পরী যখন বউ । পর্ব - ০২
অন্যদিকে মাবশূরাহ ওর পরী-পালকে যায়,
মাবশূরাহ এর বাবা কিরে বলির পাঠা পেলি..?
মাবশূরাহ, হা বাবা বলির পাঠা পেয়ে গেছি,
মাবশূরাহ এর বাবা,তো কতদিন সময় লাগবে তোকে ওর পটাতে..?
মাবশূরাহ, বাবা বেশিদিন না, অল্প কয়েকদিন ধৈর্য ধরো তোমরা,
মাবশূরাহ এর বাবা,আচ্ছা....!
অন্যদিকে
আকাশ সকাল বেলায় ঘুমের মধ্যে কিরে পানি পড়ে কোথা থেকে...?ছাঁদ কি ছিদ্র হয়ে গেলো নাকি,যে বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে ঘরে এসে পানি পড়ছে,ঘুম ঘুম চোখে চোখ খুলে দেখে ওর সৎমা পানির বালতি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে,বুঝে গেলাম পানি কোথা থেকে পড়েছিলো,
আকাশের মা,কিরে লাট সাহেবের ছেলে সকাল কি হয় নাই এখনো,
কয়টা বাজে খেয়াল আছে তোর..?
কাজে যাচ্ছিস না কেন..?
আকাশ,মা একটু ঘুমাতে দাও না...?
আকাশের মা,ওকে ঘুমা তোর আজকে ঘরে কিছুই মিলবে না,
আকাশ,মা তুমি এমন করো কেন...?
আকাশের মা,কেমন করি কাজে না গিয়ে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস ঘরের বাজার সদাই এর টাকা তোর কোন বাবা দিবে শুনি..?
তোর বাবা যা কামাই করে সব তো আমাদের খরচে লেগে যায়,তোর জন্য এক্সট্রা করে সব কিছু করতে পারবো না,নিজের সমস্ত কিছু নিজে রোজকার করে আন,তাহলেই ঘরে খাবার জুটবে...
আকাশ,ওকে মা কাজে যাচ্ছি তুমি নাস্তা দাও...?
আকাশের মা,নাস্তা আমরা খেয়ে নিয়েছি তোর জন্য নাস্তা নাই,
নাস্তা ছাড়া কাজে যা না হয় রাতের খাবার ও জুটবে না কপালে...!
বলে চলে গেলো রুম থেকে,
আকাশ,মার কথা শুনে চোখে পানি চলে এলো...!
যেমন এই হোক আপন মা না হোক সৎমা হোক তার পরেও তো মা,
কি ভাবে পারে উনি এমন ধারা করতে আমার সাথে,উনারো তো একটা মেয়ে আছে,ওর জন্য তো সব সময় সব কিছু রেডি থাকে,
কিন্তু আমার কপালে সামান্য নাস্তা টুকু জুটে না,
আজ মা যদি বেঁচে থাকতো এমন ধারা কোনদিন আমার সাথে করতো না,ফ্রেশ হয়ে কাজে চলে গেলাম,দুপুরে হালকা কলা পাউরুটি খেয়ে চালিয়ে দিলাম,
রাতের বেলায় যথা সময়ে কাজ শেষ করে হেটে হেটে আসছি,কালকের সেই জায়গাটায় এসে বসে আছি মাবশূরাহ এর জন্য,মাবশূরাহ বলে ছিলো আজকেও একি সময়ে আসবে,বসে আছি কিন্তু পেটের খুদায় কলিজা বের হয়ে যাচ্ছে,
একটু পর অদৃশ্য থেকে আওয়াজ বসলো তুমি এসে গেছো
আকাশ,হা অনেক আগেই এসে গেছি,কিন্তু আপনার এত দেড়ি হলো যে...?
মাবশূরাহ, আরে আর বলো না পরী-পালক থেকে আসার সময় কয়েকজন এর কাছে ধরা পড়ে যেতাম যে আমি পরী-সীমা পাড় করে জমিনে যাচ্ছি,তারা আমাকে দেখে আমার পিছু নেয়, তাই ওদেরকে ঘুরিয়ে অন্য পথে পাঠিয়ে দেই, আর আমি জমিনে এসে পড়ি,
আকাশ,আচ্ছা তুমি আমার সামনে এসো...?
মাবশূরাহ, আচ্ছা আসছি তবে তুমি চোখ বন্ধ করো...?
আকাশ,আচ্ছা একটু পর মাবশূরাহ কালকের মত সাদা একটা ড্রেস পড়ে আমার পাশে এসে বসলো...!
মাবশূরাহ, কি হয়েছে তোমার চেহারার এমন বারোটা কেন বেজে আছে...?
