বাইশের বন্যা । ডাকাতের রাত । পর্ব - ০৭ । লিখা- তাসরিফ খান
ভাবছি রোদটা যদি কয়েকদিন এভাবেই থাকে তবে পানি কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু রোদটাও গায়ে সহ্য হচ্ছে না । কিছুদূর এগিয়ে শ্রাবনকে ডেকে বললাম,
আশেপাশে আমরা কোনো খাবার দিমু না । অন্য কোনো স্বেচ্ছাসেবী দল আইলে তো এইদিকে দিতে পারবো। আমি চাইতাছি যতদূর যাওয়া সম্ভব ততদূর যাইতে। ঐদিকে যাইয়া যাদের দেইখা মনে হইবো সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে, তাদের ত্রাণ দিমু ।
আরো পড়ুনঃ
মামা, তোর কি শরীর খারাপ? কেন মনে হইলো?
নাহ, তোরে দেইখাই মনে হইতাছে। চোখটা কেমন লাল হইয়া আছে । হ, একটু জ্বর জ্বর লাগতাছে ।
তুই এক কাজ কর, ইঞ্জিনের রুমডায় একটু ছায়া আছে। এহন রোইদে থাহিস না । ঐদিকে যাইয়া একটু রেস্ট ল ।
আইচ্ছা ঠিক আছে। তোরা তাইলে আমারে ডাক দিস ।
আমি হাঁটতে হাঁটতে ইঞ্জিন রুমে গিয়ে একটু হেলান দিয়ে কাত হলাম । কখন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি ।
কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। ধাক্কাটা এত জোরেই দিচ্ছে যে আমার ঘুম ভেঙে গেলো । আমি উঠে চারিদিকে তাকিয়ে বুঝলাম বিকেল হতে চলছে। শ্রাবন আমার পাশে বসে কপালে হাত দিয়ে বললো, মামা, ঠিক আছোস?
হ, ঠিক আছি।
নৌকায় তো মেডিসিন আছে, একটা নাপা আইনা দিমু?
আরে কিছু লাগবে না ।
মামা, ঐদিকে দেখতো...। দূরে কয়েকটা বাড়ি-ঘর দ্যাহা যাইতেছে। ঐদিক যামু?
ল যাই ।
কাছাকাছি যাওয়ার পর দেখতে পেলাম একজন সত্তর ছুঁইছুঁই বৃদ্ধ হাত ইশারায় আমাদের ডাকছেন। আমরা নৌকা ভিড়ালাম। বৃদ্ধ দরজার সামনে বুক সমান পানিতে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি বললাম, চাচা কেমন আছেন ?
আমার প্রশ্নটা শুনে লোকটা কান্না শুরু করে দিলেন। তার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। আমি নৌকা থেকে নেমে চাচাকে জড়িয়ে ধরলাম । ঘরে
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com