পরী যখন বউ । পর্ব - ০৪
আকাশ,চল এখনি গিয়ে দেখা করবো,দুনজে মিলে দেখা করলাম,
কিন্তু উনি যা বললো কিছুতেই মাথায় কাজ করতেছে না কি ভাবে করবো আমি মাবশূরাহ এর সাথে এই সব,
উনি বললো মাবশূরাহ কে এই দুনিয়ায় রেখে দেওয়ার একটাই পথ,
সেটা হচ্ছে মাবশূরাহ এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা,
আর মাবশূরাহ এর মাথা থেকে একটা চুল কেটে এমন এক জায়গায় লুকিয়ে রাখবো
যেটা আমি ছাড়া কেউ না জানে,
আকাশ,কিন্তু এটা কি ভাবে করবো আমি,নাহ আমি এই সব করতে পারবো না,
লোকটা,তাহলে বাদ দাও ঐ মেয়ের চিন্তা,
আকাশ,না না আমি পারবো,
লোকটা,এই ধরো এটা নিয়ে যাও এখানে কিছু মন্ত্রের পানি আছে,
ওর সাথে ঐ সব করার আগে কৌশলে এই পানিটা কিছুর সাথে মিশাই খাওয়াই দিবা, না হয় কোনদিন ওর সাথে ঐসব করতে পারবা না,
আকাশ,আচ্ছা,তারপর সাজ্জাদকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম,মাথা যেন ভো ভো করে ঘুরতেছে, মাবশূরাহ যদি আমাকে ভুল বুঝে,
নাহ আমাকে এটা করতেই হবে,মাবশূরাহ কে নিজের করে পেতে হলে এই টা আমার করতেই হবে...!
রাতের বেলায়,মাবশূরাহ জানালা দিয়ে আসলো,
আমার কলিজাটা কি করে,
আকাশ,এই তো শুয়ে আছি,
মাবশূরাহ, এসে আমাকে জড়াই ধরে আমার বুকে শুয়ে গেলো,
আকাশ,মাবশূরাহ তুমি একটু দাঁড়াও আমি আসছি,তারপর
একটা গ্লাসে করে শরবতের সাথে মন্ত্রের পানিটা মিশিয়ে দিলাম,
মাবশূরাহ ধরো এটা তোমার জন্য...?
মাবশূরাহ, এটা কি...?
আকাশ,শরবত নাও আমরা সবাই খেয়েছি তোমার জন্য অল্প করে রেখে দিয়েছিলাম,
মাবশূরাহ, আচ্ছা কলিজা দাও,
আকাশ,মাবশূরাহ গটগট করে পুরা গ্লাস খতম করে দিলো,
একটু পর
মাবশূরাহ, আকাশ আমার কেমন জানি মাথা ঘুরতেছে,
চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে আসতেছে,আকাশ তারপর ধাপ করে আমার বুকের উপরে পড়ে গেলো,
আকাশ,লোকটা আমাকে যেমন যেমন বলে দিয়েছে, আমি তেমন তেমন এই করবো এখন,প্রথমে মাবশূরাহ এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলাম,তারপর পর চুল কেটে বাসার বাগানের ছোট গাছটার নিচে পুতে রেখে আসলাম,তারপর এসে মাবশূরাহকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই পড়লাম,
সকাল বেলা কান্নার আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে,
উঠে দেখি মাবশূরাহ বিছানার এক কোনে বসে কান্না করতেছে...!
কি হইছে মাবশূরাহ...?
মাবশূরাহ, কি হইছে হা জানিস না ডুমের বাচ্চা...?
তুই কি ভাবে পাড়লি আমার এমন ধারা সর্বনাশ করতে....?
কি ক্ষতি করেছিলাম আমি তোর...?
কান্না করতেছে আর বলতেছে...!
আকাশ,মাবশূরাহ তুমি শুনো একবার আমার কথা,
মাবশূরাহ, কি শুনবো হা তোর মত ছেলেকে ভালোবাসাই আমার ভুল ছিলো,আমি আর কোনদিন পরী-পালকে যেতে পারবো না,আমার মা বাবাকে দেখতে পারবো না বলে আমার বুকে মারতে লাগলো...!