আকাশ,আসলে সকালে কিছু খেয়ে বের হইনি,তার মধ্যে দুপুরে যা খেয়েছি সব হজম হয়ে গেছে,পেটে কিছু নাই অনেক খিদে পেয়েছে,
মাবশূরাহ, আচ্ছা দাঁড়াও তুমি চোখ বন্ধ কর...?
আকাশ,আবার কেন চোখ বন্ধ করবো...?
মাবশূরাহ, করতে বলেছি করো না,
আকাশ,আচ্ছা,
মাবশূরাহ,শুনো চোখ খুলবে না পেট ভরার আগ পর্যন্ত, আর তোমার প্রিয় খাবার এর নাম গুলো মনে করতে থাকবে,যত সময় পেট না ভরবে ততক্ষণ চুষেই যাবে কেমন...?
আকাশ,সব বুঝলাম কিন্তু কি চুষবো...?
মাবশূরাহ, ওয়েট বলে ওর ঠোঁট জোড়া আমার ঠোঁটের সাথে লাগিয়ে দিলো,ঠোঁট জোড়া এত মিষ্টি ইচ্ছে করছে ঠোঁট জোড়া কামড়ে ছিড়ে ফেলি,কিন্তু নাহ এটা করা যাবে না,পরক্ষনেই মাবশূরাহ এর কথা মনে পড়লো, ও বলেছে চুষার সময় প্রিয় খাবার গুলোর কথা মনে করতে,আমিও পোলাও তারপর গরুর কলিজা ভুনার কথা মনে করলাম,
হটাৎ মনে হচ্ছে সমস্ত কিছু আমার সামনে চোলে আসলো,আমিও খেতে বসে গেলাম,মাবশূরাহ এর ঠোঁট চুষতে চাগলাম আর আমার মনে হচ্ছে আমি পোলাও তারপর গরুর কলিজা ভুনা খাচ্ছি,একদম গলা পর্যন্ত খেলাম,পেটে আর এক ফোটা জায়গা নাই,
তারপর ছেড়ে দিলাম মাবশূরাহ এর ঠোঁট,
মাবশূরাহ, পেট ভরেছে তোমার মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে,
আকাশ,হু
আকাশের শরম লাগছে,কি করলাম আমি এত সময় ধরে,একটা পরীকে কিস করলাম
কিন্তু আকাশের কেন জানি মাবশূরাহ কে কিস করার সময় তার মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না...!
মাবশূরাহ,এই লজ্জা পাচ্ছো কেন..?আমি এই তো....
আকাশ,হু
আচ্ছা মাবশূরাহ আপনি এত ভালো কেন....?
মাবশূরাহ, কোথায় আমি এত ভালো...?
আকাশ,হু আপনি অনেক ভালো...
আপনার মত যদি সবাই ভালো হতো বিশেষ করে আমার সৎ মা টা..
মাবশূরাহ, কেন কি হয়েছে তোমার সৎ মার...?
আকাশ,সে অনেক কাহিনী,
মাবশূরাহ, আচ্ছা দাঁড়াও এক মিনিট বলে আমার কপালে হাত রাখলো,তারপর বললো হা তোমার মা তো আস্ত একটা বদ...?
তোমার সাথে এত অন্যায় করে কেন..?
সকাল বেলা তোমাকে খেতে পর্যন্ত দেয় নি...?
আকাশ,
আপনি জানলেন কি করে...?
মাবশূরাহ, এই তো তোমার মাথায় হাত দিয়ে সব দেখে নিলাম
আকাশ, কি বলেন...?
মাবশূরাহ, হা আমরা কারোর মাথায় হাত দিলে তার সব পড়ে ফেলতে পারি, আর শুনো তোমার মাকে আমি সাইজ করে ফেলবো তুমি চিন্তা করিও না,
আকাশ,প্লিজ না না কিছু করবেন না, উনি আমার মা...!
মাবশূরাহ, আরে তেমন কোন ক্ষতি করবো না,যাস্ট তোমাকে যাতে কষ্ট না দেয় সেই ব্যবস্থা করবো,
আকাশ,আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে...
আচ্ছা একটা কথা বলেন তো...?
আপনার ঠোঁট জোড়া এত মিষ্টি কেন...?
মাবশূরাহ, কারন আমরা সব সময় মধু পান করি,
আমাদের রাজ্যে সব কিছুর নহর আছে,আর আমাদের পরী-পালকের সবার ঠোঁট এই মিষ্টি,
আকাশ,আচ্ছা আপনি তো জমিনে এসেছেন আপনার অর্ধাঙ্গিনী খুজতে, তো পেলেন তাকে...?
মাবশূরাহ, হা পেয়েছি
আকাশ,তো কোথায় উনি, আর কেমন দেখতে...?
