অরণ্যকন্যা / শ্রাবণ বর্ষায় / আবেগে আপ্লুত
অরণ্যকন্যা
অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু
গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ
দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায়
কোন এক শূন্য পথে
অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে
যতো বৃক্ষপত্র
নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই
ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন
বুদবুদের মতো
অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয়
কোন অক্ষর শব্দ
আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায়
হয়ে যায়
একটা অদৃশ্য কবিতা...
শ্রাবণ বর্ষায়
গাঁয়ের মধ্যে হেলানো গাছের মাথায়
শ্রাবণের গায়ে সোহাগ মাখিয়ে
নামে বর্ষা... ।
গায়ে লেগে থাকে গান...
সেখান থেকে ঝরে বিন্দু বিন্দু প্রেম ।
কামরাঙা বনে ঘুঙুর পায়ে
কথাকলি নাচ নাচে মনপাখি...
আমি চড়াই উতরাই পেরিয়ে
মৃগয়া ভূমিতে খুঁজি সোনার হরিণ...
হঠাৎ বৃষ্টিমাদল জলে দেখি
বিরহী রাধার মতো নিভৃতে তুমি... ।
আবেগে আপ্লুত
তার ছায়া দেখলেও জেগে ওঠে
আমার ভিতরের ঘুমন্ত অসুর; আর
তার আলোতে আমার লোমকূপগুলো
মাঝে মাঝে আলোকিত হয়, প্রসারিত হয়।
বেড়ে যায় রক্তের গতি, নিঃশ্বাসের গতি,
বেড়ে যায় শরীরের উত্তাপ, দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা।
তার শুভ্র লাবণ্যময় মসৃণ ত্বকের উপর
ধবধবে সাদা ভূষণে মায়াবী চেহারা ফুটে ওঠে।
সেই মায়ার আকর্ষণে আমার নিষ্পাপ দৃষ্টি
মাঝে মাঝে উম্মাদ হয়ে ওঠে, বেসামাল হয়ে যায়।
তাকে দেখি শ্বেত শুভ্র মেঘমালার মত
দিগন্ত জুড়ে যেন শূন্যে ভেসে বেড়ায়,
দিগ্বিদিক ছুটে যায়।
তার সেই ছুটে চলা বাতাসের ছোঁয়ায়
মাঝে মাঝে আমি আবেগে আপ্লুত হই।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com