পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ০৮
তারপর আমি আর রিমি যখন কলেজ থেকে বাসার দিকে আসতেছিলাম। তখন আমার বাসা থেকে রিমির বাসার দিকে যাই এমন সময় দেখি আমার বাবা,মার আর রিয়া বাসায় আসতেছে।আর তারা আমাকে আর রিমি কে দেখে নেয়। আমিও তাদের দেখে একটু জোরে বাইকে চালাতে শুরু করছি মাএ এমন সময় রিমি নিজেকে কন্টোল করতে না পেরে আমাকে জরিয়ে ধরল।
এটাও আমার বাবা, মা আর রিয়া দেখে ফেলছে। আমার চোখের সাথে বাবার চোখ সরাসরি হওয়াতে আমি তারাতারি রিমি কে নিয়ে রিমিদের বাসার দিকে চলে আসলাম।
রিমিকে তার বাসায় নামাই দিয়ে আসার সময় বলল,,,,,
রিমিঃ এতো জোরে বাইক চালালেন কেনও।
আমিঃ না মানে,,,,,
রিমিঃ থাক আর বলতে হবে না আমি বুঝতে পারছি।
আমিঃ কি বুঝছো।
রিমিঃ যা বুঝছি তাই।
আমিঃ ওকে ভালো। বাই চলে গেলাম।
রিমিঃ বাসায় আসেন। কফি বা চা খেয়ে যান।
আমিঃ আমার বাসায় বাবা ঝাড়ু নিয়ে বসে আছে কফি খাওয়াবে বলে।(অস্পস্ট ভাবে)
রিমিঃ কি বলেন বুঝি না।
আমিঃ কিছুনা বাই
রিমিঃ ওকে
আরো পড়ুনঃ
বাসার দিকে আসতেছি।আজকে পথটাও যেন খুবই তারাতারি শেষ হচ্ছে।
১০ মিনিট এর রাস্তা যেন ২মিনিটেই চলে আসলাম।
বাসার ভিতরে প্রবেশ করা মাএই মা বলতে শুরু করল,,,,,
মাঃ বাবা নীল আপনি আজকাল ভালোই আকাশে উরছেন তাই না।
আমিঃ আরে মা আকাশে উরে পাখি রা। আমি কি পাখি নাকি যে আকাশে উরবো।
(এরই মধ্যে বাবা বলল)
বাবাঃ আরে রিয়ার আম্মু ঐ টা পাখি না বাইকে উরছে।
মাঃ ওওও সরি সরি আমার ভুল হইছে।
বাবাঃ তা বাবা আপনি কত দিন ধরে বাইকে উরছেন।
আমিঃ তোমরা যা ভাবছ তা নয় আসলে,,,,।
বাবাঃ থাক আর কিছু বলতে হবে না। আমি এত কিছু শুনতে চাই না।
আমিঃ এই রিয়া তুই কিছু বল।
রিয়াঃ হুমমম বলতাছি। বাবা ওদের দুজনে বিয়ে দিয়ে দাও।
ছেলে তো আর ছোট না।ছেলে এখন বাইকে মেয়ে নিয়ে ঘুরে।
মাঃ ছেলে যখন বড় হইছে বিয়ে দিয়েই দাও।
বাবাঃ তা মেয়েরবাসার ঠিকানা দে।
আমিঃ আমি যানি না।
রিয়াঃ প্রতি দিন বাসায় পৌছাই দেও আর বাসার ঠিকানা যানো না।
আমিঃ ওরে রিয়া মুটকি তুই তো ওরে বাসায় দিয়ে আসতে বলছিস।
রিয়াঃ মটকি বলিস আমাকে তাই না।বাবা আরে ঝাড়ু দিয়া ২টা দাও এমনি সব বলে দিবে।
বাবাঃ তাই করি। তারপর ঠিকানা নিয়ে মেয়ের বাসায় বিয়ার প্রস্তাব নিয়া যামু।
আমিঃ বাবা আমার বিয়ার বয়স হয়নি তো।
আর আমি কেবল মাএ অনার্স এ পরি আমার স্বপ্ন টা আগে পুরন করি।
বাবাঃ বিয়ের পরে করিস এখন বাসার ঠিকানা টা দে। না দিলে ঝাড়ু দিয়া ২ টা দিমু।
বসে আছি নিজের রুমে।আর ভাবতেছি কি থেকে কি হলো। বাসার ঠিকানা তো দিলাম।
এখন কি যে হবে। কি থেকে কি হল।
এমন সময় রিয়া আমার রুমে এসে বলতে লাগল,,,,,,
রিয়াঃ ব্রো কেমন বাশ দিলাম।
আমিঃ তুই কেন এমন করলি রে।
রিয়াঃ আরে আমার বড় ভাই তের সাথে কলেজ যাইতে ভালো লাগে না তাই এমন করলাম।
আর তোর বিয়ার পর রিমির সাথেই কলেজ যামু।
আমিঃ আচ্ছা বুঝলাম।আমাকে বললেই তো তোকে আর নিয়ে যাইতাম না।
আর রিমি কি রাজি হবে আমাকে বিয়া করতে।
রিয়াঃ হবে মানে হইছেই তো।আর এটা আমাদের প্লান ছিল।
আমিঃ কি কছ বুঝি না।
রিয়াঃ আরে আজকে বেড়াতে যাওয়ার তারপর রিমি তোকে জরিয়ে ধরছে এগুলোই।
আমিঃ কিইইই।
রিয়াঃ হুমমমমম।
রাতে খাবার টেবিলে,,,,,,,
বাবাঃ তা নীল আগামি শুক্রবার তোমার বিয়া।আজকেই রিমিদের বাসায় বিয়ার কথা পাকাপাকি করে আসলাম।
আমিঃ কিই রিমির পরিবার রাজি হইছে আমার মতো বেকারের সাথে বিয়া দিতে।
বাবাঃ হুমমম হইছে।
আমিঃ বিয়ার পর বউকে কি খাওয়ামু।
মাঃ তা তোর চিন্তা করা লাগবে না।
আমিঃ তাই নাকি।
বাবাঃ হুমমমমম।
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
কথা গুলো শুনে একটু খাবার খেয়েই নিজের রুমে চলে আসলাম।
আর ভাবতেছি হাসব নাকি কাদব। এত আল্প সময়ে কি করে সব পাল্টে গেল।
আজ থেকে ২ দিন পর নাকি আমার বিয়ে। রাতে চিন্তায় আর ঘুম আসল না।
অনেক কষ্ট করে রাত ৩ টার সময় একটু ঘুমালাম।
সকাল ৮ টার সময় রিয়া আমাকে ঘুম থেকে ডাক দিল।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com