Breaking News

ভালোবাসি প্রিয় । পর্ব - ১৭



গত পর্বে ছিলো.... নাফিসা কলেজে আসলো, মেহেদীর নিষেধাজ্ঞা তোলে নেওয়ার সুপারিশ করলো। আসার পথেই বিপত্তি। তারপর......

একটু এগিয়ে আসতেই রিসাদ সামনে পড়লো। নাফিসা তাকে দেখে চমকে উঠলো!
রিসাদও এখানে নাফিসাকে দেখবে ভাবেনি। নাফিসা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই রিসাদ পথ আটকালো।
- কোথায় গিয়েছিলে।
- অন্যের ব্যাপারে এতো তথ্য নিতে আসবেন না।
- এদিকে এখন কি তুমি মেহেদীর বাসায় যাচ্ছো?
- হ্যাঁ যাচ্ছি। সরে দাড়ান।
- নাফিসা, তোমার আচরণ আমার ভালো লাগছে না। এমন করছো কেন আমার সাথে।
- আপনি আমার সাথে কথা বলতে আসেন কেন!
- সিনক্রিয়েট বন্ধ করো আর আমার সাথে চলো।
- আপনার সাথে কেন যাবো?

- আমরা বিয়ে করবো। কারো সাপোর্টের প্রয়োজন নেই। আমরা দুজনই সবটা গুছিয়ে সুন্দরভাবে সংসার করবো। কোনো কিছুর অভাব হবে না তোমার।
- আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আমার হাসব্যান্ড আছে। আমি আমার হাসব্যান্ড এর কাছে ভালো আছি, সুখে আছি, শান্তিতে আছি। পথ ছাড়ুন।
রিসাদ হঠাৎ করেই নাফিসার খালি হাতটা ধরে ফেললো। কা-*টা জায়গায় হাত লাগতেই নাফিসা ও-*ফ্ফ শব্দ করে উঠলো। রিসাদ হাতে কা-*টা দেখে বললো,
- এটা কিভাবে হলো? মেহেদী তোমাকে টর্চার করে?
- হাত ছাড়ুন।

- নাফিসা তুমি একটুও ভালো নেই। তোমার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। প্লিজ চলে আসো আমার কাছে।
- হাত ছাড়তে বলেছি।
- নাফিসা এমন করো না। বুঝার চেষ্টা করো। আমার কথা মানো।
পাশে চায়ের দোকানে থেকে কেউ যে তাদের কথোপকথন শুনছে আর তাদের দেখছে তারা দুজনের কেউই লক্ষ্য করেনি সেটা। মেহেদী ইচ্ছে করেই চায়ের অর্ডার করেছে। নাফিসার হাত ধরার পর সাথে সাথেই গরম চায়ের কাপটা হাতে নিয়েছে। ঠিক যেসময় চা টা রিসাদের দিকে ছুড়ে মারবে হাত ছাড়ছে না বলে তার আগেই নাফিসা অন্যহাতের ব্যাগগুলো ফেলে রিসাদকে জোরে একটা থা-*প্পড় মারলো।

মেহেদী আর চা ছুড়ে না মেরে কাপে চুমুকে চায়ের স্বাদ উপলব্ধি করতে লাগলো। নাফিসা
থা-*প্পড় দেয়ার পর রিসাদ হাত ছেড়ে দিলো।
- তোর সাহস কি করে হয়, রাস্তায় আমার হাত ধরার! আমি যে বারবার বলছি আমি অন্য কারো বউ। সেটা তোর কানে যাচ্ছে না! এবার ভালো করে শুনে নে, আমি শরীরে, মনে সব দিক দিয়ে এখন মেহেদীর। আমাদের সম্পর্ক বহুদূর এগিয়ে গেছে। দ্বিতীয় বার আমার সামনেও আসার চেষ্টা করবি না। এরপরও যদি কোনোভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিস তো আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না। আর একবার আমার পিছু নেয়ার চেষ্টা করলে রাস্তার-* লোক ডেকে গ-*ণপি-*টুনি খাওয়াবো।

নাফিসা ব্যাগ হাতে তুলে নিলো। জ্যাম ছুটে গেছে কখন জানা নেই। সামনে থেকে একটা রিক্সা নিয়ে উঠে চলে গেলো। রিসাদ নাফিসার যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে রইলো। সরাসরি এতো সুন্দর একটা সিনেমা দেখে মেহেদী খুব আনন্দ পেয়েছে। মেহেদী দোকানের বিল পরিশোধ করে রিসাদের সামনে দিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে হেটে চলে গেলো বাড়ির পথে। রিসাদ মেহেদীকে দেখে অবাক! সে এতোক্ষণ এই দোকানে ছিলো! অথচ দেখতেই পায়নি! দেখবেই কিভাবে! দোকানে পর্দা টানানো। খুব কষ্ট লাগছে আজ তার। বিপরীত পথে সেও ধীর পায়ে হেটে যেতে লাগলো।

