আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৬
আপু- এই তো গুড বয় ( মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)
আমি- আচ্ছা আমি হাত ধুয়ে আসি( যানি আর হাজার না করলেও কাজ হবে না)
তারপর হাত ধুয়ে এসে আপু কে খাইয়ে দিতে লাগলাম আপু ঠিক ছোট বাচ্চাদের মতো খাচ্ছে কত নিষ্পাপ লাগচ্ছে দেখতে কে বলবে এই মেয়ে এত পাজি বদ রাক্ষসী শাঁকচুন্নি খাওয়া প্রায় শেষের দিখে তখন হঠাৎ করে আমার আঙুলে কামড় দিলো
আমি- এটা কি হলো
আপু শুধু দাঁত বের করে হাসচ্ছে বজ্জাত মেয়ে কথা কথায় শুধু কামড় দেয়
তো খাওয়া শেষে বললাম "ঔষধ খেয়ে নিন
রুহি- খাবো না
আমি- ক্যান খাবেন না
রুহি- নিজের হাতে খেতে পারবো না তুই খাইয়ে দে
যানি আর কিছু বলেও কাজ হবে না একবার যখন বলছে খাইয়েে দিতে হবে মানে খাইয়ে দিতেই হবে তারপর ঔষধ খাইয়ে দিলাম ঔষধ খাওয়া শেষে বললাম
আপু আমার এখন বাসায় যেতে হবে অনেক রাত হইছে ( রাত ১০ টা বেজে গেছে)
আপু- একটু পর যা
আমি- না আপু এমনি ই অনেক দেড়ি হয়ে গেছে আম্মু চিন্তা করবে
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে যা সাবধানে যাস
আমি- হুম আপনি শুয়ে থাকুন ঘুমিয়ে পড়ুন এই অবস্থায় হাটতে যাইয়েন না
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে বাসায় পৌঁছে কল দিস
আমি আচ্ছা বলে বেরিয়ে পরলাম আপুর রুম থেকে তারপর বাসার দিখে হাটা দিলাম বাসায় এসে দরজায় কলিং বেল দিতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো
আম্মু- কি রে এত দেড়ি হলো ক্যান আসতে কোথায় গেছিলি
আমি- কোথাও যাই নি আপুদের বাসায়ই ছিলাম।
তারপর আম্মু বলল আচ্ছা ঠিক আছে তুই যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবার দিচ্ছি
তারপর রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার খেয়ে আবার রুমে গেলাম যেয়ে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে নিউজ ফিডে ঘুরাঘুরি করচ্ছিলাম তখন হঠাৎ কল আসলো নাম্বার দেখে বুঝলাম আপু কল দিছে রিসিভ করলাম
আপু- বাসায় গেছস
আমি- হুম
আপু- কখন গেছস
আমি- অনেক ক্ষন আগে
আপু- তোরে বলছিলাম না বাসায় যেয়ে কল দিতে সেই কখন থেকে তোর কলের অপেক্ষা করচ্ছি কিন্তু তুই তো আর কল দেস না তাই বাধ্য হয়ে আমিই কল দিলাম
আমি- সরি আপু আমি আসলে ভুলে গেছিলাম
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে কি করস
আমি- এই তো শুয়ে আছি আপনি
আমিও শুয়ে আছি
তারপর এভাবে একটু কথা বলে কল কেটে দিলাম তারপর শুয়ে শুয়ে একটু ফেইসবুকিং করে তারপর ফ্রি ফায়ারে ডুলে গেলাম তারপর কিছুক্ষন গেম খেলে ঘুমিয়ে পরলাম তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ১২ টার সময় আজ কেউ ডাকতে আসে নি কারণ রাতে বলে দিছি সকাল যেন কেউ ঘুম থেকে ডেকে না তুলে আজ সারাদিন বাসায় থাকবো গাড়ি মাস্টার পুস দিবো কারণ আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বাসা থেকে বেরিয়ে আমার কাজ নেই
তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করে রুমে যেয়ে গেমে ডুকলাম বুইয়ার খুব কাছা কাছি আর মাত্র দুইটা এনিমি আছে ওদের মারলেই বুইয়া ঠিক তখনই নেট 999+ এত রাগ উঠছে যে কি বলবো সময় পেলো না আর কল দেওয়ার নাম্বারের দিখে তাকিয়ে দেখি রাক্ষসী কল দিছে রিসিভ করলাম
রুহি- তুই কই
আমি- আপু আমি তো বাসায়
রুহি- তাড়াতাড়ি আমাদের বাসায় আয়
আমি- কেনো আপু
রুহি- তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো
আমি- সরি আপু আমি আজ বাসা থেকে বের হবো না
রুহি- কেনো
আমি- এমনি আর আপনি কি করে ঘুরতে যাবেন আপনি তো হাটতে পারবেন না পা এখনো ঠিক হয় নি চুপচাপ বাসায় শুয়ে থাকুন কোথাও যাওয়া লাগবে না
রুহি- আচ্ছা ঠিক আছে ( বলেই কল কেটে দিলো)
আমি তো অবাক আপু এত সহজে আমার কথা মেনে নিল যাই হোক এসব না ভেবে গেম খেলায় মন দেই তারপর দুই তিন ঘন্টার মতো গেম খেলে বিকালে গিটার নিয়ে ছাঁদে গেলাম ছাঁদের এক সাইডে বসে গিটারে শুরু তুললাম আর গান গাইতে লাগলাম
