ভালোবাসি প্রিয় । পর্ব - ১৩
গত পর্বে ছিলো.....নাফিসা সিদ্ধান্ত নেয় সে মেহেদীর কাছে যাবে। রিসাদের সাথে বিয়ে ভেঙে দেয় সে।বান্ধবী থেকে ঠিকানা নিলো। তারপর.......)
.
সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুছগাছ শুরু করলো নাফিসা। তার সমস্ত শাড়ি ব্যাগে রাখলো। মামিকে শাড়ি পড়তে দেখে আগে থেকেই ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর সেও শাড়ি পড়বে। মামির কাছ থেকেই শাড়ি পড়া শিখেছে। মাঝে মাঝে ফ্রেন্ডদের সাথে শাড়ি পড়ে ঘুরতেও যেতো আবার বিভিন্ন প্রোগ্রামে শাড়ি পড়ে এটেন্ড করতো। ছয়টা শাড়ি আছে তার কাছে। সবগুলোই ব্যাগে রাখলো। কিন্তু এখন যাবে কি পড়ে! থ্রিপিস নাকি শাড়ি! প্রথম শশুর বাড়ি যাবে, শাড়ি পড়েই যাওয়া যাক। ব্যাগ থেকে শাড়ি গুলো বের করে এবার দেখতে লাগলো কোনটা পড়বে! দিনার গায়ে হলুদে মেহেদী বলেছিলো, "কালো লাল শাড়ি পড়ে বউ সাজবে কি?"
নাফিসা কথাটা মনে করে লাল দুইটা শাড়ির মধ্য হতে জর্জেট লাল শাড়িটা হাতে নিলো। এটাই পড়বে। মেয়েরা বিয়ের দিন তো লাল শাড়ি পড়েই স্বামীর বাড়ি যায়! সেও যাবে। বাকি শাড়িগুলো ব্যাগে রেখে দিলো। সাথে কিছু টাকাও নিলো। আর তার প্রয়োজনীয় যা যা আছে সব গুছিয়ে নিলো। বড়সর লাগেজটা ফুলফিল। নেওয়ার মতো আরো অনেক কিছু বাকি আছে, কিন্তু এতোসব নিয়ে যাওয়া যাবে না। বাড়িতে তার ঠাই হয় কিনা, সেটাই তো তার জানা নেই! আবার এতো কিছু!
নাফিসা গোসল করে নাস্তা করতে এলে মামা বললো, তিনি এগিয়ে দিয়ে আসবেন। কিন্তু নাফিসা মামাকে নিষেধ করলো। আর নাফিসা যাওয়ার পর যেন মামামামী কোন খোঁজ নিতে না যায়, সেটাও বলে দিলো। মামা বারবার এমন পদক্ষেপ নিতে নাফিসাকে ভাবতে বলেছেন। নাফিসা বারবার একই কথা বলছে সে যাবে। আর তাকে যেন বাধা না দেয়। নাস্তা শেষ করে রুমে এসে লাল শাড়িটা পড়ে নিলো সাথে মেহেদীর দেওয়া চুড়ি জোড়াও। ফোনটা সাথে নিয়ে নিলো। মামামামী আর অহনার কাছে বিদায় নিয়ে মেহেদীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বুকের ভেতর উথাল-পাথাল করছে। আল্লাহ জানে কি হয়। নাফিসাকে দেখার পর মেহেদী কি রিয়েকশন করবে! সে কি তাকে বউ হিসেবে মেনে নিবে! নাকি দেখা হতেই কি গ-*লা চেপে মে-*রে ফেলবে! আজই কি তার শেষ দিন নাকি! সিএনজিতে বসে নানান কথা নাফিসার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! একদিকে ভয় অন্যদিকে আনন্দও হচ্ছে তার। লাল শাড়ি পড়ে প্রথম শশুর বাড়ি যাচ্ছে একা একা। না আছে সাথে কনেপক্ষ! আর না আছে সাথে বরপক্ষ! এমনকি বরটাও নেই সাথে!
