পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ১২
আগের পাট গুলো যারা পরেন নি তারা আমার টাইম লাইনে গিয়ে পরতে পারেন। রিমি আমার বাবা মাকে যে পিক গুলো দেখিয়েছে সেগুলো হলো মুনিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করার পিক।
হঠাৎ করে ফোনের শব্দে আমার ভাবনার ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরলাম।
তারপর ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি রাকিব ফোন দিছে।
আমিঃ হে বল।
রাকিবঃ কেমন আছিস।
আমিঃ ভালো তুই।
রাকিবঃ হুমম আছি কোনো মতে। আর এতক্ষন ফোন তুলিস নি কেন।
আমিঃ খেয়াল করি নি।
তারপর আরো কিছু ক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম। আর এদিকে সকাল ও হয়ে গেছে।
তারপর আমি গিয়ে নামাজ পরে আসলাম। বাসায় এসে রান্না করে খেয়ে গেলাম সিএনজি চালাতে।
আজকে কেমন যেন লোকজনের ভির নেই। রাস্তায় কেন যানি ফাকা ফাকা।
অনেকখন ধরে বসে আছি সিএনজি নিয়ে।
কেউ আসছে না। ১০-১২ মিনিট পর একজন ভদ্র মহিলা আসলেন।
আর বললেন অমুক যায়গায় যাইতে।
আমিও তাকে নিয়ে যাচ্ছি ওই যায়গাতে।মহিলাটির বয়স আমার মায়ের মতোই হবে।
এমন সময় দেখি তিনি ফোনে যেন কার সাথে কথা বলল।
মহিলাটির হাতে একটি কিসের যেন ব্যাগও ছিল।
আমি তাকে যায়গা মতো ঠিকানায় পৌছাই দিলাম। তারপর মহিলাটি বাসার ভিতরে চলে গেলো।
আরো পড়ুনঃ
বাসাটা দেখতে অনেক বড়।
তারপর আমি যেই চলে আসতে যাব তখনি দেখলাম যে মহিলাটির ব্যাগটি ছেরে চলে গেছে।
তারপর আমি ব্যাগটি নিয়ে বাসার ভিতরে যাই। গিয়েতো আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম।
বাসাটা দেখতে অনেক সুন্দর। আর ভিতরের সব জিনিস পাতি বাহিরের দেশ থেকে আনা।
আমাকে দেখে মহিলাটি বলল,,,,,,
মহিলাটিঃ আরে তুমি এখানে।
আমিঃ জ্বি। আসলে আপনি সিএনজি তে এই ব্যাগটি ফেলে আসছিলেন।
মহিলাটিঃ ওওওও।
আমিঃ জ্বি। আচ্ছা আমি তাহলে আসি এখন।
মহিলাটিঃ বাবা তুমি কি যান এই ব্যাগটাতে কি আছে।
আমিঃ নাতো।
মহিলাটিঃ দেখো।(কিছু ছবি বের করে আর অনেক গুলো টাকা)
আমিঃ (আমি তো ছবি গুলো দেখেই আবাক।কারন ছবিটা ছিল রাকিব এর)। তারপর আমি বললাম
আমিঃ এটা কে
মহিলাটিঃ বাবা এটা আমার একমাএ ছেলে।
আমিঃ ওওও তা সে এখন কোথায়।
মহিলাটিঃ আজকে থেকে সাত বছর আগে সে বাড়ি থেকে চলে গেছে।
আমিঃ আচ্ছা আমাকে বলা যাবে কেন সে বাড়ি থেকে চলে গেল।
মহিলাটিঃ হুমম বাবা।(তারপর সে আমাকে সব খুলে বলল।যা আপনাদের বলা যাবে না।)
আমিঃ ওওও আচ্ছা। (আমি বললাম না যে আমি রাকিব কে চিনি)
মহিলাটিঃ আচ্ছা কথা তো অনেক হল। তোমার নামই ঠিকানা কিছু বল।
আমিঃ আমার জীবন কাহিনী অন্য রকম।