আকাশ,মাবশূরাহ শুনো আমার কথা,
মাবশূরাহ কোন কথাই শুনতেছে না,বুকে মারতেছে খামচি দিচ্ছে,
আকাশ,মাবশূরাহ আহ আমার বুক আঁচড় দিয়ে ছিড়ে ফেলছে,
মাবশূরাহকে এবার শক্ত করে নিজের বুকের সাথে জড়াই ধরলাম,
কলিজা তুমি কি ভাবছো, তোমাকে আমি এত সহজে ছেড়ে দিবো,
ভালোবাসি তোমাকে নিজের করেই রাখবো,
মাবশূরাহ, ছাড় তুই আমাকে একদম স্পর্শ করার চেষ্টা করবি না,
আকাশ,মাবশূরাহ নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো,
মাবশূরাহ, এবার দেখবি তুই আমার আসল রুপ এতদিন ভালোবাসছি তাই কিছু করি নাই,এখন থেকে তোকে জালাই মারবো,
মনে মনে খচ্চর বেটা...!
আকাশ,কলিজা যা হওয়ার হইছে চলো আমারা বিয়ে করে নতুন করে সংসার করি...?
মাবশূরাহ, নাহ ইম্পসিবল তোর সাথে কোন দিন এই আমি সংসার করবো না,
আকাশ,ওকে,তুমি তো আর ঐ পরী-পালকে যেতে পারবা না,
কিন্তু রাতে যে তোমাকে আদর করছি সমানে যখন বাবু হবে তোমার তখন মানুষে তোমাকে ছি ছি করবে.....!
মাবশূরাহ, এই না না আমি তোমাকে বিয়ে করবো...!
আকাশ,এই তো এবার আসছো লাইনে....!
মাবশূরাহ, খচ্চর বেটা বিয়ে তো করবো, কিন্তু খালি একবার আমাবস্যা আসতে দে পরে তোর গলা কেটে সেই রক্ত দিয়ে গোসল করে পরী-পালকে যাওয়ার জন্য টিকিট করবো....!
মাবশূরাহ, এই না না আমি তোমাকে বিয়ে করবো...
আকাশ,এই তো এবার আসছো লাইনে..!
মাবশূরাহ, খচ্চর বেটা বিয়ো তো করবো, কিন্তু খালি একবার আমাবস্যাটা আসতে দে,তোর গলা কেটে সেই রক্ত দিয়ে গোসল করে পরী-পালকে যাওয়ার জন্য টিকিট করবো...!
আকাশ,সেদিন তারপর মাবশূরাহকে বিয়ে করে নেয়,
কোর্টে তাদের বিয়ে হয়,বিয়ের সময় আকাশের মা-বাবা সবাই ছিলো কিন্তু মাবশূরাহ এর কেউ ছিলো না,বিয়ে করে মাবশূরাহ কে বাড়িতে নিয়ে আসে,আর আকাশের মাও এখন ভালো হয়ে গেছে ঐ দিনের পর থেকে যেদিন থেকে মাবশূরাহ আকাশের মাকে শিক্ষা দিয়েছিলো,
আকাশ,মাবশূরাহ রুমে বসে আছে,আজ আমার বাসর রাত, রুমে ঢুকে দেখি মাবশূরাহ খাটের উপরে বসে বসে আচার খাচ্ছে,আচার খাচ্ছে ভালো কথা কিন্তু সারা হাত মুখ এভাবে ভরাইছে যে মনে হচ্ছে ও কোন ছোট বাচ্চা,
আকাশ,এই মাবশূরাহ কি করছো কি এই সব....?
মাবশূরাহ, আমার দিকে ঘুরে তাকলো,আবার আচার খাওয়ায় মন দিলো,
আকাশ,আজিব তো মনে হয় আমি ওকে বলি নাই,
মাবশূরাহ তোমাকে কিছু জিজ্ঞেসা করেছি...?
