Breaking News

পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ১৭

সন্ধার সময় বাসায় ফিরে আসলাম। তারপর খাওয়ার খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাধলো এ বিপদ। কারন আমার রুমে নাকি রিমিও থাকবে।

তারপর আমি গিয়ে আমার রুম থেকে নীরি কে নিয়া পাশের রুমে আসতে যাব এমন সময় রিমি বলল,,,,,,
রিমিঃ নীরি কে নিয়ে কই যান।
আমিঃ পাশের রুমে ঘুমাতে গেলাম।
রিমিঃ কেন এই রুমেই ঘুমান।
আমিঃ আপনার সাথে একই রুমে ঘুমাতে পারব না।
রিমিঃ ওওওও। আচ্ছা আপনি তাহলে সোফায় ঘুমান আর নীরি কে আমার কাছে দিন।
আমিঃ না আমি সোফায় ঘুমাতে পারব না। আর আমার কলিজার টুকরা নীরি কে আমার কাছে রাখব।(বলে চলে আসতেছিলাম)
রিমিঃ তাহলে খাটে ঘুমান।আমি আসতেছি।
আমিঃ( কোনো কথা না বলে ঘাটে গিয়ে শুয়ে পরলাম)।

একটু পর রিমি আসছে মনে হয় গোসল করতে গেছিলো।
আমিতো রিমিকে দেখে আবার ক্রাশ খাইলাম।
মনে চাচ্ছে এখনি গিয়ে তার ঘারে মুখটা গুজে দিয়ে ঘারের ঘ্রান টা নিতে।
কিন্তু যখনি আবার আগের কথা গুলো মনে হয় তখন মাথাটায় আর এসব আসে না।
মনে চায় শুধু কষ্ট দিতে। এমন সময় রিমি বলল,,,,
রিমিঃ এখনো ঘুমান নি কেন।
আমিঃ তোমাকে বলতে হবে নাকি।
রিমিঃ না মানে,,,,
আমিঃ থাক আর বলতে হবে না।
রিমিঃ (কোনে কথা না বলে খাটে ঘুমাতে আসল।)
আমিঃ খাটে উঠো কেন।
রিমিঃ ঘুমাবো না।
আমিঃ ঘুমাতে কে না করছে। তবে খাটে ঘুমাতে পারবে না ।
রিমিঃ তাহলে কোথায় ঘুমাবো।
আমিঃ সোফাতে ঘুমান।
রিমিঃ আমি সোফাতে ঘুমাতে পারি না।
আমিঃ তাহলে ফ্লোরে ঘুমান।
রিমিঃ না আমি এখানেই ঘুমাবো (এই বলে খাটে উঠে আসতেছিল।)
আমিঃ ঠাসসসস (একটা দিলাম)। একবার বলছি না খাটে ঘুমাতে পারবি না।
রিমিঃ হুমম (কান্না করছে)
আমিঃ ধুরররর থাকব না আর এই ঘরে। (বলে চলে আসছিলাম)
রিমিঃ প্লিজ চলে যাবেন না আমি নিচে ঘুমাচ্ছি(আমার পা ধরে)
আমিঃ হুমমম(কোনো কথা না বলে ঘুমালাম)

সকাল বেলা উঠে আমি তো আবাক। রিমি আমার পা ধরে শুয়ে আছে।
আর রিমির গালে পাচটা আঙ্গুলের ছাপ বসে গেছে। মনে হয় কাল রাতের চরটার দাগ।
দাগটা দেখে আমার যেন কলিজা টা ছিরে গেল। আমি এটা কি করছি।
এর আগে আমি কখনো রিমি কে মারি নি। আমার খুব কান্না পাচ্ছে।
কিন্তু কান্না করতে পারছি না। কারন রিমি জেগে যাবে তাই।
তাই আমি নরাচরা না করে ঘুমন্ত রিমি কে দেখছি।
মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে সারা রাত কান্না করেছে।
তারপর প্রায় ২৩-২৪ মিনিট ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাৎ করে রিমি জেগে গেল। আর আমি চোখটা বন্ধ করে নিলাম।
রিমি আমার দিকে তাকালো বুঝতে পারছে যে আমার ঘুম এখনে ভাংগে নি।
তাই সে হাত মুখ ধুতে চলে গেল আর আমি একটু পর উঠে বাহিরে চলে আসলাম।

এখাবে প্রায়য় ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেল। আর এই কয়দিনে রিমিকে প্রায় ১০-১৫ টা চর মেরেছি।
আর রিমি কোনো কথা না বলে সব সহ্য করেছে।
আমি আমার পরিবারের সকলকেই অনেক শাস্তি দিয়েছি।
কালকে রিমির জন্ম দিন তাই ভাবলাম কালকে সব ঠিক করে ফেলব।
আবার নিজের পরিবারকে আপন করে নিব।
আজকে রবিবার আর সোমবারে রিমির জন্ম দিন।
তাই আজকে আমি আর রাকিব দুজনে বাসার কাউকে না জানিয়ে
একটা ছোট খাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সব কিছু ঠিক করতে গেলাম।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com