প্রবাস জীবন
মা ৬ বছর হলো বিদেশ এসেছি। এখন দেশে ফিরে যেতে চাই আমি।
দেশে এসে কি করবি শুনি। এর চেয়ে আরো কয়েক বছর বিদেশে থাক পরবর্তীতে আসিস। প্লিজজজ মা আর থাকতে চাইনা।
আশ্চর্য তুই দেশে এসে কি করবি সেইটা বুঝতেছি না। কি করবো মানে' তোমাদের প্রতিমাসে ৭০ হাজার টাকা করে পাঠাই এই ছয় বছরে অনেক টাকা হয়েছ। এখন গিয়ে ব্যবসা করবো।
তোর কোন টাকা নেই।
মানে।
মানুষের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়ে তোকে বিদশ পাঠাইছি তাদেরকে দিতেই সব শেষ।
আবার তোর ভাইটারে নতুন গাড়ি কিনে দিয়েছি। ছোট্ট বোনটাকে বিয়ে দিয়েছি।
-কি বলো মা। ছোট্ট বোনটার বিয়ে দিয়ে আমি জানিনা।
-তোকে বলিনাই মন খারাপ করবি বলে। এখন ফোন রাখতেছি তুই কাজ কর।
-তোমার সঙ্গে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করতেছে একটু বলিনা কথা মা।
-কথা বললে কাজ হবেনা তার। মন দিয়ে কাজ কর এই মাসে অনেক টাকার দরকার।
-মা তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করতেছে।
-নাটক বন্ধ কর।
-সত্যি মা নাটক করতেছি না। সেই ৬ বছর আগে তোমার মুখটা দেখেছিলাম।
-তাতে কি হয়েছে।
-দেশে ফিরে যাই সবার সঙ্গে দেখাশুনা করে আবার নাহয় ফিরে আসবো আমি।
-এই ফোন রাখলাম তোর এইসব ফাউল কথা শুনার সময় আমার কাছে নাই।
'কথাটি বলেই মা ফোনটি কেটে দেয়' যা দেখে ছেলেটি অঝরে কান্না করতে থাকে'
'এর পরে ছেলেটি দুঃখো ভরাকান্ত মন নিয়ে রাস্তার পাশে দিয়ে হেটে হেটে কাজে যাচ্ছিলো। এমন সময় একটি মাল বাহি ট্রাক এসে তার উপর দিয়ে চলে যায়। এবং সেখানেই ছেলেটি মারা যায়।
'কিছু লোক তার ফোনটি বের করে সেই মায়ের নাম্বারে কল দেয়, ফোনটি রিসিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওপাশ থেকে আওয়াজ আসে।
-এই কু'ত্তা'র বাচ্ছা তোকে বলছিনা এখন দেশে আসা হবেনা। আরো অনেক টাকার দরকার আমাদের। ফোন কেটে দিয়ে কাজ কর।
'এই সব শুনে লোকটি বলে'
-চাচি আপনার এই কু'ত্তা'র বাচ্ছাটি আর এই পৃথিবীতে নেই।
একটি ট্রাক তার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে।
আপনার টাকার মেশিনটা চিরতরের জন্যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কি বল্লেন।
-হ্যাঁ আপনার সন্তান মারা গিয়েছে। আমরা তার লাশটি দেশে পাঠাই দিতেছি।
যদি পারেন রিসিভ করিয়েন আল্লাহ্ হাফেজ।
লোকটির কথা শুনেই মা চিৎকার করে কান্না করতে থাকে।
আর বলে আল্লাহ্ আমার সন্তান কে ফিরাই দাও।
"আহারে প্রবাস জীবন।
পরিবারের মানুষ শুধুমাত্র টাকাই খোজে' এটা জানতে চায়না সে কেমন আছে।
কেমন যাচ্ছে তার দিন।
"আর যাই হোক তাদের একটু মানসিক শান্তি দিয়েন?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com