নাফিসা বাসায় ফিরে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো। মেহেদী এর মাঝে বাসায় এসেছে কিনা কে জানে! কিছুক্ষণ পর মেহেদী বাসায় ফিরে দেখলো নাফিসা শপিং ব্যাগগুলো একে একে ওয়ারড্রব এ রাখছে। দরজাটা লাগিয়ে মেহেদী জিজ্ঞেস করলো,
- কোথায় গিয়েছিলি?
- শপিং করতে। তুমি তো কিছু এনেই দাও না। তাই নিজেই শপিং করে এলাম।
- শপিং করতে গিয়েছিলি নাকি রিসাদের সাথে দেখা করতে?
নাফিসা চমকে উঠলো মেহেদীর কথা শুনে! হঠাৎ সে রিসাদের কথা বললো কেন! নিজেকে অনেকটা স্বাভাবিক করে বললো,
- রিসাদের সাথে দেখা কেন করতে যাবো! শপিং ব্যাগগুলো কি তোমার চোখে পড়ছে না!
- তা তো পড়ছেই!

মেহেদী নাফিসাকে একটানে নিজের খুব কাছে নিয়ে এলো। একটা হাত নাফিসার পেছনে রেখে তাকে নিজের সাথে চেপে ধরলো। অন্য হাতে নাফিসার সামনে আসা চুলগুলো কানের পেছনে গুজে দিলো। একটা আঙুল দিয়ে কপাল নাক ঠোঁট স্পর্শ করতে করতে গলা পর্যন্ত নামালো। নাফিসার ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। এই স্পর্শ অজানা এক অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে। মেহেদী গ-*লা থেকে হাতটা নিয়ে নাফিসার মাথার পেছনে রাখলো। তার নাক ও ঠোঁট দিয়ে নাফিসার সারা মুখে স্লাইড করতে করতে মাতাল সুরে বললো,
- আমার হাসব্যান্ড আছে, আমি আমার হাসব্যান্ড এর কাছে ভালো আছি, সুখে আছি, শান্তিতে আছি। আমি শরীরে, মনে সব দিক থেকে মেহেদীর হয়ে গেছি। আমাদের সম্পর্ক বহুদূর এগিয়ে গেছে! রাস্তায় দাড়িয়ে কে বলছিলো এসব?

নাফিসা চোখ খুলে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। চোখে তার বৃষ্টি ঝরছে। মেহেদী এসব জানলো কিভাবে! সে কি আশেপাশে ছিলো! তাহলে তাকে দেখতে পেলো না কেন! মেহেদীর এখনকার আচরণও নাফিসা বুঝতে পারছে না! সে কি স্বাভাবিক আছে নাকি রেগে আছে!

মেহেদী এখনো নাফিসার গালে, ঠোঁটে, চোখে, কপালে ছোয়া দিয়েই যাচ্ছে। আস্তে আস্তে ঠোঁট জোড়াও আটকে ধরেছে। সে এখন ঠোঁটের স্বাধ নিতে ব্যস্ত। নাফিসা পরম সুখে ভেসে যাচ্ছে। এ কি বাস্তব নাকি স্বপ্ন! মেহেদী রেগে যাওয়ার বদলে বিপরীত আচরণ করছে! এবার নাফিসাও একহাতে মেহেদীর শার্ট খামচে ধরে অন্যহাতে মেহেদীর চুল আঁকড়ে ধরেছে। যেন মেহেদীর সাথে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। কতক্ষণ সে এমন সুখে ভেসেছে তার জানা নেই। হঠাৎ করে মেহেদী তার নিচের ঠোঁটে খুব জোরে কা-*মড় বসিয়ে দিলো। নাফিসা চিৎকারও দিতে পারছে না। মেহেদী এখনো ঠোঁট কা-*মড়ে ধরে আছে। শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে মেহেদীকে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
(উহুম উহুম, এসব কি ভাবছেন আপনারা?😡, ছিহ)
এবার মেহেদী নিজেই ছেড়ে দিলো। নাফিসা ঠোঁট চেপে ধরলো। চোখ দিয়ে তার অনবরত পানি পড়ছে। ঠোঁট দিয়ে র-*ক্ত ঝরছে। ঝাপসা চোখে মেহেদীর দিকে তাকিয়ে দেখলো মেহেদীর ঠোঁটেও র-*ক্ত লেগে আছে। মেহেদী হাতের পিঠে র-*ক্ত মুছে বললো,