ফুল দিও কলি দিও কাটা দিও না আস্তে আস্তে চুম্মা দি কামড় দিও না
ফুল দিও কলি দিও কাঁটা দিও না আস্তে আস্তে চুম্মা দিও কামড় দিও না
I got this
feeling right now
that you don't
wanna know
whats going
through
my heart
cuz i could tell u
all night long
is this the
meaning of love
is this what
we had planned
tell me that
i was wrong and
everyone was
right again
ফুল দিও কলি দিও কাটাঁ দিও না আস্তে আস্তে চুম্মা দিও কামড় দিও না
গান গাওয়া শেষ হলে হঠাৎ পিছন থেকে হাত তালি দেওয়ার সব্দ শুনলাম পিছনে তাকিয়ে দেখি পাশের বাসার ছাঁদ থেকেে কয়টা সুন্দরী মেয়ে হাত তালি দিচ্ছে হায় হায় আমার গান শুনে ফেলল নাকি
একটা মেয়ে- বাহ আপনার গলা অনেক সুন্দর খুব সুন্দর গান গাইতে পারেন
আমি আয় হায় ওরা শুনে ফেলছে
আমি- ধন্যবাদ(,একটু হেসে)
বলেই জলদি ছাঁদ থেকে নেমে আসার জন্য পিছনে ঘুরলাম পিছনে ঘুরেই তো আমার চোঁখ কপালে উঠে গেলো রাক্ষসী এখানে কি করে আসলো রাগি লুকে আমার দিখে চেয়ে আছে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাবে আমি কিছু বলতে যাবো তখনই ঠাসসস করে আমার গালে একটস চড় পরলো
রাক্ষসী থুক্কু রুহি আপু,- তাহলে এই জন্য আমার সাথে ঘুরতে যেতে মানা করছস সারাদিন বাসায় থাকবি বলছস ছাঁদে এসে অন্য মেয়েদের গান শুনাচ্ছিস (রেগে আগুন হয়ে)
আমি- আপু আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন আমি একটু আগেই ছাঁদ আসছি আমি জানতাম না যে ওই বাসার ছাঁদে কেউ আছে আমি আমার মতো করে এসে বসে গান গাচ্ছিলাম
রুহি- চুপ একদম চুপ একটাও কথা বলবি না
আমি বুঝি না এই রাক্ষসী এভাবে খেপে গেলো কেনো আর আমি যদি অন্য মেয়েকে গান শুনিয়েও তাকি তাহলে ওনার কি এসব ভেবে রাগ উঠে গেলো হুদাই থাপ্পড় দিলো
রুহি- চল নিচে চল
আমি- আমি যাবো না আপনি যান (,রেগে)
রুহি- যাবি না মানে
আমি- আপনি আমাকে এমনি এমনি থাপ্পড় দিছেন ক্যান আমি তো কোনো দোষ করি নি আর আমি তো আপনাকে আগেই বলছি আমি মেয়েদের সাথে মিশি না সব সময় দূরে দূরে থাকি
আপু- ( ঠিকি তো বলছে যদি লুচ্চাই হতো তাহলে তো প্রথম দিন আমার সাথে ওভাবে ভাব দেখিয়ে কথা বলতো না দেত হয়তো ও সত্যিই বলছে ওই মেয়েগুলো কে দেখে নি দেত রাগের মাথায় ক্যান যে থাপ্পড় দিতে গেলাম এখন তো পিচ্চি টা রেগে গেছে এখন রাগ ভাঙাতে হবে মনে মনে)
আপু কে চুপ তাকতে দেখে বললাম কি হলো যান দাড়িয়ে আছেন কেনো
রুহি আমার দিখে মায়ার নজরে তাকিয়ে "সরি রে রাগের মাথায় তোকে থাপ্পড় দিয়ে দিছি সরি ক্ষমা করে দে
আমি- রাখেন আপনার সরি আপনার কাছ যান এখান থেকে,,(রেগে)
রুহি- (বাপরে কি রাগ পিচ্চির আমিও দেখবো তুই কত ক্ষন রাগ দেখাতে পারস
রুহি- সরি বললাম তো এই কান দরচ্ছি আর এমন করবো না ( কান দরে)
আমি- দেত যান তো এখান থেকে আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করচ্ছে না
রুহি- এখন কিন্তু কান্না করবো তুই আরেক বার এভাবে কথা বললে
এটা শুনে তো আমার মাথায় বাজ পরলো রাক্ষসী বলে কি
আমাকে চুপ থাকতে দেখে রুহি বলল এখন কিন্তু সত্যি সত্যি কান্না করবো, (,,কাদো কাদো ভাব নিয়ে)
আকাশের অবস্থা ভালো না এই বুঝি বৃষ্টি নামবে এমন পরিস্থিতি দেখে আমি বললাম না না থাক আপনাকে কান্না করতে হবে না আমি আর এভাবে কথা বলবো না বলতেই হঠাৎ করে আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে গিয়ে সূর্য চলে আসলো মানে কাদো কাদো ভাব থেকে হঠাৎ করে আপুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো এই মেয়ের ব্যবহার আমাকে বার বার অবাক করে দিচ্ছে একবার হলে খুব রাগি আর একবার হলে খুব নরম এসব ভেবে হঠাৎ করে একটা গান মনে পরলো
মেয়েদের মন বুঝা নয় রে নয় সোজা " গান হলেও একদম সত্যি কথা
রুহি- আচ্ছা ঠিক আছে কাদবো না ( মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)
যাক ভাবা বাঁচা গেলো আস্তে আস্তে
রুহি- বিড়বিড় করে কি বলচ্ছিস
আমি- কই কিছু না তো।
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com