তোর চোখের মায়ায় । পর্ব - ০৫
- Chahara Main Tara, Kudko Main Dunduu....
-Akhoka darmiaa Tu Ab Hay istara,Khabo ko
Vi Jaga na Milaa...
-A Mosam Ki Baarish, A Baarish Kaa Pani,A
Pani Ki Bunda Tuja Hee Tu Dunda, A mil nai
ki Kohis, A Kohis Purani Ho puri Tujisa....
--"Meri a Kahaniii...
" নিজের বিছানায় বসে হাতে গিটার নিয়ে গানটা গাইছে রিফাত।
এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে তার, বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ,
বেলকনির জানলা ভেদ করে সাদা পর্দাকে উপেক্ষা করে হিম শীতল বাতাস আসছে রিফাতের রুমে।
সেই বাতাসে রিফাতের শরীর মন সর্বাঙ্গ ছুয়ে যাচ্ছে,
চোখ বন্ধ করে পরিবেশটাকে খুব করে উপভোগ করছে রিফাত।
যেন এক অদ্ভুত শিহরণে আঁটকে যাওয়া মনোভাব ।
সেই সময় এক কাপ কফি হাতে রিফাতের রুমে প্রবেশ করে রিফাতের বড় বোন রুহি।
ভাইকে হঠাৎ এতটা খুশি হতে দেখে ভীষণ অবাক হয় সে।
তবে তার ভাইয়ের গাওয়া গানটা তার ও ভীষণ ভালো লাগে,
তাই তো কপি হাতে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে সে।
----বেশ কিছুক্ষণ পর,,,,,,,,
রিফাত গিটার বাজানো বন্ধ করে দিলো, সাথে গান গাওয়া ও। চোখ খুলে সামনে নিজের বড় বোনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে বলেঃ-
-"আপু তুই,,, কখন আসলি
" হঠাৎ ভাইয়ের মুখে এমন কথা শুনে রুহি মুচকি হাঁসে, তারপর কফির কাপটা রিফাতের বিছানার পাশে টেবিলে রাখতে রাখতে মুচকি হেঁসে বললো,
-"খুব খুশি মনে হচ্ছে ভাই,
-"মানে
-" না হঠাৎ গিটার হাতে গান গাইছিস আবার মুচকি মুচকি হাসছিস, ভাবছি প্রেমে ট্রেমে পড়লি নাকি।
-"ধুর কি যে বলো তুমি আপু
-"হুম বুঝি বুঝি,তা মেয়েটা কে ভাই..?
-"তুমি যা ভাবছো সেসব কিছুই না আপু,
-"তারমানে তুই প্রেমে পড়িস নি
-" একদমই না আপু,,,,
-"তাহলে গান গাইছিলি কেন, আর একা একা হাসছিলি কেন,
-"ওটা এমনি গাইছিলাম, জাস্ট ভালো লাগছিলো তাই আর কি,,,
-" সত্যি বলছিস তো
-" হুম।
-" উঁহু মনে তো হচ্ছে না ।
" বিনিময়ে রিফাত কিছু বললো না, রুহিও ভাইয়ের চুপ হয়ে যাওয়া দেখে আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নেয়, যাওয়ার আগে পিছন ফিরে রিফাতের দিকে তাকিয়ে বলে,
-"চালিয়ে যা ভাই।
--প্রতি উত্তরে রিফাত কিছু না বলে মুচকি হাঁসি দেয়।
আর তাতেই রুহি যা ভাবার ভেবে নেয়।
পরদিন সকাল ৯ঃ৩০
" মেঘলা কলেজে এসে পৌঁছাতেই দেখতে পায় পুরো কলেজ সাজানো হচ্ছে, ও সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ক্লাস রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্য পা বাড়ায়, তখনই ওর কাছে আসে স্নেহা, মাহি আর দ্বীপা। এসেই বলতে শুরু করে,,
মাহিঃকিরে তুই দেখি আজকাল সকাল সকাল কলেজে চলে আসিছ।
স্নেহাঃ না এসে কোনো উপায় আছে, স্যার যেভাবে পর পিছনে পড়ছে।
দ্বীপাঃহুম ঠিকই বলছিস রে, স্যার কিন্তু মেঘলার সাথে বেশি বেশি করে।
স্নেহাঃআমি ভাবছি অন্য কিছু,,
মেঘলাঃ তুই আবার কি ভাবছিস।
স্নেহাঃআমার মনে হচ্ছে রিফাত স্যার মেঘলাকে পছন্দ করে , দেখিস না ক্লাসে কিভাবে আড়চোখে মেঘলার দিকে তাকায়,ওইদিন আবার মেঘলা চলে যাওয়ার পরে আমার কাছে মেঘলার কথা জিজ্ঞেস করছে।
দ্বীপাঃতাহলে তো ভাবনার বিষয়।
মেঘলাঃ তোরা না বেশি বেশি ভাবিস, সেরকম কিছুই না।
মাহিঃ তাহলে কি রকম গো।
মেঘলাঃ স্যার তো আমাকে সহ্যই করতে পারে না ।
স্নেহাঃসেটা তো স্যার তোকে দেখানোর জন্য এমন করে।
-"ওদের কথার মধ্যেই সেখানে আগমন ঘটে রিফাত স্যারের। স্যারকে দেখেই সবাই চুপ হয়ে যায়। রিফাত এসেই ওদেরকে ধমক দিয়ে বলে,,,
- কি ব্যাপার তোমরা ক্লাসে না গিয়ে এখানে কি করছো।
- এখনো তো ক্লাস শুরু হয় নি স্যার, সবার একসাথে উত্তর।
-"ক্লাস শুরু না হলে কি এখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিবে, যাও ক্লাসে যাও।
রিফাতের ধমক শুনে সবাই ক্লাসে চলে যায়।
মূলত ওদেরকে ধমক দেওয়ার কারন হচ্ছে, রিফাত অনেকক্ষন ধরে খেয়াল করছে মেঘলাদের সিনিয়র ব্যাচের একটা ছেলে বারবার মেঘলার দিকে অন্য নজরে তাকাচ্ছিলো। সেটা রিফাতের সহ্য হয় নি, তাই তো ওদেরকে ধমক দিয়ে ক্লাসে পাঠিয়ে দেয়।
ক্লাস শেষে ক্যান্টিনে বসে আছে স্নেহা মাহি আর মেঘলা। কালকে ওদের কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেটা নিয়েই আলোচনা করছে সবাই।
মাহিঃ তুই কি কোন কিছুতে অংশগ্রহণ করবি না মেঘ।
স্নেহাঃতাই তো তুই কি কিছুতে নাম লেখাবি না, আজকেই তো শেষ দিন।
মেঘলাঃ না রে আমার ভালো লাগছে না,আমি কিছু পারবো না।
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com