- রিসাদ তো বারবার বলছিলো তার সাথে যাওয়ার জন্য। যাসনি কেন? তবে তোদের ড্রামাটা সত্যিই অসাধারণ ছিলো।
নাফিসার সহ্য হচ্ছে না মেহেদীর কথা। এদিকে ঠোঁ-*ট চেপে ধরেও র-*ক্ত পড়া বন্ধ করতে পারছে না। বাথরুমে গিয়ে পানি দিলো। কিন্তু একটুও বন্ধ হচ্ছে না। পার্স থেকে টিস্যু নিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে বসে রইলো।

মেহেদী গোসল করে খাটে শুয়ে পড়লো। নাফিসা প্রায় আধঘন্টা ঠোঁট চেপে ধরেই বসে ছিলো। এখন র-*ক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে। ঠোঁট ফুলে গেছে। ক্ষত জায়গায় পাউডার দিয়ে থ্রিপিস পাল্টে শাড়ি পড়ে নিলো। ফ্রিজ থেকে ডাটাশাক নিয়ে ভাজি করলো আর আলু পটল দিয়ে নিরামিষ সবজি রান্না করলো। আমিষ ছাড়া এসব ছাড়া আর কি-ই বা রান্না করা যায়! ড্রামের চাল তো শেষ পর্যায়! বড়জোর আর তিনবেলা খাওয়া যাবে!
বিকেলে ফোনের রিংটোনে মেহেদীর ঘুম ভাঙলো।

নাফিসা মেহেদীকে কারো সাথে কথা বলতে শুনে রান্নাঘর ছেড়ে রুমে এলো। দরজার কাছ থেকেই শুনতে পেল মেহেদী বলছে, "মাফ করবেন স্যার। আমি কোথাও এটেন্ড করতে পারবো না।" পলাশ স্যার কল করেছে তাহলে! স্যার তো একটা শেষ চেষ্টা করলো, কিন্তু এই ঘাড় ত্যাড়া ছেলে সরাসরি না করে দিলো! নাফিসা আবার রান্নাঘরে চলে এলো। মেহেদী উঠে বেরিয়ে গেছে। সন্ধ্যায় মামা কল করে কথা বললো নাফিসার সাথে। একা একা আর কতোক্ষণ বসে থাকা যায়! এই বাড়িতে সে একা। কেউ মে-*রে চলে গেলেও আশেপাশের লোক জানতে পারবে না। প্রায় এগারোটা বাজতে চলেছে। খুব ভয় লাগছে তার। হঠাৎ দরজায় নক করলো কেউ! মেহেদী কি ফিরেছে!
- কে?

- তোর জ-*ম। দরজা খোল!
নাফিসা মেহেদীর কন্ঠ শুনে দরজা খুললো। মেহেদী ভেতরে চলে গেলো। নাফিসা দরজা লাগিয়ে রুমে এসে দেখলো মেহেদী ওয়ালেট থেকে বের করে টাকা দেখছে। দশ টাকা, বিশ টাকার নোট দেখা যাচ্ছে। ষাট সত্তর টাকা হবে হয়তো! ওয়ালেট পকেটে রেখে জানালার পাশে দাড়িয়ে একটা সিগারেট জ্বালালো। শার্টটা খুলে ঢিল মেরে খাটে ফেলে দিলো। মেহেদী ফোনটা হাতে নিয়ে কাউকে কল করে বললো, " আমার ফোনটা বিক্রি করবো। বারো হাজার দিয়ে কিনেছি। ফুল ফ্রেশ, সাত আট হাজারে কেউ কিনলে বলিস।"
ভান্ডার বুঝি ফুরিয়ে গেছে এখন ফোন বেচে খাবে। নাফিসা বিড়বিড় করতে করতে শার্টটা তুলে চেয়ারে ছড়িয়ে রাখলো। মেহেদী বাইরে তাকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়েই যাচ্ছে। নাফিসা কাছে এসে মেহেদীর উন্মুক্ত পিঠে মাথা রেখে দু'হাতে জড়িয়ে ধরলো। মেহেদী ছাড়ানোর চেষ্টা করলে নাফিসা আরও শক্ত করে ধরলো।

- কি শুরু করেছো এসব! জীবন এভাবে চলে না। জমানো টাকা শেষ এখন ফোন বেচে খাবে! এভাবে কয়দিন চলবে! সিগারেট খাও কেন তুমি? এভাবে শুধু শুধু নিজের ক্ষতি কেন করছো! ভালো কাজ করে উপার্জন করে খাও। সব ভুলে জীবনটা সুন্দরভাবে সাজাও। চাচীরাও তো এসবই বলে গেছে। শুধু শুধু নিজেকে ধং-*স করে দিচ্ছো কেন!মাও নিশ্চয়ই তোমাকে নিয়ে এসব ভাবেনি। ফিরে আসো এ পথ থেকে। আমরা সুন্দরভাবে সবটা গুছিয়ে নিবো।
- ছাড় আমাকে।

- প্লিজ মেহেদী, এভাবে ধংস হয়ে যেওনা। দুদিন পর কমপিটিশন। এটেন্ড করো তুমি। তোমার স্বপ্ন পূরণ করো।
নাফিসা ছাড়ছে না বলে মেহেদী তার হাতে জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরলো। চিৎকার দিয়ে নাফিসা সরে গেলো।
- তোর সাহস কি করে হয় আমাকে জ্ঞান দেওয়ার। কিসের উপার্জন, কিসের স্বপ্ন হ্যাঁ? আমার মা কে তুই মা বললি কেন!

