পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ১৩
বাসার ভিতরে এসে রাকিবের চোখের কাপর খোলার সাথে সাথে রাকিব তো আবাক।
কারন রাকিবের সামনে তার মা বসে আছে।
কিন্তু তার মা একটু ব্যাস্ত আছে তাই রাকিব এর মা কে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য রাকিব আর মুনিয়াকে বাসার এক কোনে নিয়ে বসিয়ে রেখে আন্টির কাছে গেলাম,,,,,
আমিঃ আন্টি এখন কেক টা কাটতে হবে সময় হয়ে এলো যে।
আন্টিঃ বাবা আমি সবাই কে কিছু বলেই কেকটা কাটা শুরু করি।
আমিঃওকে,,
তারপর আন্টি বলতে শুরু করল,,,,,,,,
সন্মানিত বন্ধুগন আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আপনারা কি জানেন আজকে কেন আমি আপনাদের এখানে ডেকেছি।
অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। আজকে আমার এক মাএ ছেলের জন্মদিন।
তাই আপনাদের ডাকা---
আরো পড়ুনঃ
তারপর কেক কাটার সময় হল। আন্টি যেই কেক কাটতে যাবে তখনি আমি আন্টিকে বললাম,,,,
আমিঃ সারপ্রাইজ নিবেন না
আন্টিঃ আরে আমার তো মনেই ছিল না। কোথায় তোমার সারপ্রাইজ।
আমিঃ ওয়েট করুন আর চোখ দুইটা বন্ধ করুন।
আন্টিঃ কেন।
আমিঃ চোখ বন্ধ করেন আগে,,,,
আন্টিঃ ওকে।
তারপর আমি রাকিবকে আন্টির সামনে এনে দার করিয়ে আন্টি কে বললাম,,,,,,,,,
আমিঃ আন্টি এবার চোখ খুলেন আর সামনে দেখেন।
আন্টিঃ হুমম।
আন্টি যেই সামনে তাকিয়েছে তখন তো পুরাই পাথর হয়ে দারিয়ে আছে।
হঠাৎ করে আন্টি রাকিব কে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।
কেউ চিনতে না পারলেও তিনি ঠিকি চিনতে পেরেছেন।কারন মায়ের চোখতো।
তারপর আন্টি বলল...
আন্টিঃ বাবা রাকিব তুই এতদিন কই ছিলি।
রাকিবঃ (,,,,,,) এই জায়গাতে ছিলাম আম্মু।
আন্টিঃ বাবা তুই এত সার্থপর কেমন করে হলি বল।
আমার কথা তোর একবারো মনে পরে নি।
রাকিবঃ হুমমম মা পরছে তো। আমি অনেক বার ঢাকা তে আসছিলাম।
কিন্তু তুমি বাসা চেন্জ করছ তাই খুজে পাই না।
আন্টিঃ সমস্যার কারনে চেন্জ করা লাগছে বাবা।
রাকিবঃ ওর সাথে কথা বলবে না। (মুনিয়াকে দেখিয়ে)।
আন্টিঃ ওটা কে রে।
আমিঃ আপনার ছেলের বউ।
আন্টিঃ ওওওও।ভারি মিষ্টি তো দেখতে। তা তোমার নাম কি মা।
মুনিয়াঃ জ্বী মা জান্নাতুল মুনিয়া।(পায়ে সালাম করে)।
আন্টিঃ খুবই সুন্দর নাম।
আমিঃ আন্টি কেকটা আগে কাটা হোক।তারপর সব গল্প শোনা যাবে।
আন্টিঃ ঠিক বলছ বাবা।
তারপর রাকিব, আন্টি,মুনিয়া,আমি মিলে কেকটা কাটলাম।
আজকে সবাই অনেক আনন্দ করলাম রাতের বেলা
আমি,আন্টি,রাকিব,আর মুনিয়া একসাথে বসে গল্প করতেছি। এমন সময় বললাম,,,,,
আমিঃ আচ্ছা রাকিব আমার বাসার সবাই কেমন আছে রে।
রাকিবঃ তারা তো ভালই আছে মনে হয়। তুই চলে আসার পর মাএ এক বার তোর বাসাতে গেছিলাম।
আন্টিঃ বাবা নীল তোমরা একে আপরকে কত বছর ধরে চিন।
আমিঃ প্রায় ছয় বছর।
আন্টিঃ এবার আমি কিন্তু আর তোমাদের কোথাও যাইতে দিব না।(রাকিব ও মুনিয়াকে বলল)
মুনিয়াঃ কেন মা।
আন্টিঃ কেন আবার এটা তো তোমাদের ই বাড়ি।
আমিঃ আন্টি ওরা আর কোথাও যাবে না।
রাকিবঃ আচ্ছা তুই এখানে আসছি কেমন করে আর আম্মু সাথে পরিচয় হলি কেমন করে।
আমিঃ (সব পরিষ্কার করে বললাম)
রাকিবঃ আম্মু নীল এখন কি করছে।
আন্টিঃ আমাদের কম্পানি তেই চাকরি করছে।
আমিঃ আন্টি কালকের পরের দিন থেকে রাকিব ও অফিসে যাচ্ছে তাহলে।
আন্টিঃ যদি ও চায় তাহলে।
আমিঃ ওই চাক বা না চাক ওকে যেতেই হবে।
তারপর আরো কিছুক্ষন গল্প করে সবাই শুইতে গেলাম।
পরের দিন আর অফিস এ যাইতে পারলাম না।
আজকে থেকে আমার সাথে রাকিব ও অফিসে যাবে।আমি বেতন ও ভালই পাচ্ছি।
প্রতি মাসে প্রায় ৪৫০০০ টাকার মতো। আন্টি আর মুনিয়া বাসাই থাকে। খুব ভালোই দিন কাটছে।
আর প্রতি রাতে রিমি,রিয়ার কথা ভেবে আর চোখের পানি ফেলে আমার রাত কাটছে।
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
ঢাকাতে আসছি আজ ৪ বছর হতে চলল প্রায়। বাড়ি কথা মনে পরতেছে খুবই।
তাই ভাবলাম একটু বাড়ি থেকে ঘুরে আসি।
সেই ভাবা সেই কাজ। পরের দিন সকালে আন্টিকে বলে আমি, রাকিব,আর মুনিয়া তিনজনে মিলে চলে আসতেছি আমার বাড়ির দিকে।
রাকিবের গাড়ি নিয়ে আসতেছি।
বাসার সামনে এসে কলিং বেল চাপার কিছুখন পরে ছোট্ট একটা মেয়ে -
প্রায় ২-৩ বছর বয়স হবে হয়ত দরজা খুলে দিল। আমি দেখে আর তার কথা শুনেই আবাক,,,,,,,
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com