পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ১৬
তারপর আমি রুমে আসতে যাব এমন সময় আর একটা কথা মনে পরল,,,,
আমিঃ আর এই মিস রিয়া আর মিস রিমি আপনেরা দুজনে মুনিয়ার সাথে যে খারাপ ব্যবহার করছেন, তাকে বাজে বাজে কথা বলছেন। তার জন্য ক্ষমা চান গিয়ে।
রিমিঃ জ্বী যাচ্ছি।
তারপর গিয়ে মুনিয়ার কাছে ক্ষমা চাইল। কিন্তু রিয়া গেল না। তা দেখে আমি বললাম,,,
আমিঃ মিস রিয়া আপনাকে কি আলাদা করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ইন্ভাইট করতে হবে।
রিয়াঃ যাচ্ছি।
আমিঃ তো দাড়িয়ে আছেন কেন তারাতারি যান।
রিয়াঃ হুমমম।
তারপর রিয়াও গিয়ে ক্ষমা চাইল। কিন্তু বাবা মা কে চাইতে বললাম না।
এমন সময় বাবা মা মুনিয়ার কাছে যেয়ে বলতে লাগলো,,,,,,
বাবাঃ মা তুমি আমার মেয়ের মতো। বাবা তোমার কাছে ভুল করছে তুমি বাবাকে ক্ষমা করে দাও।
মুনিয়াঃ আপনি না আমাকে মেয়ে বলেছেন তাহলে মেয়ের কাছে কেন ক্ষমা চাচ্ছেন।
মাঃ( কোনো কথা না বলে কান্না করছে।)
আমিঃ আপনি ওদের রুমটা দেখিয়ে দিন। (রিমিকে উদ্দেশ্য করে।
রিমিঃ জ্বী আচ্ছা।
তারপর আমি আর কিছু না বলে নীরি কে নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমটার দিকে তাকিয়ে আছি আর আবাক হচ্ছি।
আবাক হওয়ার কারন ও আছে।
রুমটা আমি থাকতে যেমন সাজানো ছিল এখনো ঠিক তেমনিই আছে
কিন্তু রুমটা একটা দেয়ালের দিকে চোখ যাইতেই আমার চোখকে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
কারন হলো আমার সেই পুরোনো কিছু ছবি লাগানো আছে। যা আমি থাকতে ছিলো না।
আর তার একটু নিয়ে তাকাতেই আমার চোখ ছানা বড়া হয়ে গেল।
একটু নিচ যে আমার, রিমির আর নীরি ছবি লাগালো।
আমি এক মনে রিমির ছবির দিকে তাকিয়ে আছি।
এমন সময় নীরি বলে উঠল,,,,
নীরিঃ বাবাই তুমি তি দেখতো।
আমিঃ ছবি গুলো দেখছি মামুনি।
নীরিঃ তুমিও দেতি আম্মুল মতো।
আমিঃ কেনো কেন মামুনি
নীরিঃ না আতলে আম্মুও তো ওই ছবি গুলোর দিতে তাকিয়ে থাতে তো তাই তইলাম।
আমিঃ ওওও তাই নাকি আর কি করে মামুনি।
নীরিঃ আল কান্না তরে অনেক কান্ননা কলে।
আমিঃ ওওওওও। আচ্ছা তুমি তোমার আম্মু কে বলনি যে বাবাই কই।
নীরিঃ হুমমম বলতি তো।
আমিঃ কি বলতো
নীরিঃ বলতি যে,, আম্মু আমাল বাবা তই। বাবাই তে তো দেখছি না,,
আমিঃ তখন তোমার আম্মু কি বলে।
নীরিঃ বলে যে,,তোমার বাবাই বাহিরে কাজে গেছে। খুব তারাতারি ফিরে আসবে,, বলেই কান্না করে।
আমিঃ ওওও। আচ্ছা মামুনি তুমি কি কর।
নীরিঃ আমি তো তিছু তরি না। সারাদিন বাসাই থাকি আর আম্মুদের সাথে খেলা করি।
আমিঃ ওওওওও। তা স্কুলে যাও না।
নীরিঃ না তো আমিতো ছোট তাই। কিন্তু আম্মু আমাকে বাসায় পড়ায়।
আমিঃ ওওও।
তারপর আরো নানা ধরনের গল্প করতে করতে দুপুর হয়ে গেল। তখন রিমি আমার রুমে এসে বলল,,,,,,
রিমিঃ নীরি তোমার দাদিমার কাছে যাও গিয়ে গোসল করে খাবার খাও।