মেহেদীর চোখ রক্তাবর্ণ ধারণ করেছে। নাফিসার চু-*লের মুঠি ধরে কাছে এনে হাতে আরও কয়েকবার সিগারেট চেপে ধরলো। নাফিসা চিৎকার করে মাকে ডাকছে, আল্লাহকে ডাকছে। মেহেদী তার পেটে পিঠেও সিগারেট চেপে ধরেছে। হাজার চেষ্টা করেও পারেনি থামাতে। সিগারেটের আগুন নিভে গেলে ছেড়ে দিলো। নাফিসা যন্ত্রণায় ছটফট করছে। জ্বালা কমানোর জন্য কান্না করতে করতেই ঠান্ডা মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আগুনের জ্বালা কি কোনোভাবে সহ্য করা যায়!

নাফিসার ছটফটানি দেখে মেহেদীর শরীর কাপছে। সে রুম থেকে বেরিয়ে তালা খুলে মায়ের রুমে চলে গেলো। দীর্ঘক্ষণ কান্না করতে করতে অস্থির হয়ে নাফিসা একসময় চুপ হয়ে গেল। মেহেদী অনেক্ষন পর তার মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে এলো। তার চোখমুখও ভেজা। রুমে এসে দেখলো নাফিসা চোখ বুজে এলোমেলো হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। আস্তে আস্তে হেটে হেটে নাফিসার কাছে এসে বসলো।

হাতে আলতো করে স্পর্শ করলো। ক্ষত জায়গা চামড়া পুড়ে লাল হয়ে গেছে। কাপা কাপা হাতে পেটের উপর থেকে শাড়িটা সরিয়ে দেখলো কোন কোন ক্ষত হতে র-*ক্ত বের হচ্ছে। এসব দেখে তার ভেতরটা কাপছে চোখ থেকেও নিরবে টুপটাপ পানি পড়ছে। সে যে একটা জা-*নো-*য়া*র হয়ে গেছে তা খুব ভালো করে বুঝতে পারছে। নাফিসার আধম-*রা চেহারায় তাকিয়ে বললো,

- এই কষ্ট তো আর সহ্য হচ্ছে না, তাই না? এবার নিশ্চয়ই নিজের জীবন নিয়ে পালাবি এখান থেকে।
দু'হাতে নাফিসাকে পাজাকোলে তুলে নিলো মেহেদী। শরীরে যেন শক্তি পাচ্ছে না সে! নাফিসাকে খাটে শুয়িয়ে ফ্রিজ থেকে বরফের টুকরো আনলো। নাফিসার হাতে পেটে আস্তে আস্তে বরফ ঘষতে লাগলো। ঠান্ডা পেয়ে নাফিসা নিভু নিভু চোখে তাকিয়ে মেহেদীকে দেখলো। তার শরীরে বিন্দু মাত্র শক্তিটুকুও পাচ্ছে না। ক্ষতর জ্বালায় শব্দ করে কাদতেও পারছে না! শুধু চোখের পানি ফেলছে। মেহেদী আরো বরফ নিয়ে নাফিসার পাশে বসলো। নাফিসাকে টেনে তুলে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে পিঠে বরফ লাগাচ্ছে। নাফিসা ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বললো,
- জীবনটাকে নষ্ট করো না। উপার্জন করো, জীবনটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে নাও মেহেদী। আমি সবসময় থাকতে চাই তোমার পাশে।

মেহেদী বরফ লাগানো রেখে তাকে বুকের সাথে চেপে ধরলো, মাথায় চুমু দিলো। নিশব্দে দুজনের চোখেই অশ্রু ঝরছে। নাফিসা কোন সারা দিচ্ছে না, ঘুমিয়ে পড়েছে তার বুকেই। সবগুলো বরফ লাগিয়ে নাফিসাকে বালিশে শুয়িয়ে দিলো। বরফ করার জন্য আরো পানি রেখে এলো ফ্রিজে। নাফিসার পাশে এসে শুয়ে নাফিসার চোখের পানি মুছে দিলো। কপালে, কাটা ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com