সিএনজিতে থেকে হঠাৎ রাস্তায় মেহেদীকে দেখলো নাফিসা। দূর থেকে দেখেই বুকের ভেতর মোচড় দিলো! এই কয়দিনে কি অবস্থা হয়ে গেছে ছেলেটার। সব কিছুর জন্য সে দায়ী। মেহেদী কারো সাথে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে আস্তে আস্তে হেটে যাচ্ছে। পাশের লোকটাকেও তেমন ভালো দেখাচ্ছে না।
দিনার দেয়া এড্রেস অনুযায়ী নাফিসা সোজা মেহেদীর বাড়িতে চলে এলো। আট-দশ বছরের একটা পিচ্চির কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিলো মেহেদীর বাড়ি কোনটা। নাফিসা সেখানে এলো। রাস্তা থেকে বেশি দূরে না। রাস্তার কাছেই বাড়িটা। সামনে ছোট একটা উঠুন আছে। লাগেজ টেনে ছোট ছোট কদমে নাফিসা ঘরের দিকে এলো। দরজায় তালা দেওয়া। এখন ভেতরে প্রবেশ করবে কিভাবে! মেহেদী তো এদিক থেকে একটু আগে চলে গেলো। বাড়িতে কখন আসবে কে জানে! নাফিসা দরজার সামনে লাগেজ রেখে বাড়ির চারদিক হেটে দেখতে লাগলো। ঘরের দেয়াল ইটের কিন্তু চালা টিনের। ভেতরে দুইটা রুম হবে হয়তো। সামনের দিকটা টিন দিয়ে ঘেরা বারান্দা। চারিদিকে বেড়া দিয়ে ছোট রুমই বানিয়ে রাখা হয়েছে। বারান্দার মাঝামাঝিতেই মেইন দরজা, যেটায় তালা ঝুলছে। আশেপাশে তাকিয়ে কোন রান্নাঘর, বাথরুম কিছুই পেলো না। ঘরের ভেতরেই হয়তো এটাচড করা। বারান্দার বাইরে একপাশে গিয়ে পানির পাইপ, গ্যাসের পাইপ দেখতে পেলো। তাহলে ঘরের ভেতরেই সব। বাড়িতে কয়েকটা গাছ লাগানো আছে। আমগাছ, মেহগনি ও আকাশি। পরিবেশটা মুটামুটি ঠান্ডাই। নাফিসা গাছের দিকটায় একটা কাগজের উপর বসে রইলো অনেক্ক্ষণ। দুপুর হয়ে গেছে। মেহেদী বাসায় আসছে না এখনো। আসবেই বা কার জন্য! বাসায় যে কেউ নেই! কিন্তু নাফিসাই আর কতোক্ষন বসে থাকবে! ফোনের স্ক্রিনটা জ্বালিয়ে দেখলো প্রায় দুইটা বাজতে চলেছে। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে নাফিসা হাতে একটা ইট নিলো। ইট দিয়ে দরজার তালা ভাঙতে লাগলো। জোরে জোরে পাচ ছয়টা মারতেই তালা ভেঙে গেলো। নাফিসা হাপিয়ে গেছে। শশুর বাড়িতে প্রথম এসেই ভেতরে প্রবেশ করার জন্য তালা ভাঙছে। ভাবতেই ক্লান্ত মুখে হাসি ফুটে উঠলো নাফিসার। লাগেজটা নিয়ে বিসমিল্লাহ বলে ঘরে পা রাখলো নাফিসা। বাইরে থেকে ছোট দেখালেও ভেতরে বারান্দাটা বড় দেখাচ্ছে। একপাশে দুইটা দরজা। উকি দিয়ে দেখলো একটা ছোট রান্নাঘর অন্যটা বাথরুম। আর বাকি বারান্দা সম্পূর্ণটা ফাকা। চালের ড্রাম আছে একটা। বারান্দায় ছোট একটা জানালা। বারান্দা দেখে রুমের দিকে তাকিয়ে দেখলো পাশাপাশি স্টিলের দুইটা দরজা। তার ধারণাই ঠিক। দুইটা রুম। একটা তালা লাগানো আর একটা এমনিতেই আটকানো। নাফিসা আর তালা ভা-*ঙাভা-*ঙি না করে তালা ছাড়া রুমটার দরজা খুলে প্রবেশ করলো। অন্ধকার রুম, দরজা খোলায় আবছা আলো ঢুকছে ভেতরে। নাফিসা সুইচ খুজে লাইট অন করলো। এলোমেলো হয়ে আছে রুমটা। মেঝেতে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে ছোট ছোট আসবাবপত্র। কাপড়চোপড় এখানে সেখানে ছিটিয়ে আছে। মেহেদীর গিটারটা ভে-*ঙে চু-*রমাচু-*র হয়ে খাটের পাশে পড়ে আছে। কাছে এসে ভাঙা গিটার হাতে নিলো। ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে নাফিসার। চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পড়ছে। খাটের কোনে রেখে চোখের পানি মুছে দাড়ালো নাফিসা। জানালার পাশে এসে জানালা খুলে দিলো। এবার সূর্যের আলোতে পুরো রুম আলোকিত হয়ে গেলো। শাড়ির আঁচলটা কোমড়ে গুজে মেহেদীর কাপড়চোপড় ভাজ করে ওয়ারড্রবে রাখলো। এলোমেলো বইখাতা মেঝে থেকে তুলে টেবিলে রাখলো। ভা-*ঙা গিটারটা ওয়ারড্ররের উপর তুল বাকি ভা-*ঙাচো-*রা আসবাবপত্র বাড়ির পেছনের দিকে ময়লার স্তুপে ফেলে দিলো। সবকিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে ঝাড়ু খোঁজে বারান্দাসহ সম্পূর্ণ রুম ঝেড়ে পরিস্কার করলো। রান্নাঘরে ঢুকে এলোমেলো থালাবাটি ধুয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখলো। চারিপাশে তাকিয়ে সবটা একবার দেখে নিলো। এবার মনে হচ্ছে এটা বসবাসযোগ্য একটা ঘর। কিন্তু যেটা তালা দেয়া সেটা আর খুলেনি। মায়ের রুম হবে হয়তো। এমনিতেই এক তালা ভে-*ঙেছে, এখন আরেকটা ভা-*ঙলে তার কপালে কি আছে কে জানে! সেই ভয়ে আর খুলতে গেলো না। মেহেদীর মেঝেতে পড়ে থাকা ময়লা কাপড় নাফিসা ধুয়ে উঠোনে টানানো দড়িতে শুকাতে দিলো। এসব করতে করতে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
কাজ করতে করতে ক্ষুধা লেগে গেছে। সকাল নয়টার দিকে খেয়েছে আর খাওয়া হয়নি। কিন্তু খাবে কি! রান্নাও যে করেনি! এমনি ফোনটা বেজে উঠে। মামা কল করেছে।
- হ্যাঁ মামা বলো।
- কোথায় আছো?
- মেহেদীর বাসায়।
- নাফিসা সব ঠিক আছে?
- হ্যাঁ।
- মেহেদী তোমাকে এতো সহজে মেনে নিলো।
- একটু বুঝিয়েছি। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবে আস্তে আস্তে হয়ে যাবে আশা করি।
- মেহেদীর কাছে দাও, আমি কথা বলি।
- আমার উপরই তো রেগে আছে, এখন কি তোমার সাথে কথা বলবে! আগে সবটা স্বাভাবিক হোক, পড়ে তোমার সাথে কথা বলিয়ে দিবো।
- আচ্ছা, ভালো থেকো। যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানাবা।
- ওকে।
মামার সাথে কথা বলে মামির সাথে কথা বললো। মামি জিজ্ঞেস করলো লাগেজে খাবার রেখেছে তা খেয়েছে কিনা! সে তো খাবারের কথা জানেই না! কল কে-*টে মনে মনে নাফিসা বললো,
- মিথ্যে বলেছি আমি তোমাদের। মাফ করে দিও। মেহেদীর তো দেখাই পেলাম না আমি!
