে দিয়ে।
আমিঃ আরে ম্যেম সাহেব আসুন বসুন,কোনো দরকার নাকি?
মিমঃ আরফান তুই আমাকে আপনি বলবি না।আমি তোর মুখ থেকে আপনি ডাক শুনতে চাই না।আগে যেমন ভাবে ডাকতিস ঠিকক তেমন ভাবে ডাকবি।
আমিঃ সেটা ছোট বেলায় হতো।কিন্তু এখন আমরা বড় হয়েছি।এখন তো আর ছোট্ট বেলার মতো আচরণ করলে চলবে না।লোকে খারাপ বলবে।সময়ের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।

ঐশীঃ ফোনে কার সাথে কথা বলছিলি।গালফেন্ড নাকি?
আমিঃ আরে না আমি প্রেম করি না।ওসব আমার ভালোলাগে না।
ঐশীঃ তোর জন্য একটা গিফট এনেছি।
আমিঃ ফাওকাজে কেন অপচয় করতে গেলেন?
ঐশীঃ তোকে কিছু দিলে সেটা অপচয় বলে না।..চোখ বন্ধ কর।..
আমিঃ কেন?
ঐশীঃ করতে বলেছি বন্ধ কর।বেশি কথা শুনতে চাইনা।..
আমিঃ না আমি চোখ বন্ধ করতে পারবো না।..
ঐশীঃ প্লিজজজজজজজ।চোখ বন্ধ কর না।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি চোখ বন্ধ করলাম।ঐশী হাতে কিছু একটা পরিয়ে দিলেন।চোখ খুলে দেখি একটা সুন্দর ঘড়ি।বাহ বেশ সুন্দর তো ঘড়িটা।

ঐশীঃ তোর জন্য কিনছিলাম।পছন্দ হয়েছে?
আমিঃ হুম।
ঐশীঃ একটু হাসিমুখে বল।
আমিঃ আমি এ গিভট নিতে পারবো না!
ঐশীঃ কেন?
আমিঃ যানিনা তবে আমি নেবো না।
ঐশীঃ বুজতে পারছি।বহু বংসর আমার হাতে পিটুনি খাসনাই।এটা যদি না নিস তাহলে আমি কিন্তু প্রচুর মাইর দেবো ।
আমিঃ আম.........
ঐশীঃ চুপ একদম চুপ।দিয়েছি যখন নিবি ব্যাস।
আমি ঘড়িটা খুলে টেবিলের উপর রেখে দিলাম।আমার কেন যানি নিতে ইচ্ছে করছে না।আমি ঘড়িটা রেখে বাহিরে আসলাম খেতে।
ঐশী আমার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে ঘড়িটা হাতে নেই।
ঐশীঃ .বড় মামি মা...........

আপনারা বললে পর্ব দুই দেবো।
গল্পটা কিন্তু আলাদা হবে।বড় করার ইচ্ছে আছে।
আগের মত আর পাশে পাইনা তাই মনটা কেমন কেমন করে
আপনারা গল্পে মতামত প্রকাশ করলে লিখতে ভালো লাগে।কেমন একটা রস আসে।
আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে গল্প লিখতে সাহায্য করে।
তোমাদের জন্য গল্প লেখি।
গল্পের এক পার্ট লেখতে আমার ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com