মহিলাটিঃ বলো দেখি কেমন।
তারপর আমি আমার সব কষ্ট গুলো মানে কথা গুলো বললাম।
আমার জীবনের কাহিনী শুনে তিনিও কান্না করলেন। তারপর বলল,,,,,,,,
মহিলাটিঃ বাবা তোমাকে একটা কথা বলব।
আমিঃহুমম বলেন।
মহিলাটিঃ তুমি আমার ছেলের মতো।
তুমি আজ থেকে আমার সাথে এবাড়িতে থাকো না বাবা।
আমিঃ না আমি থাকতে পারব না।
আর আমাকে যেতে হবে আজকে এটাই দিনের প্রথম ভাড়া ছিল।
আমাকে আরো ভাড়া মারতে হবে। মালিক কে টাকা দিতে হবে।
মহিলাটিঃ তুমি শিক্ষিত মানুষ হয়ে কেন সিএনজি চালাও।
আমিঃ কোনো চাকরি না ই তো তাই।
মহিলাটিঃ আমার অফিসে তুমি জয়েন করবা।
আমিঃ আসলে আমার কাগজ পাতি গুলো নাই যে।
মহিলাটিঃ ওগুলো লাগবে না তোমার। আমার তোমার মতো একটা বিশ্বস্ত লোক লাগবে।
আমিঃ কিন্তু,,,,,,
মহিলাটিঃ কোনো কিন্তু না আর এখন থেকে তুমি আমার বাড়িতেই থাকবা।
আমিঃ আচ্ছা।
তারপর আমি সিএনজি টা গ্যারেজে জমা দিয়ে সব কাপর চোপর নিয়ে মহিলাটি মানে আন্টি টির বাসায় আসলাম। তিনি আসলেই খুব ভালো মানুষ।
তারপর তিনি আমাকে একটা রুম দেখিয়ে দিলেন যেটার চার দেয়ালে শুধু রাকিব এরই ছবি। আর আমাকে রাকিবের ঘরেই থাকতে দেয়া হল।
তার পরের দিন থেকে আমি অফিস করা শুরু করলাম। ভালোই কাটছে এখনকার দিন গুলো।
কিন্তু আন্টি (মহিলাটিকে আন্টি বলি) প্রতিটি রাতেই রাকিব এর জন্য কান্না করে।
আর রাকিব এর বাবাও বেচে নাই।
আর কিছু দিন পর রাকিব এর জন্ম দিন তাই ভাবলাম তার জন্মদিনের গিফ্ট হিসেবে তার মাকে উপহার দেই। তাই ফোন করে রাকিব সহ ওর বউকে আসতে বললাম ঢাকাতে।
রাকিব বিয়ে করছে মুনিয়া কে।
তারপর আবার কাজে মন দিলাম।
প্রতি রাতে মনে পরে রিয়া,রিমি,বাবা মাকে।কিন্তু কোন মুখ নিয়ে যাব সেখানে।
তারাতো আমাকে অনেক বড় অপরাধি মনে করে।
আজকে রাকিব এর জন্মদিন আর এখানে মানে আন্টির বাসাও সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর করে।
আন্টিকে বললাম,,,,,,
আমিঃ আন্টি বাসাটা সাজানো কেন।
আন্টিঃ আজকে যে আমার ছেলে রাকিব এর জন্ম দিন।
আমিঃ ওওওও। আজকে একটা সাপ্রাইজ দিব আপনাকে।
আন্টিঃ কি সাইপ্রাজ বাবা।
আমিঃ সন্ধায় দেখতে পাবেন।
আন্টিঃ ওকে।
জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহঃ
একটু পর সন্ধা হবে আর রাকিব ও মুনিয়ার আসার সময়ও হইছে।
তাই আমি তাদের আনতে বাস স্টান্ডে গেলাম।
তারপর তাদের নিয়ে বাসায় আসলাম। (এটা নাকি আন্টির নতুন বাসা তাই রাকিব চিনতে পারেনি)।
তারপর রাকিব এর চোখে কাপর বেধে নিয়ে আসলাম বাসার ভিতরে।
চোখের কাপর খুলার সাথে সাথে তো রাকিব আবাক,,,,,,,,,
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com