হাতমুখ ধুয়ে এসে নাফিসা খাটে বসে লাগেজ খুললো। লাগেজ খুলে খাবারের বক্স হাতে নিলো। নষ্ট হয়নি এখনো!
মাগরিবের আযান পড়লে লাগেজ থেকে ওড়না নিয়ে মেঝেতে বিছিয়ে নামাজ পড়ে নিলো। ফজরেরটা পড়েছিলো আর পড়া হয়নি। নামাজে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে মেহেদী ও তার মায়ের জন্য সহ সবার জন্য দোয়া করলো। নামাজ শেষে কিছু খাবার সে নিজে খেয়ে বাকিটা মেহেদীর রুমে রাখা ছোট ফ্রিজে রেখে দিলো মেহেদীর জন্য। এখন পেটে শান্তি লাগছে। মেহেদী এখনো আসছে না। বারান্দার দরজাটা ধাক্কা দিয়ে চাপিয়ে রেখেছে। মেহেদী এসে যদি আবার ভা-*ঙচু-*র শুরু করে সেই ভয়ে। মেহেদীর রুমের দরজাটা আটকিয়ে সে বাথরুমে গেলো।
মেহেদী বাসায় ফিরতেই দেখলো তার শার্ট বাইরে দরিতে! এটা এখানে কিভাবে এলো! সকালে কি সে ই রেখে গেছে! এটা এখনো ভেজা কেন! দরজার সামনে আসতেই দেখলো ভা-*ঙা তালা ঝুলছে! বাসায় চো-*র এসেছে নাকি! দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে এলো। বারান্দায় লাইট জ্বালানো! সে তার রুমের দরজা খুলে ভেতরে এলো। তার রুমেও লাইট জ্বালানো! সম্পূর্ণ রুম গোছানো! কে করলো এসব! সবসময় তো মা গুছিয়ে রাখে! মা কি ফিরে এসেছে! তার বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠলো! সে মা বলে ডাকতে লাগলো। রান্নাঘরে উকি দিয়ে মায়ের দেখা পেলো না। মায়ের রুমের দিকে যেতে নিলে দেখলো সেখানে তালা লাগানোই আছে। মা তো নেই! কে এসেছে তার ঘরে! কি হচ্ছে এসব তার সাথে! এমনি বাথরুম থেকে নাফিসা বেরিয়ে এলো। মেহেদী তাকে দেখে থমকে দাড়ালো। নাফিসাও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এবার খুব কাছ থেকে দেখছে ছেলেটার অবস্থা। চোখে অশ্রু ভীড় জমাতে শুরু করেছে। এ কি সেই মেহেদী! সে তো খুব স্মার্ট ছিলো। দেখতে খুব সুন্দর ছিলো। আজ তার এই অবস্থা করে ফেলেছে!
- তু..তুই এখানে কেন?
নাফিসা চোখের পানি মুছে কোমড় থেকে আঁচলটা খুলে মেহেদীর রুমে প্রবেশ করতে করতে বললো,
- কেন! অন্য কারো আসার কথা ছিলো নাকি!
নাফিসা কথা বলে রুমে এসে জানালা বন্ধ করতে লাগলো। মেহেদী পিছু পিছু দ্রুত তার রুমে প্রবেশ করে নাফিসার হাতে জোরে টান দিয়ে পেছনে ঘুরালো।
- এখানে কারো আসার কথা ছিলো না। তুই এসেছিস কেন?
নাফিসা চোখে চোখ রেখে বললো,
- আমার স্বামীর বাড়ি, আর আমি আসবো না!