নীরিঃ আচ্ছা আম্মু। (নীরি চলে গেল)
রিমিঃ কিছু কথা বলার ছিল।(আমাকে বলল)
আমিঃ কারো কোনো কথা শোনার মতো সময় আমার না।
রিমিঃ প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।
আমিঃ আমি ক্ষমা করার কেউ নই।
রিমিঃ আপনি আমাকে মাফ করে দিন।
আমিঃ দেখুন আপনি কিন্ত আমাকে বিরক্ত করছেন।
রিমিঃ প্লিজজজজ। (আমার পা ধরে কান্না করতে থাকলো।)
আমিঃ (কোনো কথা না বলে তাকে ছারিয়ে গোসল করতে চলে গেলাম)।
গোসল শেরে বাহিরে এসে আমি তো আবাক হয়ে গেলাম।
কারন রিমি ঠিক আগের মতোই আমার জন্য শাট,প্যান্ট নিয়ে দারিয়ে আছে।
আমি এক মনে তারদিকে তাকিয়ে আছি ।
সে ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমাদের নিরবর্তা ভেঙ্গে দিয়ে মুনিয়া বলে উঠল,,,,,,,
মুনিয়াঃ কি হচ্ছে এখানে আর কতক্ষন এভাবে দারিয়ে থাকবে।
আমিঃ আর মুনিয়া যে,, কখন এলে।
মুনিয়াঃ এই তো আসছি। মনে হয় ভুল সময়ে আসছি।
আমিঃ আরে না ভুল সময় হবে কেন।
মনুিয়াঃ না মানে দেখলাম যে এখানে চোখে চোখে প্রেম করা হচ্ছে তো তাই।
রিমিঃ আপনার কাপর। (লজ্জা পেয়ে কাপর হাতে দিয়ে চলে গেল।)
আমিঃ ধুরররর। কিছু বলবে।
মুনিয়াঃ না মানে আপনার মেয়েটা কই।
আমিঃ মনে হয় আম্মু কাছে গেছে।
মুনিয়াঃ ওওও তাহলে আমি ওখানেই যাই।
আমিঃ আচ্ছা যাও।
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
তারপর আমি শাট, প্যান্ট পরে নিচে গেলাম।
দেখি সেখানে সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে। আমি গিয়ে বললাম,,,,
আমিঃ কি ব্যাপার রাকিব খাওয়া বাদ দিয়ে বসে আছিস কেন।
রাকিবঃ তোর জন্যই।
আমিঃ ওওওও। তারাতারি খাবার দাওতো মা।
মাঃ হুমমম মা খাবার দেওতো।(রিমিকে বলল)
রিমিঃ জ্বী মা দিচ্ছি।
তারপর রিমি আমাদের সবাই কে খাবার বেড়ে দিলো। আমি কিছু না বলে খেতে লাগলাম।
আমিঃ খাবারটা তো সেই হইছে কে রান্না করছে। (আমি জানি যে এটা রিমি করেছে।
কারন আমি আগেও রিমি হাতের রান্না খাইছি)
রিয়াঃ এটা তো ভাবি রান্না করেছে
আমিঃ দুররর এটা কোনো খাবার হল। মানুষ টাও যেরকম খাবার গুলোও সেই রকম।
(আমার খাওয়া শেষে পেট ভরে গেছে আর প্লেটেও একটু খাবার ছিল খাইতে পারছিলাম না
তাই রাগ দেখিয়ে চলে আসলাম হিহিহি)
মুনিয়াঃ সেকি এখনি না বললেন খাবারটা সেই হইছে। আসলেই কিন্তু খাবার টা joss ছিল।
আমিঃ আরে মনের ভুলে বলছি।
তারপর আমি আর রাকিব একটু বাহিরে আসলাম। বাসায় মুনিয়া সবার সাথে গল্প করছে।
অনেক দিন পর নিজ শহরে আসলাম তো আর পুরোনো বন্ধু গুলার সাথে অনেক দিন পর দেখা করব।
চলে গেলাই সেই পুরোনো কলেজ মাঠে। গিয়ে দেখি সব শালা গুলো এক খানেই আছে।
তারপর সবার সাথে গল্প করে সন্ধার সময় দুজনে বাসায় আসলাম।
বাসায় গিয়ে পরলাম এক বিপদে।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com