মাবশূরাহ, আমার পাশেই বসে আছে
অনেক সুন্দর দেখতে খুব মায়াবী চেহারা
আকাশ,মানে বুঝলাম না...
আপনার পাশে বসে আছে মানি...?
মাবশূরাহ, তোমার এত বুঝতে হবে না
সময় হলে সব বুঝে যাবে,
আর শুনো এখন থেকে আপনি আপনি করবা না,তুমি করেই বলবা বুঝছো......?
আকাশ,আচ্ছা কিন্তু আমার তো বেশি বয়স হয় নাই,আপনি তো আমার বড় হবেন মনে হয়...?
মাবশূরাহ, আবার আপনি
আকাশ,আচ্ছা তুমি
মাবশূরাহ, হা আমি তোমার অনেক বড় হবো...?
আকাশ,অনেক বড় বলতে কত বড়...?
মাবশূরাহ, কম করে হলেও দুইশত বছরের বড় হবো....!
আকাশ,কিহহহহহহহ
মাবশূরাহ, হা,আমাদের পরী-পালকে এখনো আমার বিয়ের বয়স হয় নি,
আকাশ,কি বলছে সব মাথার উপর দিয়ে গেলো..
দুইশো বছর এখনো বিয়ের বয়স হয় নি...
মাবশূরাহ,আচ্ছা শুনো কাল থেকে আমি জমিনে যে কোন সময় আসতে পারবো,তোমার যখন কোন প্রয়োজন হবে আমাকে সরন করবে কেমন..?
আকাশ,আচ্ছা তা নাহলো করলান,কিন্তু তুমি তো বলেছিলে রাতের বেলায় ছাড়া আসতে পারবে না,
মাবশূরাহ, হা বলেছিলাম কিন্তু বাবা আমাকে একটা মন্ত্র শিখিয়ে দিবে আজকে গেলে,তারপর থেকে আমি যে কোন সময় জমিনে আসতে পারবো...!
আকাশ,ওহ তাহলে তো ভালোই হবে....!
মাবশূরাহ, হা, আচ্ছা তাহলে আজকে আমি উঠি পরী-পালকের দরজা বন্ধ করে দিবে পড়ে আবার যেতে পারবো না,
আকাশ,আচ্ছা ঠিক আছে যাও,
মাবশূরাহ,আমি যাচ্ছি কিন্তু তুমি কোন মেয়ের দিকে তাকবে না বলে দিলাম...?
বললে চোখ তুলে ফেলবো একদম...!
আকাশ,আচ্ছা
মাবশূরাহ, চোখ বন্ধ করো,
আকাশ,তারপর চোখ বন্ধ করলাম,তারপর মাবশূরাহ চলে গেলো,
আজকেও অনেক দেরি হয়ে গেছে বাসায় গেলে আম্মু চেচামেচি করবে, ধুর করলে করুক তাতে সমস্যা নাই,এত সুন্দর একটা সময় উপভোগ করলাম তার কাছে আম্মুর সামান্য বকা কিছুই না,
বাসায় চলে গেলাম,আম্মু ঝাড়লো কতক্ষন,তারপর খেয়ে শুয়ে পড়লাম,সকালে উঠে আবার প্রতিদিনের ন্যায় কাজে চলে গেলাম...!
কাজ করছি এমন সময় সাজ্জাদের ফোন...
ফোনটা রিসিভ করে হা সাজ্জাদ বল...?
সাজ্জাদ, কোথায় তুই...?
আকাশ,কেন দোকানে...
সাজ্জাদ, এখন একটু ফার্মগেইট আয় কাজ আছে,
আকাশ,আচ্ছা দাড়া মালিক থেকে ছুটি নিয়ে আসছি,
তারপর এক ঘন্টার জন্য ছুটি নিয়ে চলে গেলাম...!
ফার্মগেইট পৌঁছে সাজ্জাদকে ফোন দিলাম কোথায় তুই..?
সাজ্জাদ, রাস্তার এই পাড়ে শপিংমল এর সামনে দাড়িয়ে আছি, তোকে দেখতে পাচ্ছি আমি,রাস্তা ক্রস করে এই পাশে চলে আয়,
আকাশ,আচ্ছা দারা আসছি বলে ফোন রেখে রাস্তা ক্রস করবো এমন সময় একটা বড় ট্রাক জোরে আমার দিকে তেড়ে আসলো,
রাস্তার অন্যদিকে যাবো সেদিকে আবার অন্য রাস্তার গাড়ি চলাচল করছে,সামনে আগাবো,সামনে বড় গাড়িটা তেড়ে আসছে,কি করবো বুঝতে পারতেছি না,মাথায় হাত দিয়ে বসে গেলাম,আর মাবশূরাহ এর কথা মনে করলাম,
হটাৎ দেখলাম ট্রাকটা আমার মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেলো...!
আমি তো
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com