আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ৩৪
ফারহা নিজেকে আর সামলাতে পারলো না ।ফারহা কাঁদতে কাঁদতে রাহাতের গলা জড়িয়ে ধরল। রাহাতও ফারহাকে জরিয়ে ধরল।
ফারহা: I Love You Rahat.
রাহাত: I Love You Farha.
হঠাৎ কারো গলার শব্দ পেয়ে রাহাত আর ফারহার হুশ ফিরল ।
জিহা সামনে দাড়িয়ে আছে। জিহাকে দেখে রাহাত ফারহাকে ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল ।
জিহা: ফারহা ,রাহাত স্যার তো দেখছি তোর প্রেমে পাগল হয়ে গেছে।
তোকে না দেখেলেই একদম পাগল হয়ে যায়।
ফারহা:জিহা ,আমার তো মনে হচ্ছে,রাহাত পাগল হয় নি, তুই পাগল হয়ে গেছিস!!বাহ্ ...!!
বউ সেজে উনি সারা বাড়িতে ঢেং ঢেং করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন । ওয়াও... কি সুন্দর দৃশ্য...!
জিহা: ওফফফ......, ছাড় তো । আমি কোনো নিয়ম মানতে পারবো না।
আমার বাড়ি, আমি যেভাবে ইচ্ছে,সেভাবে ঘুড়ব ।
By the way ,তুই তো একটু আগেও রাহাত স্যারকে স্যার বলে ডাকছিলি ।
হঠাৎ করে রাহাত স্যার Just রাহাত হয়ে গেল...?
রাহাত স্যার এর ভালোবাসা এত তারাতারি সব কিছু পাল্টে দিলো......?
ফারহা: আরে তুই না......
তখন হঠাৎ সেখানে জিহার মা চলে আসল। জিহার মা জিহার কাছে এসে ,জিহার হাতে ধরল।
জিহার মা : আরে জিহা ,তুই এখানে কি করছিস? তোর ঘরে যা ।
বিয়ের কনে সারাবাড়িতে ঘুড়ছে, লোকে দেখলে কি বলবে....?
ফারহা ,তুমি জিহাকে ঘরে নিয়ে নিয়ে যাও ।( ফারহার দিকে তাকিয়ে)
ফারহা:ওকে আন্টি। জিহা ,চল ঘরে চল।
ফারহা আর জিহা দুইজনেই ঘরে চলে গেল। জিহার ঘরে ওদের কয়েকজন আত্নীয় ছিলো ।
জিহা ওদের সাথে কথা বলছে আর নিজের সাজ গোছাচ্ছে ।
আর ফারহা বিছানার এক কোণে বসে রাহাতের কথা ভাবছে।
ফারহা: রাহাত কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসে? ঠিকই তো ,
রাহাত যদি আমাকে না ভালোবাসত তাহলে ,নিজে থেকে আমার বিয়ে করতে চাইত...?
আমার আগেই বোঝা উচিৎ ছিলো।
আমি শুধু শুধু ওনাকে এত কষ্ট দিয়েছি, I am sorry ,রাহাত....!( মনে মনে)
তখন জিহা ফারহাকে ধাক্কা দিতেই ফারহার হুশ ফেরে।
জিহা: ফারহা, তুই আবার কি ভাবনায় ডুবে গেলি।
ফারহা: না ,কিছু না।বল কি বলবি।
জিহা: আচ্ছা,তুই কি এখানে শোক পালন করতে এসছিস, নাকি বিয়ে তে মজা করতে এসছিস ?
তোর চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে, আমি মরে গেছি, আর তুই আমার মৃত্যু শোক পালন করতে এসছিস।
ফারহা:ছি...! বিয়ের দিনে এইসব কি বাজে কথা বলছিস ?
জিহা:শোন ফারহা, আমি এত সহজে মরব না।
এতদিন তোর মাথা খেয়েছি,এবার বরের মাথা খাব ।
ফারহা:
তখনি হঠাৎ বাইরে হৈচৈ লেগে গেল । বর এসে গেছে।
জিহার ঘরে ওদের আত্নিয় স্বজনরা যারা ছিলো ,সবাই বর দেখতে চলে গেল ।
ফারহা যেতে নিলেই জিহা ফারহার হাত ধরে নিলো।
জিহা: তুই কোথায় যাচ্ছিস...?
ফারহা: তোর বর এর সাথে নাচঁতে যাচ্ছি...! মাথামোটা কোথাকার...!!
কোথায় আর যাব ,তোর বর দেখতে যাচ্ছি ।
জিহা:প্লিজ যাস না । আমি একা একা এখানে বসে থাকব ?
ফারহা: হ্যা, থাকবি।
জিহা: তোর বিয়েতে কিন্তু আমি সারাক্ষণ তোর সাথেই বসে ছিলাম! ভূলে গেছিস সেটা ?
ফারহা: হ্যা,ছিলি। কারণ, তুই রাহাতকে আগে দেখেছিস কিন্তু আমি তো তোর বরকে দেখেনি ।
তাই না ?So...., আমি এখন বর দেখতে যাব ,ছাড় আমাকে...!
জিহা: প্লিস যাস না । আমার ভয় লাগবে।
ফারহা: আরে, ভয় লাগবে? তোকে না আজকে পেত্নিদের রাণি মনে হচ্ছে ।
বিশ্বাস কর তোকে আজকে এত সুন্দর লাগছে না ,
যে ভূত পেত্নিরাও তোকে দেখে ভয় পাবে ।so ,তুই ভয় পাস না ।কেমন..???
জিহা: একটু আগেই তো বলেছিলি আমাকে সুন্দর লাগছে ,
এখন আবার বলছিস পেত্নির মতো লাগছে...?
ফারহা:আরে আমি তো মজা করছিলাম ...!।
আচ্ছা ,ঠিক আছে ,আমি যাব না । Happy..??
জিহা:হুমমম....খুব happy...!
জিহা আর ফারহা বসে গল্প করছিলো ।
তখন বিয়ে পড়ানোর জন্য কয়েকজন জিহাকে নিতে আসলো ।
সব নিয়ম মেনে বিয়ে সম্পন্ন হলো। হাসি-ঠাট্টা, খাওয়া -দাওয়া সব হলো ।
এবার বিদায়ের পালা ।জিহা খুব কাঁদছে । জিহার কান্না দেখে ফারহারও কান্না পাচ্ছে।
ফারহা জিহার কাছ থেকে সরে গিয়ে রাহাতের কাছে গিয়ে দাড়াল।
ফারহা আর নিজেকে সামলাতে পারে নি ।
ফারহা জোড়ে শব্দ করে কেঁদে ফেলেছে।
(বেস্ট ফ্রেন্ড এর চলে যাওয়া ..., সত্যি খুব কষ্টের বিষয়)
রাহাত: ফারহা ,প্লিজ কেঁদো না । নিজেকে শক্ত করো ।
তুমি কাদঁলে তো জিহা আরো বেশি কষ্ট পাবে । তাই না .......?
ফারহা:...........!!!
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com