Breaking News

শাশুড়ি vs বউ । পর্ব - ০২



দারোয়ানের মেয়ে হয়েও এমন কথা? আর কোটিপতির মেয়ে হলে কি করতা?(শাশুড়ি মা)

-মা আমার বাবাকে নিয়ে খোঁটা দিচ্ছেন কেন?
-এই মেয়ে মুখে মুখে এমন কথা বলো কেন? এভাবে কথা বলার সাহস দিছে কে? নতুন বউ হয়ে আসছো নতুন বউয়ের মতো থাকো আর না হয় বেশি খারাপ হবে(বড় ভাবি)
-মারিয়া তখন চুপ হয়ে যায়

-কি হয়ছে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া কি করো? কলসি নিয়া ঘাটে যাও
-মারিয়া তখন কলসি নিয়ে পুকুর ঘাটের দিকে যায়।
পুকুর থেকে কলসি পুড়িয়ে এক হাত থেকে আরেক হাত দিয়ে ধরে ধরে পাকঘরের ভিতরে কলসি নিয়ে রাখার পরে
-ঘরবাড়ী ময়লা হয়ে আছে, প্রথমে ঘরের ভিতর ভালোভাবে পরিষ্কার করবা তারপরে উঠোন ঝাড়ু দিবা
-আচ্ছা
-মারিয়া তখন এসব করতে থাকে।
দুপুর দুইটার দিকে মারিয়ার কাজ শেষ করে সবাইকে খাইয়ে তারপর নিজে খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে রেখে নিজের রুমে গিয়ে মারিয়া শুয়ে আছে আর তখনি শুভর কথা মাথায় আসছে।
শুভ থাকলে তো এখন আমাকে তার বুকে নিয়ে গল্প শোনাত আর আমিও ওর বুকে ঝাপটে ধরে মুখ গুঁজে রাখতাম।

এসব ভাবতে ভাবতেই মারিয়ার পাশে থাকা কোলবালিশ টা কে কাছে টেনে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
মারিয়া এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে সেটা তার খেয়াল নেই।
শুভর মা আর ভাবির চিল্লাচিল্লিতে তার ঘুম ভাঙ্গে।
মারিয়া তখন বিছানা ছেড়ে মায়ের কাছে গিয়ে
-আম্মু কিছু করা লাগবে?
-না কিছু করা লাগবে না। রাজরানী কি কোন কাজ করতে পারে? কাজ করে না। রাজরানীরা ভালো ভালো খাবে আর ঘুমাবে। ভাবতাছি রাজরানীর মতোই তোমার রুমে একটা এসির ব্যবস্থা করবো আর সেটা তোমার রুমে লাগাবো, তখন তুমি খুব ভালোভাবে ঘুমাতে পারবা(মা)
-মারিয়া তখন বুঝতে পারে তাকে খোঁচা মেরে কথা বলতেছে
-আম্মু কোন কাজ বাকি আছে? থাকলে বলেন আমি করে ফেলবো
-করা লাগবে না, যাও ঘুমাও

-মারিয়া তখন নিজের রুমে গিয়ে সীমার সাথে খেলা করতে থাকে।(সীমা হচ্ছে শুভর বড় ভাইয়ের মেয়ে)
রাত যখন দশটা বাজে তখন গ্রামের সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন এমন সময় মারিয়া শাশুড়ির মোবাইল টা ওনার বালিশের কাছ থেকে এনে শুভর নাম্বারে ফোন দেয়।
শুভ তখন ফোন কেটে দিয়ে আবার ব্যাক করে।
-কেমন আছো?(শুভ)
-হ্যা ভালো,তুমি কেমন আছো?(মারিয়া)
-হ্যা ভালো,কি করো?
-শুয়ে আছি,তুমি?
-আমিও
-শুভওওও
-হুমম লক্ষী বলো
-মিস করতাছি খুব
-আমিও মিস করতাছি রে
-হুহ

-মন খারাপ করে না পাগলী, আর তিনমাস পর তো আসবোই
-হুমম আচ্ছা শুনো
-বলো
-খাবার খাইছো তো?
-হ্যা খেয়েছি
-নিজে রান্না করে? নাকি হোটেল থেকে?
-হোটেল
-কতবার বলছি হোটেলের এসব খাবার খাবা না। শুভ এসব খেয়ে গেস্ট্রিক বানাবা না বলে দিলাম।
এখন থেকে নিজে রান্না করে খাবা
-আচ্ছা নিজে রান্না করেই খাবো
-হুম মনে থাকে যেনো
-আচ্ছা মারিয়া শুনো না
-হুমম বলো
-ভালোবাসি
-আমিও অনেক বেশি ভালোবাসি
-শুভ

-হুমম বলো
-এখন ফোন রাখি, যদি আম্মু দেখে ফেলে তখন আবার খারাপ ভাববে
-মারিয়া
-হ্যা বলো
-আমি তো এখন কাছে নেই,নিজের যত্ন নিও কেমন
-আচ্ছা তুমিও নিজের যত্ন নিও
-আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ বলে ফোন রেখে দেয়।
মারিয়া ফোন কথা বলা শেষ করে মায়ের বালিশের কাছে ফোন রেখে নিজের রুমে এসে শুভকে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়।
সকাল ৬টার দিকে শাশুড়ির ডাকে ঘুম থেকে শাশুড়ির কাছে যায়।
ফ্রিজে কিছু মাছ রাখা আছে সেগুলো দিয়ে রান্না করো
-আম্মু শীতের সকালে ফ্রিজের মাছ রান্না করার কি দরকার?
-যেটা বলছি সেটা করো........

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com