মাবশূরাহ, হা বলো...?
আকাশ,কি করছো কি...?
মাবশূরাহ, কি করবো আচার খাচ্ছি...!
আকাশ,তা তো আমিও দেখতে পাচ্ছি,কিন্তু সারা হাতে মুখে লাগিয়ে তোমার আচার খাইতে হবে কেন...?
মাবশূরাহ, কোথায় সারা হাতে মুখে লাগিয়েছি..?
আকাশ,তোমার মুখে হাত দিয়ে দেখো কোথায় কোথায় আচার লাগিয়েছো....!
মাবশূরাহ, মুখে হাত দিয়ে খুজতে লাগলো কিন্তু খুজে পাচ্ছে না,
খুজে না পেয়ে আকাশের দিকে জিজ্ঞেসানু দৃষ্টিতে তাকালো...
আকাশ,দাড়াও দেখাচ্ছি বলে মাবশূরাহ এর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে,মাবশূরাহ ছোট বাচ্চার মত চুপ করে বসে আছে,
আকাশ হটাৎ করে মাবশূরাহ এর ঠোঁটের পাশে লেগে থাকা আচারের টুকরাটা নিজের ঠোঁট লাগিয়ে নিয়ে নেয়,আর মাবশূরাহ এর ঠোঁট কামড়ে দেয়...!
মাবশূরাহ, ঐ ডুমের বাচ্চা তুই আমার ঠোঁটে কামড় দিলি কেন বলে আকাশকে মারতে থাকে,
আকাশ,মাবশূরাহ এর হাত গুলা শক্ত করে চেপে ধরে পিছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরলাম...!
মাবশূরাহ, ছাড় বলছি,তোকে আমি ভালোবসি না,আর তুই আমাকে জড়িয়ে ধরলি কেন...?
আকাশ,তুমি না বাসলে নাই আমি তো বাসি,আর আমি তোমার বর,তাই তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি...!
মাবশূরাহ, হুহহহ আসছে বর
আকাশ,কলিজা না আমার যা হয়েছে হয়েছে ভুলে যাও,
চলো না আমরা দুইজন নতুন করে সব কিছু শুরু করি...?
মাবশূরাহ, কখনোই না,আর কিসের শুরু আর কিসের শেষ,
এক বছর তারপর আমি তোকে ছেড়ে চলে যাবো...!
তোর বাচ্চা হলে তোকে দিয়ে আমি চলে যাবো যে দিকে চোখ যায়,
আকাশ,এখনো অনেক দেরি, আর তার জন্য তো ভালো করে প্লান করতে হবে বলে মাবশূরাহকে খাটের উপরে ফেলে দেয়,
মাবশূরাহ, চুপচাপ শুয়ে আছে,কারন সে এখন নিরুপায়,ওর কিছু করার ক্ষমতা নাই এখন...!
আকাশ,মাবশূরাহ এর চুলে নিজের মুখ গুজে দেয়,
আকাশের মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম ঘ্রাণ কোন কিছু থাকলে সেটা হচ্ছে মাবশূরাহ এর চুলের ঘ্রাণ
আকাশ মাবশূরাহ এর ঘাড়ে থুতনিতে সব জায়গায় পাগলের মত চুমু খেতে থাকে,তারপর আবার তাদের মধ্যে....
পাঠক ভাইরা বাদ দেন বুঝেন এই তো স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কি হতে পারে...!
তারপর আকাশ মাবশূরাহকে নিজের বাহুডোরে আঁকড়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে,
এভাবেই দিন চলতে থাকে...!
অন্যিদকে মাবশূরাহ এর বাবা-মা তো পেরেশান হয়ে যাচ্ছে মাবশূরাহ কেন বাড়িতে ফিরছে না,
পরে উনারাও জমিনে নেমে আসে,তারপর মাবশূরাহ এর খোজ বের করে মাবশূরাহ এর কাছে যায়,আকাশ তখন ঘরে ছিলো না,
মাবশূরাহ এর বাবা,মাবশূরাহ এটা কি ভাবে করতে পারলি তুই...?
