Breaking News

পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ০৩

তারপর আমি আর রিয়া বাসায় চলে আসলাম।
হঠাৎ করে আযানের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। মনে মনে একটু হাসলাম।
কারন আজকে রিমি সাথে প্রথম দেখা হওয়ার দিনের কথা ভাবতে ভাবতে তারই শ্বপ্ন দেখলাম।
আযান দিয়েছে তাই উঠে নামায পরতে গেলাম।
নামায পরে একটু হাটাহাটি করে বাসায় চলে আসলাম।
তারপর সকালের খাবার রান্না করলাম। রান্না করা শেষে খাবার খেয়ে চলে আসলাম টং দোকানে।
তারপর সেখানে থেকে চা খেয়ে গ্যারেজে গিয়ে সিএনজি টা নিয়ে বাহিরে ভাড়ার জন্য বের হলাম।
এভাবে কেটে গেল ১৩ দিন।ভাবলাম সিএনজি না চালিয়ে একটা চাকরি করব।
কিন্তু আমার অনার্স পাশের কাগজ গুলো লাগবে।
তাই আজকে একটা ফোন কিনে আমার বন্ধু রাকিব কে ফোন দিলাম,,,
আমিঃ হ্যালো রাকিব।
রাকিবঃ কে আপনি।

আমিঃ কিরে ভাই আমারে ভুলেই গেলি নাকি।
রাকিবঃ হ গেছি। তরে কত ফোন দিছি তুই জানিস। তোর ফোন বন্ধ আছিল কেন।
তুই কেমন আছিস।
আমিঃ ভালো তুই।আর তোর বউ ককেমন আছে। আর আজকেই ফোনটা কিনলাম।
রাকিবঃ ভালো রে।আগের ফোন কই
আমিঃ নষ্ট হইছে।
রাকিবঃ ওওও।তা তুই আছিস কই।
আমিঃ ঢাকাতে আছি।
রাকিবঃকি করছিস রে ঢাকাতে।
আমিঃ সিএনজি চালাই।
রাকিবঃ শালা এখন তোর মজা করার অভ্যাসটা গেল না।
আমিঃ সত্যি বলছি রে।
রাকিবঃ সত্যিইই।তুই অনার্স পাশ করে সিএনজি চালাইতেছোস কেন।
আমিঃ আমি কি আর সাধে চালাইতেছি।
রাকিবঃতাইলে চালাস কে,চাকরি করতে পারস না।
আমিঃ চাকরির জন্য কাগজ পাতি লাগবে।
রাকিবঃ তোর তো কাগজ সহ সব আছে।
আমিঃওগুলো বাসায়,আছে আমি আনি নাই।

আরো পড়ুনঃ
রাকিবঃ ওওওও।
আমিঃ তুই এখন একটা কাজ করে দিবি প্লিজ।
রাকিবঃবল শুধু কি কাজ।
আমিঃ আমার বাসায় থেকে শুধ আমার (,,,,,,,,,) কাগজ গুলো এনে দিবি।
রাকিবঃ তুই তাইলে আমাদের এখানে আসবি
আমিঃ কেন।
রাকিবঃ কাগজ পাতি নিতে।
আমিঃ আরে আমার যাওয়া লাগবে না।কোরিয়ার সার্ভিস এ পাঠাই দিবি।
রাকিবঃ ওকে।
আমিঃ আর আমাদের বাসায় আমার কথা বলে দেখিস তো আমাকে কে কে মনে রাখছে।
রাকিবঃ আচ্ছা তোদের বাসায় কেউ যদি বলে ওর কাগজ নিয়ে কি করবি।
আমিঃ কোনো একটা কাজের জন্য মিথ্যা কথা বলে নিয়ে আসবি।
রাকিবঃওকে ভাই।
আমিঃ আমি যে ঢাকা তে আছি কেউ যাতে না যানে।
রাকিবঃওকে।ঠিকানাটা দে ম্যাসেজ করে

তারপর ফোনটা রাখলাম। আবার সিএনজি চালাতে মন দিলাম।
আজকে বেশিক্ষন চালাবো না। কারন মন ভালো নাই আজকে।
১ঘন্টার মতো সিএনজি চালিয়ে সিএনজি গ্যারেজ করে বাসায় আসলাম।
তারপর রাতের খাবার রান্না করলাম। তারপর গোসল করলাম।
গোসল করে খাবার খেয়ে শুইয়ে পরলাম।
আজকে শরীর টা বেশি ক্লান্ত লাগছে।তাই শোয়া মাএই ঘুম ধরল।

আজকে আর ফজরের সময় ও ঘুম ভাংল না। সকাল ৯টা২৩ মিনিটে ঘুম থেকে উঠলাম।
তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার রান্না করলাম।
খেয়ে একটু রেষ্ট নিয়ে চলে আসলাম মোড়ের টং দোকানটায়।
তারপর চা খেয়ে দিলাম রাকিবের কাছে ফোন,,,,,
আমিঃ হ্যালো রাকিব।
রাকিবঃ হ্যা বল।
আমিঃ কাগজ পাতির কি আবস্থা।
রাকিবঃ ভাই কি ভাবে যে বলি তোকে।
আমিঃ কি হয়েছে রে বলতো।
রাকিবঃ তোর বউ তোর সব দরকারি কাগজ পাতি পুড়িয়ে ফেলেছে।
আমিঃ কিইইই।
রাকিবঃহুমমম ভাই।
আমিঃ কখন এসব করল।
রাকিবঃকাল আমি যখন কাগজ গুলো নিতে গেছিলাম তখন।
আমিঃ কি হয়েছিল সেটা বলতো।
রাকিবঃ আমি যখন তোর বাসায় গেলাম তখন,,,,,,,,,,
(রাকিব নীলের বাসায় যখন এসেছিল)

