আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ১১
আপু- কি হলো চুপ করে আছিস ক্যান আরেক ডোজ দিবো নাকি (সয়তানি হাসি দিয়ে)
আমি- না না এক ডোজেই আমি শেষ
আপু- ইশশ ঘেমে কি অবস্থা হইছে দেখো (বলে উরনা দিয়ে মুখ মুছে দিলো)
তারপর আমি বিছানায় বসে পরলাম এখন আমিও সিওর আপু আমাকে ভালবাসে কিন্তু আপু কে যে আমার পছন্দ না এমন কিছু না আপু তত টাই সুন্দর যতটা সুন্দর হলে যে কোনো ছেলে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পরে যাবে সমস্যা একটা যায়গায়ই আপু আমার থেকে বয়সে বড় আপুর সাথে যদি কোনো সম্পর্কে জড়াই তাহলে কোনোদিন ও ফ্যামেলি মানবে না না আমার ফ্যামেলী না আপুর ফ্যামেলী না এই সমাজ তখন দুজন কেই কষ্ট পেতে হবে তার চেয়ে ভালো এখন থেকে আপুর থেকে দূরে দূরে থাকবো কারন আপু যা শুরু করছে কখন না যানি সব ভুলে যেয়ে আপু কে আপন করে নিতে চায় এই মন.....
আপু- কি রে কি এত ভাবচ্ছিস
আপুর কথায় চিন্তার জগৎ থেকে ফিরলাম
আমি- আপু আমি এখন যাই
আপু- কই যাবি
আমি- বাসায়
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে যা
আমি- হুম (বলে চলে আসতে লাগলাম)
আপু- সত্যি চলে যাচ্ছিস
আমি- হুম
আপু- এদিখে আয়
আমি- কি বলবেন বলেন
আপু- এই অবস্থায় যাবি কি করে ( মুখ টিপে হেসে)
আমি- যেতে পারবো না কেনো কি হয়েছে
আপু- দেখ (,হাত দরে আয়নার সামনে নিয়ে যেয়ে)
তাকিয়ে দেখি আমার ঠোঁটে মুখে লিপস্টিক লেগে আছে বজ্জাত মেয়ের দিখে তাকিয়ে দেখি এখনো হাসচ্ছে
তারপর আপু হাসি থামিয়ে কিছু না বলেই তার উরনা দিয়ে লিপস্টিক মুছে দিলো
আপু- এখন যা আর লিপস্টিক লেগে নেই
আমি- হুম (,বলেই আপুর রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম রাস্তা দিয়ে হাটচ্ছি আর ভাবচ্ছি কাল থেকে কলেজ যাওয়ার সময় আপু কে নিবো না কলেজেও দূরে দূরে থাকবো পড়তেও যাবো না আপুর কাছে)
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম এসে আম্মু কে বলে দিলাম যে আর আপু কে কলেজ নিয়ে যেতে পারবো না পড়তেও যেতে পারবো না আম্মু কারণ জিজ্ঞেস করছে বলছি এমনি আম্মু মানতে চায় নি প্রথমে পরে মানছে..........
সকালে ঘুম ভাঙল ফোনের রিংটোনের শব্দে তাকিয়ে দেখলাম আপুই কল দিছে রিসিভ করলাম না উঠে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তা করে বেরিয়ে পরলাম কলেজের উদ্দেশ্যে কলেজে যেয়ে সোজা ক্লাসে সবগুলো ক্লাস শেষ করে যেই ক্লাস থেকে বের হলাম ওমনি সামনে আপু
আপু- ওই কুত্তা আমার ফোন দরস নি কেনো কলেজ আসার সময় আমাকে নিয়ে আসস নি কেনো (রেগে)
আল্লাহ এখন এই রাক্ষসীরে কি জবাব দিবো ওনার থেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছি আর ওনি খুঁজে খুঁজে আমার কাছে আসচ্ছে) এসব ভাবচ্ছিলাম হঠাৎ ফোনে কল এলো রিসিভ করলাম
ওপাশ থেকে- (.............)
আমি - কিহহ সত্যি
ওপাশ থেকে- (,..........)
আমি- আধঘন্টার ভিতরে আসচ্ছি আমি (বলেই কল কেটে দিলাম)
আমি- আপু আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে আপনার সাথে পরে কথা বলবো(বলেই চলে আসতে লাগলাম)
আপু- দাড়া কই যাবি (হাত দরে)
একটু চুপ থেকে বললাম অভ্র এক্সিডেন্ট করছে হসপিটালে ভর্তি এখনি যেতে হবে আপু বলল আচ্ছা যা সন্ধা পরে আমাদের বাসায় আসিস
আমি আর ওসবে কান না দিয়ে দিলাম দৌড় এক দৌড়ে কলেজের বাহিরে আসলে একটু বুদ্ধিমান না হলে এই পৃথিবীতে চলা যায় না
বুঝলেন না তো আচ্ছা বুঝিয়ে বলচ্ছি তখন অভ্রই কল দিছিলো আজ কলেজে আসে নি বিকালে ক্যাফে তে আড্ডা দিতে যাবে এটাই বলচ্ছিলো আর আমি একটু অভিনয় করে নিলাম আপুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেচারা অভ্র ও দিব্বি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ও নাকি এক্সিডেন্ট করছে.........
তারপর এভাবে আরো এক সপ্তাহ কেটে গেলো এই সাত দিনে আপু আমার ছায়া টা পর্যন্ত দেখে নি নাম্বার বল্ক করে রাখছি কল ও দিতে পারচ্ছে না
সাত দিন পর হটাৎ সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুমের মধ্যে অনুভব করলাম
আস্তে আস্তে আমার বুক বিজচ্ছে আরেকটু পর যখন ঘুম টা আরো নরম হলো
তখন অনুভব করলাম আমার বুকের উপর নরম আর ভারি কিছু আছে তখন একেবারে ঘুম ভেঙে গেলো তাকিয়ে দেখলাম আমার বুকে একটা মেয়ে শুয়ে আছে তার চুলের জন্য মুখ টা দেখতে পাচ্ছি না
আবার মনে হলো আমি স্বপ্ন দেখচ্ছি না তো হাতে একটা চিমটি কাটলাম ব্যাথা পাইছি
তার মানে স্বপ্ন না বাস্তব তারপর আস্তে আস্তে হাত নিয়ে গেলাম মেয়েটার চুলের কাছে হাত দিয়ে
মুখ থেকে চুল গুলা সরালাম মুখ দেখে তো আমি অবাক এটা তো আপু
এখানে আসলো কি করে আর আপুর চোখের পানিতে আমার বুক বিজে গেছে
আমি- আপু কি করচ্ছেন এসব ছাড়ুন আমাকে ( আম্মু যদি এসে এসব দেখে তাহলে কি ভাববে)
তাড়াতাড়ি করে ছাড়িয়ে নিয়ে
আপু- তুই আমার সাথে এমন করচ্ছিস কেনো ( কান্না করে)
আমি- আমি আবার কি করলাম আর আপনি কান্না করচ্ছেন কেনো
আপু- আমি কি করছি যার জন্য আমাকে এভাবে সাস্তি দিচ্ছিস ক্যান এত ইগনোর করচ্ছিস আজ সাত দিন পর তোকে দেখলাম আমার নাম্বার টাও বল্ক করে রেখেছিস কেনো কেনো এমন করচ্ছিস???
কান্না করে কথা গুলা বলল আপু এখন আপু কে কি জবাব দিবো।।।।।।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com