মাবশূরাহ, বাবা আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি...
সব গুলা ঐ ডুমের বাচ্চাটা প্লান করে করছে...!
সব খুলে বলে......!
মাবশূরাহ এর বাবা,আচ্ছা তাহলে শুন...!
এই নে এই জিনিসটা রাখ একটা বই দিয়ে,
এর মধ্যে কয়েকটা মন্ত্র আছে, তারমধ্যে একটা মন্ত্র হারানো শক্তি ফিরে পাওয়ার
সেটা তিনমাস নাগাতার রাত বারোটার পরে পড়বি,
আর পড়ার সময় খেয়াল রাখবি যাতে করে আকাশ না দেখে,
কারন তুই মন্ত্র পড়ার সময় তোর চোখ গুলা সবুজ হয়ে যাবে,
আর কেউ দেখলে সাথে সাথে জ্ঞান হারাবে...!
আর শোন আকাশকে বলি দিবো আসছে যে সামনের আমাবস্যা রাতে সেটাও মাথায় রাখিস,
তার আগে তোর শক্তি ফিরে পাওয়া চাই...!
মাবশূরাহ, আচ্ছা বাবা,
মাবশূরাহ বাবা,আচ্ছা থাক আমরা চলে যাচ্ছি আর মাঝে মাঝে তোর সাথে এসে দেখা করে যাবো...!
তারপর তিনারা চলে যেতে নিলে দরজার সামনে আকাশের মুখোমুখি হয়,
আকাশ,একি আপনারা কারা..?
মাবশূরাহ,তখন দৌড়ে এসে বলে এনারা আমার মা বাবা...!
আকাশ,তারপর দুজনের পায়ে ধরে সালাম করে...!
বাবা আপনারা কোথায় যাচ্ছেন এই ভর দুপুরে...?
মাবশূরাহ এর বাবা,আমরা চলে যাচ্ছি...!
আকাশ,কি বলছেন কি বাবা চলে যাবেন মানি, আজ এই তো আসলেন....!
মাবশূরাহ এর বাবা,না আসলে অনেক কাজ যেতে হবে,
আকাশ,বাবা অন্তত দুপুরের খাবারটা খেয়ে জান...!
মাবশূরাহ এর বাবা,আচ্ছা তুমি যখন এত করে জোর করছো তাহলে খেয়ে যাই,তারপর দুপুরে তিনারা খেয়ে চলে গেলেন..!
মাবশূরাহ, রুমে বসে বসে সাজুগুজু করছে,
আকাশ,পিছন থেকে গিয়ে মাবশূরাহকে জড়িয়ে ধরে,
মাবশূরাহ, এর হাতে থাকা একটা সেফ্টিপিন ছিলো সেটা দিয়ে আকাশের ঘাড়ে ঢুকিয়ে দেয়,আকাশ ব্যথায় তাড়াতাড়ি মাবশূরাহকে ছেড়ে দেয়,
আকাশ,মাবশূরাহ কি করলে তুমি এটা...? ঘাড় থেকে রক্ত বের হয়ে পড়ছে,ব্যথায় যেন আকাশের দম বের হয়ে যাবে,আরো ছোট জেনিস মাংসপেশির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে...!
মাবশূরাহ, তোকে কতবার বারন করেছি তোকে আমি ভালোবাসিনা তাও কেন তুই আমার সাথে জোড়াজুড়ি করিস...?
আকাশ,তাই বলে তুমি আমাকে এভাবে সেফ্টিপিন দিয়ে খোঁচা দিবে....
মাবশূরাহ, হা এবার তে কম করেছি,সামনের বার থেক আরো বড় কিছু করবো,
আকাশ,রুম থেকে বের হয়ে যায়,রক্তে ঘাড়ের একপাশ পুরা ভিজে গেছে,
মাবশূরাহ, ইশ বেশি হয়ে গেলো নাতো,ঘাড় বেয়ে রক্ত বের হচ্ছে কি ভাবে...!