রাকিব কলিং বেল বাজালো। একটু পর রিয়া এসে দরজা খুলে দিল।
রিয়াঃআরে রাকিব ভাইয়া যে কেমন আছেন।
রাকিরঃ আছি ভালো। তোমরা কেমন আছ।
রিয়াঃহুমমম ভালো আছি। ভিতরে আসেন।
রাকিবঃ হুম চলো।
তারপর বাসার ভিতরে আসল রাকিব। তখন রিমি আসল রিয়া আর রাকিবের কাছে,,,,,
রিমিঃ আরে রাকিব ভাই কেমন আছেন।আর ভাবি কেমন আছে।
রাকিবঃ হুমমম সবাই ভালো আছে।
রিয়াঃ ভাইয়া বিয়ার পর তো আর আমাদের বাসাতে আসলেনই না।আর ভাবিকেও তো দেখালেন না।
রাকিবঃ ব্যাস্ত থাকি একটু। পরে একদিন নিয়ে আসব নি।
রিমিঃ তা আজ কি মনে করে আসলেন।
রাকিবঃ একটু দরকারি কাগজ পাতি নিতে আসলাম।
রিমিঃ কিসের কাগজ পাতি।
রাকিবঃ নীলের অনার্স পাশের কাগজ গুলো একটু দরকার ছিল।
রিমিঃ ওওও।দাড়ান আমি নিয়ে আসছি।
রাকিবঃ আচ্ছা ভাবি।

এমন সময় নীলয় ফোন দিল। (রাকিব এর বন্ধু)
রাকিবঃ হ্যা বল।
নীলয়ঃ কইরে তুই।
রাকিবঃ একটু বাইরে আছি।
নীলয়ঃ ওওও তারাতারি আয় রাখছি।
রাকিবঃ হ্যালো নীল,,,,,,ফোনটা কেটে গেল।(আসলে রাকিব নীলয় এর নাম বলেছে)
এমন রিমি নীল এর নাম শুনতে পেয়ে বলল,,
রিমিঃরাকিব ভাই আপনাকে নীল পাঠাইছে এই কাগজ পাতি গুলা নিতে।
রাকিবঃ আরে না নীলয় ফোন দিছিলো।
রিমিঃ ভাই মিথ্যা বলিয়েন না। আমি আপনাকে এই কাগজ গুলো দিব না।
রাকিবঃ আরে ভাবি নীল আমার কাছে ফোন দেয়নি। নীলয় ফোন দিছিলো।
রিমিঃ আমি কাগজ আর দিব না।
রাকিবঃপ্লিজ ভাবি আমাকে কাগজ গুলো দিন।
রিমিঃ আপনি নীলের জন্য কাগজ নিতে আসছেন।
এমন সময় নীলের বাবা মা আসল।

আর বলল,,,,,,,
নীলের বাবাঃ কি হয়েছে রে মা।
রিমিঃ নীল রাকিব ভাইকে দিয়ে ওর কাগজ পাতি নিতে পাঠাইছে।
নীলের বাবাঃ সত্যি নাকি রাকিব।
রাকিবঃনা আংকেল।
রিমিঃ ভাই আপনিও মিথ্যা বলছেন।
রাকিবঃ( চুপ হয়ে গেল)।
রিমিঃ কোনো কথা বলছেন না কেন।দেখছেন বাবা আমি সত্য টাই বলছি।
নীলের বাবাঃ তাই যদি হয় তাহলে তুই ওর সকল কাগজ পুরিয়ে ফেল মা।
রিমিঃ দাড়ান বাবা তাই করছি।
রাকিবঃ প্লিজ আংকেল এটা করবেন না। রিমি এটা নীলের লাইফের সব থেকে বড় একটা অংশ।
কিন্তু কেউ রাকিবের কোনো কথা শুনল না। তারা কাগজগুলো পুরিয়ে ফেলল।
শেষে রাকিব শুধু একটি কথাই বলল,,,,
রাকিবঃ আজকে তোমরা যা করলে নীলের সাথে। এটা ঠিক করলে না।
এই কাগজটা কতটা দরকারি ছিল তা একদিন জেনে ঠিকই পস্তাবে।
রাকিব আর কোনো কিছু না বলে চলে আসল।

(বর্তমানে)

নীলঃ কাগজ গুলো পুরিয়ে ফেলতে বাবাই রিমিকে বলছিল।
রাকিবঃহুমম ভাই।আমাকে তুই মাফ করে দে আমার জন্য তোর লাইফের সব শেষ।
আমিঃ আরে এতে তোর কোনো দোষ নাই। ওটা আমার কপালে ছিল না তাই পাইনি।বাদদে।
আর তোর বউ কেমন আছে।
রাকিবঃ ভালো রে আর তোর পরিবার মনে হয় তোকে ছাড়া অনেক ভালো আছে।
আমিঃ ওওওও।আচ্ছা ভাই রাখলাম।
রাকিবঃ ওকে ভাই ভালো থাকিস।
ফোনটা কেটে দিলাম। আর ভাবতে লাগলাম এটা কি হল। অনার্স পাশ করার পর আমি,,,,

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com