- স্বামীর বাড়ি মানে! কে তোর স্বামী?
- তুমি আমার স্বামী।
- হুহ্! তোর মতো মেয়েকে কে বিয়ে করবে রে!
- আর কাউকে করতে হবে না। মেহেদী নামের ছেলেটা তো আমাকে আগেই বিয়ে করে বউ বানিয়ে ফেলেছে।
- কিসের বিয়ে! ওটা বিয়ে ছিলো না। ওটা জুলুম ছিলো। আর আজ ওই লোকগুলো তোর সম্পর্কে জানলে হয়তো নিজেদের কপাল চাপড়াতো। যে তোর মতো মেয়েকে তারা জীবিত রেখেছে। এই, রিসাদও কি তোকে ত্যাগ করেছে!
- রিসাদকে তো গ্রহণ করার সুযোগই দেইনি, ত্যাগ করবে কিভাবে! আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে আর তুমিই আমার স্বামী।
- দেখ, এখন কিন্তু আর আমার কাছে কিছু নেই, যা রিসাদ আর তোর দরকার পড়বে। সব শেষ হয়ে গেছে আমার, সব শেষ। এসব ড্রামা বন্ধ কর। আর চুপচাপ বেরিয়ে যা। না হলে আমার হাতে তোর ম-*র*ণও হতে পারে।
- ম-*রণ হলেও যে আমি যাচ্ছি না। সবকিছু ছেড়ে আমি তোমার কাছে চলে এসেছি স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে।
- সর, ছুবি না আমাকে এই হাতে। তোর মতো মেয়েকে কোন পা-*গ*লও স্ত্রী মানবে না। তুই আমার মায়ের খু-*নি। আজ আমার মা থাকলে তুই তোর অধিকার পেয়ে যেতি।
হঠাৎ নাফিসার গ-*লা চে*-পে ধরে চেচিয়ে বলতে লাগলো,
- স্ত্রীর অধিকার পেতে চাস? দে। আমার মাকে ফিরিয়ে দে। সব দিবো আমি তোকে।
নাফিসা ছুটার জন্য ছটফট করছে। একটু পর খুব জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো নাফিসাকে।
- এক মিনিট সময় দিলাম এখান থেকে বের হওয়ার জন্য। অন্তত আমাকে দিয়ে কোন খু-*ন করতে বাধ্য করিস না।
মেহেদী দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলো। নাফিসা মেঝে থেকে উঠে দাড়ালো। ওয়ারড্রবের কোনায় লেগে কপাল একটু কে-*টে গেছে।
- যাওয়ার জন্য আসিনি। খু-*ন হয়ে গেলেও যাবো না আমি মেহেদী।
খাটে বসে কপালের র-*ক্ত মুছে নিলো। একটুপর বাইরে থেকে মেহেদীর শার্ট আনার জন্য বারান্দায় যেতেই মেহেদী দরজা দিয়ে ভেতরে চলে এলো। বারান্দার দরজাটা লাগিয়ে নাফিসার হাত ধরে টেনে তার রুমে নিয়ে এলো। রুমের দরজাও ভেতর থেকে বন্ধ করে নাফিসার দিকে তাকিয়ে বললো,
- হাতের কাছে পেয়ে তোকে এভাবে যেতে দেই কিভাবে! অপহরণের মামলা দিয়েছিলি না আমার নামে! আজ বুঝবি অপহরণ কি জিনিস। এরপরের মামলায় আমার ফা-*সি হলেও কষ্ট লাগবে না আমার। এক বিন্দুও কষ্ট লাগবে না।
মেহেদী শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে নাফিসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নাফিসা পিছিয়ে যেতে যেতে ধপাস করে খাটে বসে পড়লো।
- ক..কি করতে চাচ্ছো তুমি!
- কিছু না করেই যেটার অগ্রিম শাস্তি পেয়েছি, আজ সেটাই করবো!
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com