নাহ ঠিক এই আছে,আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে একদম,
ওর জন্য এই শাস্তি কম হয়েছে,ওকে তো আমি মেরে ফেলবো, ওটাই হবে ওর জন্য উপযুক্ত শাস্তি,
আকাশ,ওর মার কাছে যায় মা দেখো তো কি হয়েছে,
আকাশের মা, বাবা কি করে হলো এটা তোর,
আকাশ, আরে মা বলো না কোথায় যেন একটা খোঁচা লেগেছে,
আকাশের মা,ফার্স্ট এইড বক্স বের করে আকাশের ঘাড়টা মুছে দেয় আর মলম দিয়ে ছোট করে ব্যান্ডেজ করে দেয়...!
আকাশ এই অবস্থায় ঘর থেকে বের হয়ে যায়,
রাত ১০ টা বাজে এখনো বাসায় আসে না,
মাবশূরাহ এর খুদায় পেট ফেটে যাইতেছে কারন আকাশের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে আকাশ জোর করে নিজের হাতে খাইয়ে দিতো,আকাশের হাতে খেতে খেতে ওর অভ্যাস হয়ে গেছে,
রাত এগারোটা বাজে আকাশ এখনো বাসায় আসে নাই,
এদিকে মাবশূরাহ এর অবস্থা খারাপ খিদে যে লেগেছে ওর,মনে হয় পেটের মধ্যে ইঁদুর হট্টগোল শুরু করে দিয়েছে খাওয়ার জন্য,
মাবশূরাহ না খেয়েই শুয়ে আছে,
একটু পর দরজায় কে যেন খট খটায়, মাবশূরাহ দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়,দরজা খুলে দেখে আকাশ...!
এত সময় কোথায় ছিলে তুমি...?
আকাশ,কোন কথা নাই, চুপচাপ রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে,
মাবশূরাহ, আকাশের পিছনে পিছনে রুমে আসে,তুমি শুয়ে পড়লে যে আমার খিদে পেয়েছে, আমাকে খাওয়াবে কে...?
আকাশ,কথা নাই কাথামুড়ি দিয়ে অন্যকাত হয়ে শুয়ে পড়ে,
মাবশূরাহ, আকাশ ঐ সময়ের জন্য সরি...!
আকাশ,চুপ...!
মাবশূরাহ,আকাশ প্লিজ আমার ভুল হয়ে গেছে আমায় মাফ করে দাও,
আকাশ,তাও চুপ...!
মাবশূরাহ, এবার ফ্লোরে বসে কান্না করে দেয়,আমার খুব খিদে পেয়েছে,আমাকে কিছু খাওয়াই দাও...!
আকাশ,এবার এই মেয়ে কানের সামনে পেঁনপেঁন না করে,
দূরে গিয়ে পেঁনপেঁন করো,শরীর খারাপ এমনিতে ঘুমাবো আমি এখন ঘুমের দিষ্টার্ব করবা না...!
মাবশূরাহ, উঠে চলে যায় রুম থেকে...!
আকাশ,কিরে মেয়েটার আর কোন আওয়াজ পাচ্ছি না,মেয়েটা গেলো কোথায়...!
ধুর যেখানে যাওয়ার যাক আমার কি,ভালোবসি তাই বলে এমন দাম দিবে আমার ভালোবাসার...!
মাবশূরাহ, রুম থেকে চলে আসে কারন,
এখন মন্ত্র পাঠ করার সময় হয়ে এসেছে,তাই আকাশের সামনে থাকলে চলবে না,তাই সে একটা নির্জন জায়গায় চলে আসে,
আকাশ,ঘুমাই পড়ে, হটাৎ রাতের এক টা, চোখটা মাত্র লেগে এসেছে এমন সময় কেউ একজন তার গায়ের কাথা সরিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করছে...!
আকাশ ঘুরে ঠাসসসসসস করে একটা থাপ্পড় লাগাই দেয়...!
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com